বিনোদন

নাট্যশালার মঞ্চে যাত্রাপালা ‘আপন ভাই’

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যাত্রাপালা ‘আপন ভাই’।

আব্দুল আওয়াল সরকার রচিত এ যাত্রাপালার নির্দেশনায় ছিলেন ড. সৈয়দ মামুন রেজা।

রোববার সন্ধ্যায় এ যাত্রাপালার দ্বিতীয় প্রদর্শনীতে অভিনয় করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পালাটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল বলে জানান নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মামুন রেজা।

তিনি গ্লিটজকে বলেন, “এই যাত্রাপালা নিয়ে আমরা কলকাতা যাচ্ছি। ভারত সফরের আগে এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ভালো একটি প্রস্তুতি হয়েছে।”

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত এ পালা কাহিনি গড়ে উঠেছে দুই ভাই ডা. সদরুল ও নসরুলকে ঘিরে।

সদরুল বিলেত থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করে গ্রামে ফিরে আসেন মানুষকে সেবা দেওয়ার ব্রত নিয়ে। তিনি রাজনীতি ও সমাজ সচেতন একজন ব্যক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।

<div class=”paragraphs”><p>যাত্রাপালা ‘আপন ভাই’</p></div>
যাত্রাপালা ‘আপন ভাই’
অন্যদিকে তার ছোট ভাই নসরুল অর্থ-সম্পত্তির অপচয় ও আমোদ-ফূর্তিতে সময় কাটান। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিদনি স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন।

নসরুলের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা সদরুলসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া অনেককে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে, মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়।

এমনকি নিজের প্রেমিকাকেও পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেন নসরুল।

সদরুল সুকৌশলে খান সেনাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে নেন।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি জানতে পারেন, তারই আপন ছোট ভাই নসরুল গোপনে পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে কাজ করেছে।

পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে এবং প্রতিশোধ নিতে নসরুল তার বড় ভাই সদরুলকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *