চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনার জট নিরসনে সকল আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাধারণত আমদানি পণ্যের মধ্যে ৩৮ ধরণের পণ্যবাহী কন্টেইনার বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে (অফডক) নিয়ে রাখা হয়। জাহাজ থেকে ওই সকল পণ্যবাহী কনটেইনার অফডকে নেয়ার পর আমদানিকারকগণ অফডক থেকে পণ্যের খালাস নেয়।
কিন্তু ঈদুল আজহা এবং কঠোর লকডাউনের প্রেক্ষিতে বন্দর থেকে কন্টেইনার খালাস ন্যূনতম পর্যায়ে পৌঁছায় বন্দরের জেটিসমূহে কনটেইনারের স্তূপ পড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতিদিন ৫ হাজার কনটেইনার খালাস হয়ে থাকে তার স্থলে বর্তমানে ৫০০ কনটেইনার প্রতিদিন খালাস হচ্ছে।
বিশেষ করে গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিল্পের কাঁচামালসহ অন্য সকল পণ্য আমদানি হলেও আমদানিকারকগণ তা খালাস নিচ্ছে না। এতে করে পূর্বের এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি হলেও প্রতিদিন তা জমে ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে কনটেইনার সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার রাখা সম্ভব। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তা পরিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গতকাল রবিবার থেকে আমদানি পণ্যবাহী সকল কনটেইনার স্থানীয় পর্যায়ে থাকা ১৮টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার অফডকসমূহে পাঠানো যাবে। গতকাল রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ মেরাজ উল আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, অফডক সমূহে স্থানান্তরের সময় শতভাগ কন্টেইনার স্ক্যানিং করতে হবে। অফডকে স্থানান্তরিত পণ্যবাহী কনটেইনার কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।