খেলাধুলা

চতুর্থ যুব ওয়ানডেতেও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের দারুণ বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন লেগ স্পিনার দেবাশিস সরকার। প্রতিপক্ষকে অল্পে গুটিয়ে, আরেকটি অনায়াস জয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য সাইবার আক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতামূলক ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম তোফায়েল আহমাদ এক চিঠিতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ অনুরোধ জানান।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনায় বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন তথ্যও জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এসব সাইবার অপরাধী প্রতিনিয়ত দেশের সাধারণ মানুষ তথা ব্যাংকের গ্রাহকদের হয়রানি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকারও হচ্ছে। এ ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকগুলোকে ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজনীতি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার ও তার আওয়ামী লীগের জায়গা এই বাংলাদেশে আর হবে না। বাংলাদেশের জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না, তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, দেশে গণহত্যা চালিয়ে এ দেশ থেকে পালিয়েছে। তাদের জায়গা এ দেশের মাটিতে আর কখনই হবে না। আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, যে সরকার জনগণ এর কল্যাণে কাজ করবে, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে সেগুলো আগামী দিনে বিএনপি করবে না, বিএনপি কথা দিয়ে কথা রাখে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিয়ন মাঠে কাঁঠালিয়া বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এখন জনগণের একমাত্র প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, কারণ দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ প্রধানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. ইসহাক মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বিজি রশিদ নওশের, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সালেহ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য জাহিদুল কবির ভূঁইয়া, আব্দুর রউফ ফকির রনি, সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

রাজনীতি

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ সফরকারী সর্বোচ্চ পর্যায়ের অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তা হিসেবে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার সরকার ঢাকায় আবারও ভিসা কেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আলোচনা চালাতে আগ্রহী।

অধ্যাপক ইউনূস দেশের সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফর এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকম পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করায় অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

বার্ক তার নিজের নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রেখেছিলেন এবং স্বৈরাচার পতনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে আনন্দ উদযাপন করেছে তা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনমানুষের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক আশাবাদ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশ পুনর্গঠন একটি বৃহৎ কাজ, কারণ স্বৈরাচারী শাসন সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বিশাল। মানুষের প্রত্যাশা মেটানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে দেশবাসী ধৈর্য ধরেছে। দেশকে পুননির্মাণ করতে হবে।’

বার্ক বাংলাদেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, এই বিষয়ে তাঁর সরকার আলোচনা শুরু করতে চায়।

আলোচনার সময় বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, বিশেষ করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার বীজ এই আন্দোলন থেকেই আসে।’

ড. ইউনূস সরকার গঠিত বিভিন্ন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন, যারা স্বৈরাচারী শাসনের সময়ের শত শত গুমের ঘটনা তদন্ত করছে।

অধ্যাপক ইউনুস অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশের শহর ও গ্রামের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরালের সংকলন ‘আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ নামক একটি বই উপহার দেন।

অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপহারটির প্রশংসা করেন এবং নগরীর কিছু এলাকায় গিয়ে সেসব শিল্পকর্ম নিজ চোখে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরের একটি এলাকায় হত্যা প্রচেষ্টা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এদিন গাজার উত্তরে একটি বাড়িতে হামলা চালায়। যেখানে হালেভির উপস্থিত থাকার কথা জানা গিয়েছিল।

ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, তবে হামলার সময় ওই বাড়ি থেকে নিরাপদে চলে যাওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পান ইসরাইলি সেনাপ্রধান।

একটি ইসরাইলি সূত্র জানায়, হালেভি উত্তর গাজায় চলমান ইসরাইলি সেনা অভিযান পরিদর্শন করছিলেন এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। সেই সময়ে একটি বাড়ির ওপর অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়।

তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: ইরনা

আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহ তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। তার নাম নাইম কাসেম।

মঙ্গলবার নামটি ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। খবর আল জাজিরার।
কাসেম ছিলেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উপনেতা। তিনি গোষ্ঠীটির সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে হাসান নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন।

গত মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর ওপর তাদের দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করে। সেই থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, কাসেমকে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। কারণ তিনি দলের নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি অবিচলভাবে অনুগত।

এ ছাড়া গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, যেন কাসেম হিজবুল্লাহ ও তাদের ইসলামি প্রতিরোধের নেতৃত্বে এ মহান দায়িত্ব পালনে সঠিক পথে পরিচালিত হন।

নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ফলে হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক পর্যায়ে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।

নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তার খালাত ভাই হাশেম সাফিদ্দিন ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির নতুন নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে বৈরুতে ইসরায়েলের আরেক হামলায় তিনিও নিহত হন।

৭১ বছর বয়সী কাসেমকে প্রায়শই হিজবুল্লাহর “নাম্বার টু” বলা হতো। শিয়া রাজনীতিতে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত শতকের আশির দশকের শুরুতে গোষ্ঠীটি গঠন করা ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন তিনি।

