জাতীয়

৩ দাবি নিয়ে গণভবনের সামনে সোহেল তাজ

তিন দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান সোহেল তাজ।

আওয়ামী লীগের সাবেক এ সংসদ সদস্য গণভবনের সামনে প্ল্যাকার্ডসহ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এ কর্মসূচিতে সোহেল তাজের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সের কয়েকশ নারী ও পুরুষ।

রোববার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ প্রান্ত) অবস্থান নেন সোহেল তাজ।

এ সময় ব্যানার-ফেস্টুনসহ তার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিন দফা দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে হেঁটে গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন সোহেল তাজ। তার সঙ্গে যোগ দেওয়া নারী-পুরুষ তিন দফা দাবি উল্লে­খ করে স্লোগান দেন।

১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি এবং তা চর্চার দাবি জানান সোহেল তাজ।

দুই পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে সোহেল তাজ ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন কেন প্রয়োজন তা-ও তুলে ধরেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের অজ্ঞতা ও অনাগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এজন্য এ ইতিহাস সবস্তরের পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তার স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ূয়া। স্মারকলিপির শেষে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ লিখে নিজেকে ‘প্রহরী ৭১’ দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *