কোভিডে আক্রান্ত হলে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে তোলে এমন একটি জিন খুঁজে পেয়েছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তা আগে থেকে বুঝতে এই গবেষণা নতুন পথ দেখাবে বলে তারা আশা করছেন।
মধ্য ও পূর্ব এশিয়ায় কোভিডে সর্বোচ্চ মৃত্যুহারের একটি কারণ হল টিকা নিতে অনিহা বা দ্বিধা। গবেষকরা আশা করছেন, যাদের শরীরে ওই জিন থাকবে, তাদের ঝুঁকির বিষয়টি বুঝিয়ে হয়ত টিকা নিতে উৎসাহ যোগানো যাবে। তাছাড়া আক্রান্ত হলে তাদের আরও নিবিড় চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হবে।
পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিডজিয়েলস্কি বলেছেন, “দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার পর (করোনাভাইরাসে) গুরুতর অসুস্থ হওয়ার জন্য দায়ী একটি জিন চিহ্নিত করা গেছে।
“এর ফলে কোভিডে মারাত্মকভাবে ভোগার প্রবণতা যাদের রয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের আমরা চিহ্নিত করতে পারব।”
‘মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব বিয়ালস্টক’ এর গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিডে একজন মানুষ কতোটা গুরুতর অসুস্থতায় ভুগবেন তা নির্ধারণে বয়স, ওজন এবং লিঙ্গের পর চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এই জিন।
গবেষণা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মার্সিন মনিউসকো বলেন, পোল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশের মধ্যে এই জিন রয়েছে,যা পুরো ইউরোপে ৮ থেকে ৯ শতাংশ এবং ভারতে রয়েছে ২৭ শতাংশের মধ্যে।
কোভিড-১৯ কতোটা গুরুতর হয়ে উঠবে তা বুঝে ওঠার জন্য অন্যান্য গবেষণাতেও জিনগত নিয়ামকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার তথ্য পাওয়া গেছে।
গত নভেম্বরে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, কোভিড- ১৯ আক্রান্তদের ফুসফুসকে অকার্যকর করার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে জিনের এমন একটি সংস্করণকে তারা চিহ্নিত করেছেন।