আন্তর্জাতিক
বিনোদন

জুলাই আন্দোলনের সময় দেশের বিনোদন জগতের তারকাদের তৈরি হওয়া বিভাজনের রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও সোহানা সাবা।

দুজনের মধ্যে এক ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।
জুলাই আন্দোলনের সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে সরব ছিলেন বাঁধন। অন্যদিকে সোহানা সাবা ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে।

দুজনের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত গেল বৃহস্পতিবার। বাঁধনের একটি ফেসবুক পোস্টে করা এক নারীর মন্তব্যের স্ক্রিনশট নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেন সোহানা সাবা। তিনি লেখেন, এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন… হয়তো দিদিটিকে ব্লকও করেছেন… ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।

স্ক্রিনশটে বাঁধনকে উদ্দেশ করে লেখা সেই মন্তব্যে বলা হয়, সারা জীবন ড্রামাবাজি করে সতী সাজতে চেয়েছেন… আপনি আপাদমস্তক একজন ভণ্ড। আপনার পুরো জগৎটা ঘোরে আপনাকে ঘিরেই। কী জীবন আপনার! করুণা লাগে আপনাকে দেখে। কেউ যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতেন, তাহলে কলকাতায় গিয়ে ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা গাইতেন না।

এরপর মন্তব্য ঘরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সোহানা সাবা লেখেন- প্রথমে ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু পোস্ট করব না। কিন্তু পরে মনে হল এটা তো পাবলিক পোস্ট, যে কেউ নিতে পারে, শেয়ারও করতে পারে। তাই আমিও করলাম।

সাবার পোস্টের কিছুক্ষণ পরই দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া জানান বাঁধন। নাম উল্লেখ না করলেও তিনি ইঙ্গিত দেন, তারই কিছু সহকর্মী ব্যক্তিগত আক্রমণ চালাচ্ছেন।

বাঁধন লেখেন, আমার কিছু সহকর্মী- যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, মঞ্চে দাঁড়িয়েছি, যাদের বিশ্বাস করতাম, তারা ইন্টারনেটে আমার ওপর নির্মম ও অপমানজনক আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ছোট করা। তারা শুধু আমাকে নয়, আমি যা কিছুতে বিশ্বাস করি, সেগুলোকেও অসম্মান করছে। এই তালিকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও আছেন।

বাঁধনের এই প্রতিক্রিয়ার ভাষা দেখে অনেকে ধারণা করছেন, তা সরাসরি সোহানা সাবাকে উদ্দেশ করেই লেখা। ফলে দুই তারকার এই ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব এখন বিনোদন অঙ্গনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশের সংস্কারগুলো শেষ করুন এবং সনদ ঘোষণা করুন। আর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন।

মানুষকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ আয়েজিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ খবরের কাগজে দেখলাম ১২টি মৌলিক বিষয়ের পরিবর্তনে সবগুলো দল একমত হয়েছে। এজন্য আমি আলী রিয়াজকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের অনেকে খোঁটা দেয়, আমরা নাকি সংস্কার চাই না। কিন্তু, সংস্কারের চিন্তাটাই তো আমাদের। সংস্কারের শুরুটা হয়েছে আমাদের দিয়ে। আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না, আমরা সংস্কারকে স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি আমাদের দেশের মানুষ বোঝেই না। যারা এখনো ইভিএমে ভোট দিতে পারে না, তারা পিআর বুঝবে কীভাবে? দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এটাকে প্রমোট করে। শুধু প্রমোট নয়, তারা পণ করে বসে আছে এটা (পিআর পদ্ধতি) না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, এ দেশের মানুষ যেটাতে অভ্যস্ত, সেই ভোটের ব্যবস্থা করুন। প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা এবং পার্লামেন্টে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। বাইরে থেকে এসে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।

স্মরণ সভায় এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, শফিউল বারী বাবুর সহধর্মিণী বিথীকা বিনতে হোসাঈনসহ আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বিনোদন

চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লকেট গলায় ঝুলিয়ে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী রুচি গুজ্জার। এবার একেবারে ভিন্ন কারণে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।

মুম্বাইয়ের এক সিনেমা হলে প্রকাশ্যে প্রযোজক করণ সিং চৌহান ও অভিনেতা মান সিংয়ের ওপর চড়াও হয়ে জুতাপেটা করেছেন রুচি! সেই ঘটনায় অভিনেত্রীর নামে মানহানির মামলাও হয়েছে।

বলিউড মাধ্যম সূত্রের বরাদে খবর, পরিচালক তথা সিনেমার অন্যতম প্রযোজক মান সিং ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন রুচি গুজ্জারের বিরুদ্ধে।

তার অভিযোগ, সিনেমার নাম খারাপ করতেই প্রিমিয়ারের দিন ইচ্ছে করে ঝামেলা করেছেন রুচি। এ ঘটনায় যাতে ‘সো লং ভ্যালি’র সাফল্য ধামা চাপা পড়ে যায়, সেটাই তার অভিপ্রায় ছিল, বলে অভিযোগ পরিচালক-প্রযোজকের। সেই প্রেক্ষিতেই এবার রুতি গুজ্জারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন মান সিং।

এ প্রসঙ্গে প্রযোজকদের পক্ষে এক বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, রুচি গুজ্জার ‘সো লং ভ্যালি’র সহ প্রযোজক করণ চৌহানকে ২০-৩০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ওই টাকা ফেরত না পাওয়ায় খেপে যান মডেল-অভিনেত্রী। এরপরই নাকি রুচি বাকি শিল্পীদের ওই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তবে তার পরও যখন সিনেমাটি তৈরি হয়, তখন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মুক্তি আটকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাতেও লাভ হয়নি! অভিনেত্রীর আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিনেমা প্রযোজনা নিয়ে তো রুচি গুজ্জারের সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়নি। ব্যক্তিগত স্বার্থেই তিনি ওই টাকা প্রযোজককে দিয়েছিলেন। তাই সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রে তিনি কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এরপরই প্রিমিয়ারের দিন রুচির এমন আচারণ দেখা যায়। যে ভিডিও এখন সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে।

কেন রুচির ক্ষোভ করণসহ ওই সিনেমার প্রযোজকদের বিরুদ্ধে? অভিনেত্রীর অভিযোগ, তিনি প্রযোজকদের প্রায় ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তারা কথা দিয়েছিলেন রুচিকে নিয়ে সোনি টিভিতে একটি শো বানাবেন। কিন্তু সেই টাকা তারা সিনেমাটির নির্মাণে লাগিয়ে দিয়েছেন। এই কারণেই প্রিমিয়ারে হাজির হয়েও তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে দাবি।

জানা গেছে, রুচির সঙ্গে রীতিমতো একটি দল সিনেমা হলে হাজির হয়। অনেকের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে তর্কাতর্কির মাঝেই হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে প্রযোজক করণকে জুতা দিয়ে মারতে থাকেন রুচি।

রাজনীতি

দেশের বিভিন্ন খাতে নিগূঢ় পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের একেবারে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

প্রলেপ দেওয়া পরির্বতন না, একদম গভীর থেকে পরিবর্তন করতে হবে। নইলে এক স্বৈরাচার গিয়ে আরেক স্বৈরাচার আসবে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। ‘জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান: জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে সুপারিশ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. ইউনূস বলেন, প্রতিবার জুলাইয়ের এই ছবি-ভিডিও দেখি, এখন জুলাই মাসের কারণে বেশি দেখছি। যখনই দেখি, নিথর হয়ে যাই। জুলাই শহীদদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যখন দেখা হয়, তখন ভাবি, তারা কি আমাদের মত ছবি দেখার অপেক্ষা করেন? তারা তো সারাক্ষণই নিথর হয়ে আছেন। কী ছিল, কী থেকে কী হয়ে গেল? কান্ট্রি অব হররে পরিণত হয়েছিল। মানুষ কীভাবে এমন নির্মম হতে পারে, মাথায় আসে না।

পতিত ফ্যাসিবাদের সময়ে গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আয়নাঘর’ যদি সবাইকে দেখাতে পারতাম, তাহলে জাতি বুঝতে পারতো যে এই ১৬ বছর কী হয়েছে। মানুষদের নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। ইলেকট্রিক চেয়ার রেখেছে। সেগুলোতে সবাইকে দেখানোর সুযোগ হয়নি। সেই সবকিছু মিলে আজকের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা, যে বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, মুখের একতা না, বললাম আর ভুলে গেলাম, তেমন না, একেবারে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। প্রলেপ দেওয়া পরির্বতন না, একদম গভীর থেকে পরিবর্তন করতে হবে। নইলে এক স্বৈরাচার গিয়ে আরেক স্বৈরাচার আসবে। যতই আইন করি না কেন, আসবেই।

‘আমাদের জাতির ভেতরে এমন কিছু রয়ে গেছে যে, আমরা যতকিছুই করি, আগের বীজ রয়ে গেছে। এটা কয়েকটা কাগজের সংস্কার না, মনের গভীরের সংস্কার। ’

ড. ইউনূস বলেন, জুলাই আমাদের পুনর্জন্মের মাস, শুধু স্বৈরাচার বিদায়ের মাস না। আমাদের কাছে এখনো সুযোগ আছে। জুলাইয়ের শিক্ষা এখনো তাজা আছে। আবার আগের পথ বন্ধ করে দেওয়া, আগের পথে আর কখনো যাবো না, সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

জনগণের প্রতিনিধিত্বসম্পন্ন সরকার দরকার

অনুষ্ঠানের অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৫-১৬ বছর ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, মানুষের অধিকার বিলীন এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আমরা একটা ভয়ংকর সময় পার হয়ে এসেছি। সেই সময়টা আমাদের জন্য ভয়ংকর সময় ছিল। আমাদের প্রায় ৬০ লাখ কর্মীর নামে ভুয়া মামলা দেওয়া হয়েছিল এবং সেই মামলা কিন্তু এখনও তুলে নেওয়া হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এক বছর সময় অনেক বড় না। এই এক বছরে তারা অনেকগুলো কাজ করেছেন, এটা সত্য। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু মত পার্থক্য তো থাকবেই। কিন্তু এটাকে অনেক বড় করে দেখিয়ে, জাতিকে বিভক্ত করা ঠিক হবে না। অনেকগুলো বিষয়ে তো আমরা একমত হয়েছি। বাকি সংস্কার প্রক্রিয়া চলতে পারে। জনগণের প্রতিনিধিত্বসম্পন্ন সরকার, এটা দরকার। ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করা আর ম্যান্ডেট ছাড়া কাজের মধ্যে পার্থক্য আছে।

‘সংস্কারের নির্বাচন হলে ডিজাস্টার হবে’

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর জাতির ওপরে স্টিম রোলার চলেছে। শেষ পরিণতি ৫ আগস্ট। এই সময়ে রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউ বাদ পড়েননি।

তিনি বলেন, কাউকে গ্রেপ্তার করলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তুলতে হবে। তা না করে সেই সময়ে ‘আয়নাঘরে’ রাখা হয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা আংশিক মাত্র।

জুলাই হত্যার বিচার এখনো দৃশ্যমান হয়নি উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আরও কিছু করার থাকলে করতে হবে। আমরা সে সময়ের শহীদ স্মরণিকা করতে কাজ করছি। তবে এটা সরকারি উদ্যোগে হতে হবে। ইতিহাস যেন হারিয়ে না যায়। ইতিহাস ধরে রাখতে হবে। মুখে নয়, বাস্তবে করতে হবে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্যারালাল হতে হবে। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে, ডিজাস্টার তৈরি হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে বিচার করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, গুম, খুন ও অত্যাচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমলে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। তখন মানবতার বিরুদ্ধে সব কিছুই হয়েছে। এখন রাষ্ট্রকে অতীত কাঠামো থেকে বেরিয়ে নতুন কাঠামোয় নিয়ে আসতে হবে। জাতিসংঘের সুপারিশে বিচার বিভাগ স্বাধীন করার বিষয়ে বলা হয়েছে। আমরা সুপারিশ সমর্থন করি। যারা জুলাই হত্যার নির্দেশ দিলেন, যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচার প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে পারিনি। যারা বিদেশে আছেন, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।

‘এমন যেন আর না হয়, সেজন্য পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’

অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ নাফিসের বাবা গোলাম রহমান বলেন, বলার ভাষা নেই। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা দেশের পরিবর্তন চাই, বিচার চাই। তবে আমার ছেলে হত্যায় যিনি (পুলিশ) জড়িত, তিনি কক্সবাজারে কাজে নিয়োজিত। আমি তার বিচার চাই।

শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরীনা আফরোজ বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যেন এমন আর না হয়? আমি সৌভাগ্যবতী ছিলাম যে আমার ভাইয়ের মরদেহ স্পর্শ করতে পেরেছিলাম এবং তাকে সম্মানের সঙ্গে দাফন করেছিলাম। কিন্তু শত শত শহীদ আছেন যারা অজ্ঞাত হিসেবে দাফন হয়েছেন। তাদের পরিবার তাদের শেষবারের মতো দেখতে পারেনি।

সাবরীনা আফরোজ প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের জন্য এই এক বছরে কী করেছে অন্তর্বর্তী সরকার? আহতদের চিকিৎসায় কী করেছে? আহত এবং শহীদদের পরিবারের জন্য কী করেছে সরকার, যেন আগামী ১০ বছর তাদের কোনো সমস্যা না হয়?

রাজনীতি

শেখ হাসিনা ও তার দোসররা যে অপরাধ বাংলাদেশে করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও মনে হয় এত জঘন্য অপরাধ করে নাই- এমন মন্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার বিষয়ে এক আলোচনা ও তথ্য প্রদর্শনীতে এ কথা বলেছিলেন তিনি। তার ওই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।

এরপর সন্ধ্যা সাতটা একত্রিশ মিনিটে ফেসবুকের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে আসিফ নজরুল এক পোস্টে লিখেছেন, শেখ হাসিনার নৃশংসতার সঙ্গে পাকিস্তানী বাহিনীর নৃশংসতার তুলনা করা ঠিক হয়নি।

তিনি লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার নৃশংসতা অবিশ্বাস্য। লাশ ও আহত মানুষকে আগুনে পোড়ানো, নির্বিচারে নারী-কিশোর-শিশু হত্যা, হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করে বেসামরিক মানুষ মারা, মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর তরুণকে গুলি করে মারা, হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা করার নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা।’

যুদ্ধের ময়দানেও এসব কর্মকাণ্ডকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় বলে উল্লেখ করেছেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘কিন্তু তাই বলে তার নৃশংসতার সঙ্গে একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার তুলনা করা ঠিক হয়নি আমার। দুটোই জঘন্যতম অপরাধ। আমার কথায় যারা ভেবেছেন আমি একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞকে ছোট করে দেখেছি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।

সেই থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৩৪ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।

গাজার হামাসশাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৪৫ হাজার ৮৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জন নিহত ও ৬৩৭ জন আহত হওয়ার পর নতুন এই তথ্য জানানো হলো। খবর বিবিসির।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় এখনও অনেক হতাহত আটকে আছেন, যাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা আজ (মঙ্গলবার) সকালে সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বাস্তব হয়ে উঠছে।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ অঞ্চলে খাদ্য মানদণ্ডে এবং গাজা সিটিতে তীব্র অপুষ্টির মানদণ্ডে এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষের মাত্রা অতিক্রম করেছে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা বলেন, আমরা বারবার শুনি যে ত্রাণ ঢুকছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই চোখে পড়ে না।

কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, সশস্ত্র দলগুলো ত্রাণবাহী ট্রাক লুট করে এবং উচ্চ দামে কালোবাজারে বিক্রি করছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা যে আমরা ত্রাণ আটকে দিচ্ছি।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের ব্যস্ত এলাকা মিডটাউনে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ চারজন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় পার্ক অ্যাভিনিউর ৪৪ তলা একটি অফিস ভবনে এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। হামলাকারী শেষে নিজেও আত্মহত্যা করেন।

নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এ ঘটনাকে ‘ঘৃন্য’ এবং ‘জঘন্য কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ভবনটিতে বন্দুকধারী হামলা চালানোর পর সেটিতে লকডাউন আরোপ করা হয়। ওই ঘটনার সময় ব্যস্ত নিউইয়র্কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রক্তক্ষয়ী এ ঘটনা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে। ওই সময় একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়ি নিউইয়র্কের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক পার্ক অ্যাভিনিউতে থামে।

বন্দুকধারী এক ব্যক্তি ওই গাড়ি থেকে একটি এম-৪ রাইফেল নিয়ে নামেন। এরপর তিনি ‘৩৪৫ পার্ক অ্যাভ’ নামে ৪৪ তলা ভবনটিতে প্রবেশ করেন। ভবনটির লবিতে ঢুকেই ডান দিকে ঘুরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেন।

এরপর বন্দুকধারী এক নারীকে গুলি করেন। তিনি একটি পিলারের পেছনে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। নারীকে গুলি করে লবি দিয়ে ‘গুলি করতে করতে’ হেঁটে যেতে থাকেন হামলাকারী। এরপর সিকিউরিটি ডেস্কে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করেন হামলাকারী। তখন তিনি লিফটের বোতামে চাপ দেন। একই সময় লবিতে আরেক ব্যক্তিকে গুলি করেন বন্দুকধারী।

হামলাকারী লিফট থেকে এক নারীকে নেমে যেতে দেন। তার কোনো ক্ষতি করেননি। এরপর লিফটে করে ৩৩ তলায় যান হত্যাকারী। সেখানে গিয়ে আরেক নারীকে গুলি করে তারপর নিজের বুকে গুলি চালান তিনি।

পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস. টিশ জানিয়েছেন, ৩৩ তলায় রুডিন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অফিস অবস্থিত। যেটি ভবনটি পরিচালনা করত।

বন্দুকধারী কেন ওই ভবনে হত্যাযজ্ঞ চালালেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। তিনি বাংলাদেশি ইমিগ্রেন্ট ছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছিলেন তিনি। হামলার দিন তার ডিউটি ছিল ব্রঙ্কসের ৪৭ প্রিসেঙ্কটে। কিন্তু হামলার সময় তিনি ৩৪৫ পার্ক অ্যাভ ভবনে কাজ করছিলেন।

দিদারুলের দুই সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী গর্ভবতী। তিনি তৃতীয় সন্তানের বাবা হতেন।

নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার দিদারুল সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা তাকে যে কাজ করতে বলেছিলাম তিনি সেই কাজই করছিলেন। তিনি নিজেকে ঝুঁকির পথে রাখেন। তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করা হয়েছে। তিনি হিরো হিসেবে বেঁচে ছিলেন, মারাও গেছেন হিরো হিসেবে।’

ওই বন্দুকধারীর পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তার নাম শেন তামুরা। ২৭ বছর বয়সী এই হত্যাকারী লাস ভেগাসের বাসিন্দা। নেভাডা রাজ্যে তার অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়া তার মানসিক সমস্যার রেকর্ডও রয়েছে। তবে মানসিক সমস্যার কারণে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়। ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি।

খেলাধুলা

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের খেলা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড ও ভারত সর্বোচ্চ চারটি করে ম্যাচ খেলেছে।

তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। দুটি করে ম্যাচ খেলেছে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ।

২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের নতুন চক্রে এখনও টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার।

নতুন চক্রে তিন টেস্টে খেলে ৩৬ পয়েন্টে নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। চার টেস্টে অংশ নিয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পজিশনে আছে ইংল্যান্ড।

দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ১৬ পয়েন্ট করে তৃতীয় ও চতুর্থ পজিশনে আছে শ্রীলংকা ও ভারত।

দুই টেস্টে অংশ নিয়ে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম পজিশনে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন টেস্টে অংশ নিয়ে কোনো পয়েন্ট পায়নি। ক্যারিবীয়রা আছে টেবিলের ষষ্ঠ পজিশনে।

টেবিলের তলানীতে পড়ে আছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই তিন দল এখনও নতুন চক্রে কোনো টেস্টে অংশ নেয়নি।

জাতীয়

জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন নীলা ইস্রাফিল। সোমবারই (২৮ জুলাই) এ ঘোষণা দেন তিনি। এরপর দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নীলা ইস্রাফিল এনসিপির কেউ নয়। তবে সে নাগরিক কমিটিতে ছিল।

আখতার হোসেনের এমন মন্তব্যের পর এনসিপির কাছে নীলা ইস্রাফিলের প্রশ্ন, আপনারা এত দিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সোমবার রাতে এক পোস্টে এ প্রশ্ন করেন নীলা।

তিনি বলেন, আজ যখন আপনাদের নেতার অপরাধ, অনাচার এবং লিপ্সার বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলেছি, তখন আমি আপনাদের কেউ না? এত দিন আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার ত্যাগ আপনাদের পক্ষে ছিল তখন তো কোনো সমস্যা ছিল না! আপনারা কি দল করেন, নাকি কেবল ক্ষমতা আর নারীকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলার একটা কারখানা চালান?

নীলা ইস্রাফিল আরও বলেন, আপনাদের অপরাধ ঢাকার জন্য আজ আমাকেই অস্বীকার করছেন? সত্য বললেই কি নারীকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়? এটাই কি আপনাদের নৈতিকতা? এই প্রশ্ন আজ শুধু আমার না এই প্রশ্ন প্রতিটি নারীর, যাকে আপনারা দলীয় পরিচয়ে ব্যবহার করেছেন, আর পরে ‘অপরিচিত’ বানিয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি আজ আমাকে অস্বীকার করছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আপনারা কি আমাকে সত্যিই কখনো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, নাকি কেবল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেন?

তিনি বলেন, আমার কণ্ঠ যখন আপনাদের পক্ষে ছিল, তখন তো ‘আমাদের নেত্রী’, ‘আমাদের শক্তি’ বলে গলা ফাটাতেন। এখন যখন আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি, তখন ‘সে তো আমাদের কেউ না’? এটা কি কোনো রাজনৈতিক দলের মূল্যবোধ? নাকি এটি প্রমাণ করে, দল নয়, আপনারা ব্যক্তি রক্ষায় ব্যস্ত? জনগণ দেখছে, বুঝছে এবং প্রশ্ন করছে এই দল কি আদৌ জনগণের ন্যায় ও নৈতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে?

নীলা বলেন, আমি অবাক হই না যে আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি আমাকে অস্বীকার করছে। কারণ সত্য বললেই অনেক সময় আপনজনই মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আমি একটিই প্রশ্ন করতে চাই যদি আমি আপনাদের কেউ না হয়ে থাকি, তাহলে আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার মাঠের উপস্থিতি এতদিন আপনারা কেন ব্যবহার করেছেন? একজন নারী যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখনই তাকে দলহীন, আশ্রয়হীন প্রমাণ করতে পারাটাই কি রাজনীতির নতুন রীতি? আমি কারো পরিচয়ে নই, আমি আমার ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন মানুষ। আমাকে অস্বীকার করে সত্যকে অস্বীকার করা যাবে না।