খেলাধুলা

৩৬ বছরে পা দিলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তার এই বিশেষ দিনে মোটেও উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। করেননি কোনো দৌড়ঝাঁপ কিংবা হইহুল্লোড়। এবারের জন্মদিনে তাই বাড়ি বসেই কাটিয়েছেন গোটা দিন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী আর দুই সন্তান।

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্র জানায়, গত ৫ নভেম্বর ছিল বিরাট কোহলির জন্মদিন। ৩৬ বছরে পা দিলেন ভারতীয় এ ক্রিকেটার। কিন্তু এই বিশেষ দিনে তিনি মোটেও কোনো দৌড়ঝাঁপ কিংবা হইহুল্লোড় করেননি। বরং বাড়িতে বসেই কাটিয়েছেন পুরো দিন। সঙ্গে ছিলেন কেবল স্ত্রী আনুশকা শর্মা এবং দুই সন্তান ভামিকা ও অকায়।

তার এই বিশেষ দিনে তার ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে স্ত্রী, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। তবে উদযাপনে ছিলেন মাত্র তিনজন— তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটালেন সে বিষয়ে গৌরব কাপুরকে বিরাট জানান, এটি তার সব থেকে বেশি চিল্ড আউট জন্মদিন ছিল। কারণ তিনি এবার কিছুই করেননি। কেবল পরিবারকে সময় দিয়েছেন মাত্র।

বিরাট বলেন, বয়স বাড়ল, বুড়ো হলাম জানি। কিন্তু বুদ্ধি বাড়ল কিনা জানি না। তবে এত বছরের মধ্যে এটা আমার সব থেকে চিল্ড আউট জন্মদিন ছিল। বাড়িতে আমার সঙ্গে খালি আনুশকা আর আমাদের দুই সন্তান ছিল। রিল্যাক্স করে আরামে কেটেছে দিনটা।

তবে নিজের জন্মদিন ঘরোয়াভাবে উদযাপন করলেও সম্প্রতি বিরাট ও আনুশকাকে তাদের বন্ধু অঙ্গদ বেদি এবং নেহা ধুপিয়ার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে শামিল হতে দেখা গেছে। আনুশকা একটি সাদা শার্ট ও জিন্স পরে এসেছিলেন। বিরাটের পরনে ছিল মেরুণ টিশার্ট ও জিন্স। সঙ্গে টুপিও পরেছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা ২০১৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। ২০২১ সালে তাদের মেয়ে ভামিকার জন্ম হয়। এর পর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পরিবার আরও বড় হয়। জন্ম হয় তাদের ছেলে অকায়ের। এদিকে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ভারতের হয়ে দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবেন বিরাট কোহলি। সম্প্রতি তার ব্যাট হাসছে না। এ নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন বর্ষীয়ান এই ব্যাটার।

বিরাটের জন্মদিনে অজানা তথ্য ফাঁস করলেন আনুশকা

 ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি আজ ৩৬ বছরে পা দিয়েছেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তার স্ত্রী বলিউড নায়িকা আনুশকা শর্মা এক অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরাট ও তার দুই সন্তানদের ছবি পোস্ট করে, বুঝিয়ে দিলেন অকায় এবং ভামিকাকে সামলাতে বিরাটের প্রতিদিন নাজেহাল হতে হয়। এ তথ্য এতদিন তাদের অনুরাগীরা জানতেন না। এবার তা ফাঁস করে দিলেন এ অভিনেত্রী।
আনুশকা তার ইনস্টাগ্রামে যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গেছে দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে একেবারে হিমশিম খাচ্ছেন বিরাট। তাদের দুই সন্তান যে মোটেই শান্তশিষ্ট নয়, তা আনুশকার পোস্ট করা এ ছবি দেখে ধারণা করা যায়।

আনুশকা অভিনয়ের পাশাপাশি এখন মা হিসেবে দায়িত্ব পালনে ভীষণ ব্যস্ত। সন্তান হওয়ার পর আর অন্যান্য মায়েদের মতো আনুশকারও জীবন পাল্টে গেছে- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! সে কারণেই এবার অভিনয় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ নায়িকা।

আনুশকা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, মেয়ে ভামিকা এখন বড় হচ্ছে। তার পেছনেই বেশিরভাগ সময়টা দিতে চান তিনি। তাই এখন আর আগের মতো সিনেমা করবেন না এ অভিনেত্রী। খুব বেছে বেছে কম সিনেমায় কাজ করার কথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এখন থেকে বছরে একটির বেশি সিনেমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনুশকা।

এ প্রসঙ্গে আনুশকা বলেন, জীবন নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই আমার। যেভাবে জীবন কাটাচ্ছি, তাতে আমি খুব খুশি। একজন অভিনেত্রী বা তারকা হিসেবে, কিংবা মা-স্ত্রী হিসেবে কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমি শুধু সেটাই করব, যেটা আমাকে আনন্দ দেয়। অভিনয় উপভোগ করি, তবে এখন থেকে বছরে একটি করে সিনেমা করব।

তিনি আরও বলেন, পরিবারকে বেশি সময় দিতে চাই। কারণ ভামিকার এখন আমাকে প্রয়োজন। বিরাটও বাবা হিসেবে অসাধারণ। যতটা পারে মেয়েকে সময় দেয়। তবে এটা খেয়াল করেছি যে, বাবার চেয়েও ওর এখন আমাকে বেশি দরকার। আনুশকা বছরে একটির বেশি সিনেমা করবেন না বলার পর তার অনুরাগীরা মন খারাপ করেছেন। তবে সন্তানদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া তার প্রশংসা করছেন অনেকেই।

বিনোদন

বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য দেখাতে পারেনি আলিয়া ভাটের সিনেমা ‘জিগরা’। করণ জোহরের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন আলিয়া।

কিন্তু সিনেমা তৈরি করতে যা খরচ হয়েছে, বাজেটের সেই অর্থটুকুও ফেরত পাননি। এতেই নাকি বেশ হতাশ অভিনেত্রী।
শোনা যাচ্ছে, এবার দাক্ষিণে মন দিতে চলেছেন আলিয়া। সেখানকার এক ‘ব্লকবাস্টার’ নির্মাতার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাই’।

কে এই পরিচালক? নাগ অশ্বিণ। তার পরিচালনাতেই ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়রা। ৬০০ কোটি বাজেটের ‘কল্কি’ চলতি বছরের ২৭ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে সারাবিশ্বে। সিনেমার দ্বিতীয় ভাগের অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।

শোনা গিয়েছে, মহিলা কেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করতে চলেছেন নাগ অশ্বিণ। যেখানে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে আলিয়াকে। গল্প কেমন? সে বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি।

তবে সূত্রের বরাদে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে। হায়দরাবাদের প্রযোজনা সংস্থা বৈজন্তী ফিল্ম নাকি সিনেমাটি প্রযোজনা করছে। উল্লেখ্য, এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অশ্বিণের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দত্ত।

প্রসঙ্গত, ‘জিগরা’র ভরাডুবির পর আলিয়া ও করণকে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছিল। সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ‘ফেক কালেকশন’ দেখানোর অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা খোসলা।

এই ঘটনায় তিক্ততা এই পর্যায়ে গিয়েছে যে রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ সিনেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। স্ত্রীর অপমানের জেরেই নাকি ‘অ্যানিম্যাল’র সিক্যুয়েল ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। কারণ অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা সিনেমার অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের মালিক ভূষণ কুমারের স্ত্রী।

অর্থনীতি

নভেম্বরের প্রথম নয় দিনে প্রবাসী আয় এলো ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সাত হাজার ৮৬০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)।

নভেম্বরের শুরুর নয় দিন প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৮ ডলার। রোববার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস অক্টোবরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।

আগের মাস অক্টোবরে সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছিল। অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর সেপ্টেম্বর মাসে আসে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নভেম্বর মাসের ৯ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ১৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে তিন কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে।

একক ব্যাংক হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসীয় আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে, ১০ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন আড়াই লাখ করদাতা

চলতি ২০২৪-২০২৫ করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। একই সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১০ লাখ ৫০ হাজার করদাতা।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন এবং দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্টের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া পূর্ববর্তী বছরের দাখিল করা ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।

চলতি ২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ পদ্ধতি গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে এনবিআর একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে। অফিস চলাকালীন যে কোনো সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সমাধান পাচ্ছেন বলে জানান এনবিআরের এই কর্মকর্তা।

এ ছাড়া www.etaxnbr.gov.bd এর eTax Service অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারছেন, যা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করছেন আয়করকারী গ্রাহকরা। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বিষয়ক একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব পেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজ www.facebook.com/nbr.bangladesh-এ পাওয়া যাচ্ছে।

আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব ধরনের সেবা দিতে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর তথ্যসেবা মাস। চলতি নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন সময়ে পাওয়া যাবে করসেবা।

