গুলশানের ‘র ক্যানভাস বার এন্ড রেস্টুরেন্টের’ বিরুদ্ধে গুলশানের ‘র ক্যানভাস‘ বারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে মামলা নথিভুক্ত করার পর পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তা ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয় বলে জানায় সরকারি সংস্থাটি।
২১ মাসে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। এই ফাঁকির বিপরীতে সুদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে আরও এক লাখ ৮৯ হাজার টাকা। সব মিলে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে আরএম সেন্টারের চতুর্থ তলায় অ্যালকোহলসহ খাবার ও পানীয় পরিবেশন করে ‘র ক্যানভাস বা এন্ড রেস্টুরেন্ট’।
প্রকৃত বিক্রি গোপন করে ‘বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির’ অভিযোগ পেয়ে ‘র ক্যানভাস বার এন্ড রেস্টুরেন্টে’ ১৯ ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. মইনুল খান জানান।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, ওই অভিযানে ভ্যাট সংক্রান্ত ও বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করা হয়। মাদক সংক্রান্ত রেজিস্টারে উল্লেখিত মজুদের পরিমাণের সহিত ওয়্যারহাউজ এবং দুটি কাউন্টারে রক্ষিত দেশি-বিদেশি মাদক দ্রব্যের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে ধারণকৃত তথ্যাদি যাচাই করে সেবা বিক্রি সংক্রান্ত বাণিজ্যিক দলিলাদি লুকায়িত অবস্থায় আটক করা হয়।এসব তথ্য ভ্যাট দলিলাদির সাথে ব্যাপক অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়।
এরপর কয়েক দিন ধরে এসব বাণিজ্যিক দলিলাদির ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ২১ মাসের হিসাব ক্রয় বিক্রয় এবং ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের হিসাব চেক করা হয়।
এতে সব মিলে রাজস্ব ফাঁকি ছাড়াও ভ্যাট আইনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাতে লেখা কাঁচা চালান ইস্যুর প্রমাণ মিলেছে। ইএফডি স্থাপন করার পরেও ক্রেতাদের মূসক চালান দেয়নি। এটি ভ্যাট আইনের লঙ্ঘনজনিত অপরাধ।
এ বিষয়ে ‘র ক্যানভাস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
বারে যে কোনো খাবারের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য।