ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকাতে সমর্বতী রাষ্ট্রদূত (হাইকমিশনার) হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত কিংস হাউসে জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল স্যার প্যাট্রিক লিন্টন অ্যালেনের কাছে এ পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি।
পরিচয়পত্র পেশের সময় জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রাবাব ফাতিমা।
এ সময় হাইকমিশনার ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও ঘনিষ্ঠ করার জন্য আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জ্যামাইকা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী মিজ কামিনা জনসন স্মিথের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ সময় জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন মিজ স্মিথ।
বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) আয়োজনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার; যা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়েরও প্রস্তাব করেন এবং জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।