বিনোদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তাদের এ রিমান্ড আদেশ দেন।

গতকাল (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাপসকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ (বুধবার) রিমান্ড শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান।

২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর ও তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন আওয়ামী লীগ নেত্রী। গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার এজাহারনামীয় আসামিরা বাদীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা, মারধরসহ গুলি বর্ষণ করতে থাকে।আসামিদের ছোড়া গুলি বাদীর পেটে, পিঠে, হাতে, মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হয়।

শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছর পর ফের দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান এই নেতা। এমন ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

সর্বশেষ সুইং স্টেট উইসকনসিনে জয় পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজ্যটিতে ১০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এ জয়ের ফলে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন ট্রাম্প।

এ পর্যন্ত কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ইলেকটোরাল ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৭টি ইলেকটোরাল ভোট।

এদিকে ট্রাম্পের জয়ী হবার খবর সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে তার শপথ নিয়ে।ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনে আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

১৮৪৫ সাল থেকেই এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে। সে সময় থেকেই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরিকল্পনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আইনি ও পদ্ধতিগত সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখা হয়। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচনি ফল অনুযায়ী, দেশটির নির্বাচনে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০টির প্রয়োজন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল পাঁচটায় এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান। দেশটির নির্বাচনে ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য খ্যাত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, মেইন, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিনে লাল শিবিরের জয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদ নিশ্চিত হয় ট্রাম্পের।

আন্তর্জাতিক

গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরাইলের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান। এরইমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে গেছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবার তার সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।‘ তেহরান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে এই কথা জানা গেছে।

তেহরান টাইমস’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি আজ এ খবর জানিয়েছে।

ইরানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরাইল’ গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচনের আগে হামলা চালাবে না ইরান।

তবে অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ইরান মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে।

তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস বলেছে, ইসরাইলি হামলায় ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা খামেনি গত সোমবার তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্য বস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরআগে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার একটি উচ্চপদস্থ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার একটি ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। তা আগামীকালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই হতে পারে।

ইরান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র ‘সিএনএন’কে বলেছেন, ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।‘ সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন ঘটবে।’

তবে, এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অর্থনীতি
রাজনীতি

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে আজ সোমবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান চিারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দূর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনের প্রধান করে ছয় কমিশন গঠন করা হয়। গত মাস থেকে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন।

বৈঠকে জানানো হয়;

১. পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদ্বারদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে।

২. জনসাধারণের মতামত চেয়ে একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে; যা ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

৩. কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে যেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য যথাযথ প্রস্তাব করা হচ্ছে।

৪. মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে।

৫. ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর কতিপয় ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কি না সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী।

মুয়িদ চৌধুরী জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে বলে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

খেলাধুলা

গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে শুধুমাত্র একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব আল হাসান। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আম্পায়ার।

তাই তার বোলিং অ্যাকশন ঠিকমতো পর্যালোচনার জন্য তাকে পরীক্ষা দিতে বলেছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। যদিও বোলিং করা থেকে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি বলে জানিয়েছে ক্রিকেট ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা হতে পারে। তবে কোন ল্যাবে পরীক্ষা হবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি। তা নিয়ে আলোচনা চলছে সাকিবের সঙ্গে। অ্যাকশন অবৈধ হলে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর বোলিং করতে পারবেন না এই অলরাউন্ডার। ফের কোনো ম্যাচে বল হাতে নেওয়ার জন্য অ্যাকশন শুধরে আসতে হবে তাকে।

১৮ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ তোলা হয়েছে। বর্তমানে বেশ ঝামেলার মধ্যেই আছেন তিনি। দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে তা হয়ে ওঠেনি। মানসিকভাবে বাজে সময় পার করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে দলে না রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

সরকারের পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফেরা হয়নি সাকিবের। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নীরব অবস্থানে ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। পরে হত্যামামলাও হয় এই অলরাউন্ডারের নামে।

তাই এতোকিছুর মাঝে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় শেষে সারের হয়ে এক ম্যাচ খেলতে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। ১৩ বছর পর কাউন্টিতে প্রত্যাবর্তন ব্যক্তিগতভাবে সুখকরই ছিল তার জন্য। সমারসেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। যদিও সেই ম্যাচে তার দল হেরেছে ১১১ রানে।

