আন্তর্জাতিক

সাবেক নোবেলজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার স্ত্রী মিশেল ওবামা তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে চলমান গুজব ও জল্পনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। সদ্য প্রকাশিত একটি পডকাস্টে ওবামা বলেন, একসময় আমাদের সম্পর্ক ‘টাচ অ্যান্ড গো’ ছিল, তবে মিশেল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমার স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কখনো ভাবিনি।

পডকাস্ট ‘আএমও উইথ মিশেল ওবামা এন্ড ক্রেইগ রবিনসন’-এর এক নতুন পর্বে মিশেল বলেন—আমাদের দাম্পত্য জীবনে কঠিন সময় এসেছে, আবার আনন্দময় মুহূর্তও ছিল। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। আমি এখন যেই মানুষ, তা হয়েছি এই পুরুষটির জন্য।

বারাক হেসে বলেন, সে আমাকে আবার গ্রহণ করেছিল! সময়টা কিছুটা টানাপোড়েনের ছিল।

এই প্রথম ওবামা দম্পতি তাদের বিয়েকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়া বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জনের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করলেন।

গত কয়েক মাস ধরে মিশেল ওবামা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন— যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। এ থেকেই সামাজিক মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, ওবামা দম্পতির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

মিশেল এই প্রসঙ্গে বলেন, এ বছর কিছু সিদ্ধান্ত আমি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়েছিলাম, যা নিয়ে মানুষ অযথা সমালোচনা করেছে। অনেকেই ধরে নিয়েছে, আমি বারাককে ছেড়ে যাচ্ছি। আসলে, আমি শুধু নিজের মতো করে সময় নিচ্ছিলাম।

মিশেল বলেন, আমরা এখন ৬০ বছর বয়সি মানুষ। আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরতে হয় না। শুধু এটুকু না দেখেই মানুষ ধরে নিচ্ছে, আমাদের বিবাহ ভেঙে গেছে। এটা হাস্যকর।

তার ভাই ও সহ-পডকাস্ট উপস্থাপক ক্রেইগ রবিনসন বলেন, তোমাদের একসঙ্গে দেখে ভালো লাগছে।

উত্তরে মিশেল হেসে বলেন, হ্যাঁ, কারণ যখন আমরা একসঙ্গে থাকি না, তখন সবাই ভাবে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে!

১৯৯২ সালে বিবাহিত এই দম্পতি তাদের দুই কন্যা মালিয়া ও সাশাকে নিয়ে একটি স্থিতিশীল পারিবারিক জীবনযাপন করছেন।

মজার ছলে মিশেল আরও বলেন, ভালো হয়েছে, আমাদের ছেলে সন্তান হয়নি। ওটা হলে আরেকটা বারাক হয়ে যেত!

খেলাধুলা

লিগ পর্বে আরও একটি ম্যাচ বাকি। তার আগেই রংপুর রাইডার্স নিশ্চিত করে বসেছে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনাল। বুধবার সাকিব আল হাসানদের দল দুবাই ক্যাপিটালসকে বিদায় করে দেন রাইডার্সরা। তাতেই নিশ্চিত হয় টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার মঞ্চে ওঠার সুযোগ।

গায়নার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে রাইডার্সরা ৫ উইকেটে জমা করে ১৫৮ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচটি জমিয়ে নেয় দুবাই। তবে শেষ হাসি হাসে নুরুলদের দল। দিনের অন্য খেলায় হোবার্ট হ্যারিকেন্সকে বিদায় করে ফাইনালে ওঠে গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

১৮ জুলাই শিরোপা ফয়সালার ম্যাচ। তার আগে আজ রাতে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিকের বিপক্ষে নামবে সোহানরা। গতকাল ফাইনাল নিশ্চিতের পর দলের অধিনায়ক সোহান উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সতীর্থদের, ‘এটা আমাদের জন্য খুশির দিন। ফাইনালে উঠলে অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা পাবেন। যেটা আগেও বলেছি, রংপুর এমন একটি দল যেটা সবদিক কাভার করেছে। উপর থেকে মাঝ পর্যন্ত, মাঝ থেকে নিচ পর্যন্ত, এমনকি বোলিংয়েও আমাদের দলে অনেক বৈচিত্র্য আছে।’

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সাকিবদের বিপক্ষে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে দুবাইকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দেয় রংপুর। সাকিব ব্যর্থ হয়েছেন টানা তৃতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে সেন্ট্রালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৫৮ ও বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি। গতকাল অবশ্য একটি উইকেট তুলেছিলেন। সাকিবের মতো ভাগ্য সহায় হয়নি দুবাইয়েরও। তীরে এসে তরি ডুবে তাদের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা মাটি হয়েছে।

১৮ জুলাই গায়নার বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে রংপুর। খেলাটি প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর পাচটায়।

জাতীয়

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে ‘জনপ্রিয়’ লেখক হিসেবে পরিচিত পেলেও সমালোচনা কখনো পিছু ছাড়েনি তার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশ যখন উত্তাল, সবাই যখন কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার, ঠিক তখনই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ‘তুমি কে/ আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানের প্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জাফর ইকবাল। তাতে তিনি লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয় আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই রাজাকার।’

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তার এমন নেতিবাচক মন্তব্যে গত বছর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় জাফর ইকবালকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।

এরপর ১৭ জুলাই জাফর ইকবালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও আজীবন নিষিদ্ধ করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

জাফরের এমন কাণ্ডে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বইয়ের দোকান রকমারি.কম ঘোষণা দেয়, তারা আর অনলাইনে জাফর ইকবালের বই বিক্রি করবে না। এখনো রকমারিতে জাফর ইকবালের বই ‘নট অ্যাভেইলেবল’ দেখা যায়।

প্রগতি বইঘরও জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দেয়। একই ইস্যুতে জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বই কেনার প্লাটফর্ম ‘বুকস অব বেঙ্গল’।

এমনকি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিষোদগার করায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এই লেখকের ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’ নামের বইটির পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে নদীতে ফেলেন মাহমুদুল ইসলাম মামুন নামে এক পরিবেশকর্মী ও বইপ্রেমী।

মামুন ওই সময় একটি ভিডিওবার্তায় জাফর ইকবালকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার (জাফর ইকবাল) লেখা অনেক বই আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে পড়িয়েছি। অনেক কষ্টের টাকায় বইগুলো কিনেছি। আর নয়, আজকে আপনার বই আমি ছিঁড়ে ছিঁড়ে নদীতে ফেলব। আজকে গ্রাম-গঞ্জে থেকেও আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আপনাকে ভাসিয়ে দিলাম। আপনার মতো বোদ্ধা, অসাধুদের উসকে দেওয়ার মতো মানুষের প্রয়োজন নেই। আপনি আর বই লেখিয়েন না। আমাদের অনেক প্রকাশকও আপনার লেখা আর ছাপাবে না।

এদিকে টানা এক মাসের বেশি সময় আন্দোলনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হয়। হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা পালিয়ে ভারত চলে যান। এখনো আত্মগোপনে রয়েছে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী।

৫ আগস্টের পর থেকে আড়ালে রয়েছেন জাফর ইকবালও। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন তা এখনো অজানা।

তবে জাফর ইকবাল কোথায় আছেন তা জানতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় পোস্ট দিতে দেখা যায়। ‘গর্তে আছেন’ বলেও অনেককে মন্তব্য করতে দেখা যায়।

নতুন বাংলাদেশ গঠনের পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে জাফর ইকবালকে নিয়ে ট্রল ও মিমে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে গর্তের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘জাফর ইকবালের বর্তমান অবস্থান’।

ফেসবুকে জাফর ইকবাল সম্পর্কিত পোস্টের কমেন্টবক্সে জাফর ইকবালকে ‘দালাল’, ‘চাটুকার’ ও ‘প্রতারক’ বলে সম্বোধন করতে দেখা যায়।

অনেকেই লেখেন, নতুন স্বাধীন দেশে জাফর ইকবালের অনুভূতি কেমন?

বিনোদন

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন সানা খান। সালমান খানের সিনেমায় অভিনয় থেকে শুরু করে জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো বিগ বস-এ অংশ নেওয়ার সুবাদে বেশ আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ের পর হঠাৎ করেই বিনোদনের জগৎ থেকে বিদায় নেন সানা। পালটে ফেলেন নিজের পোশাক-পরিচ্ছদ ও জীবনধারাও।

তবে এই হঠাৎ পরিবর্তনের পেছনে কি স্বামীর প্রভাব কাজ করেছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খান।

জেরিন জানান, “সানার এই পরিবর্তন একেবারেই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিয়ের অনেক আগেই সানা ছিল একজন ভীষণ ধার্মিক মানুষ। সে কারণে বিয়ের পর যদি সে ধর্মীয় পথ বেছে নেয়, সেটা তার বিশ্বাস ও বোধ থেকে এসেছে। আমি তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।”

সানার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও কিছু বিষয় জানেন বলে জানিয়েছেন জেরিন। তার ভাষায়, ‘আজ অনেকে জানেন যে সানা এখন ধর্মীয় জীবন বেছে নিয়েছে। কিন্তু এটা কম মানুষই জানে, সে যখন বিনোদনের জগতে সক্রিয় ছিল, তখনও সে নিয়মিত প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাস রাখত।’

জেরিন আরও বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন গ্ল্যামার জগতে থাকা নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু কেউ ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে জীবনযাপন করছেন, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বিশ্বাস ও ধর্ম একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই।’

সানার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জেরিন বলেন, ‘সানা আগে থেকেই ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর তার বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে মাত্র। এটা তার জীবন, তার পছন্দ। আমি সত্যিই তার জন্য খুশি।’

এক সময় বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেত্রী সানা খান। সালমান খানের ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি; জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’-এ একবার নজর কেড়েছিলেনও। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ে করার পর তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। বিনোদনের জগৎ ছেড়ে দেন, পোশাক-পরিচ্ছদেও আসে বড় পরিবর্তন। এবার সানা খানের এই পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলেছেন ইন্ডাস্ট্রিজের আরেক অভিনেত্রী জেরিন খান।

অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পর সানা বলিউড ছেড়ে দিয়েছেন স্বামী মুফতি আনাসের প্রভাবে! সে প্রসঙ্গে জেরিনের বক্তব্য, ‘বিয়ের আগেই সানা ছিলেন ভীষণ ধার্মিক। তাই বিয়ের পর তিনি আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মের পথ বেছে নিয়েছেন, এটা তার একান্তই নিজের সিদ্ধান্ত। আমি ওর এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।’

জেরিন ও জানান, তিনি সানাকে খুব গভীরভাবে না চিনলেও সানার কিছু দিক সম্পর্কে জানেন। জেরিনের কথায়, ‘মানুষ জানে সানা এখন পুরোপুরি ধর্মমতে জীবনযাপন করছে। কিন্তু ওর বিনোদন দুনিয়ায় থাকার সময়েও ও প্রতিদিন প্রার্থনা করত, ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এটাই অনেকে জানেন না।’

তিনি আরও বলেন,‘অনেকে ভাবেন গ্ল্যামার দুনিয়ার নারীরা ধার্মিক হতে পারেন না। কিন্তু আমরা ব্যক্তিগত জীবনে কী করি, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ধর্ম ও বিশ্বাস খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার—এটা নিয়ে প্রচার করার দরকার নেই। সানা আগেও ধার্মিক ছিল, বিয়ের পর সে বিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে। এটা ওর জীবন, ওর পছন্দ। আমি ওর জন্য খুশি।’

বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা নিয়ে পর্দায় নেই বিদ্যা সিনহা মিম। ২০২২ সালের আলোচিত ‘পরাণ’ সিনেমার পর তাকে আর সেভাবে দেখা যায়নি। এরপর তার অভিনীত ‘দামাল’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও এর রেসপন্স খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না।

বলা যায়, এরপর থেকে সিনেমা নিয়ে মিম রয়েছেন আলোচনার বাইরে। তবে বিজ্ঞাপন ও ফটোশুটের কাজে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এ দুটি কাজ নিয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছেন। কিন্তু এরমাঝে আর নতুন সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবর দেননি এ অভিনেত্রী।

সর্বশেষ ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করেছেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের জীবন নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন পান্না কায়সারের চরিত্রে। এটি পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ঘটনার পর সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে বা আদৌ পাবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়।

মিম বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শেষ। কিছু প্যাচ ওয়ার্কের কাজ বাকি আছে। সেগুলো আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই করা হবে। সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তারপরই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।’

এ নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী, তাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। অনেক সুন্দর একটি গল্প। প্রত্যাশা করছি দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখবেন।’

অর্থাৎ এ সিনেমা দিয়ে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। সিনেমার বাইরে ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন মিম।

নতুন ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্তু গল্প, চরিত্র মনের মতো হলেই নতুন কাজ করব।’ এদিকে দিন কয়েক আগে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করেছেন মিম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০ দিন ছিলাম শ্রীলঙ্কা। এবারের ভ্রমণটা অনেক আনন্দের। সেই সঙ্গে অনেক স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। কেননা, শ্রীলঙ্কার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরেছি, দ্বিতীয়বার আর না গেলেও হবে।’

রাজনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোনো পরিস্থিতিতেই যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আজ (সোমবার) জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ- এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি আছে, যা নিয়ে অতীতে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ ছিল না। আজ (সোমবার) এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি জানান, পূর্ববর্তী আলোচনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ঐকমত্য কমিশন হতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে পরবর্তী সভায় অধিক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এ ব্যাপারে কতটুকু একমত হওয়া গেছে।

আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ।

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান তীব্র সংঘর্ষের কারণে গত চার দিনে প্রায় ৪,০০০ মানুষ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র সচিব ভানলালমাউইয়া বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এই শরণার্থীরা দীর্ঘ ঘন বনাঞ্চল পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন। অনেকের আত্মীয়স্বজন ভারতের মাটিতে থাকেন। তাই তারা তাদের কাছেই থাকছেন। অন্যদের কমিউনিটি হলগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটি ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩০,০০০-এর বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে।

