রাজনীতি

“যারা এমন কিছু করবে যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব,” বলেন তিনি।

রাজনীতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জাতিসংঘ মিশনের পক্ষে ছিলেন সারা পিট্রোপাওলি, রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিভাগ এবং নির্বাচনী সহায়তা বিভাগ; আদিত্য অধিকারী, রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ ও জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিভাগ এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগ; নাজিয়া হাশেমি, উপদেষ্টা ডিজিটাল যুগে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া (ইউএনডিপি)।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সাক্ষাৎ শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘জাতিসংঘের নির্বাচনী মিশনের সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের আমন্ত্রণে আজ আমরা এখানে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছি। তারা কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছিল, ইলেকশনে ইউএনডিপি কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে, স্বচ্ছ-ফেয়ার ইলেকশন হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এবং সে ব্যাপারে আমরা কী ভাবছি। এসব বিষয়ে তারা কথা বলেছে এবং ইউএনডিপির এ মিশনকে আমরা ওয়েলকাম করি কিনা। আমরা বলেছি, যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমরা ওয়েলকাম করি সহযোগিতার জন্য। তবে ইন্টারফেয়ার করার জন্য নয়। উইদাউট ইন্টারফেয়ারয়ে যদি আমাদের টেকনিক্যাল এবং ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করে সেটার জন্য আমরা বলেছি, ইউ আর ওয়েলকাম।

তিনি আরও বলেন, ইলেকশন ফেয়ার হওয়ার ব্যাপারে আমরা আরেকটি কথা বলেছি, প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করার জন্য। কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে ইলেকশনের সার্বিক পরিস্থিতি বুঝা যাবে। এখানে হিউজ ফান্ডের কথা আসছে। আমরা বলেছি, এক্ষেত্রে তোমরা আমাদের সহযোগিতা করো। ইলেকশন ফেয়ার করার জন্য এটা বড় ধরনের সহযোগিতা হবে। তারা পার্টিসিপেটরি ইলেকশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা বলেছি, আমরা নীতিগতভাবে পার্টিসিপেটরি, ফেয়ার, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা আমাদের মূলনীতির ভেতরেই আছে। এরপর তারা বলেছে, নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে? আমরা বলেছি, অ্যাজ আরলি অ্যাজ পসিবল টাইমে সম্ভব। তবে এখানে কিছু জরুরি রিফর্মস প্রয়োজন। উইদাউট রিফর্মসয়ে যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন আগের মতোই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জরুরি রিফর্মস করা এবং ইলেক্টরাল ল’ চেঞ্জ করা যেটা ইলেকশনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বেশি অথরিটি দেবে; আমরা সেটার ওপর জোর দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার। দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী কন্টিনিউ করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। এসব বিষয়েও রিফর্মস হওয়া দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। এক্ষেত্রে রিফর্মস কমিশন যেসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা মনে করি, সেগুলোকে নিয়েই সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনতিবিলম্বে ডায়ালগ শুরু করা দরকার। ডায়ালগ শেষ করেই কনসেসাস তৈরি করা প্রয়োজন মৌলিক বিষয়গুলোতে। এরপর ইলেকশন শুরু করার জন্য যে সময় দরকার তার ভিত্তিতেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। সুতরাং মিনিমাম, পসিবল, নেসেসারি রিফর্মস এবং তারপর নিয়ারেস্ট শর্টেড টাইমের ভেতের নির্বাচন করা। এটা হচ্ছে আমাদের স্ট্যান্ড- এর কথা। উইদাউট রিফর্মস-এ যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে, এটা আমরা মনে করি। আর রিফর্মস- এর নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করা এটাও সঠিক হবে না। মৌলিকভাবে এসব বিষয়ে আজ আমাদের কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। তাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং তারাও তাদের বক্তব্য রেখেছে। আমরা বলেছি, প্রয়োজনীয় রিফর্মস করে যথাসম্ভব নির্বাচন দেওয়া। এটাই আমাদের স্ট্যান্ড।

আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, পিপল উইল সে, এনভায়ারনমেন্ট উইল সে- পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। সেখানে পরিস্থিতি এবং জনগণের যে মতামত এবং ম্যান্ডেট থাকবে সেটাই আমাদের স্ট্যান্ড। সেখানে আমাদের বিশেষ কোনো নিজস্ব কিছু নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত বিষয়ে মতামত দেবে না। এটা জনগণ উইল ডিসাইড, সোসাইটি উইল ডিসাইড, সিসুয়েশন উইল ডিসাইড, এনভায়ারনমেন্ট উইল ডিসাইড।

আগে স্থানীয় সরকার না জাতীয় সরকার নির্বাচন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো মতামত ঠিক করিনি। আমরা আলোচনা করব এবং তারপর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাবো।

কেয়ারটেকার সরকারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা তো একেবারেই আমাদের মৌলিক দাবি। এর আগে যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল তা জামায়াতে ইসলামীই আগে করেছিল। পরে অন্যান্য দল এটাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। এটা সংবিধান সংযোজিত হয়েছিল। কিন্তু আনফরচুনেটলি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে। তারাও আন্দোলন করেছিল আমাদের সঙ্গে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য। নিজের সুবিধার জন্য তারা এটি বন্ধ করেছে। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা আমাদের মৌলিক দাবি এবং এটাই হতে হবে।

জাতীয়

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আজ একটি হোটেলে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক একটি রিজিওনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি’র স্টিফান লিলার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখা হতে চট্টগ্রামে কর্মকরত ৫৭ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে এই সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছিল। এছাড়াও সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌশুলি, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত এ খসড়া অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালু করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।

বিনোদন

দুই বাংলারই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢালিউড থেকে টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি বলিউডেও পা রেখেছেন।

কাজ হোক বা ব্যক্তিগত জীবন সবটা নিয়েই অভিনেত্রী থাকেন চর্চায়। কিন্তু এর মাঝে আমচাকই পোষ্যকে নিয়ে ছুটলেন চিকিৎসকের কাছে!

লিখলেন তিনি ও তার পোষ্য নাকি ভুগছেন একই অসুখে! হঠাৎ কী হল নায়িকার?

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জয়া আহসান। সেখানে দেখা যায় নিজেকে ও পোষ্যকে গরম পোশাকে ঢেকে গাড়িতে করে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।

ভিডিওটি পোস্ট করে নায়িকা ক্যাপশনে জয়া আহসান লেখেন, আমার বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য জিমির সঙ্গে আলাপ করুন। আমরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি, কারণ আমাদের দুজনেরই ঠান্ডা লেগে গিয়েছে।

অভিনেত্রীর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা নানা কমেন্টে ভরে গিয়েছে। এই শীতের সময়ে এখন ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। তাই এক অনুরাগী লিখেছেন, তোমাদের দুজনকেই সুন্দর লাগছে। জানো আমারও অবস্থা তোমাদের মতো। আমারও খুব সর্দি-কাশি হয়েছে, কান-নাক সব বন্ধ, কিন্তু তবুও পার্টি করছি। তোমরা দুজন নিজের স্বাস্থ্যের খুব যত্ন নাও।

এ মুহূর্তে জয়া আহসান ‘জিম্মি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং করছেন। এতে তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে জয়ার। কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘ওসিডি’ সিনেমা। এছাড়া দেশে মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘জয়া আর শারমিন’, ‘ফেরেশতে’ সিনেমাগুলো।

খেলাধুলা

রনি তালুকদারের সঙ্গে অ্যারন জোনসের জুটি আশা দেখাচ্ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি।

তাদের ৬ রানে হারিয়ে আসরের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে ঢাকা। দুই ওপেনার মিলে শুরুটা ভালোই করেন। তবে ১৬ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিম বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় তারা। তবে একপ্রান্তে ঝড় বইয়ে দেন লিটন। ৪৮ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে ছক্কা ও চার।

অন্য প্রান্তে অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে আসা-যাওয়া চলছিল। সেটিও থামে সাব্বির রহমান (২১ বলে ২৪ রান) ও থিসারা পেরেরা (১৭ বলে ৩৭ রান) দাঁড়িয়ে গেলে।

পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রানেই দুই উইকেট হারায় সিলেট। তবে তৃতীয় উইকেটে জোনসকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন রনি। জোনস অবশ্য কিছুটা ধীর-সুস্থেই খেলেন। ৩২ বলে ৩৬ রানে আউট হন তিনি। এরপর থিসারা পেরেরা তুলে নেন রনিকে। ৪৪ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার।

তবুও লক্ষ্য নাগালের মধ্যেই ছিল সিলেটের। জাকের আলী ১৩ বলে ২৮ রান করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর আস্থা থাকে আরিফুল হকের ওপর। কিন্তু শেষ ওভারে অধিনায়ক বিদায় নিলে সিলেটের হার তখন অবশ্যম্ভাবী। ১৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রানে আউট হন আরিফুল। শেষ দুই বলে ১১ রানের প্রয়োজন হলেও ৭ উইকেটে ১৯০ রানেই থামে সিলেট।

এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠেছে ঢাকা। সমান পয়েন্টে সিলেট নেমে গেছে একদম তলানিতে।

অর্থনীতি

অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা না পেলে সংস্কার পক্ষের মানুষ ধৈর্যহারা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এ ছাড়া সংস্কারের পক্ষের মানুষগুলো অর্থনৈতিক অস্বস্তি ও নিরাপত্তার অভাব থেকে সুষম সংস্কারের পক্ষ থেকে সরে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রথম অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা না পেলে সংস্কার পক্ষের মানুষ ধৈর্য হারা হবে। এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির ধারা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা যদি নিশ্চিত করতে না পারি; তাহলে আমরা যারা সংস্কারকে গতিশীল করতে চায় তারা ধৈর্য হারা হয়ে যাবে। সংস্কারের পক্ষের মানুষগুলো অর্থনৈতিক অস্বস্তি ও নিরাপত্তার অভাব থেকে সুষম সংস্কারের পক্ষ থেকেও সরে যেতে পারে।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার যতটা মনোযোগ পাচ্ছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ততটা মনোযোগ পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো অর্থনৈতিক ম্যানিফেস্টো নেই। অনেকেই বলছেন অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই সরকার আগের সরকারের মতোই কাজ করছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সেক্টর বেশি মনোযোগ পাচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংস্কারে কোনো মনোযোগ নেই। অবিবেচকভাবে পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক আশিক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী ৪৬০ জনেরও বেশি সেনা সদস্য হারিয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় রুশ মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী ৪৬০ জনের বেশি সেনা, চারটি ট্যাংক, চারটি ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল, একটি সাঁজোয়া কর্মী পরিবহন যান, ৯টি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান, ৫৭টি যানবাহন, পাঁচটি আর্টিলারি সিস্টেম, একটি মর্টার, একটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ স্টেশন, একটি সাঁজোয়া পুনরুদ্ধার যান, চারটি ইউএভি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং একটি গোলাবারুদ ডিপো হারিয়েছে।

এ নিয়ে কুরস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন মোট ৫৩,৩৩০ জনের বেশি সেনা এবং ৩০৮টি সামরিক যান হারিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এদিন আরেকটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশেষ সামরিক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সেনারা দুটি সম্প্রদায়কে মুক্ত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সক্রিয় যুদ্ধ অভিযানের ফলে ব্যাটলগ্রুপ ওয়েস্টের ইউনিটগুলো লুগানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের নভোয়েগোরোভকা বসতি মুক্ত করেছে। অন্যদিকে ব্যাটলগ্রুপ সেন্টারের ইউনিটগুলো শত্রুর প্রতিরক্ষার গভীরে অগ্রসর হতে থাকে এবং দোনেৎস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের শেভচেঙ্কোর বসতি মুক্ত করেছে। সূত্র: তাস

বিনোদন

ধনকুবের ইলন মাস্ক। সম্পদ কিংবা তার নিত্যনতুন আবিষ্কার নিয়ে হরহামেশা-ই খবরের শিরোনাম হন। ফের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের এই বন্ধু শিরোনামে। তবে এবার সম্পদ বা কোন আবিষ্কার নয়, বরং ওজন কমিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা জানিয়েছে, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক ওজন কমানোর সংগ্রামের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কীভাবে তিনি ওজন কমিয়েছেন তা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন এই শীর্ষ ধনকুবের।

হুট করেই ওজন কমিয়ে হাজির হয়ে সবাইকে বিমোহিত করেছেন ইলন। তার অনুসারীরাও এতে হতবাক। ওজন কমানো নিয়ে নিজের অনুসারীদের পরামর্শ দিয়েছেন এই ধনকুবের।

ইলন মাস্ক জানান, ওজেমপিকের (ওজন কমানোর ওষুধ) পরিবর্তে মৌনজারো নামের একটি ইনজেকশন নিয়েছেন তিনি। আর এতেই তার ওজন আগের তুলনায় কমেছে। তবে, ইনজেকশনটি নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শের কথাও বলেছেন এই ধনকুবের।

নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) স্যান্টা ক্লসের পোশাক পরিধান করে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইলন মাস্ক। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেনে, ‘ওজেমপিক সান্টা। ওজেমপিকের চেয়ে মৌনজারো আমার দেহে বেশি কার্যকর। ওজনপিক আমাকে মোটা করে তুলেছিল।’

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আবার হোয়াইট হাউজে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

এরপর জাতির উদেশে ভাষণ ট্রাম্প। বলেন, ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রাখার কারণ আছে। তিনি বলেন, শিগগিরিই পরিবর্তন আসবে।

ট্রাম্প জানান, সোমবারই মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হবে।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের শপথ উপলক্ষ্যে সোমবার ওয়াশিংটনের সর্বত্রই ছিল সাজসাজ রব। নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল পুরো শহর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার সদস্য এ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করেন। ৪ বছর পরপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আয়োজন খোলা স্থানেই করা হয়। কিন্তু তীব্র ঠান্ডার কারণে কংগ্রেস ভবনের ভেতরে এবার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো কংগ্রেস ভবনের রোটুন্ডায় করা হয় পুরো আয়োজন। ভয়াবহ ঠান্ডার কারণে এমনটি করা হচ্ছে বলে শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন। কংগ্রেস ভবনের ভেতরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবার বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানে মাত্র ২০ হাজার অতিথির বসার স্থান রয়েছে। যারা ভেতরে ঢোকার টিকিট পাননি, তারা ন্যাশনাল মলে বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেছেন। শপথের পর ট্রাম্প ক্যাপিটল থেকে হোয়াইট হাউজে একটি জমকালো প্যারেডের মাধ্যমে যাত্রা করেন। ট্রাম্পের সম্মানে ক্যাপিটল রোটুন্ডায় কুচকাওয়াজও আয়োজন করা হয়। এর আগে ১৯৮৫ সালে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর ১২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরাজয়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফিরলেন।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি : ট্রাম্পের এই শপথ অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি জগতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের উপস্থিতি ছিল বড় চমক। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ এবং টিকটকের প্রধান নির্বাহী শৌ চিউসহ আরও অনেকে এই অনুষ্ঠানে ভিআইপি আসনে ছিলেন। বিদায়ি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামাও উপস্থিত ছিলেন। অন্য প্রেসিডেন্টদের স্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে ছিলেন না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রথাগতভাবে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো না হলেও ট্রাম্প ইতালি ও হাঙ্গেরির ডানপন্থি নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও ভিক্টর অরবান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে।

অর্থনীতি

উন্নয়নকে সবসময় পরিবেশের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, আইন যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ কমিশন গঠন করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত দুইদিনের বিশেষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন।

শুক্রবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে বাপা ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)। রেহমান সোবহান বলেন, দেশের বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মানলেই পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব। অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতি পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ।

পরিবেশ সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা নিজেই একজন পরিবেশবিদ। তিনি ইতোমধ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার কমিশন ও বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জ্বালানি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি; বরং ওই অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংস করে এমন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

একই অনুষ্ঠানের পৃথক অধিবেশনে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নদী আইনে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। তিস্তা নিয়ে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে যাবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাপা সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বেনের প্রতিষ্ঠাতা ও বাপার সহসভাপতি নজরুল ইসলাম। স্ব-অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিবেশ রক্ষামূলক কাজের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখা কঠিন হচ্ছে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, এ কাজে সম্মিলিত উদ্যোগ ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, দীর্ঘ পথচলায় বাপার অনেক অর্জন থাকলেও সারা দেশে কার্যকর পরিবেশ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। দেশে স্থানীয় পরিবেশ সমস্যা নিয়ে ভুক্তভোগীরা আন্দোলন করছেন, যাদের অনেকের কাছে বাপা পৌঁছাতে পারেনি। প্রথম অধিবেশনে ‘রাজনীতিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাপা ও পরিবেশ রক্ষার সংগ্রাম’, দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘নদনদী ও পানি ব্যবস্থাপনা’ এবং তৃতীয় অধিবেশনে ‘বায়ু, শব্দ ও দৃষ্টিদূষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতায় অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো পরিবেশের সমস্যাগুলো আমলে নিতে শুরু করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পরিবেশ আন্দোলনের কারণেই রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে পরিবেশের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

‘নদনদী ও পানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নদী আইনে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এজন্য সম্মতিপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি এলেই বাংলাদেশ ওই আইনে স্বাক্ষর করবে। বাংলাদেশ তিস্তা নিয়ে ভারত ও চীন- এ দুই দেশের সঙ্গেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফলে বাংলাদেশ জটিল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। তবে তিস্তা নিয়ে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে যাবে বলে তিনি উল্লে­খ করেন।

এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল লতিফ, বেন-এর বৈশ্বিক সমন্বয়কারী খালেকুজ্জামান, বাপার সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদুল ইসলাম ও খুশী কবির, বাপা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির প্রমুখ।

শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ণ’, ‘জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও জলবায়ু পরিবর্তন’ এবং ‘বন, পাহাড়, উপকূল ও আদিবাসী অধিকার’ শীর্ষক তিনটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সবার মতামতের ভিত্তিতে সম্মেলনের প্রস্তাব গৃহীত হবে।