জাতীয়

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও জয়ী হয় চীন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন জয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দেশের প্রার্থী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচন হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসস জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

আইসিএসসি হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা, যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।

নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।”

জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দীন নোমান

এ কমিটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি পেশাদার কূটনীতিক মুহিত আগামী ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন, যিনি ২০২২ সালের জুন থেকে ওই দায়িত্বে ছিলেন।

তার জায়গায় যোগ দেবেন নেপালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা সালহউদ্দীন নোমান চৌধুরী।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমানে ইউএনজিএ এর দ্বিতীয় কমিটির (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্থনীতি

“তারা আমাদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। আশা করি, এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটা সিদ্ধান্ত নেবে,” বলছেন নগর সংস্থার প্রধান নির্বাহী।

চার ব্যাংকে রাখা ২৯ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হলেও ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে থাকায় মুনাফাসহ সেই অর্থ তুলতে পারছে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ পরিস্থিতিতে নগর সংস্থার তরফে গভর্নরের কাছে চিঠি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

ওই চার ব্যাংক হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম বলেন, “ডিপোজিট ম্যাচিউরড হওয়ার পর সেটার জন্য এসব ব্যাংকে আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে।

“আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি যে- এসব ব্যাংক আমাদের টাকা দিতে পারছে না। তবে এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আশা করি, এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটা সিদ্ধান্ত নেবে।”

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

চিঠিতে ডিএনসিসি লিখেছে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পান্থপথ মহিলা শাখা ও উত্তরা শাখায় ৪ কোটি টাকার এফডিআর ছিল।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কুড়িল বিশ্ব রোড শাখায় এফডিআর ছিল ১০ কোটি টাকার। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখায় এর পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখায় ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিল ডিএনসিসি।

সংস্থাটি বলছে, স্থায়ী আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় মুনাফাসহ টাকা উত্তোলনের জন্য জুলাইয়ের শুরুতে আবেদন করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেই অর্থ পাওয়া যায়নি।

মুনাফাসহ সর্বসাকুল্যে পাওনার পরিমাণ কত তা ডিএনসিসির সিইও মীর খায়রুল আলম জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ব্যবস্থাপক জাফরিন খন্দকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোও ফোন কলে সাড়া দেয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এসব ব্যাংকে আমানতের বিপরীতে উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। সে কারণে অন্য ব্যাংকে আমানত না রেখে এসব ব্যাংকে আগ্রহী ছিল অনেকেই।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে শেখ হাসিনার আমলে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসব দুর্বল ব্যাংককে সহায়তার প্রশ্নে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ না দিয়ে আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহযোগিতা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এরপর তারা সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে; এখন পর্যন্ত ৫টি সবল ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে গাজায় ‘সামগ্রিক শান্তি’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্প কাজ করার জন্য প্রস্তুত বলে আব্বাসকে জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প আব্বাসকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে কাজ করবেন। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট আব্বাস এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি প্রস্তুত।
জবাবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট। অভিনন্দনবার্তায় তিনি বলেছেন, গাজা এবং আল আকসা অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে শান্তি স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কাজ করতে আগ্রহী।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরলে গাজায় ইসরাইল-হামাস এবং লেবাননে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ বন্ধ করবেন বলে জোর দাবি করেছিলেন। কিন্তু কীভাবে এ যুদ্ধ বন্ধ করবেন, সে বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আরব নিউজ

তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র হিসেবেও দাবি করেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বাদবাকি ‘কাজ শেষ করবেন’।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে রাতেই জিরো পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ছাত্র-জনতা। রোববার (১০ নভেম্বর) গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ জন্য বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে কর্মসূচি রুখে দিতে রাত থেকেই জিরো পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয়। যাতে লেখা, ‘১০ নভেম্বর আসুন জিরো পয়েন্টে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’। পরে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে অপর এক পোস্টে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে লেখা হয়, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, গণতন্ত্র ও সুবিচার প্রতিষ্ঠায় দলে দলে ঢাকায় আসুন।’ পোস্টে বিকাল ৩টায় কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে করা পোস্টে রোববার গণজমায়েতের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত’।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির ভেন্যুও জিরো পয়েন্ট। সেখানে দুপুর ১২টাতেই ছাত্র-জনতা জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

তাদের এই কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই গুলিস্তানে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। তাদের কারো কারো হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সেখানে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তারা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে জিরো পয়েন্টে এসেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখনও দলটি সফলভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। এর আগে ১৫ আগস্ট, জেল হত্যা দিবসের মতো দিনগুলো নেতাকর্মীদের পালনের আহ্বান জানালেও তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি।

বিনোদন

দেশের বরণ্যে অভিনেতা আফজাল হোসেন। নির্মাণ আর অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন তিনি।

প্রায় সময় তার লেখায় উঠে আসে নানা ইস্যু। আবার কখনও তিনি মনের কথাগুলো তুলে ধরেন ভক্ত-দর্শকদের কাছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি লেখলেন, বাঙালির স্বভাব ও আচরণ নিয়ে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে আফজাল হোসেন লেখেন, আজ-কালকার মানুষেরা নিজেদের বিচারে নিজেরাই ঠিক করে নেয়, কারা ভালো আর মন্দ কারা। শুধুমাত্র নিজের, নিজ গোষ্ঠী ও নিজের স্বার্থের মানুষদের ভালো মনে করে, নিজেদের ভালোই মন দিয়ে চায়। যত দোষ নন্দ ঘোষের মত, অন্যদেরকে খুবই খারাপ ভাবে। ভাবে, তাদের দোষেই দেশ-সমাজ-মানুষ সবই যাচ্ছে রসাতলে।

তিনি লেখেন, অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা জাতি চোখ থাকিতে অন্ধের মতো। তারা যেটা দেখতে চায় সেটা দেখে, যা দেখতে চায় না- দেখে না। তারা বুঝেও নিজ নিজ সুবিধামতো। খুশি হওয়া উচিত হবে না মনে করে খুশি হওয়ার মতো বিষয়েও মুখ বেজার করে থাকে। স্বার্থপর চিন্তা, চরিত্র কারো ভালো ডেকে আনে না।

আফজাল হোসেন আরও লেখেন, পিছন ফিরে তাকালে নিজেদের স্বভাবের মন্দ দিকটা স্পষ্ট দেখা যায়। দেশে বিশেষ হয়ে উঠবার একঘেয়ে ফর্মুলা হচ্ছে- আমি ভালো, তুমি খারাপ। দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যারা যারাই শাসনক্ষমতায় এসেছে- টিকিয়ে রেখেছে ওই একটাই ভাব, বিশ্বাস, মন্ত্র- আমি ভালো তুমি খারাপ।

অন্যের প্রতি ঘৃণার করে মুক্তি মেলে না সেকথা উল্লেখ করে আফজাল হোসেন লেখেন, একটা জাতি একজীবনে দেখে যেতে পারল না, আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞা নিয়ে কেউ মানুষের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছে। কালে কালে দেখতে হয়েছে- আমার আপন আর অন্যের পর হও- তাতেই মানুষ তোমার মিলবে মুক্তি। পর হয়ে শত্রু বনে, অন্যদের প্রতি ঘৃণার পাহাড় তৈরি করে মুক্তি মেলে না। শত্রু শত্রু খেলতে খেলতে এখন কে, কাকে বন্ধু বলে ভাবতে পারে মানুষ? কে, কাকে বিশ্বাস করে? দিনভর যদি দেখতে হয় কারো প্রতি কারো শ্রদ্ধা নেই, ভক্তির প্রয়োজন নেই, পরস্পরকে অসম্মান অমর্যাদা করে আত্মসুখ মিলছে- এসবের কোনোটাই কোনো মানুষের অর্জন নয়।

সবশেষে এই অভিনেতা লেখেন, আমরা দেশের, দল বা গোষ্ঠীর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করি কিন্তু মানুষ পরিচয়ের গৌরব কিসে, কিভাবে তা অর্জিত হতে পারে- তা নিয়ে ভাবি না। আমরা জিততে চাই গায়ের জোরে, প্রতিহিংসার তীব্রতা দিয়ে। জিতি। আনন্দ উল্লাস করি কিন্তু জানা হয় না মানুষ থাকছি না কেউ, রোজ হেরে হেরে ভূত হয়ে যাচ্ছি।

রাজনীতি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।

আপিল বিভাগের রোববারের (১০ নভেম্বর) কার্যতালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আবেদন দুটি ৫ ও ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে দুটি লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।

সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন পেপারবুক তৈরি হলে আপিল শুনানি হবে।

যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

খেলাধুলা

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজের ফয়সালা শেষ ম্যাচে নিয়ে গেল বাংলাদেশ।

একই উইকেটে ম্যাচ। ম্যাচের চিত্রও প্রায় একইরকম। শুধু বদলে গেল দুই দলের অবস্থান। শারজাহতে দিন আর রাতের পার্থক্য প্রথম ম্যাচে টের পেয়েছিল বাংলাদেশ, এবার সেই তেতো অভিজ্ঞতা হলো আফগানিস্তানের। সিরিজেও তাই ফিরে এলো সমতা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ।

১১৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা নাজমুল হাসান শান্ত। দলের জয়ের ভিত অধিনায়কের হাতেই গড়া। তবে একাদশে যে দুটি পরিবর্তন এ দিন আনে বাংলাদেশ, মহামূল্য ভূমিকা রাখেন সেই দুজনও।

এক বছর পর বাংলাদেশের জার্সিতে নেমে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পাশাপাশি তিন উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। ম্যাচ-সেরা হতে পারতেন তিনিও। ওয়ানডে অভিষেকে তিন ছক্কায় ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন জাকের আলি। তার ওই শেষের ঝড়েই বাংলাদেশ ৫০ ওভারে করতে পারে ২৫২ রান।

শারজাহতে পরে ব্যাট করে এই রান তাড়া করা ভীষণ কঠিন। আফগানিস্তানও তা পারেনি। ৩৯ বল বাকি থাকতে তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৮৪ রানে।

প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে ভয়াবহ ধসে ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। এবার আফগানিস্তানের রানও ছিল এক পর্যায়ে ২ উইকেট ১১৮। তার পরই তাদের উল্টো যাত্রার শুরু। বাংলাদেশের মতো ২৩ রানের মধ্যে ৮ উইকেট তারা হারায়নি। তবে এক রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে পথচ্যুত হয় রান তাড়া। পরে ২১ রানের মধ্যে পতন হয় শেষ পাঁচ উইকেটের।

প্রথম ম্যাচে ছয় উইকেট শিকার আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার এ দিন আগে বোলিং করেও বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন (১০-০-৩৫-২)। তবে ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায় হয়তো ম্যাচ শুরুর আধঘণ্টা আগেই। টস ভাগ্যকে যে এবার পাশে পায় বাংলাদেশ!

আগের ম্যাচের ব্যাটিং ধসকে পেছনে ফেলার বিশ্বাস দলকে এনে দেন তানজিদ হাসান। ফাজালহাক ফারুকির দুই ওভারে তিন বাউন্ডারির পর গাজানফারের ফুল টসকে ছক্কায় উড়িয়ে তিনি। পরের বলেই পুনরাবৃত্তির চেষ্টায় শেষ হয় তার ইনিংস (১৭ বলে ২২)।

শান্ত ক্রিজে গিয়ে সেই গতি ধরে রাখার চেষ্টা করেন। সৌম্য সরকারের শুরুটা ছিল সাবধানী। ৮ ওভার শেষে তার রান ছিল ১৭ বলে ৬। পরে মোহাম্মদ নাবির ওভারে চার ও চোখধাঁধানো এক ছক্কায় তিনিও ছন্দের ফেরার ইঙ্গিত দেন। পরে আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের শর্ট পিচ বল আছড়ে ফেলেন তিনি স্টেডিয়ামের বাইরে।

দুজনের এই জুটি থামে ৭১ রানে। সৌম্যকে বিদায় করে দেন রাশিদ খান। তবে ৩৫ রানের ইনিংসটি লম্বা হতো পারত আরও, যদি তিনি রিভিউ নিতেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রাশিদ খানের বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।

সৌম্যর বিদায়ের পর অনেকটাই খোলসে ঢুকে যান শান্ত। উইকেট ধরে রাখতে সাবধানী ব্যাটিংয়ের পথ বেছে নেন তিনি।

মেহেদী হাসান মিরাজও ঝুঁকি না নিয়ে এক-দুই রান করে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেন। তাতে আরেকটি অর্ধশত রানের জুটি গড়ে ওঠে।

রাশিদের দুর্দান্ত এক গুগলিতে মিরাজ বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।

শান্ত প্রথম ৩৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় করেন ৩০ রান। সেখান থেকে পঞ্চাশে পা রাখেন ৭৫ বলে।

কিন্তু একটি মিনি-ধসে এলোমেলো হয়ে যায় গোছানো ইনিংস। ১০ রানের মধ্যে পড়ে যায় তিন উইকেট। তিনটিই নানগেলিয়া খারোটেকে ব্যাটসম্যানদের উপহার।

স্লগ সুইপে বিদায় নেন হৃদয়। ৪০ ওভার শেষ হতেই হুট করে ধৈর্য হারিয়ে ছক্কার চেষ্টায় সীমানা ধরা পড়েন শান্ত।

দুই বল পরই আবার ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট হারান মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ চার ওয়ানডেতে ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটারের রান ০, ১, ২, ৩!

বাংলাদেশের তখন ২২০-২৩০ রানে। কিন্তু জাকের-নাসুমের হাত ধরে দল পেয়ে গেল আরও বেশি কিছু।

৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যে জুটির ভূমিকা বিশাল।

দুই ছক্কায় ২৫ করে নাসুম আউট হন। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কায় দলের রান আড়াইশ পার করান জাকের।

শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪৭ রান।

মোমেন্টাম, পুঁজি, পরিস্থিতি, সবই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। প্রথম উইকেটও দ্রুতই ধরা দেয়। আগের ম্যাচের মতোই রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে দ্রুত ফেরান তাসকিন আহমেদ।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ আটাল ও রেহমাত শাহ গড়েন ৫২ রানের জুটি।

নাসুম বল হাতে নিয়েই ভাঙেন এই জুটি। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে উইকেটটি অবশ্য দাবি করতে পারেন মিরাজও!

রেহমাত ও হাশমাতউল্লাহ শাহিদি আরেকটি জুটি গড়ে তুলেছিলেন। তবে এই জুটির অর্ধশত হওয়ার আগেই ফেরেন শাহিদি। ওমারজাইকে প্রথম বলেই বোল্ড করে দেন নাসুম। ৫২ করে রেহমাত রান আউট গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে কেই প্রান্তে চলে গিয়ে।

ম্যাচের ফল আসলে অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায় সেখানেই। এরপর নাইব একটু পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন বটে। তবে ২৫ রানেই থামে তার সেই চেষ্টা। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা নাবিকে দারুণ এক টার্নিং বলে বোল্ড করে দেন মিরাজ। ম্যাচ শেষ হতেও এরপর আর বেশি সময় লাগেনি।

ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে অনেকটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন শান্ত। অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটান সতীর্থরা।

শারজাহতে সাত ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের প্রথম জয় এটি। দ্বিতীয় জয়টি পেয়ে সিরিজ জয়ের আশায় তারা মাঠে নামবেন সোমবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (তানজিদ ২২, সৌম্য ৩৫, শান্ত ৭৬, মিরাজ ২২, হৃদয় ১১, মাহমুদউল্লাহ ৩, জাকের ৩৭*, নাসুম ২৫, তাসকিন ২*; ফারুকি ৭-০-৬৯-০, গাজানফার ১০-০-৩৫-২, নাবি ১০-০-৪৯-০, নাইব ২-০-১০-০, ওমারজাই ৩-০-২৩-০, রাশিদ ১০-০-৩২-২, খারোটে ৮-০-২৮-৩)।

আফগানিস্তান: ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ (গুরবাজ ২, আটাল ৩৯, রেহমাত ৫২, শাহিদি ১৭, ওমারজাই ০, নাইব ২৬, নাবি ১৭, রাশিদ ১৪, খারোটে ৪, গাজানফার ; শরিফুল ৮-০-৪৫-০, তাসকিন ৬-১-২৯-১, মিরাজ ১০-১-৩৭-৩, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৭-২, নাসুম ৮.৩-১-২৮-৩, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-৭-০)।

ফল: বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজের দুটি শেষে ১-১ সমতা।

ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে পরোপকার ও সামাজিক কাজের দিকে আকৃষ্ট হবেন। ভালো কাজে সময় দিয়ে জীবনের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারবেন। খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে প্রত্যয় বাড়বে আর উন্নতি নিশ্চিত। প্রাণোচ্ছল হাসিপূর্ণ একটি সময়, যখন বেশিরভাগ জিনিসই আপনার ইচ্ছানুসারে এগোবে। সপ্তাহের শেষদিকে অতীতের বিনিয়োগ থেকে উপার্জন বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে পেশা সংক্রান্ত সেইসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করার সময়, যা আপনি বেশি কিছু সময় ধরে ভাছিলেন। আশীর্বাদ ও সৌভাগ্য পথে আসায় এবং অতীতের পরিশ্রমগুলো ফল আনায় ইচ্ছগুলো পূর্ণ হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কাউকে প্রভাবিত করার জন্য বেশি খরচ করবেন না। খরচ বৃদ্ধি মনকে ভাবিত করে তুলবে। সপ্তাহের শেষদিকে কামদেব জীবনে প্রেমের ঝরনা বইয়ে দেবে। লক্ষ্যের প্রতি নীরবে কাজ করে যান। আর সাফল্যে পৌঁছানোর আগে উদ্দেশ্যগুলো প্রকাশ করবেন না।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনাময় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। সফর ও ভ্রমণ আনন্দ আনবে। উপলব্ধি করতে পারবেন যে, ভালো করার পেছনে পরিবারের সহযোগিতা রয়েছে। সপ্তাহের মাঝদিকে ভালোবাসার উচ্ছাসে স্বপ্ন ও বাস্তবতা মিশে যাবে। মানসিক শান্তির জন্য কিছু দান ও দাতব্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। সপ্তাহের শেষদিকে আকস্মিক অপ্রত্যাশিত খরচ আর্থিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে। মিথ্যা অভিযোগ বা বিশ্বাসঘাতকতার বিরূদ্ধে সাবধান।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। একটি আনন্দ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা শক্তি ও আবেগকে নতুন করে তুলবে। সপ্তাহের মাঝদিকে মানুষ আপনার প্রচেষ্টার জন্য কর্মক্ষেত্রে আপনাকে চিনতে পারবে। যদি কর্মক্ষেত্র থেকে মোবাইল ফোন সরিয়ে না রাখেন তবে খুব ভুল করবেন। সপ্তাহের শেষের দিকে আপনার শিশু সুলভ স্বভাব জেগে উঠবে। একটি কৌতুকপূর্ণ মেজাজের মধ্যে থাকবেন। প্রেমের জীবন গতিশীল হবে। সঙ্গী বিচলিত হতে পারে যদি তার প্রতি মনোযোগ না দেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে সঙ্গী প্রথম দিকের মতো প্রেম ও রোমান্সের ‘রিওয়াইন্ড বাটন’ টিপবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো সময়, কারণ তারা আকস্মিক অপ্রত্যাশিত লাভ দেখতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে রক্তচাপের রোগীরা ভিড় বাসে ওঠানামা বা রাস্তায় চলাচলের সময় সতর্কত অবলম্বন করুন। নয়তো কোনো বিপদ বা দর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে দূরদেশে আমদানী রপ্তানি পেশাদারী যোগাযোগ বাড়ানোর পক্ষে উৎকৃষ্ট সময়। কর্মক্ষেত্রে সব কিছুতে ওপরের দিকে থাকতে পারেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে যদি আচমকা সিদ্ধান্তে উপনীত হন আর অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন, তবে খারাপ সময় অবশ্যই। বিয়ের পর প্রেম কঠিন শোনায়, তবে এটা আপনার সঙ্গে ঘটতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য মুনাফার হার বৃদ্ধি পেতে পারে। এমন কি ব্যবসায়ের পরিধি বিস্তার লাভ করতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে উত্তেজনা পূর্ণ সময়, যখন ঘনিষ্ট সহকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু বিরোধ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। কাজ করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সমস্যায় ফেলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে দূরের জায়গার আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেন। সফর করা তাৎক্ষণিক ফলাফল না দিলেও ভবিষ্যতে লাভের জন্য ভালো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। দর্শন বা আধিভৌতিক ব্যাপারে আগ্রহ জাগবে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে উৎসাহময় সময় যেহেতু ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে ডাক পাবেন। বহু বিষয় মতভেদ হওয়াতে খুব একটা ভালো হবে না সময়। এটি সম্পর্কও দুর্বল করতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতাদের জন্য সময়টি ভালো। সঙ্গী তার জীবনে আপনার মূল্য বুঝতে পারবে। সপ্তাহের শেষদিকে কিছু আঘাতের সম্মুখীন হতে পারেন। শক্তি প্রদর্শন করা উচিত।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে পরিবারের সঙ্গে সামাজিক ক্রিয়াতে অংশ নেওয়াতে আনন্দপূর্ণ সময় হবে। প্রেমের বেদনা ঘুমাতে দেবে না। গভীরভাব পূর্ণ ভালোবাসার উচ্ছাস অনুভূত হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক সুখ নষ্ট করতে পারে। তাই এই চাপ সামলাতে আকর্ষণীয় কিছু করার মাধ্যমে মানসিক ব্যায়ামে নিজেকে জড়ান। সপ্তাহের শেষদিকে বিবাহিত জীবনে অনেক ভালোমন্দের পর, সময়টা রোমান্টিক হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় প্রচুর লাভ নিশ্চিত হতে পারে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে আত্মীয়রা দুঃখ ভাগ করে নেবে। আপনার সমস্যা তাদের সাথে খোলামনে ভাগ করে নিন। এ সময় জমি ভূ-সম্পত্তি বা সাংস্কৃতিক প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর ওপর নজর কেন্দ্রীভূত করা। সপ্তাহের মাঝদিকে গোলাপ আরও লাল হবে আর বেগুণি হবে নীল, কারণ ভালোবাসার নেশা একটি উচ্চ আসন প্রদান করবে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে বিবেচনা করার শক্তি ব্যবহার করুন। সপ্তাহের শেষদিকে গোপন শক্রুরা আপনার সম্পর্কে গুজব রটাতে ব্যর্থ হবে। তবে এর পরিবর্তে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক টাকা-কড়ির আগমন তাৎক্ষণিক খরচের খেয়াল রাখবে। দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে চেয়েছিলেন এমন কারও কাছ থেকে ফোন পেতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে পুরানো যোগাযোগ ও বন্ধুরা সহায়ক হবে। প্রাণের বন্ধু এ সময় আপনার জন্য চিন্তা করবে। জমি ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো সময়। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেমের স্মৃতি সময়টি দখল করে রাখবে। এ সময় যদি প্রেম করার সুযোগ না হারান তবে সমগ্র জীবনে ভুলবেন না।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে অসাধারণ প্রচেষ্টা ও পরিবারের সদস্যদের সমর্থনের ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে পারেন। ভালো ধারণায় পূর্ণ থাকবেন। পছন্দের ক্রিয়াকলাপ প্রত্যাশার বাইরে অর্থনৈতিক লাভ এনে দেবে। সপ্তাহের মাঝদিকে আত্মীয়রা প্রত্যাশিত উপহার এনে দিতে পারে। তবে তারাও আপনার কাছ থেকে কোনো সাহায্যের প্রত্যাশা করতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে কর্মক্ষেত্রে নিজের উন্নতিতে ও পরিবারের হিত সাধনে কঠোর পরিশ্রম করুন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে সেচ্ছায় খরচ করার জন্য এগিয়ে যাবেন না। না হলে খালি পকেটে বাড়ি ফিরতে হবে। যারা শিল্প ও নাটকের সাথে জড়িত তাদের সৃষ্টিশীলতা সেরা স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু সুযোগ পাবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে বিচক্ষণ বিনিয়োগই পরিশোধ আনবে। তাই কষ্টার্জিত টাকা কোথায় লাগাচ্ছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন। প্রেমের যাত্রা ক্ষণজীবী হলেও মধুর হবে। সপ্তাহের শেষদিকে নতুন মক্কেলদের সঙ্গে আপোষ আলোচনা করা জন্য সময়টি চমৎকার। আত্মীয়রা কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।

জাতীয়

রাগ-ক্ষোভ জন্ম দেয়- এরকম বিষয় ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো এড়াতে জানতে হবে।

হতাশা, হাহাকার বা মনের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে এরকম বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে দেখতে মন বিষিয়ে উঠছে কি?

হয়ত ভাবছেন ফেইসবুক বা এই ধরনের অ্যাপগুলো ক্ষতিকর।

তবে সান ফ্রানসিসকো’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেসন নাগাটা বলেন, “সাধারণভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ভালো বা খারাপ বলা যাবে না।”

সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষিত মানুষের সঙ্গে থাকা যায়। আবার হীনমন্যতা এবং একাকী বোধের জন্মও দিতে পারে।”

আর এখানেই আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজে কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন- সেই ব্যাপারটা।

নিউ ইয়র্ক সিটি’র ‘কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেইলম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক ডা. ক্যাথরিন কিইজ বলেন, “কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করছেন সেটার ওপর বিশাল পার্থক্য তৈরি হয়।”

তার কথায়, “ভিন্নতর এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হতে পারে বাসায়, স্কুলে, যেখানে সময় কাটানো হয় সেখানে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।”

নিজের জীবন ও সময়ের সাথে সমন্বয় করে ইতিবাচক পন্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকাটা জরুরি। আর মান সম্মত বিষয়গুলো চোখের সামনে যাতে আসে সেজন্য কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা যায়।

আসলে কী চান সেটা বুঝে সময় দেওয়া

যে ধরনের বিষয় বেশি দেখা হবে সে ধরনের বিষয়গুলো বেশি বেশি চোখের সামনে আসবে।

বেশিরভাগ সোশাল মিডিয়ার ‘অ্যালগারিদম’ এভা্বেই করা। কী খোঁজা হচ্ছে, কোন ধরনের বিষয়ে মন্তব্য বেশি করছেন বা দেখছেন- সেসব ধরেই একই ধরনের ‘পোস্ট’গুলো আসতে থাকে।

‘লোয়োলা ইউনিভার্সিটি মেলিল্যান্ড’য়ের বাজারজাতকরণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মারি ইয়েহ এই বিষয়ে বলেন, “এটাকে সমস্যা হিসেবে না নিয়ে বরং যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে হবে। খুব্ই সরল পন্থা হল: আপনি এই একটা বিষয় পছন্দ করেছেন, তাহলে একই ধরনের আরও জিনিস আপনাকে ‘খাওয়া’তে থাকবে।”

সচেতন হওয়াটা কষ্টকর হলেও, এক্ষেত্রে সেটা মানা দরকার আছে।

কী খুঁজছেন সেটা জানুন

কোনো কারণ ছাড়াই ফোনটা নিয়ে ফেইসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এক পলক দেখে রেখে দিলেন। তারপর দেখা গেল কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক জিনিস বারবার আসতেছে।

এটা খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতা- মন্তব্য করেন ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মানসিক ও আচরণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. অ্যানা লেমবেক।

তিনি বলেন, “এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও মানুষের মস্তিষ্কের সাথে মিলিয়ে কাজ করে।”

সুন্দর বিষয়, দারুণ রঙিন ছবি বা ভিডিও, চিত্ত আনন্দ তৈরি করে এমন শব্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ এসব দেখার সময় মস্তিষ্কে ‘ডোপামিন’ নিঃসরণ হয়, যা ‘ভালো অনুভূতি’র হরমোন নামেও পরিচিত।”

এই হরমোন স্বভাব, নড়াচড়া, উৎসাহ, নেশা ও প্রেম’য়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যখন এই ভালো অনুভূতি পুরষ্কার পাওয়ার মতো আনন্দ দেয়, তখন সহজেই উত্তেজনাকর বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়তে হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অ্যালগারিদম’ সেই অনুযায়ী নানান বিষয় চোখের সামনে উপস্থাপন করতে থাকে। ফলে সচেতনভাবে বিষয়বস্তু বাছাই করার সিদ্ধান্তটা আর নেওয়া হয় না।

তাই কী খুঁজছেন সেই বিষয়ে নিজেকে আগে পরিষ্কার থাকতে হবে। এপর ব্যক্তিগত ও মানসিক শক্তি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই নির্দিষ্ট বিষয়টি কি দেখবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।

কোন বিষয়টা এড়াচ্ছেন সেটা জানা

পাশাপাশি এটাও জানা জরুরি, কোনো ধরনের বিষয়গুলো সরিয়ে দিচ্ছেন বা ‘সোয়াইপ’ করছেন। কারণ অনেক ধরনের বিষয় থাকে যেগুলো দেখা উপকারী নয়।

নাগাটা বলেন, “যেসব বিষয় নিজের জীবনের সাথে তুলনা তৈরি করবে সেগুলো সচেতনভাবেই এড়ানো উচিত।

“গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলনামূলক বিচার করে, পাশাপাশি নিজের ছবি বা পোস্ট নিয়ে মনক্ষুণ্ন হয় তাদের মধ্যে খাবার খেতে ইচ্ছে না হওয়া, বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দেয়। আর এটা বেশি ঘটে নারীদের মধ্যে”- বলেন তিনি।

সেন্ট. লুইস’য়ে অবস্থিত ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মনোরোগের অধ্যাপক ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ বলেন, “তুলনা করা এবং অস্বাস্থ্যকর সৌন্দর্যের মাপকাঠি বিবেচনা করার বিষয়টা যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদের থেকে আসে না। বরং তাদের দেখছেন আর সেই হিসেবে নিজেকে গড়তে চাচ্ছেন, সেটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”

সব ব্যায়াম, খাবার, মেইকআপ বা ফ্যাশন যে খারাপ তা নয়। তবে নিজের সঙ্গে কোনটা মানানসই সেটা বোঝার মতো জ্ঞান নিজেকেই তৈরি করতে হবে। অন্যের ডায়েট অনুসরণ করলে যে, তার মতো হয়ে যাবেন, এমন ভাবা যাবে না। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভর না করে নিজের জন্য কোনোটা উপযুক্ত সে বিষয়ে সরাসরি বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে- পরামর্শ দেন এই মনোবিজ্ঞানী।

আনফলো, হাইড বা ডিলিট

আর প্রধান ও চূড়ান্ত কাজ হল যাদের ‘ফলো’ করছেন তাদেরকে ডিলিট করা।

“মনে হতে পারে এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছে। তবে কথার মারপ্যাচ আর অযাচিত দ্বন্দ্ব- এই দুটি বিষয়ের মাঝে মোটা দাগে পার্থক্য রয়েছে”- বলেন ডা. প্যাটরিসিয়া কাভাজোস-রেহগ।

তিনি আরও বলেন, “এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যেসব ‘কনটেন্ট’ রাগ ক্ষোভ তৈরি করে সেগুলো ‘ভাইরাল’ হয়। তাই এগুলো ‘হাইড’ করতে হবে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহাকরীদের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, কী খুঁজছেন সেসবে ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সময়টা সুখকর যাচ্ছে না একদমই। টানা হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে দল।

ফরম্যাট বদলেও স্বস্তি পাওয়া যায়নি খুব একটা। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হেরেছে বাংলাদেশ।

এ ম্যাচে ২৩৫ রান তাড়া করতে নামে টাইগাররা। শুরুটা ভালো করলেও ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায় বড় ব্যবধানে। শারজাহতে শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে নামবে দুই দল। এরপর সোমবার হবে শেষ ওয়ানডে। সিরিজ বাঁচাতে দুই ম্যাচই জিততে হবে বাংলাদেশকে। তবে আপাতত দ্বিতীয় ওয়ানডের দিকেই চোখ রাখছেন মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘দেখুন, যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে। একটা ম্যাচ হেরেছি, এখনো দুইটা ম্যাচ আছে। আমরা দুইটা ম্যাচ চিন্তা না করে, পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমরা একটু পিছিয়ে আছি। যেহেতু একটা ম্যাচ খেলেছি এখানে, লম্বা সময় পর ওয়ানডে খেলছি; আপনি দেখবেন সাত-আট মাস আগে আমরা খেলেছি। ’

‘সবার ভেতর ওই জিনিসটাও একটু কাজ করছিল যে অনেকদিন পর আমরা ওয়ানডে খেলেছি। প্রস্তুতিটা ওভাবে নিচ্ছি। আশা করি যে, যেহেতু অনেকদিন পর খেলেছি, এই মাঠের একটা ধারণা হয়েছে। ভালো মোমেন্টাম কীভাবে নিতে হবে সেটা নিয়ে আমরা অনুশীলন করছি। ’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আঙুলের হারে চিড় ধরায় তিনি ছিটকে গেছেন। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ছিটকে যাওয়া যে ধাক্কা, সেটি মানছেন মিরাজও।

তিনি বলেন, ‘যেটা বললেন, মুশফিক ভাইয়ের কথা। এটা তো অবশ্যই আমাদের জন্য দুঃখজনক। মুশফিক ভাই যে ইনজুরি হয়েছে। উনি দলের ভেতর কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা সবাই জানি। কারণ তিনি যেভাবে ক্রিকেট খেলেন, দেশকে সার্ভিস দিয়ে গেছেন এটা অসাধারণ ছিল। ’