জাতীয়

গুমোট গরমে ঝড়ো হাওয়া আনলো স্বস্তির বৃষ্টি!

চৈত্রের তাপপ্রবাহের জনজীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। তার ওপর পশ্চিমা লঘুচাপের আনাগোনায় বেড়েছিল গুমোট গরম।

তবে সন্ধ্যার পর থেকে নেমে আসা ঝড়ো হাওয়া আনলো স্বস্তির বৃষ্টি।

রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে মেঘের উপস্থিতি রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরের পর থেকেই ছিল। তবে বৃষ্টি না আসায় গরম অনুভূতি আরও বেড়ে যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে কাটতে শুরু করে সেই পরিস্থিতি। পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস নেমে এলে ঝরো ঝরো ধারায় পড়তে থাকে বৃষ্টিও।

হঠাৎ ধূলিঝড়ের পর বৃষ্টিতে দিগ্বিদিক ছুটতে দেখা যায় পথচারীদের। সবাই খুঁজতে থাকেন আশ্রয়। ফুটপাতের স্টল, হকারদের ছাউনি, দোকানপাট মিনিট খানেকের মধ্যেই উপচে পড়ে লোকজনে। তবে সবার মুখেই যেন স্বস্তির ছায়া। গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনমনে বৃষ্টিতে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিও নামে। রিকশা ভাড়া বেড়ে হয়ে যায় দ্বিগুণ।

আবহাওয়া অফিস অবশ্য সন্ধ্যাবেলায় পূর্বাভাস দিয়েছিল ঝড়ের। সেটাই সত্যি হলো। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেলেনি।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এ অবস্থায় সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

অন্যদিকে রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কি.মি.। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হবে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যথাক্রমে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১১ মিলিমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *