জাতীয়

দেশের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) মাসুদুল হক এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি এ বছর থেকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর কথাও জানান যুগ্ম সচিব। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার অনুমোদনের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

জাতীয়করণসহ অন্যান্য দাবির আশ্বাস পেয়ে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকেরা। তাদের কেউ কেউ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকেরা। পরে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২৬ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জের মুখে পড়েন। তাদের ওপর জলকামান ব্যবহারও হয়। এর জেরে শাহবাগে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ির শিক্ষকেরা।

সবশেষ সোমবার দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণার আলটিমেটাম দেয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আজ দুপুরে সচিবালয় থেকে ডাক পড়ে তাদের।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ির শিক্ষকেরা ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) স্টাডি রিপোর্টের সুপারিশের আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের ঘোষণা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা রেজিস্ট্রেশন স্থগিত আদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

আরও রয়েছে, রেজিস্ট্রেশন পাওয়া কোডবিহীন মাদরাসাগুলোকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার আলাদা নীতিমালা, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন করা।

এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার অনুমোদনের ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ির শিক্ষকেরা ছয় দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) স্টাডি রিপোর্টের সুপারিশের আলোকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের ঘোষণা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা রেজিস্ট্রেশন স্থগিত আদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

আরও রয়েছে, রেজিস্ট্রেশন পাওয়া কোডবিহীন মাদরাসাগুলোকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার আলাদা নীতিমালা, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন করা।

এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার অনুমোদনের ব্যবস্থার দাবিও জানান শিক্ষকেরা।

রাজনীতি

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন। তার সরাসরি নির্দেশে গুম ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন সব ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই বিপ্লবের ওপর একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ’র প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান বলেন, ‘আপনারা এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি করেছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।’

এইচআরডব্লিউ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ তুলে ধরে বলেছে, গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, ‘এখানে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি।’

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যে প্রচেষ্টা ছিল- তার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের প্রতিবেদনগুলোতে ১৬ বছরের একনায়ক শাসনামলের ব্যাপক অপরাধ উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব তাদের অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘বিচারের মুখোমুখী হতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’

পিয়ারসন বলেন, ‘২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ছিল এবং তারা শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সমস্ত সংস্কার সুপারিশ প্রকাশ করছি এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নির্ধারণের সুযোগ দিচ্ছি। ১৬ বছরের দমন-পীড়ন এবং অপরাধের ক্ষতি পূরণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।’

এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান ঢাকা সফরকালে সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, সংস্কারগুলোকে দৃঢ় করতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাযথ নজরদারির আওতায় আনতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি রাখাইনে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

জাতীয়

স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাত কলেজের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব) এবং তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাত কলেজের পক্ষে তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- মঈনুল ইসলাম ও রহমতুল্লাহ (ঢাকা কলেজ) এবং মৌ ( ইডেন মহিলা কলেজ)। বৈঠকে তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরশু রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে আমরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আমাদের প্রথম দাবি গতকাল মেনে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছি। বাকি পাঁচ দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে ডাকা হয়েছে। এখানে আমরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছি। আমাদের দাবিগুলো পজেটিভভাবে নেওয়া হয়েছে। সেটা বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেনে নেওয়া হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির প্রসঙ্গে মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল- ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। এখন থেকে তিনি ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের সংশ্লিষ্ট কোনো কমিটিতে থাকতে পারবেন না।

এছাড়াও তার পদত্যাগের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আলাপ ও ওই দিন সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দাবি ছিল- ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে তিনদিন সময় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
তৃতীয় দাবি হচ্ছে- যেসব ঢাবি শিক্ষার্থী ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

চতুর্থ দাবি ছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল এ দাবি অধিভুক্তি বাতিল সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পঞ্চম দাবি ছিল- উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এই ঘটনার সমাধান করতে হবে।

মইনুল ইসলাম জানান, আজ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ মিটিংয়ে বসা হয়েছে।

ছয় দফা দাবি ছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। আজ আমাদের জানানো হয়েছে ইতোমধ্যে রাস্তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি।

অর্থনীতি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু’টি বড় কোম্পানি আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ এবং মাসদার বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়ন, বন্দর পরিচালনা ও লজিস্টিকস সহায়তা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের (এডিপিজি) সিইও আহমেদ ইব্রাহিম আল মুতাওয়া এবং মাসদারের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাধলুম আলসুওয়াইদি সাক্ষাৎ করে এসব বিনিয়োগ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এই বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’

এডিপিজি ও মাসদারের নির্বাহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনাদের টিম নিয়ে আসুন এবং যতগুলো কারখানা স্থাপন করতে চান, করুন।’

আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ হলো চতুর্থ বৃহৎ বন্দর পরিচালনা ও লজিস্টিকস কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্কের এপি মুল্যার মায়ের্স্ক এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পর তারা বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ প্রকাশ করলো।

বাংলাদেশে প্রস্তাবিত তিন বে টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনালকে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগে অর্থায়ন ও পরিচালনা এবং বহুমুখী টার্মিনাল ও কন্টেইনার রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও আল মুতাওয়া বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উষ্ণ মনোভাবের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিষ্ঠান মাসদার বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমিতে ২৫০ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

মাসদারের আঞ্চলিক বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাধলুম আলসুওয়াইদি বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন ধারণা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি সহায়ক।’

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আলহুমৌদি, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

দুবাই শাসকের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে ফেব্রুয়ারিতে আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগদানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন আবদুল্লাহ আলী আলহুমৌদি।

রাজনীতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, সমাজে ভালো-খারাপ দুই ধরনের মানুষ আছে। যে খারাপ মানুষ তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।

মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছে। এই আস্থা নষ্ট করার জন্য কেউ যদি কাজ করেন, তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেখেছি সামগ্রিকভাবে দেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সেক্টর পিছিয়েছে। একটা কথা বলতে চাই দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে, দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। একটা রাজনৈতিক অধিকার, আরেকটা সব শ্রেণিপেশার মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার। এটা বাস্তবায়নে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাজ করছে। আর জনগণের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা সবার মেনে চলার আহ্বান জানাই।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ ইসলাম অমিত, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু প্রমুখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. ফরিদুল ইসলাম, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, মাহবুবুর রহমান টুটুল, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা হারুন-অর-রশীদ, সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন, ছাত্রদল নেতা আলী সাদ্দাম দীপসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।

৩১ দফা সামনের জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অংশ নেওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়।

এদিন ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। তারা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ আঞ্চলিক অনেক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।

গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প বেশ কিছু অভিবাসন-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী রয়েছেন।

সোমবারের ফোনালাপ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আলোচনায় প্রযুক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী, ট্রাম্প ভারতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বেশি কেনার ওপর জোর দিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে ‘ন্যায্য’ বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফোনালাপ নিয়ে এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে মোদি ট্রাম্পকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে লেখেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমরা পারস্পরিক লাভবানযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য অংশীদারত্বে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার দিকে একসঙ্গে কাজ করব।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত নাগরিকদের শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সহযোগিতা করতে এবং বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লির প্রাথমিক সংকেত।

প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ জন্য ভারত তাদের পরিচয় যাচাই করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পরিচয় প্রকাশ না করে তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের সংখ্যা ১৮ হাজারের অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, এটি স্পষ্ট নয় যে কতজন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পশ্চিম ভারতের, বিশেষ করে পাঞ্জাব ও গুজরাট রাজ্যের।

অন্যান্য অনেক দেশের মতো ভারতও ট্রাম্প প্রশাসনকে সন্তুষ্ট করতে এবং তার বাণিজ্য হুমকির প্রভাব এড়াতে পর্দার আড়ালে কাজ করছে। অবৈধ অভিবাসন দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল।

অর্থনীতি

ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে এই ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জনা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ২০২৫ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।

তারেই আলোকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে চুক্তির আওতায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারী লিমিটেডের সঙ্গে নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল (০.০০৫% ‘সালফার’) ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এই ডিজেল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ এক হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য ধরা হয়েছে ৫.৫০ ডলার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০১৬ থেকে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপলাইন নির্মাণের আগে এনআরএল থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।

খেলাধুলা

ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। তবে প্রতিশোধ নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি ছোটরা।

নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে ক্যারিবীয় মেয়েদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টির কারণে ৭ ওভার কমে যাওয়া এই ম্যাচে তারা কেবল ৫৪ রান করতে পারে; ৬ উইকেট হারিয়ে। এই রান তাড়া করতে নেমে ৮.৫ ওভার লাগে বাংলাদেশের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ অবশ্য লড়তে পারেননি কেউই। নিশিতা আক্তার নিশি ও আনিসা আক্তার সোবার দারুণ বোলিংয়ে দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৬ উইকেটের মধ্যে স্রেফ তিন জন স্পর্শ করেছেন দুই অঙ্ক। আম্রিতা রামতাহাল ১৬, নাইজান্নি কাম্বারব্যাচ ১৩ ও আসাবি ক্যালেন্ডার করেন ১১ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন নিশি। সমান ওভারে ১৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সোবা। ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন জান্নাতুল মাওয়া।

রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশ ব্যাট হাতেও দেখায় দক্ষতা। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা নিশ্চিত করে ফেলে জয়। যদিও তাড়াটা হয় ধীরগতির। ২৮ বলে ৩ চারে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জুরাইয়া ফেরদৌস। ২৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ফাfcহমিদা ছোঁয়া।

জাতীয়

পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের পর আবারও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সাড়ে ছয়টায় ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চূড়ান্ত কোনো সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মনে করছি যাদের কারণে আমাদের সহপাঠীরা আহত হয়েছেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার না করে কোনো সমাধান সম্ভব নয়। দেশের কথা চিন্তা করে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে যারা আঘাত করেছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বহাল থাকবে।

কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী বলেন, যারা আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে তাদের সঙ্গে কীসের সমাধান। আমরা এমনি এমনি তাদের রক্ত ডিঙিয়ে সমাধান করতে পারি না। তাছাড়া স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। আগামী ১ তারিখ থেকে সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিশেষ করে ক্লাস এবং পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করেছি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সোমবার ঘোষিত এক আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তারা ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেন। দাবি পূরণ না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।

আন্তর্জাতিক

কূটনৈতিক সেবার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সৌদি আরবের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল-দুহাইলানকে পদক দিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতকে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স মেডেল’ প্রদান করেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপ্তি ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশটিতে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া চীন, রাশিয়াসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তৌহিদ হোসেন বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশটিতে থাকা ৩০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সৌদি বিনিয়োগ এই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। উভয় দেশ বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির পক্ষে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে।

আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ পাওয়ায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান তৌহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল-দুহাইলান বলেন, মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ এখানকার রাষ্ট্রদূতদের কাজে আরও উৎসাহিত করবে। তবে এটা শুধু আমার অর্জন নয়, আমার মিশনের সব কর্মকর্তার পরিশ্রমের ফসল।

পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

বিদেশি ও স্থানীয় কূটনীতিকদের জন্য শেখ হাসিনার সরকার ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ চালু করে। অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধু শব্দটি বাদ দিয়ে মেডেলটির নতুন নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’।