রাজনীতি

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ৭ নভেম্বর হচ্ছে এই সরকারের তিন মাস। কিন্তু এখনো ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তির কার্যক্রম। এতে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার নিষ্পতি হলেও এখনো প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা এসব মামলাকে মিথ্যা ও গায়েবি বলে দাবি করে আসছে বিএনপি। পটপরিবর্তন হলেও এখনো এসব রাজনৈতিক মামলায় নিয়মিত আদালতের এক বারান্দা থেকে আরেক বারান্দায় ছুটতে হচ্ছে তাদের। আগের মতো গ্রেফতার আতঙ্ক না থাকলেও মামলার ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। বিশেষ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তি চান নেতাকর্মীরা। অন্যথায় তারা এ নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবেন। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই স্তরের কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে বলা হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ দুই কমিটি কাজ করবে। রাজনৈতিক হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও নেতারা বলছে, মামলা প্রত্যাহারের কার্যকরী তেমন কোনো উদ্যোগ দেখছেন না তারা।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দেখছি কী হয়। তারপর আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশের মানুষ এত নির্যাতনের পরেও যাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) সবচেয়ে বেশি অবদান তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনার বিষয় হতে পারে, এটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যারা শেখ হাসিনার পতনের জন্য ১৫ বছর লড়ে সবকিছু ত্যাগ করে আজকের এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের মামলা এখনো যায়নি (নিষ্পতি) কেন? এটা স্বাভাবিকভাবে সবারই প্রশ্ন। সুতরাং এ বিষয়ে ব্যবস্থা যদি শিগগিরই করা না হয়, তাহলে যারা শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে তারা তো আর বসে থাকবে না।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সরকার তার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অসংখ্য মামলা দায়ের করেছিল। প্রত্যেকটা মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ আমরা দেখছি না। আমরা আইনগতভাবে প্রত্যেকটা পদক্ষেপই নিচ্ছি। তারেক রহমানের নির্দেশনা হচ্ছে তিনি দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান, সিআরপিসির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনিভাবেই তিনি তার মামলাগুলো মোকাবিলা করবেন এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি তার মামলার ফয়সালা চান। তবে যদি রাষ্ট্র কখনো মনে করেন যে, তারেক রহমানের মামলাগুলো উঠানো উচিত, সে ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চান তার রাজনৈতিক কর্মীদের সর্বশেষ মামলাটাও যেন তার আগে প্রত্যাহার হয়। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে ওনার বক্তব্য-কোনোক্রমেই ওনার মামলা নিয়ে এই অবস্থায় কোনো ধরনের প্রত্যাহারের আলোচনা হোক-সেটি তিনি চান না।

তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে আসতে পারেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) বাংলাদেশের নাগরিক। এক-এগারোর সময় তৎকালীন সরকার, আর্মি কেয়ারটেকার সরকার ওনাকে কাস্টোডিয়াল টর্চার করেন। যে টর্চারের কারণে তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওনার দেশে আসাটা একান্তই ওনার পারিপার্শ্বিক সবকিছু বিবেচনা করে, চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি মনে করি মামলার বিষয়গুলো ওনার আসা না আসার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ত নেই। তবে যেহেতু উনি আসবেন, দেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে যে, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে আসুক। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যদি চিন্তা করেন তাহলে তারেক রহমানের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের মাঠে দরকার। দেশে আসার ব্যাপারে তিনি যথাসময়ে চিন্তাভাবনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

বিএনপি নেতারা জানান, বিএনপিসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সবার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনোই একটা নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি হবে না। অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এসব রাজনৈতিক মামলা। স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

নেতারা আরও জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারের কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতির। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিগত ১৭ বছরে বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দল ও মতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতেই অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের দেড় মাস পর বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব কমিটি জেলা ও মহানগর পর্যায়ে মামলার তথ্য সংগ্রহ করবে। এর পর আইন মন্ত্রণালয় সেসব মামলা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আন্দোলনের ফসল হিসাবে সবাই স্বাধীনতা পেলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা এর ব্যতিক্রম। মামলার ফাঁদে আটকে পড়ে আছেন তারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহস্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো ১৬০টি মামলা রয়েছে, এর মধ্যে ৫টি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সবগুলো মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, যার কোনো ভিত্তি নেই। এখনো আদালতের বারান্দায় প্রায় প্রতিদিনই ঘুরতে হচ্ছে, যা দুঃখজনক। আইনজীবী ও বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর গত ৫ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ মামলায় ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুধু গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে তিন মাসের মধ্যে সারা দেশে ১ হাজার ৬৪৫ মামলায় প্রায় ৭০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে পাইকারি গ্রেফতারের পাশাপাশি গণহারে মামলার সাজা দেওয়া শুরু হয়। ওই সময় প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ঢাকার বিভিন্ন আদালত। বিএনপি ও আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যমতে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এখনো অন্তত ৯০টি মামলা চলমান রয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নামে প্রায় ৫০টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০টি, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ৫০টি মামলা রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ৩৫৭টি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ১৮০টির বেশি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ৪ শতাধিক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ৬০টি মামলা রয়েছে। প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর ৩১৫টি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর ২২৬টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের বিরুদ্ধে রয়েছে ২১২টি মামলা। একইচিত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও জেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও।

