অর্থনীতি

বিশ্ব ব্যাংক-এডিবির কাছে ২০০ কোটি ডলার চেয়েছে সরকার

এর মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকেও ৪৫০ কোটি ডলার চেয়েছে সরকার।

কোভিড-১৯ মহামারী অভিঘাতের পর ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অস্থির হয়ে উঠা অর্থনীতি সামাল দিতে বিশ্ব ব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে ২০০ কোটি ডলার চেয়েছে সরকার।

এর মধ্যে এডিবির কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার এবং বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা হিসেবে চাওয়া হয়েছে। বাকি ২৫ কোটি ডলার বিশ্ব ব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য গঠিত তহবিল থেকে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকেও ৪৫০ কোটি ডলার চেয়েছে সরকার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিশ্ব ব্যাংক অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বাকী বলেন, ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা আগামী তিন অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা করে এই সহায়তা পাওয়ার পরিকল্পনা বিশ্ব ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি তহবিল গঠন করেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশও প্রায় ২৫ কোটি ডলারের মতো সহয়তা পেতে পারে।”

আগামী অক্টোবরে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। সেই বৈঠকেই নতুন বাজেট সহায়তার আকার ঠিক হতে পারে।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবেলায় ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। তার মধ্যে ২৫ কোটি ডলার ছাড় হয়েছে। আর বাকি ২৫ কোটি ডলার চলতি অর্থবছরে ছাড় হবে।

ইআরডির এডিবি উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশেষ করে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতে সম্ভাব্য অভিঘাত মোকাবেলায় এডিবির কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসেই এই সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখনও এডিবি আমাদের চূড়ান্ত কিছু জানায়নি। আশা করছি, শিগগির এডিবি এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানাবে।”

এই ঋণের অর্থ প্রতি অর্থ বছরে ৫০ কোটি অথবা ২৫ কোটি ডলার ছাড় পেতে আলোচনা করবে সরকার।

এর আগে এডিবি কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবেলায় ৯৪ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছিল।

পিয়ার বলেন, ওই বাজেট সহায়তার আর ২৫ কোটি ডলার ছাড় হওয়া বাকি আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ওই অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *