একের পর এক সুযোগ এলো। তাতে কাজের কাজ অবশ্য হলো না কিছুই।
অল্প পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমে যেখানে কাজে লাগানো দরকার হাফ চান্স, বাংলাদেশ সেখানে পারছে না ফুল চান্সও।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৭ রানে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন অবধি ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেছে তারা। এর আগে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের পুরোটা জুড়েই বাংলাদেশের জন্য ছিল শুধু হতাশা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা হলো আফসোসের। কখনো ক্যাচ মিস, কখনো আবার ব্যাটে লাগলেও ঠিকঠাক আবেদনই করলেন না ফিল্ডাররা।
দিনের শুরুটা মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনকে দিয়ে করান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুটা মন্দ করেননি তারা। বিশেষত এবাদত হোসেন প্রায়ই বিপদে ফেলছিলেন ব্যাটারদের।
এক পর্যায়ে মিলেছিল সুযোগও। ইনিংসের ৫৩তম ওভারের শুরু থেকেই দুর্দান্ত বল করেছেন এবাদত। শেষ বলটি গুড লেন্থে ফেলে রেখেছিলেন স্টাম্পে। ব্যাটেও লেগেছিল এনক্রুমাহ বোনারের।
কিন্তু সেভাবে আবেদনই করেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখে নিশ্চয়ই হতাশাটা বেড়েছে। এরপরও সুযোগ মিলেছিল আরও একটি। সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে আবারও জীবন পান বোনার।
খালেদের ওভারে তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে গিয়েছিল বল; কিন্তু প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত বা উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা নুরুল হাসান সোহান কেউই নড়েননি। ক্যাচটি অবশ্য ছিল শান্তর। এরপরই ফিফটি তুলে নেন ক্যারিবীয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
খানিক বাদেই অবশ্য বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন সাকিব আল হাসান। দুবার জীবন পাওয়া বোনারকে বোল্ড করে দেন তিনি। ৯৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ক্যারিবীয়ন ব্যাটার। এরপর আরও কয়েকটি সুযোগ এলেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।