বরগুনায় মাইকিং করে প্রতিকেজি ইলিশ ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বরগুনা পৌর মাছ বাজারের সামনে রাস্তার ধারে ৩ মাছ বিক্রেতা যৌথভাবে মাছের ডালা সাজিয়ে দুই ধরনের ইলিশ বিক্রি করছেন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ইলিশের কেজি ২৬০ টাকা দরে বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিশ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, দিনের বেলায় ইলিশের দাম বেশি ছিল। রাতে ক্রেতা কম থাকার কারণে ইলিশের দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ২৬০ টাকা ইলিশের প্রত্যেক কেজিতে ৬টি মাছ পাওয়া যায় এবং ৩শ টাকা কেজির ইলিশে ৫টি মাছ পাওয়া যায়।
চলতি সপ্তাহে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করতে অনেক বার দেখা গেছে। তবে, মাছ ছোট হওয়ার কারণে দাম কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে আশ-পাশে ব্যবসায়ীরা কম দামে ইলিশ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাছের দাম প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন হয় তবে, আমাদের মাছ আগের কেনায় বিধায় একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। যেগুলো কম দামে বিক্রি হচ্ছে গুণগত মান দিক-বিবেচনা করলে ঠিক নেই। আমাদের কেনা বেশি থাকার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই আমাদের কাছে ক্রেতা আসে না।
বরগুনা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি, তদন্ত করে দেখবো মাছের গুণগতমান কেমন। প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো তাদের বিরুদ্ধে।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের পরিচালক নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার এম লুৎফর রহমান বলছেন, গত মাসের শেষের দিকে সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে তাই ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম আছে।