মিজোরামের এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত চার দিনে আনুমানিক ৪,০০০ মানুষ ভারতে ঢুকেছে।

পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের যে দুটি চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে, তারা উভয়েই সামরিক শাসনের বিরোধী। এই সংঘর্ষ মূলত ‘চিনল্যান্ড’ নামক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সীমান্তের অন্য পাশে পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, তাই আমরা তাদের ফিরে যেতে বলিনি।

এএফপি বলছে, ভারত সরকার চীনের প্রভাব মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী, ফলে তারা এখনো সরাসরি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেনি।

জাতীয়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তা নিয়ে তরুণদের ওপর জরিপ পরিচালনা করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং একশনএইড বাংলাদেশ। তাদের জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। এরপরে জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে।

চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। দেশের আটটি বিভাগের প্রতিটি থেকে দুটি জেলা এবং প্রতি জেলার দুটি করে উপজেলা থেকে তরুণদের বাছাই করা হয়। এতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) মতামত নেওয়া হয়েছে।

তরুণদের মতে, যদি কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায় তাহলে ১৫ দশিমক ৮৪ শতাংশ ভোট পাবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য ইসলামিক দল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

এই জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এখনো ভোটার হননি।

জরিপের ফলাফল নিয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, কেবল ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে যে মতামত এসেছে, তা শুধু বাছাই করা ওই তরুণদের মতামত। এটাকে দেশের পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে তা কখনোই করা সংগত হবে না।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা সম্পর্কিত এ জরিপটি সোমবার প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা সহযোগী সাফা তাসনিম। অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জরিপে। অন্তত ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ সামাজিক মাধ্যম থেকে রাজনীতির তথ্য পান।

জরিপের একটি প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে তরুণ নেতৃত্বের দলগুলোর রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করেন কি না। এতে ৪২ শতাংশের বেশি তরুণ আশাবাদী বলে জানান।

এছাড়া এই তরুণদের দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজনকে উপস্থাপন করতে পারছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে জরিপে দেখা যায়, নিশ্চিত নন ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ তরুণ এবং ৩০ শতাংশের বেশি তরুণ বলেছেন, এ দলগুলো তরুণদের চাহিদা ও প্রয়োজন কিছুটা উপস্থাপন করতে পারছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৬০ শতাংশ তরুণ পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান বিষয়ক সংস্কার চান। তরুণদের প্রায় ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ মনে করেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সহায়ক। আর সহায়ক নয় বলে মনে করেন ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ তরুণ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ। একেবারে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ৩০ শতাংশ বলেছেন কখনো কখনো উদ্বিগ্ন বা এ বিষয়ে মতামত নেই।

কত সময়ের মধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে—এর উত্তরে ৩৯ শতাংশের বেশি বলেছেন, তারা জানেন না এবং সাড়ে ২২ শতাংশ বলেছেন, কখনোই না। অন্যদিকে ১১ শতাংশের বেশি বলেছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, রাজনীতিতে যেসব তরুণ আসেন তারা সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায় নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন বা আদর্শ নিয়ে আসেন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব সব সময় তরুণেরাই দিয়েছেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণে গিয়ে আর এই তরুণেরা থাকেন না।

অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, সবকিছু মিলিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা হচ্ছে সেখানে এই সময়টুকুকে কতটা কাজে লাগানো যাচ্ছে তা দেখতে হবে। পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনেরা যদি সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তাহলে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের আশা বাস্তবায়িত হবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার।

খেলাধুলা

মিয়ানমারে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের টিকিট কেটেছেন তারা। তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেই জমকালো সংবর্ধনা পেয়েছেন আফঈদারা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও বাফুফে আগের দেড় কোটি টাকার বোনাস এখনও দিতে পারেনি। এমনকি মধ্যরাতে ক্লান্ত দলকে হাতিরঝিলে নিয়ে অভিনব সংবর্ধনা দিয়েও এ নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি। শুধু মিষ্টি ও ফুল দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।

মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তিন ম্যাচের সবকটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তানকে সমান ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রতিবেশি মিয়ানমারকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

এর মাধ্যমে আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরাইল। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তাকার কারলসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপির।

পেজেশকিয়ান বলেন, তারা চেষ্টা করেছিল। তারা সেই অনুযায়ী কাজ করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ হত্যাচেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। এটি ছিল ইসরাইল। আমি একটি বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলাম। যেখানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, তারা সেই জায়গাটিতে বোমাবর্ষণের চেষ্টা করেছিল।

তবে তিনি এই হামলার নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। গত মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক বর্তমানে চরম উত্তেজনাপূর্ণ। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের এ বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ যুদ্ধে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকেও হত্যার কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। তবে শেষমেশ তাকে হত্যা করতে পারেনি।