পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, দরিদ্র মানুষের প্রাপ্যটা বুঝিয়ে দিলেই দারিদ্র্য নিরসন সহজ হবে। কারণ প্রকৃতি আমাদের পানি, বায়ু ও মাটি দিয়েছে। কিন্তু এগুলো দরিদ্র মানুষ পায় না। ফলে নিজেদের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয় না।
তিনি বলেন, দরিদ্রকে মোকাবিলা করাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান সংগ্রাম। দারিদ্র মোকাবিলায় সামনের কাতার থেকে কাজ করবে আমাদের কৃষি। কৃষিকে ন্যায়ভাবে এগিয়ে নিতে হবে। কৃষিতে একটু নজর দিতে হবে। আমাদের সরকার কৃষি নিয়ে উদারভাবে কাজ করছে। দারিদ্র্য নিরসনে কৃষির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কৃষি কাজে নানা ধরনের ভর্তুকি দিচ্ছে। শুধু সার ও বীজ নয়; কৃষি যান্ত্রিকীকরণেও ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
‘স্ট্রেনদেনিং স্মল হোল্ডারস ফার্মস অ্যান্ড রুরাল এন্টারপ্রাইজ টু বেটার কপি উইথ ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন দ্যা ভালনারেবল হাওর রিজন অব বাংলাদেশ প্রজেক্ট’ নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দারিদ্র্য নিরসনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের জন্য নানা ধরনের আইনের মারপ্যাঁচ। একদিকে দরিদ্র অন্যদিকে আইনের নানা বেড়াজাল। অসম আইনের বেড়াজালে দারিদ্র্যগোষ্ঠী জড়িত থাকে। এটা খুবই কষ্টের ব্যাপার। দরিদ্র মানুষ তাদের পাওনা জিনিসগুলো পায় না। ফলে নিজেদের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয় না। তবে মানুষের জীবনে স্বস্তি নিয়ে আসতে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানান এমএ মান্নান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. মো. বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।