খালেদা জিয়ার মামলা : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ২০০৭-২০০৮ সালের জরুরি অবস্থায় ৪টি মামলা হলেও বাকিগুলো পরবর্তী সরকারের আমলে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৫ সালে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে সাজা হয়েছিল খালেদা জিয়ার, যা ৬ আগস্ট দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত ২১টি মামলা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালাস পান। এখনো ১৬ মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলমান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আরও রয়েছে-ঋণখেলাপির একটি মামলা, গুলশানে বোমা হামলার অভিযোগে মামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে ২ মামলা, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন পালনের মামলা বর্তমানে পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া ঢাকাসহ খুলনা, পঞ্চগড় ও কুমিল্লায় এখনো ৭টি মামলা।

তারেক রহমানের মামলা : বিএনপি ও আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যমতে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৭ বছরে ঢাকাসহ সারা দেশে ৮২টির বেশি মামলা হয়েছে। তবে মামলার পরিসংখ্যান যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে এক-এগারো সরকারের সময়ে ১৭টি। যার অধিকাংশ মামলা উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত আছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে ৬৫টির বেশি মামলা হয়। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ায় ১২টি মামলা খালাস ও প্রত্যাহারের তথ্য পেয়েছে । এছাড়া একটি মামলা বাদী তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে চারটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অভিযোগে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, এসব মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারেক রহমানের নাম ছিল না, আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে তার নাম দিয়েছে।

খেলাধুলা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক্ষেত্রে ড. ইউনূসের প্যারিস অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বিসিবি কর্তারা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএলের একাদশ সংস্করণ। এই আসরকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিসিবি। এরই মধ্যে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রচার স্বত্বাধিকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিসিবি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘নিজের উদ্যোগেই কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা এগিয়ে আসছেন। তারা বিশেষভাবে এটা নিয়ে কাজ করছেন। কীভাবে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড করে তোলা যায়, কীভাবে এটাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়…বিশ্ব যেন দেখে বাংলাদেশের তরুণেরা কী করতে পারে, বাংলাদেশের খেলা কেমন।’

বিশ্বব্যাপী বিপিএলকে ছড়িয়ে দিতে বিদেশি ফুটবলার থেকে হলিউড তারকাদের টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জনিয়ে ফাহিম বলেছেন, ‘যদি প্রফেসর ইউনূস মাঠে আসেন, একটা বক্তব্য দেন…আমরা যদি দেখি বিদেশ থেকে দারুণ নামকরা একজন ফুটবলার, হলিউড থেকে দারুণ একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী এখানে আসছে, এটার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে, এটা নিশ্চয় মিডিয়াতে আসবে। এবং এটা সারা বিশ্বের মিডিয়াতে আসবে।’

তবে কোন তারকাদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ এই বিসিবি কর্তা, ‘আমি এখনই নাম বলতে পারছি না বা বলতে চাই না। ক্রিকেট হতে পারে বা বাইরের অন্য স্পোর্টসের হতে পারে। স্পোর্টসের বাইরেও হতে পারে। এমন কাউকে এবার দেখতে পারি।’

বিনোদন

দেড় মাসের মাথায় আবারও সংশোধনপূর্বক পুনর্গঠন করা হয়েছে গঠিত ‘জুরি বোর্ড’।

যেখানে স্থান পেয়েছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, অভিনেতা খাজা নাইম মুরাদ ও সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু।

সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ পঞ্জিকা বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র মূল্যায়নপূর্বক পুরস্কারপ্রাপকদের নাম সুপারিশ করার জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত ‘জুরি বোর্ড’ সংশোধনপূর্বক পুনর্গঠন করা হল।”

পুনর্গঠিত জুরি বোর্ডে অন্য সদস্যরা হলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন পলাশ, সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফী বিভাগের চেয়ারম্যান এস এম ইমরান হোসেন।

পদাধিকার অনুযায়ী জুরি বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।

এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখার প্রধান।

এ নিয়ে চলতি বছর তিন বার জুরি বোর্ড গঠন করা হলো।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বরে গঠিত জুরি বোর্ডে সদস্য করা হয়েছিল অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী অপি করিম, সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদকে।

জাতীয়

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর শেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ মুনসুর যুগান্তরকে বলেন, সাংবাদিক মোল্লা জালালের বিরুদ্ধে চারদিন আগে শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ওসি খালেদ মনসুর।