তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু এ তথ্য জানান। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজের।
আমিরাতের যুবরাজ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের মধ্যে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মেভলুত চাভুসগ্লু জানান, তিনি আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি সফর করবেন।
দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আঙ্কারা সফরের সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এলো।
এর আগে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড) তুরস্কে আসেন। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম সরকারি সফরে তুরস্ক এলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ। যাকে আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক মনে করা হয়।
আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশ দুটি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পর এটিই প্রথম আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার আঙ্কারা সফর।
এর আগে যুবরাজের ভাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আগস্টে তুরস্কে সফর করেন। সেটি ছিল সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে প্রথম কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এদিকে আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আল সুওয়াইদির স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৮৫ হাজার ৮৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা) তহবিল বরাদ্দ করেছে।
এদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা এমবিজেডের সফরকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
লিবিয়ায় আঙ্কারার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে তুরস্ক। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ছাড়া সিরিয়া ও কাতার নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবুধাবি সফরে এসব মতপার্থক্য দূর করার বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।