বিনোদন

দেশের কিংবা বিদেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। দেশের অনেক তারকা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত।

তবে রাজনীতিতে শিল্পীদের জড়ানোর বিপক্ষে নগর বাউল’খ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস। আর তাই সবসময় নিজেকে রাজনীতির বাইরে রেখেছেন এই রকস্টার।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেমসের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পী রাজনীতিতে জড়িয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু আপনাকে সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে দেখা গেছে, বিষয়গুলো নিয়ে কখনো কথাও বলতে চাননি। রাজনীতি নিয়ে আপনার জীবনদর্শন কী?

উত্তরে জেমস বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, শিল্পীরা রাজনীতিসচেতন হতে পারেন, কিন্তু তাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি না। আর যদি রাজনীতিই করতে হয়, সব ছেড়ে ফুলটাইম রাজনীতি করা উচিত। ’

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন কি-না জানতে চাইলে জনপ্রিয় এই ব্যান্ড তারকা বলেন, ‘ও আসেই। জীবনে অনেক এসেছে। ’

সবশেষ নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জেমস জানান, দেশে ব্যস্ততা আছে। বেশ কিছু আয়োজন আছে। আর আগামী মাসে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দাম্মাম আর জেদ্দায় যাচ্ছি, ২ ও ৯ মে সেখানে গান শোনাব। এরপর লম্বা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি, ২০২৫ ট্যুর নিয়ে।

জাতীয়

বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে যে শোভাযাত্রা বের হয়, তার নাম বদলেছে। আগে এর নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ এ কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যার ছায়াতলে দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ফুটে উঠবে শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ।

তিনি বলেন, এবারের নববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এক নতুন এবং অগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একই ভূখণ্ডে বসবাসরত সব ভাষা ও সংস্কৃতির অশীজনেরা একসঙ্গে ঐকতান করতে যাচ্ছেন। এবারের নববর্ষ বাংলাদেশি প্রতিটি মানুষের। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

কাজী আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বছরের আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির লক্ষ্যই হচ্ছে মানবিক ও উদার একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ করা। এবারের বৈশাখ হবে সবার। আমাদের ভূখণ্ডে বসবাসরত সব জাতিগোষ্ঠী এবারের বৈশাখ বরণের অংশীদারত্ব অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড় থেকে সমতল, সবাই একসঙ্গে বর্ষবরণ উদযাপন করব। এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ চর্চার দিকে অগ্রসর হতে পারব বলে আশা করছি।

জাতীয়

বরাবরের মতো বর্ষবরণ আয়োজন করবে ছায়ানট। এবারের আয়োজনটি হবে ২ ঘণ্টার। এই সময় মুক্তির গান গাইবেন তারা। শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।

ভোরবেলা ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে হবে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বরণের সূচনা। এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আÍবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান থাকবে পুরো আয়োজনে।

ছায়ানট এবার ৫৮তম বর্ষবরণের এই আয়োজন করছে। ১৯৬৭ সালে নগরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বছর ছাড়া প্রতিটি পহেলা বৈশাখেই সে অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার নিজেদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনকে ছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে ছায়ানট।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ্ ও জয়ন্ত রায়। এ সময় জানানো হয়, পহেলা বৈশাখ নতুন বছরের প্রথম দিন ভোর সোয়া ৬টায় আয়োজন শুরু হবে। ছায়ানটের এবারের আয়োজনের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’

লিখিত বক্তব্যে লাইসা আহমদ লিসা বলেন, বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এ দেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাই না, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসঙ্গে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালোবেসে চলবার মন্ত্র।

তিনি জানান, এবারের অনুষ্ঠানটি ৯টি সম্মেলক, ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে। সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।

রমনা উদ্যান থেকে এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক জানান, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।

ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, এই প্রথম ছায়ানট বর্ষবরণ আয়োজন করছে, যখন সনজীদা খাতুন নেই। তার যে চিন্তা, আমরা যেন ছড়িয়ে দিতে পারি। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারা এবং বর্ষবরণের মর্মবাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হবে সনজীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানানো।

জাতীয়

গাজীপুরে রাকিব মোল্লা নামে এক কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

নিহত রাকিব মোল্লা (৩২) মহানগরের ৩১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে। তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হকের প্রতিবেশী ও ৩১নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এবং সদর মেট্রো থানা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আলমাস মোল্লার ভাতিজা।

রাকিব মোল্লা গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই কমিটির সদস্য সচিব খান মো. জাহিদুল ইসলাম।

নিহতের ভাতিজা রোপণ জানান, তার চাচা রাকিব মোল্লাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মাথায়, ঘারে, কাঁধে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। তাকে অন্তত ২০টি আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য তার মৃত্যু হতে পারে।

রাজনীতি

বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসুন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব বদলে দিতে ভূমিকা রাখুন।

‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার বিশ্বকে বদলে দেওয়ার অভিনব সব ধারণা রয়েছে। এসব ধারণাকে বাস্তবে রুপ দিতে হবে। তাই আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই, যেন আপনারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকেই বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হন।’

আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে চারদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনি যদি কোনো লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চান, তাহলে বাংলাদেশই আপনার সেই জায়গা।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কাজ করে দেখায়, আর একবার কেউ শুরু করলে অন্যরাও তার অনুসরণ করে।

কীভাবে মানুষ ব্যবসার মাধ্যমে সুখী হয়, তার বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘টাকা উপার্জন করে মানুষ নিঃসন্দেহে আনন্দ বা সুখ পায়, কিন্তু অন্যকে সুখী করার মধ্যে অতিরিক্ত আনন্দ বা সুখ নিহিত রয়েছে।’

সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি আপনি বাংলাদেশে ব্যবসা করেন, তাহলে আপনি সুখ এবং অতিরিক্ত আনন্দ দুটিই পাবেন। কোনো খরচ ছাড়াই এই অতিরিক্ত আনন্দ আপনি লাভ করতে পারেন এবং এটি করে আপনি গর্বিত হবেন।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো এই অঞ্চলকেই দেখেন যেখানে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি একসাথে অর্থ উপার্জন এবং মানুষের জীবন পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই অতিরিক্ত সুখ বা আনন্দ উপভোগ করতে পারবে, যদি তারা তাদের প্রভাব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্ব বদলে দেওয়ার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার এবং এর মাধ্যমে নতুন সভ্যতা গঠনের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলছি, আমরা ‘তিন শূন্য’র একটি পৃথিবী তৈরি করতে পারি। এটা সরকার দিয়ে নয়, ব্যবসার মাধ্যমে করা সম্ভব। কারণ এটা সরকারের কাজ নয়, বরং ব্যক্তিমাত্র, মানুষ হিসেবে আমাদের কাজ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মানুষ। আমরাই বিশ্বকে বদলে দিতে পারি।’

ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের হাতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার তুলে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন সভ্যতা হবে এমন একটি সভ্যতা যেখানে কার্বন নির্গমন থাকবে না। ‘আমরা তা করতে পারি। এটি হওয়া উচিত ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে।’

কার্বন নিঃসরণকে আত্মবিধ্বংসী ব্যবস্থা আখ্যা দিয়ে তিনি সম্পদ কেন্দ্রীকরণ না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অর্থ উপার্জন আনন্দের হলেও, সম্পদের কেন্দ্রীকরণ মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। ‘এটি পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলবে।’

তিনি শূন্য বেকারত্বের ধারণার প্রতিও গুরুত্ব দেন এবং বলেন, তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে বিশ্বকে বদলে দিতে সক্ষম।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের নিদারুণ কষ্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তবে ১৯৭৪ সাল থেকে এই স্বল্প সময়ের যাত্রায় আমরা এক অভূতপূর্ব অবস্থানে চলে এসেছি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তিনি বলেন, আপনারা আমাদের এই অগ্রযাত্রায় সামিল হন।

অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারী ক্ষমতায়নের কথাও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরেন।

রাজনীতি

জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্য লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

আজ শুক্রবার তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ এর ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খানের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এই আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে দুই উপদেষ্টা সাম্প্রতিক আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশায় গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি’র অবস্থানের জন্য সংস্থাটির প্রশংসা করেন।

দুই উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার ও সংকটের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও আইসিসি’র মধ্যে সব ধরনের সম্পৃক্ততার দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অটল অবস্থানের প্রশংসা করেন আইসিসি’র প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোম সংবিধি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।

বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে দৃশ্যমান সহযোগিতা অন্বেষণে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান তৌহিদ হোসেন।

উভয় পক্ষই আগামী দিনে বিদ্যমান সম্পৃক্ততার মাত্রা আরো বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

‘বিভক্ত বিশ্বে কূটনীতি পুনরুদ্ধার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ তুরস্কের আনাতোলিয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ শুরু হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ফোরামের আয়োজন করেছে।

বিশ্ব নেতা, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করেছে এডিএফ। এই ফোরামের মাধ্যমে কীভাবে কূটনীতির পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায় এবং একটি বিভক্ত বিশ্বে সম্মিলিত পদক্ষেপের একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়, তা অনুসন্ধান করা হবে।

২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৫০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন সিনিয়র প্রতিনিধি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ ৪ হাজার জনেরও বেশি অতিথি ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন।

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশ নিয়ে বিএনপি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা এক ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায় তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

‘এক ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির দুই দশমিক পাঁচ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো- বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪দ্ধ৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাত দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বাড়ানো।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বাড়ানোর জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল।

পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো- ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

বিনোদন

মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

অর্থনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সময়সাপেক্ষ। এ জন্য প্রয়োজনে পাচারকারীদের সঙ্গে আপসের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।

এস আলম ও বেক্সিমকোসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ দেশ থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং’ বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ‘আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট’ বলে একটা কথা আছে। সব জিনিসে সবসময় মামলায় দীর্ঘসূত্রিতায় যাওয়ার মানে হয় না। বিশ্বের অন্য দেশও আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আপসের মাধ্যমে হলে অনেক সময় পাচার হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনা যায়। তবে সবার আগে আমাদের দেশ থেকে কোন দেশে কী পরিমাণ অর্থ-সম্পদ পাচার হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য আগে সংগ্রহ করতে হবে। যত বেশি সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকবে ততবেশি দর কাষাকষি করার সুযোগ থাকবে।

বড় অর্থপাচারকারীদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গভর্নর বলেন, অর্থপাচারকারীদের খোঁজ নিতে কিছু বেসরকারি ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা সেই সম্পদ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। তারপর তথ্য নিয়ে সে দেশের সরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসব। অর্থ ফেরত আনতে হলে সে দেশের আইনি বিষয়টিও আমাদের মেনে চলতে হবে। তবে ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে এবং ভালোভাবে সহযোগীতাও করছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আহসান বলেন, চট্টগ্রামের একটি বড় গ্রুপ (এস আলম) দেশে থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার মতো পাচার করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপসহ আরও কয়েকটি বড় গ্রুপের হিসাব করলে তার পরিমাণ প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা হবে। তাছাড়া দেশের নন পারফর্মিং প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার বড় অংশই পাচার হয়েছে বলে বাকি টাকা পাচার না হলেও আদায় করা সম্ভব হয়নি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি আদায় না হওয়া এসব ঋণ অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে আদায় করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া এভাবে বিপুল অর্থ পাচার হওয়ার সুযোগ ছিল না। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ধারণা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যদি দুদক বা রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা প্রমাণসহ আমাদের কাছে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা এখন ভালো। আমাদের রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি, রপ্তানি আয় সব কিছুই ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকসহ যেসব বেসরকারি ব্যাংক অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেসব ব্যাংকও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বলা যায়, ব্যাংকগুলো সংকট কাটিয়ে গ্রাহকদের আস্থার জায়গায় ফিরতে পেরেছে।

ড. আহসান এই মনসুর বলেন, মানি লন্ডারিংয়ে বাংলাদেশ একটা বড় ভিকটিম। এই দেশের ব্যাংকিং খাতে কতিপয় পরিবার বা গোষ্ঠী মানি লন্ডারিং করে সম্পদ চুরি করে বাইরে নিয়ে গেছে। আমরা সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’ রোগের উৎপত্তি রোধ করা প্রধান দায়িত্ব। রোগ সারানোর দায়িত্ব হচ্ছে পরে। চুরি হওয়ার পরে বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই। চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনোভাবে অর্থ পাচার না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য তা একেবারেই নতুন। পদ্ধতিগতভাবে এ ধরনের সমস্যা আগে মোকাবেলা করিনি। সেজন্য আমাদের অনেক শিখতে হচ্ছে। এটা তো দেশের আইনে হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তাদের আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করতে হবে।

গভর্নর বলেন, আমাদের রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। রপ্তানি বাড়ছে। বিভিন্ন রকমের গোলযোগ আন্দোলন সত্ত্বেও রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়েনি, বাড়ছে। ডাবল ডিজিট গ্রোথ দেখতে পাচ্ছি। রেমিট্যান্সের প্রবাহ উৎসাহব্যঞ্জক। এর ধারাবাহিকতা থাকবে বলে আশা করছি। সব মিলিয়ে ম্যাক্রো ইকোনমিক এক্সটারনাল সেক্টরে একটা স্বস্তির জায়গায় আমরা চলে এসেছি।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান স্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির যেকোনো পরিকল্পনাকে সৌদি আরব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

শুক্রবার তুরস্কের আনাতোলিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘গাজা যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ’-এর মন্ত্রীপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ সময় অভিযোগ করে বলেন, ‘গাজার বাসিন্দারা ন্যূনতম জীবনধারণের সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত’।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুদ্ধবিরতির সঙ্গে শর্তযুক্ত করা উচিত নয়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত সহায়তা সরবরাহে বাধা দূর করতে একযোগে কাজ করা।

প্রিন্স ফয়সাল এ সময় গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিসর ও কাতার-এর ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে-

গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের যেকোনো রকম জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বিতাড়নের বিরোধিতা করা হয়েছে।

UNRWA  (ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা)-এর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে একত্র করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিও জানানো হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ অনুযায়ী হওয়া উচিত।

দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, যেমন- বসতি সম্প্রসারণ, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং জমি দখলের কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে।