জাতীয়

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে স্যার এএফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় স্যার এএফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন।একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া শুরু হয়।এ অবস্থায় ঢাবি এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে সন্ধ্যায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকা, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ।

জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। অধ্যাপক মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে সে অনুরোধ উপেক্ষা করে সবাই কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি অধ্যাপক মামুন তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিসহ ইউনিটের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষকেরা নাকি তাদের কথার কোনো গুরুত্ব দেননি। এরই প্রতিবাদে তারা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন।

সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, আগামী ১ ঘণ্টার মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছে রাস্তায় এসে ক্ষমা না চাইলে শিক্ষার্থীরা তার বাসভবন ঘেরাও করবে।

রাজনীতি

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা একদম ভালো কাজ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জায়ায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ন্যায্য দাবি পেশ করে, তার দাবিটা শোনাও সংগত।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দাবিতে এদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।

এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনায় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। দূরের আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে একটি চমৎকার সময় বলে মনে হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়দের সাহায্য করার ক্ষমতা আপনার জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে আপনার তরফে বেশি কিছু না করেই অন্যদের নজর আকর্ষণ করার জন্য আদর্শ সময়। আপনার সিদ্ধান্তে অভিভাবকের সহায়তা আপনাকে সাহায্য করবে। সপ্তাহের শেষদিকে দান করার মনোভাব গোপন আশীর্বাদ হতে পারে। হয়ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া ‍উচিত নয়। একটি আনন্দ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা শক্তি ও আবেগকে আবার নতুন করে তুলবে। আর শিক্ষামূলক হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে মানুষ আপনার প্রচেষ্টার জন্য কর্মক্ষেত্রে আপনাকে চিনতে পারবে। যদি কর্মক্ষেত্র থেকে ফোন সরিয়ে না রাখেন তবে খুব ভুল করবেন। সপ্তাহের শেষদিকে স্নেহ মমতা আপনাকে উৎসাহিত করতে পারে। তুচ্ছ বিষয়ে মেজাজ হারানোর উচিত নয়। যেহেতু এটা শুধু স্বার্থেরই ক্ষতি করবে। অতীতের সুখ স্মৃতি ব্যস্ত করে রাখবে।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের জন্য সময় ভালো। কারণ অপ্রত্যাশিত লাভ অর্জন করতে পারেন। সঙ্গীর সঙ্গে জীবনের সব থেকে রোমান্টিক সম্পর্ক হবে। সঙ্গী পৃথিবীতেই স্বর্গের সুখ উপলব্ধি করাতে পারে। রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। সপ্তাহের মাঝদিকে একটি আনন্দ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা ভ্রমণ ও শিক্ষামূলক এবং আপনার সচেতনতাকে বাড়িয়ে তুলবে। প্রেম ঘটিত যোগাযোগ বাড়াবে। সপ্তাহের শেষদিকে কর্মক্ষেত্রে একজন অসাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হতে পারে। সামঞ্জস্যপূর্ণ কঠর পরিশ্রম এ সময় সত্যি ভালো ফল দিতে পারে।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে মিশ্র আবেগ দেখা দেবে যা আপনাকে উত্তেজিত রাখবে। তবে বেশি চিন্তার প্রয়োজন নেই, কারণ হতাশার চাইতে সুখ বেশি আনন্দ দেবে। যৌথ ব্যবসায়ে ও সন্দেহজনক আর্থিক স্কিমে বিনিয়োগ করবেন না। পরিবার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, পরিবারের সঙ্গে সময় উপভোগ করতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে রাস্তাপার করার সময় সতর্ক থাকুন। বিশেষত লাল সিগনালে। কারও অবহেলা আপনাকে আহত করতে পারে। যৌথ উদ্যোগ ও অংশহীদারিত্ব থেকে দূরে থাকুন। সপ্তাহের শেষদিকে ধারণা শক্তি বেশ ভালো। বিমূর্ত বিজ্ঞানের অনুসন্ধানে রত হওয়ার যোগ। অন্তর্নিহিত সত্য সন্ধানে সদা ব্যাকুল। বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে লাভবান।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে ভালোবাসার জীবনে সত্যি সত্যি অসাধারণ কিছু বয়ে আনবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা থেকেই মনটি আঘাত প্রাপ্ত। বড় ধরনের পরিকল্পনা বাদ দিন। ছোটখাট ব্যাপারে নিজেকে লিপ্ত রাখলে লাভবান হবেন বেশি। সপ্তাহের মাঝদিকে জনগনের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ হতে পারে। যেখানে বিচরণ সেখানেই জনপ্রয়তা। কারও একটা জীবন আপনার জীবনের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় বিপদ হতে পারে। জন সম্মুখে বেশ রটনা রটতে পারে। কোনো জাতীয় দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়বার সম্ভাবনা। উচ্চ রক্তচাপের কোনো সমস্যা থাকলে সাবধান।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে বন্ধুদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ করতে পারবেন। গার্হস্থ্য জীবনে বেশ আগ্রহ দেখা দেবে। জানতে পারবেন যে, ভালোবাসার সঙ্গী-ই একমাত্র জন, যিনি অনন্তকাল পর্যন্ত আপনাকে ভালোবাসবে। সপ্তাহের মাঝদিকে দুশ্চিন্তার ভাবনাগুলো আপনার খুশিকে নষ্ট করতে পারে। এটি হতে দেবেন না। কারণ এটি শুধু ধ্বংসাত্মক ঘটনাকেই মেনে চলে। সপ্তাহের শেষদিকে ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ বেশ লাভজনক হবে। বিয়েকে এ সময় একটি চমৎকার পর্যায়ে পাবেন। সত্যিই বৈবাহিক জীবনের ওপর আসা বিষয়গুলো অবিশ্বাস্য হবে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে সেই সব আত্মীয়দের কৃতজ্ঞতা জানান যারা বিপদের সময় আপনাকে সাহায্য করেছে। পারিবারিক শান্তি বজায় থাকবে। এসময় বাড়ির লোকজনের মধ্যে ভাতৃত্ব ও পারস্পরিক ভালোবাসা স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। সপ্তাহের মাঝদিকে শিশুদের সমস্যা মোকাবিলা করতে কিছু সময় ব্যয় করুন। নতুন সম্পর্কগুলো দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। ফোন কল দীর্ঘ করার জন্য রোমান্টিক সঙ্গীকে জ্বালাতন করবেন। সপ্তাহের শেষদিকে কিছু শারীরিক সমস্যা পীড়া দিতে পারে। স্বাস্থ্য হল আসল সম্পদ। অলসতা থেকে মুক্তি পান ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন। গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ যত্নের সময়।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে যদি বাড়তি উপার্যনের উপায় খোঁজেন তবে নিরাপদ আর্থিক পরিকল্পনাগুলোতে বিনিয়োগ করুন। বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়রা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো পুরানো বন্ধুর সঙ্গে পুনঃমিলন উদ্দীপনা বাড়িয়ে তুলবে। আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি আপনার পক্ষে জরুরি। সম্পত্তি সংক্রান্ত কারবার বাস্তবায়িত হবে। আর অবিশ্বাস্য লাভ এনে দেবে। সপ্তাহের শেষ দিকে সঙ্গীর থেকে দূরে সরে থাকা অত্যন্ত কঠিন হবে। প্রেমে ধীরে ধীরে কিন্তু নিয়মিতভাবে পুড়তে থাকবেন।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ক্ষিপ্রগতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হবে। নির্দিষ্ট কিছু জরুরি পরিকল্পনা নির্বাহিত হওয়াতে নতুন অর্থনৈতিক লক্ষ্য এনে দেবে। সপ্তাহের মাঝদিকে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে সামাজিক বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করতে পারেন। অনেক বেশি অতিথির আগমন আপনার সপ্তাহান্তের মেজাজ নষ্ট করে দিতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে কাজে সম-মানসিকতার বন্ধুদের সাহায্য নিন। তাদের সময়োচিত সাহায্য আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও লাভদায়ক হবে। আর দুর্দান্ত সময় হতে চলেছে।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে বুঝে খরচ করুন। আজেবাজে খরচ না করতে চেষ্টা করুন। আর্থিক সীমাবদ্ধতা এড়াতে বাজেটে আটকে থাকুন। একটি বিশেষ সময় যেহেতু ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে লক্ষ্যনীয় কিচু করতে সক্ষম করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। বিশেষ করে বড় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে। রক্ষণশীল বিনিয়োগ করে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে চমক দিয়ে ভাই/বোন আপনাকে উদ্ধার করতে আসবে। একে অপরকে খুশি করার জন্য প্রয়োজন সমর্থন করার আর ঘনিষ্ট সহযোগিতায় কাজ করা।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে পরোপকার ও সামাজিক কাজের দিকে আকৃষ্ট হবেন। ভালো কাজের সময় দিয়ে জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পানে। আকস্মিক অপ্রত্যাশিত খরচ আর্থিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে এমন পরিবর্তন করুন যা আপনার উপস্থিতিকে উন্নত করে আর সম্ভাব্য সঙ্গীদের আকর্ষণ করে। নতুন ধারণা পরীক্ষা মূলক প্রয়োগের আদর্শ সময়। সপ্তাহের শেষদিকে পরিচিত মানুষদের মাধ্যমে উপার্জনের নতুন উৎস সৃষ্টি হবে। ভালো ধারণায় পূর্ণ থাকবেন। আর পছন্দের ক্রিয়াকলাপ প্রত্যাশ বহির্ভূত লাভ দেবে।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে মোবাইল ফোন কর্মক্ষেত্রে ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। এটাকে বেশি ব্যবহার করবেন না। ভালোবাসার উচ্ছাসে স্বপ্ন ও বাস্তবতা এ সময় মিশে যাবে। মানসিক শান্তির জন্য কিছু দান ও দাতব্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন শপিং সেন্টারে যেতে পারেন। তবে এটি আপনার ব্যয়কেও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে লক্ষ্যের প্রতি নীরব কাজ করে যান। সাফল্যে পৌঁছানোর আগে উদ্দেশ্যগুলো প্রকাশ করবেন না। কামদেব জীবনে প্রেমের ঝরনা বওয়াতে অগ্রধাবন করবেন।

রাজনীতি

বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় আকারের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রধান বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ দাভোসে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম এবং এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে এই প্রস্তাব দেন।

ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানিয়েছেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে এবং নির্গমন হ্রাস করে বন্দরটির দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক এই লজিস্টিক কোম্পানির সিইও বলেন, নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ বাংলাদেশে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম উল্লেখ করেন যে ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানে বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি আরও জানান, ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখনকার সরকার তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন কাস্টমস পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে।

তিনি আরও জানান, তারা বাংলাদেশের ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলোতেও বিনিয়োগ করতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমকে বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে আরও বন্দর নির্মাণ করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি করতেই হবে কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে জড়িত। আমরা এটিকে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায়, কারণ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের জন্য একটি আঞ্চলিক রপ্তানি হাব হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে, কারণ সময় হচ্ছে একটি খরচ।’

ডেনমার্ক-ভিত্তিক এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বলেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে এবং তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এটিকে একটি পরিবেশবান্ধব বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রবার্ট মোলার উগলা জানান, তারা মরক্কো এবং ওমানেও একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের বিনিয়োগে ওমানের সালালাহ বন্দর বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দরে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের ঢাকায় আসার এবং বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বাংলাদেশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে বেশ কিছু বন্দর নির্মাণ করতে হবে যাতে আমরা আঞ্চলিক ব্যবসার একটি কেন্দ্র হিসেবে আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি।’

জাতীয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৬৬ জনের নামে বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বগুড়া সদর থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

বাদী রফিকুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা এলাকার টুল্লু ফকিরের ছেলে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান দুলু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেন ছান্নু, আনোয়ার হোসেন রানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, আল রাজি জুয়েল, মাশরাফি হিরো, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, চেয়ারম্যান আবু জাফর, সুইপার সোহেল, আহসান হাবিব সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, নাছিমুল বারী নাছিম, জুলকার নাইন, ফিরোজ আহমেদ রিজু, বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম, তৌহিদুর রহমান মানিক, আমিনুল ইসলাম দুদু, রেজ্জাকুল ইসলাম রিজু, হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, এস এম রুপম, মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইস্ললাম শহিদ, মো. বেলাল, আব্দুল গফুর হাজী, এসকেন্দার আলী শাহানা প্রমুখ।

এ ছাড়াও বিএনপিপন্থি সাংবাদিক সেলিম উদ্দিনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় সেলিম উদ্দিনকে বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাসহ ৫ নম্বর পর্যন্ত এবং ২৭-২৯ নম্বর আসামিদের হুকুম ও নির্দেশে ৬-৭ নং আসামির নেতৃত্বে বাকি আসামিরা আন্দোলনের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এতে বাদীর ছেলের ডান পাশের কোমরে নিচের উরুতে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাদী তাঁর ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

রাজনীতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মামলা বাণিজ্য বন্ধ না হলে ফের মাঠে নামব। নৈরাজ্য বন্ধ না হলে শহীদদের রক্ত ছুঁয়ে করা কসমের মর্যাদা রাখতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরে শহীদ আবু সাইদ চত্বরের পথসভায় এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা মমতাজউদ্দিন, কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমির এটিএম আজম খান, সেক্রেটারি আনোয়ার ইসলাম কাজল, তাজহাট থানার আমির মাওলানা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

জামায়াত আমির বলেন, জুলাই বিপ্লবে হত্যাকাণ্ডের জন্য কেবল সরি বললেই হবে না। বরং প্রত্যেকটি খুনের বিচার হতে হবে। খুনিদের ক্ষমা করার তারা কেউ নন। দেশবাসীকে রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগেও রংপুর বিভাগে একাধিক পথসভা হলেও জুলাই বিপ্লবের টার্নিং পয়েন্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে প্রথমবার কোনো সমাবেশ করল জামায়াতে ইসলামী। এজন্য বিকেল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিট ও শাখা থেকে কর্মী সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে আবু সাঈদ চত্বরে। প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগেই সভাস্থল পূর্ণ হয়ে যায়।

রাজনীতি

স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের তাত্পর্য অপরিসীম। সুতরাং আজকের এ মহান দিনে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণ-আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে তা গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের।’

তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় প্রশস্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।’

আরেক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য দীর্ঘ আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উত্স।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধিকার অর্জনের চেতনাকে শানিত করে এবং সব অন্যায়-অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।’

আন্তর্জাতিক

ক্ষমতার মসনদে বসেই একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিশ্র“তি পূরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল তার কণ্ঠে।

ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ না করলে শুল্ক আরোপের পাশাপাশি আরও বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে রাশিয়া। ফলে যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে বেশ উদ্বেগেই আছেন পুতিন। রয়টার্স।

নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার ট্রাম্প এই প্রথমবার পুতিনকে নিয়ে মুখ খুললেন।

তিনি বলেছেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া ও যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।’

ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। চুক্তি করার জন্য এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে তা তিনি বলেননি। এখন আরও নিষেধাজ্ঞা বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন সেটাও স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউক্রেন অভিযানের কারণে একগাদা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত দুবছরে তেল, গ্যাস ও খনিজ রফতানি নির্ভর রুশ অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সামলাতে উচ্চ সুদহারে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ ব্যবসার গতি কমে গেছে, তেমনি কর্মী সংকটে দৈনন্দিন কাজ কর্মও চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সোমবার হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিয়েছেন ট্রাম্প।

প্রচারণার সময় থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করে আসছেন তিনি। ট্রাম্প পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সমঝোতায় রাজি না হলে রুশ অর্থনীতি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি প্রয়োজনে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করবেন না। তবে আলোচনায় বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব রাশিয়া এখনো পায়নি বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন ক্রেমলিনের এক কর্মী।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন পুতিন। তবে তার শর্ত হচ্ছে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের খায়েশ ইউক্রেনের ত্যাগ করতে হবে এবং দেশটিতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার কব্জায় আসা এলাকার দাবি ছেড়ে দিতে হবে।

রাজনীতি

সরকারের কোনো উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে তারা সরকারে থাকবেন না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একই সঙ্গে নতুন কোনো দল গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে না বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবিসি বাংলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে নির্বাচন, নতুন রাজনৈতিক দল, নিরপেক্ষ সরকার প্রভৃতি প্রসঙ্গ আলোচনায় আসে। মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি বক্তব্যের মূল নির্যাস যেটা বুঝেছি সেটা হলো-সরকার যেন নিরপেক্ষতা হারিয়ে না ফেলে। আমি মনে করি, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়-সরকারের নিরপেক্ষতা হারানোর কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু এটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে আসা একটা সরকার, এটা তত্ত্বাবধায়ক না, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেহেতু এটা গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত একটি সরকার, সেখানে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং নেতৃত্ব দেওয়া যে গোষ্ঠী, তাদের থেকে তিনজন প্রতিনিধি আমাদের এখানে আছেন।

তিনি আরও বলেন, এ প্রতিনিধি হিসাবে তারা তিনজন দল গঠন করছেন বা নাগরিক কমিটিতে আছেন, মোটেই এরকম নয়। যদি তারা কখনো মনে করেন নতুন কোনো দল গঠন পক্রিয়ায় তারা সম্পৃক্ত হবেন, তাহলে তারা সরকার ছেড়ে দেবেন। সরকার ছেড়ে গিয়ে দল গঠন করতে পারেন। যে কোনো মানুষই যে কোনো সময় দল গঠন করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন। তখন তিনি আর সরকারে থাকতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, সরকারের নিরপেক্ষতা হারানোর ব্যাপারে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আমি এর উত্তরে বলব, এরকম কোনো সুযোগ আসলে নেই। সরকারে থেকে কেউ দল গঠন করবে না। যদি কেউ দল গঠন করতে চায়, সরকার থেকে চলে যাবে এবং তারপর দল গঠন করবে। আর আমি ওনার সাক্ষাৎকার যেটুকু পড়েছি, উনি সরকারের সঙ্গে ওনাদের যে আস্থার সম্পর্ক রয়েছে, সেটা বারবার বলেছেন।

রাজনৈতিক দল গঠনে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরকম অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদি এরকম অভিযোগ থাকে, তাহলে বলব-আমি কোনো ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছি না। সরকার কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করবে? সরকারের মধ্যে কে পৃষ্ঠপোষকতা করছে? আশঙ্কার জায়গা থেকে ওনারা যেটা বলেছেন, সতর্কবার্তা হিসাবে নেওয়াই যায়। কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত আমি কোনো ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। সরকার কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে না।

তিনি আরও বলেন, আরেকটা কথা বলি-এই যে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রেও কিন্তু সব রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত ছিল। আমরা কিন্তু ছিলাম না। ওনারা মিলে আমাদের নির্বাচিত করে, মনোনীত করে এনেছেন।

সেক্ষেত্রে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা তো সবচেয়ে আগে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি কেউ দল গঠন করে, তাহলে ‘দে উইল নট বি পার্ট অব দ্য গভর্নমেন্ট অ্যানিমোর’।

বিনোদন

আগামী ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯৭তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (অস্কার)। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন কোনান ও’ব্রায়েন।

বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হলো অস্কারের মনোনয়ন তালিকাও।

এবারের মনোনীতদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমা- দ্য ব্রুটালিস্ট, এমিলিয়া পেরেজ, উইকড, কনক্লেভ, আ কমপ্লিট আননোন ও আনোরা। এছাড়া সেবাস্টিয়ান স্ট্যানের দিকেও নজর রাখতে হবে। তিনি তার গোল্ডেন গ্লোব জয়ের পর ডাবল মনোনয়নের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন।

দেখে নেওয়া যাক এবারের মনোনয়ন কারা পেলেন:

সেরা সিনেমা

আনোরা
দ্য ব্রুটালিস্ট
এ কমপ্লিট আননোন
কনক্লেভ
ডুন: ​​পার্ট টু
এমিলিয়া পেরেজ
আই’ম স্টিল হিয়ার
নিকেল বয়েজ
দ্য সাবস্ট্যান্স
উইকড

সেরা পরিচালক

আনোরা
দ্য ব্রুটালিস্ট
এ কমপ্লিট আননোন
এমিলিয়া পেরেজ
দ্য সাবস্ট্যান্স

সেরা অভিনেতা

অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, দ্য ব্রুটালিস্ট
টিমোথি চালামেট, আ কমপ্লিট আননোন
কোলম্যান ডোমিঙ্গো, সিং সিং
রে ফিয়েনেস, কনক্লেভ
সেবাস্টিয়ান স্ট্যান, দ্য অ্যাপ্রেন্টিস

সেরা অভিনেত্রী

সিনথিয়া এরিভো, উইকড
কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন, এমিলিয়া পেরেজ
মাইকি ম্যাডিসন, অ্যানোরা
ডেমি মুর, দ্য সাবস্ট্যান্স
ফার্নান্ডা টরেস, আই’ম স্টিল হিয়ার

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা

ইউরা বোরিসভ, অ্যানোরা
কিরান কুলকিন, আ রিয়েল পেইন
এডওয়ার্ড নর্টন, আ কমপ্লিট আননোন
গাই পিয়ার্স, দ্য ব্রুটালিস্ট
জেরেমি স্ট্রং, দ্য অ্যাপ্রেন্টিস

সেরা সহ-অভিনেত্রী

মনিকা বারবারো, আ কমপ্লিট আননোন
আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, উইকড
ফেলিসিটি জোন্স, দ্য ব্রুটালিস্ট
ইসাবেলা রোসেলিনি, কনক্লেভ
জো সালদানা, এমিলিয়া পেরেজ

সেরা পোশাক নকশা

এ কমপ্লিট আননোন
কনক্লেভ
গ্ল্যাডিয়েটর II
নোসফেরাতু
উইকড

সেরা মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং

এ ডিফারেন্ট ম্যান
এমিলিয়া পেরেজ
নোসফেরাতু
দ্য সাবস্ট্যান্স
উইকড

সেরা অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম

বিউটিফুল মেন
ইন দ্য শ্যাডো অফ দ্য সাইপ্রেস
ম্যাজিক ক্যান্ডিস
ওয়ান্ডার টু ওয়ান্ডার
ইয়াক!

সেরা লাইভ-অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম

এ লিয়েন
অনুজা
আই অ্যাম নট আ রোবট
দ্য লাস্ট রেঞ্জার
দ্য ম্যান হু ওয়াড নট রিমেইন সাইলেন্ট

সেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য

এ কমপ্লিট আননোন
কনক্লেভ
এমিলিয়া পেরেজ
নিকেল বয়েজ
গান গাও

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য

অ্যানোরা
দ্য ব্রুটালিস্ট
এ রিয়েল পেইন
৫ সেপ্টেম্বর
দ্য সাবস্ট্যান্স

সেরা মৌলিক গান

এল মাল,’ এমিলিয়া পেরেজ
‘দ্য জার্নি,’ দ্য সিক্স ট্রিপল এইট
‘লাইক আ বার্ড,’ সিং সিং
‘মি ক্যামিনো,’ এমিলিয়া পেরেজ
‘নেভার টু লেট,’ এলটন জন নেভার টু লেট

সেরা মৌলিক সুর

দ্য ব্রুটালিস্ট
কনক্লেভ
এমিলিয়া পেরেজ
উইকড
দ্য ওয়াইল্ড রোবট