রাজনীতি

ভারতে তেলের দাম কমলেও দেশে বাড়ছে কেন ?

ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ফখরুল বলেন, ‘ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বাস-ট্রাক বন্ধ। কালকে দেখবেন ওই বাস-ট্রাক মালিকরা বলবে, ভাড়া বাড়াও। না হলে আমরা গাড়ি চালাতে পারব না। অর্থাৎ আপনার কাঁচাবাজার, তেল, লবণ সবকিছুর দাম বাড়তে থাকবে। ’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা এমন একটা দুঃশাসনের কবলে পড়েছি, ডিজেল-কেরোসিনের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা ছিল ৬৫ টাকা, সেটা করা হলো ৮০ টাকা। যেটা ছিল ৫৫ টাকা, সেটা করা হলো ৮০ টাকা। এলপিজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর প্রতি বছর বিদ্যুতের দাম তিন-চার বার করে লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠে। বাজারে যাবেন, কোনো কিছু কেনার জো নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে, কতটা জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন হলে এ ধরনের অমানবিক একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাংলাদেশে ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হচ্ছে, আর পাশের ভারতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যুক্তিটা কি দিয়েছে? আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আরে, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে গিয়েছিল, তখনও কিন্তু বেশি নিয়েছেন, কম নেন নাই। তাহলে কি করেছেন, ওই টাকা চুরি করেছেন। এখন আবার যেটা করছেন আমাদের পকেট কেটে আপনাদের পকেট ভরছেন। ’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। বাংলাদেশের রাজনীতি তো ধ্বংস করেছেই। এখন তারা দেশের মানুষের ভবিষ্যত ধ্বংস করছে। ’

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা নির্বাচনের কথা বলে। আজকের পত্রিকায় দেখবেন—গত সাত মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেখানে বিরোধীদল নেই, সেখানে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ৮৫ জন মারা গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। ’

সাদেক হোসেন খোকা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি একজন ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক নেতা। তিনি শুধু বিএনপির নেতা ছিলেন না, তিনি সার্বজনীন একজন নেতা ছিলেন। তিনি যখন ঢাকা সিটির মেয়র, তখন তার কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই, কোনো ব্যক্তি নেই। যারা তার কাছে গেছেন সহযোগিতা পেয়েছেন। ’

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *