ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা উঠাতে কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। কিন্তু দেশটির ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হলে তাতে মাথানত করা হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ইরান পার্লামেন্টে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর এনডিটিভি।
পার্লামেন্টে রাইসি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা অবশ্যই প্রত্যাহার কতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে যেকোনো কূটনৈতিক পরিকল্পনা আমরা সমর্থন করব।’
এদিকে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতির জানালা চিরকাল খোলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ফের ইরানের ওপর অবরোধও আরোপ করেন তিনি। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতির জানালা চিরকাল খোলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র।
রাইসি গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যেকোনো কূটনৈতিক পরিকল্পনা সমর্থন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নির্বাচনে ইব্রাহিম রাইসির জয়ের স্বীকৃতি দেন। ওইদিনই মূলত আগামী চার বছরের জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হয়েছে তার। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত শপথ অনুষ্ঠানে রাইসি বলেন, পবিত্র কোরআনের উপস্থিতিতে এবং জাতির সামনে, আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পাশাপাশি দেশের সংবিধান রক্ষার শপথ করছি।