পণ্য রপ্তানিতে সুবাতাস বইছে। ধারাবাহিকভাবে আয় ও প্রকৃদ্ধি দুটোই বাড়ছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
আয়ের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিলো ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে তুলনায় আয় বেশি হয়েছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ৩১৩ কেটি ৪৩ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।
এদিকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিল ৩৫৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে লক্ষমাত্রার তুলনায় আয় ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি হয়েছে।
এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছিল ৩২০৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল ও রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। বড় খাতের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৯০৫ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৯৮ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ডলার। আয় বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯১ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ১০৪ কোটি ডলার। আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
উৎপাদিত পণ্য খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৪৬২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৮৩ কোটি ডলার। এ খাতে আয় বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১০১ কোটি ১৭ লাখ ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্র অর্জন হয়নি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। আয় কম হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে।