সরকারের ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুদক সচিব কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ৩১ শতাংশ জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারী করেন।
“একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরও ১৫০ কাঠা জমি দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় এবং খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নিজ নামে/বেনামে বরাদ্দ নিয়ে ২০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎসহ গুলশান বনানীর ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।”
ঢাকার সাবেক সাংসদ মির্জা আব্বাস ২০০১-২০০৬ সময়ে বিএনপি সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
ওই সময় তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদকের করা আরেকটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মির্জা আব্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই অভিযোগটা স্রেফ উদ্দেশ্যমূলক, ভুয়া ও বানোয়াট। এটা দেশের জনগণ বোঝে, কেন এই ধরনের অভিযোগ নতুন করে তোলা হচ্ছে। বিএনপিসহ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ আজকে করা হচ্ছে।”