প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) শপথ গ্রহণ করেছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ পাঠ করান।
রোববার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
আগামীকাল (সোমবার) থেকে তারা নির্বাচন কমিশন ভবনে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। সেখানে সকালে তাদের বরণ করে নেওয়া হবে। পরে দুপুর ১টায় নতুন কমিশনের প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা রয়েছে।
শনিবার বিকালে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বাধীন অপর চার নির্বাচন কমিশনার হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নিয়োগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ১৩তম নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। নির্বাচন কমিশন আইনের অধীনে গঠিত এটিই প্রথম কমিশন।
নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পর যেদিন প্রথম চেয়ারে বসেন, সেদিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের দায়িত্বকাল। আগামীকাল (সোমবার) এই কমিশন দায়িত্ব নেবেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদার কমিশন বিদায় নিলে দ্বিতীয়বারের মতো পুরো কমিশন ফাঁকা হয়ে পড়ে।