জাতীয়

দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজপথ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও দেড় বছর। এর আগেই হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে দুদিন ধরে দফায় দফায় হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

ছাত্র রাজনীতির এই উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। বিএনপি এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ। খুলনা, পটুয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে আগামী দিনে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। অপরদিকে যে কোনোভাবে ছাত্রদলকে প্রতিহতের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ। আজ ও কাল সারা দেশে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রয়েছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আরও ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকে। আপাতদৃষ্টিতে এসব ঘটনাকে দুই ছাত্র সংগঠনের শক্তি প্রদর্শনের মহড়া বলা হচ্ছে। কিন্তু এর নেপথ্যে বিএনপির বড় আন্দোলনের আভাস ও ক্ষমতাসীনদের তা প্রতিহতের বার্তা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তারা আতঙ্কে আছে কখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠে। তাই ভয় থেকে তারা এ হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরানো যাবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপির উদ্দেশে বলেন, সবকিছুর মধ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার যে মানসিকতা প্রকারান্তরে এটি বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করে। জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই, জনসমর্থন নেই, সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। নানা কারণে তারা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত।

সেজন্যই তারা নানাবিধ কথা বলে। এ কথাগুলো আমরা কখনো বিবেচনায় নেই না, গুরুত্বও দেই না। তিনি বলেন, এরসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন বা রাজনীতির কিছু নেই। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততারও কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে হঠাৎ করে রাজনীতি সংঘাতময় হয়ে উঠায় উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল, সুশীল সমাজসহ বিশিষ্টজনরা। প্রধান দুদলের এমন মুখোমুখি অবস্থানকে অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক বলে মনে করছেন তারা। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা আরও বাড়তে পারে। তাই এ মুহূর্তেই দলগুলোকে সহিংস রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। না হলে টালমাটাল অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ব চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সেদিকে হাঁটছে না। উলটো রাজনীতির মাঠ সংঘাতময় হয়ে উঠছে। দেশের অর্থনীতিতে এ ধরনের রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সুযোগ নিতে পারে ‘তৃতীয় পক্ষ’। ফলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। যা কারও কাম্য নয় বলে তারা মনে করেন।

শান্ত ক্যাম্পাস অশান্ত হওয়ার নেপথ্যে মোটা দাগে দুটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একটি হলো, ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্ব লাভে ‘ত্যাগী ও সাহসী’ প্রমাণ এবং অন্যটি জাতীয় রাজনীতির প্রভাব। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকে সম্মেলনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

ফলে ছাত্রলীগের রাজনীতি এখন চাঙ্গা। বর্তমান কমিটির শুরুর সময়ের চেয়ে এখনকার কর্মসূচিতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। হামলায় সামনে থাকলে গণমাধ্যমে নাম ও ছবি আসবে, যা রাজনীতিতে সহায়ক হবে-এমন চিন্তা থেকে অ্যাকশনে নামার প্রবণতাও রয়েছে অনেকের মধ্যে।

পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মসূচির পর ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রত্যাশীসহ বড় একটি অংশের দাবি ছিল তাদের ‘সমুচিত’ জবাব দেওয়া। এ বিষয়গুলো ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে তারা শক্তভাবে ছাত্রদলকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।

এদিকে সম্মেলন প্রত্যাশীদের একটি অংশ এখন আবার বলছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্ব করতেই ছাত্রদলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। যদিও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যে যাই বলুক আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে নিয়ে কোনো কটূক্তি তারা বরদাশত করবেন না। এছাড়া প্রশাসন ছাড়া মাঠে যাওয়ার যে চ্যালেঞ্জ ছাত্রদল একাধিকবার দিয়েছে, তারা সেটারও জবাব দিয়েছে।

ছাত্রদলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান নেতৃত্ব নির্বাচনের পর থেকেই ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান তৈরি করা ছিল তাদের অন্যতম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’। এরই অংশ হিসাবে তারা শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউন করেছেন। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ছাত্রদলের এই কমিটির কাছে বিএনপির প্রত্যাশাও বেশি। ফলে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সামনে থেকে মিছিল ও বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছাত্রদলের আন্দোলন নিবিড়ভাবে ‘মনিটরিং’ করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিএনপিও কর্মসূচি দিচ্ছে। হামলার পর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মনোবল শক্ত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বিএনপি। হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এছাড়া দেশব্যাপী ছাত্রদলের কর্মসূচিকে সফল করতে তৃণমূলে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠুর পরিবেশ নিশ্চিত ও সহাবস্থানের দাবি জানাচ্ছে। তবে এর নেপথ্যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে। ফলে ছাত্রদলের প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনাকেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা।

এদিকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল এবং তাদের মূল দলের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে ক্রমশই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে ক্যাম্পাস। আগামীতে এ পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আগামী জাতীয় রাজনীতিকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা ক্যাম্পাসগুলোতে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে চায় ছাত্রদল। তারা বার্তা দিতে চায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নড়বড়ে হয়ে আছে, সারা দেশে আওয়ামী লীগও নড়বড়ে অবস্থায় পড়বে। তারা আরও বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যে কোনো বড় আন্দোলনেই ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের চোখ থাকে সেখানে। এর বিশাল মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও রয়েছে।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেওয়া হবে না। ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক যেভাবে অস্ত্র হাতে হামলা করতে এসেছে তা মানা যায় না। আগামীতেও ছাত্রদলকে প্রতিহত করা হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের চোখে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একজন সফল ও আদর্শ দেশনায়ক। তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য কোনোভাবেই সহ্য করব না। তাতে যে ভাষায় জবাব দেওয়া প্রয়োজন, সেই ভাষাতেই জবাব দেবে ছাত্রলীগ। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। ছাত্রলীগও তাদের পাশে ছিল, সমর্থন দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর আগে পরিচয় ছাত্র, পরে দল। তাই ছাত্রলীগই যে তাদের প্রতিহত করেছে এমন নয়, এটি ছিল শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিরোধ।

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ যুগান্তরকে বলেন, আমরা ছাত্রদের অধিকার ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলতে চাই। ক্যাম্পাসে চাই সহাবস্থান। আমাদের নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীরা দফায় দফায় হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ যেভাবে স্বৈরাচারী স্টাইলে দেশ চালাচ্ছে, ছাত্রলীগও সেভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। আমরা এর অবসান চাই। হামলা করে ছাত্রদলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। যতই হামলা হোক আমরা আগামীতেও রাজপথে থাকব।

এদিকে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো কৌঁসুলি ভূমিকায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত চত্বর ও কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগের হামলার প্রায় ৩০ মিনিট পর পুলিশ সেখানে যায়। মঙ্গলবার শহিদ মিনারে হামলার ঘটনায়ও অনেকটা নীরব ভূমিকায় ছিল পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলেও তাদের গ্রেফতারে এখন তেমন কোনো তৎপরতা নেই পুলিশের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপর থেকে সিগন্যাল পেলেই শুরু হবে অভিযান।

দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় অনেকটা ঘরবন্দি ছিল রাজনীতি। করোনার ভয়াবহ প্রভাব কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে মাঠে গড়াতে থাকে রাজনীতি। কিন্তু শুরুতেই সংঘাতের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার কৌশল নিয়েছে দুদল। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হলেও জাতীয় রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে।

দুদলের সিনিয়র নেতারা এ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অভিযোগ, পালটা অভিযোগে ব্যস্ত তারা। বিএনপি বলছে, নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠ থেকে বিরোধী দলকে সরানোর টার্গেট নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে ঢাবিতে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে আক্রমণের চেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা ব্যর্থ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে যায়, তখন তা প্রতিহত করা তো শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হয়ে পড়ে। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের অধিকারের সঙ্গে থাকে। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছে। এতে অন্যায় বা দোষের কিছু হয়নি।

বিএনপির নেতারা বলছেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে আবার তাদের নামেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরানোই তাদের মূল লক্ষ্য। উলটো সরকারের এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথে নামবে বলে আশা করি।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু দেশের এ সংকটকালে সহিংস রাজনীতি কারও কাম্য নয়। সমস্যা সমাধানে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য। প্রধান দুদলকেই অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। কিন্তু আমরা চিন্তাশীল সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আবেগ এবং স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছি। সংকটময় পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *