ভারতের সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনীতি। কংগ্রেসকে দুর্বল করে এগিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের তকমা মুছে সর্বভারতীয় দল হিসেবে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিরোধী দলগুলো নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এদিকে বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এ বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার সকালে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতা হতে চাইছেন। সোনিয়ার দিন শেষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এর আগে রোববার কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূলের নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, কোনো কোনো বিরোধী দল এমনও আছে, প্রকাশ্যে হয়তো তারা বিরোধী, কিন্তু আসলে তারা সরকারপক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হলে তারা সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস এমন করে না।
এর পরই নাম না করে অধীর তথা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন।
টুইটে ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, সংসদে বিরোধী ঐক্য থাকবে। সাধারণ বিষয়গুলো বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করবে।
বিরোধীদের নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা এ বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ওরা ঠিক করুক, কে কার সঙ্গে থাকবে না থাকবে। বিরোধীদের বৈঠক নাটক। বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিজেপির কোনো মাথা ব্যথা নেই। কে বৈঠক ডাকবে, কংগ্রেস না তৃণমূল, কোনটা মূল কোনটা নয়, ওরাই ঠিক করুক। এ সব করতে করতেই এই মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে দিলীপের মন্তব্য তৃণমূল ও কংগ্রেসের নেতাদের ভালো লাগেনি।
তৃণমূলের প্রবীণ সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেন, আমাদের দলের একটা বৈঠক আছে। যেখানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। তা ছাড়া দিলীপ কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বাংলায় ভোটে হারার পর ওরা নিজেদের দলের ব্যর্থতা নিয়ে বরং ভাবুক।
কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, উনি সংসদের ইতিহাসটাই জানেন না। বিজেপি যখন বিরোধী আসনে ছিল, তখন তারাও বৈঠক ডাকত। এখন কংগ্রেস ডেকেছে। এটাই সংসদীয় রাজনীতির রীতি।