ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের বিস্ময় দেখে আমরাও বিস্মিত। শুক্রবার (১৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত এমটকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, বাণিজ্য এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যেকার সম্পর্কসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে আমরা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। তারপর অনেকবার শুনেছি যে বাংলাদেশ এতে অনেক অবাক হয়েছে। সম্ভবত আমরাও বিস্মিত তাদের বিস্ময় দেখে। কারণ ২০১৮ সালেই আমরা র্যাবকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধ করেছিলাম। কেননা মানবাধিকার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল। প্রতি বছর মানবাধিকার প্রতিবেদনে আমরা উদ্বেগগুলো প্রকাশ করেছি। আমরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও বিষয়টি তুলে ধরেছি। ফলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিস্ময় হিসেবে এলেও আমাদের যে উদ্বেগ ছিল সেটি নিয়ে বিস্ময় থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, এতে করে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না। আমি তখন বলি, এতে আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। কেননা আমাদের অনেক বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আমরা সহযোগিতা করছি। তবে র্যাব ও অন্যান্য ইস্যু সমাধানে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জিএসপি ও ডিএফসি পেতে যা যা করতে হয়, দুর্ভাগ্যজনক বাংলাদেশ এখনো সেসব পূরণ করেনি। কিন্তু তারা ক্রমাগতভাবে জিএসপি বাধা তুলে নিতে বলছে। জিএসপি ও ডিএফসি ফিরে পেতে আমরা উদ্যোগ অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে বাংলাদেশ যত দ্রুত এগিয়ে নেবে, আমরাও ঠিক ততটা দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।