এর আগে তথ্য প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলগুলোর অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী, সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরিধি বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের মেয়েরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এটি বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের এক প্রতিনিধি দল।তখন তিনি এসব কথা বলেন।

কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজর ল্যরা নিউম্যান বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা কীভাবে তাদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে পারে সে বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলনে মাঝপথে ইন্টারনেট বন্ধ করে গুম ও খুনের তথ্য গোপন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেছে ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি। সে ক্ষেত্রে এক ধরনের ডিজিটাল ডিসক্রিমিনেশন তৈরি হয়েছে আমরা তা দূর করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল লিটারেসি দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

জনগণ তথ্য পাওয়ার জন্য উদগ্রীব, এই সময় তারা সঠিক তথ্য না পেলে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানান কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার। কীভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তারা দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন যারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের এ কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও মনিটর করা হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে তারা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। এসব বিষয়ে কার্টার সেন্টারের কোনো মতামত থাকলে তা প্রদানের জন্য উপদেষ্টা প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান।

কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে।

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

খোদা বকশ চৌধুরী, ড. সায়েদুর রহমান ও প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলামকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই তিন ব্যক্তিবর্গকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।

বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে নতুন তিন উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

নতুন করে শপথ নেওয়া উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।

রাজনীতি

বরিশালে জাতীয় পার্টির বক্তারা বলেছেন, গণতন্ত্র মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দেশের সবাই গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে কিন্তু কেউই গণতন্ত্রের চর্চা করে না, গণতন্ত্রের রাতিনীতি মেনে চলে না। সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদ দেশে গণতন্ত্রির শাসন ব্যবস্থা আনার জন্য আপ্রাণ চষ্টো করছেন। কিন্তু বৃহত্ দুইটি রাজনৈতিক দলের কারণে তা তিনি করতে পারেননি। এতো রক্ত ঝড়ার পরও ওই দুইটি রাজনৈতিক দলের কারণে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।

গণতন্ত্র ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এই সভা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন, জাতীয় পার্টি বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল।

বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি বরিশাল জেলা সদস্য সচিব এমএ জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম গফুর, রুস্তম আলী খান, আকতার রহমান সপ্রু, মঞ্জুরুল আলম খোকন ও ফোরকান তালুকদার, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব কামরুজ্জামান চেৌধুরী কামাল, জাতীয় যুব সংহতি বরিশাল জেলা আহ্বায়ক নুজরুল ইসলাম হেমায়েত, জাতীয় যুব সংহতির মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক গিয়াস আহাম্মেদ, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক পার্টি জেলা সভাপতি আবদুল মন্নান ও মহানগরের আহ্বায়ক আবদুস সোবাহান, জেলা কৃষক পার্টি আহ্বায়ক মোসলেম ফরাজী, জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলা আহ্বায়ক বাহাদুল হোসেন প্রমুখ।

জাতীয়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি করেছে সরকার।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে গঠিত কমিটির সদস্যদের মধ্যে আছেন-হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাছাই কমিটি চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে উপস্থিত সদস্যদের অনূ্যন তিনজনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে দুজন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করবে। অনূ্যন চার সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম গঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উক্ত বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা করবে।

রাজনীতি

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে গুম বিষয়ক তদন্ত গঠিত কমিশনকে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে কমিশনের সদস্যরা ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের যা যা প্রয়োজন, সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। ’

কমিশনের সদস্যরা জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারকে তারা একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন এবং এরপর বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করবেন।

বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সরকার প্রয়োজনে কমিশনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়াবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে, যার মধ্যে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার জন্য আইনি বিধানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তারা প্রায় ১,৬০০টি অভিযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ যাচাই করেছেন এবং ১৪০ জন অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

বৈঠকে কমিশনের একজন সদস্য বলেন, ‘অসংখ্য অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিভূত। অনেক মানুষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কমিশনে আসছেন না। এ থেকে বোঝা যায়, গুমের প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ’

কমিশনের ওই সদস্য আরও জানান, তারা সন্দেহ করছেন যে. জোরপূর্বক গুমের সংখ্যা অন্তত ৩,৫০০ হতে পারে।

তিনি জানান, গুমের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে, তাদের শনাক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন।

ওই সদস্য আরও বলেন, অনেক ভুক্তভোগী কারাগারে রয়েছেন, এমনকি কিছু ভুক্তভোগী মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি। গ্রেপ্তার দেখানোর পর এদের আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

বেশ কিছু ভুক্তভোগী প্রতিবেশী দেশ ভারতের কারাগারেও বন্দি রয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

কমিশনের সদস্যরা বলেন, সরকারকে এমন কিছু গোপন স্থানে প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য সহায়তা করতে হবে, যেখানে ভুক্তভোগীদের আটকে রাখা হয়েছিল।

কমিশনের সদস্যরা বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগী আমাদের বলেছেন যে, তারা বছরের পর বছর সূর্যের আলো দেখেননি। প্রতিদিন নতুন দিন শুরু হয়েছে, তা তারা কেবল সকালের নাস্তা পরিবেশনের সময় টের পেতেন। ’

কমিসনের এক সদস্য সরকারকে অভিযুক্তদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্ভব হলে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানান।

বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের তালিকা পাওয়ার পরই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম কমিশনের তদন্ত জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর তদারককারীদের প্রকাশ্যে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, নূরজাহান বেগম, আদিলুর রহমান খান, এম সাখাওয়াত হোসেন, নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের পাশাপাশি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছিল কাতার।

হামাস ও ইসরায়েল ‘আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আন্তরিক ইচ্ছা না দেখানো’ পর্যন্ত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টা থেকে কাতার বিরত থাকবে, বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন।

শনিবার তিনি আরও জানান, পারস্য উপসাগরীয় ক্ষুদ্র আরব দেশটি আরও সিদ্ধান্তে এসেছে যে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর ‘আর তাদের উদ্দেশ্য সাধন করছে না’।

এ বিষয়ে কাতার হামাসকে সতর্ক করেছে বলে আল আরাবিয়া নিউজ জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “কাতার একইসঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসকে জানিয়ে দিয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা শুভ বিশ্বাসের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হবে, তারা (দোহা) মধ্যস্থতা আর চালিয়ে যেতে পারবে না। আর এর ফলে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরও আর এর উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।”

যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের পাশাপাশি কাতার গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ব্যবস্থা করার জন্য চলমান আলোচনায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছিল। অক্টোবরের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এ আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে, হামাস স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতার ইতোমধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত ‘ইসরায়েল ও হামাসের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়ে দিয়েছে’।

তিনি বলেন, “কাতার মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছে, যখন হামাস ও ইসরায়েল আন্তরিক ইচ্ছার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে চাইবে তখন তারও মধ্যস্থতায় ফের যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।”

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাতারের কাছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে আর নিরাপদ আশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ঊর্ধ্বতন কূটনৈতিক সূত্রগুলো আল আরাবিয়াকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ১০ দিন আগে দোহা হামাসকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলেছে কারণ তারা গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, হামাসকে কাতার যে অনুরোধ জানিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের দাবি বা অনুরোধের কারণে নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তাবগুলো বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর এর (হামাসের) নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশীদার (দেশের) রাজধানীতে আর স্বাগত জানানো উচিত নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে হামাস আরেকটি জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর আমরা এটি কাতারকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি।”

শুক্রবার একদল রিপাবলিকান সেনেটর বাইডেন প্রশাসনকে দোহায় বসবাস করা হামাস কর্মকর্তাদের সম্পদ জব্দ করার জন্য এবং হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খালেদ মেশাল ও খলিল আল হায়াকে প্রত্যর্পণ করার জন্য কাতারকে চাপ দিতে বলেছে। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ হামাস নেতাদের আতিথেয়তা দেওয়াও বন্ধ করতে বলেছে।

ওই সেনেটররা লিখেছেন, “হামাসের পরাজয় আওতার মধ্যে এসে গেছে আর বিদেশে এর নেতাদের নিরাপদে বসবাসের ইতি ঘটানো একে পরাজিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে দেশটি হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল। হামাস গাজা থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদ করার পর গোষ্ঠীটির সঙ্গে যোগাযোগের একটি পথ খোলা রাখার জন্য এর রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিতে দোহাকে অনুরোধ করেছিল ওয়াশিংটন।

জাতীয়

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও জয়ী হয় চীন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন জয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দেশের প্রার্থী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচন হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসস জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

আইসিএসসি হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা, যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।

নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।”

জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দীন নোমান

এ কমিটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি পেশাদার কূটনীতিক মুহিত আগামী ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন, যিনি ২০২২ সালের জুন থেকে ওই দায়িত্বে ছিলেন।

তার জায়গায় যোগ দেবেন নেপালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা সালহউদ্দীন নোমান চৌধুরী।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমানে ইউএনজিএ এর দ্বিতীয় কমিটির (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।