২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর যখন নাসরুল্লাহ মূলত আত্মগোপনে চলে যান, তখন তিনি ছিলেন হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা যিনি জনসমক্ষে উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন।

নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তিনটি টিভি ভাষণ দেন কাসেম। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিবাদী এক বার্তায় বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এবং জিততে প্রস্তুত।

রাজনীতি

রাজধানীর কচুক্ষেতে পোষাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, খুব নিকট সময়ের ভিতরেই গোপালগঞ্জের পর ঢাকার কচুক্ষেতে এই ঘটনা ঘটলো। শ্রমিকদের যদি কোনো ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান করবেন এটাই তাদের কর্তব্য। কিন্তু বিক্ষোভকালে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এটা যদি বিশেষ কোন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হয়ে থাকে, দেশ এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার কোন ছক থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনোই সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজনীতি

কেন জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চান তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচন চাই এজন্য যে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। সেজন্য আমরা মনে করি এক হচ্ছে সংস্কার করতে হবে, তা নিয়ে যাবে পার্লামেন্টে, সেভাবেই অনুমোদন করা হবে। ডিবেট করে সেখানে তা পাশ করাতে হবে এবং তাদের জনপ্রতিনিধিকে গ্রহণ করিয়ে সেটা করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে তত দেশের জন্য মঙ্গল।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত- ফাঁদ থাকলে সেখানে শত্রুরা বিপ্লবকে ব্যর্থতায় পরিণত করতে সুযোগ পেয়ে যায় এবং পাচ্ছে। দেখবেন নানা মহল বিভিন্ন জায়গায় দাবি-দাওয়া নিয়ে আসছে। কেন তা আগে কেউ করেনি, এখন নিয়ে আসছে কেন? অপেক্ষা করেন? জনগণের সরকার আসুক। এসব বিষয় বুঝা উচিত, মাথা রাখতে হবে। অনেকে বলেন যে, এতদিন পারিনি তাই এখন দাবিগুলো নিয়ে আসছি। এটাতে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।

কিছু উপদেষ্টার কথায় খটকা লাগে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা সরকারে দায়িত্ব পালন করছেন উপদেষ্টারা। তারা এমন কোনো কথা বলবেন না বা এমন কোনো কাজ করবেন না- যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হন। আমাদের সম্ভবত স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা (হাসান আরিফ) বলেছেন, চার বছর সরকারের মেয়াদ। এটা তার বলার কথা নয়। তারা কমিশন গঠন করেছেন সেই কমিশন প্রস্তাব দেবেন। জনগণ গ্রহণ করবে, তারপর না জনগণ ঠিক হবে; কিন্তু যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন তিনি যদি বলেন যে, সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে তাহলে একটা চাপ পড়ে যায়। এই কাজটা হাসিনা (শেখ হাসিনা) খুব ভালোভাবে করতেন। যেকোনো মামলার রায়ের আগে বলে ফেলতেন ওইটা ওটা। এসব কখনো সঠিক পথে নিয়ে যাবে না। তাই অনুরোধ করব, এমন কথা-বার্তা না বলা উচিত যেটাতে জনগণ বিভ্রান্ত হন।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে। আমরা সব সময় সকল সম্প্রদায় একসঙ্গে কাজ করে আসছি, একসঙ্গে যুদ্ধ করেছি। ইদানীং দেখছি একটা সম্প্রদায়ের মানুষ বড় রকমের আন্দোলন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সেটা কেন জানি না, বাংলাদেশের বিপদ সম্পর্কে ভারতের যে বক্তব্য তার সঙ্গে মিলে যায়। যেটা বাংলাদেশের এই বিপ্লব, ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে যে অর্জন করা সেটাকে অনেকাংশে বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এই কথা বলতে আমি বাধ্য হলাম। আমাকে বিদেশের সাংবাদিকরা টেলিফোন করেন, বিশেষ করে ভারতের সাংবাদিকরা, তারা বলতে চান- স্যার ড. ইউনূস কী রাষ্ট্র চালাতে পারছেন না। এ ধরনের কথাবার্তা তাদের কাছ থেকে আসে। আমি তাদের বলি প্রশ্নই উঠতে পারে না। গোটা দেশের মানুষ তার (ড. ইউনূস) ওপর আস্থাশীল। তিনি সুন্দরভাবে দেশ চালাচ্ছেন। যাকে মানুষ সমর্থন দিয়েছে সেখানে কোনো কিছু থাকতে পারে না।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির তানিয়া রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

জাতীয়

জাতীয় সংসদের স্পিকারের অবর্তমানে তার প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন অন্তর্বর্তী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয় (অন্তর্বর্তী বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়টি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করলে আইন উপদেষ্টা এ দায়িত্ব পালন করবেন।

তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। এ ছাড়া সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও এই বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয় (অন্তর্বর্তী বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য সংসদ সচিবালয়ের সব ধরনের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা যেমন পদ সৃজন ও বিলুপ্তি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংখ্যা নির্ধারণ ও হ্রাস-বৃদ্ধি, বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, তৃতীয় ও তদূর্ধ্ব গ্রেডে পদোন্নতি, নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়সহ অন্যান্য সব বিষয় (সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৪ অনুযায়ী সংসদ কার্য সংক্রান্ত দায়িত্ব ব্যতীত) সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার (আসিফ নজরুল) ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়।

আইনের খসড়ায় সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টাকে চেয়ারম্যান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সংসদ সচিবালয় কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কিছু দায়িত্ব যেমন পদ সৃজন ও বিলুপ্তি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংখ্যা নির্ধারণ ও হ্রাস-বৃদ্ধি, বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ইত্যাদি সংসদ সচিবালয় কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে স্পিকার পালন করে থাকেন।

এই অধ্যাদেশের উদ্যোগের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করায় রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও পদত্যাগ করেন। স্পিকারের অবর্তমানে সংসদ সচিবালয়ের দৈনন্দিন, প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজসহ অন্যান্য বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আইনানুযায়ী সংসদের স্পিকার সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান।

আন্তর্জাতিক

প্রায় ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ভোটার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি সুইং স্টেটই নির্ধারণ করে দিতে পারে যে, আগামী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প- উভয়েই এখন এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত, যেখানে ফলাফল এখনো অনিশ্চিত।

সুইং স্টেট কি?

সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হলো এমন সব অঙ্গরাজ্য যেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান, সমান সমর্থন পেয়ে থাকে। তাই এই অঙ্গরাজ্যগুলো যে কোনো প্রার্থীর জয়লাভের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এবারে এ ধরনের ৭টি সুইং স্টেট বা ভাগ্য নির্ধারক অঙ্গরাজ্য হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন।

১. অ্যারিজোনা

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১০,০০০ ভোটে অ্যারিজোনাতে জয়ী হন। এই অঙ্গরাজ্যে অভিবাসন নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মেক্সিকো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

কমলা হ্যারিসের নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প অভিবাসন নীতি প্রসঙ্গে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও এখানে গর্ভপাত অধিকার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ রিপাবলিকানরা এখানে গর্ভপাতের বিষয়ে প্রায় পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছেন।

২. জর্জিয়া

২০২০ সালে বাইডেনের সামান্য ব্যবধানে জয়ের পর জর্জিয়া ট্রাম্পের জন্য একটি অঘোষিত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি নির্বাচনী হস্তক্ষেপের অভিযোগের মুখোমুখি। এই অঙ্গরাজ্যের আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠী ডেমোক্রেট কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাইডেন প্রশাসন সম্পর্কে এখানে অসন্তোষ বাড়ছে, যা কমলা হ্যারিসের প্রচারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩. মিশিগান

মিশিগানে বাইডেন ২০২০ সালে ১,৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তবে এ বছর এখানে ডেমোক্রেটদের প্রতি আরব-আমেরিকানদের সমর্থন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাইডেনের ইসরাইল নীতি এবং গাজা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। কমলা হ্যারিস তার প্রচারাভিযানে ইসরাইলের প্রতি অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছেন, যাতে এই জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করা যায়। অন্যদিকে ট্রাম্প দ্রুত সামরিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধের শেষ দেখতে আগ্রহী।

৪. নেভাদা

যদিও নেভাদা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি ছিল। তবে সাম্প্রতিক জরিপগুলো রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থনের বৃদ্ধি দেখাচ্ছে। এখানকার ভোটারদের মধ্যে লাতিন জনগোষ্ঠীর ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেভাদাতে মহামারীর পর আর্থিক পুনরুদ্ধার বেশ ধীরগতিতে হয়েছে, যা এখানকার উচ্চ বেকারত্ব এবং জীবনযাত্রার ব্যয়কে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় করে তুলেছে।

৫. নর্থ ক্যারোলিনা

২০২০ সালে ট্রাম্প এই অঙ্গরাজ্যে ৭৪,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন এবং এবারে এই অঙ্গরাজ্যটি আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প এখানে একটি র‍্যালিতে বলেছেন, তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করবেন, অপরাধীদের প্রবেশ বন্ধ করবেন এবং আমেরিকান ড্রিম পুনরুদ্ধার করবেন।

৬. পেনসিলভেনিয়া

১৯টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে পেনসিলভেনিয়া উভয় প্রার্থীর জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। স্ক্র্যানটন বাইডেনের জন্মস্থান হওয়ায় এই অঙ্গরাজ্যের কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তার একটি ব্যক্তিগত সংযোগ আছে। তবে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো এখানে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ইরি কাউন্টির মতো এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা বাড়ছে, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।

৭. উইসকনসিন

ঐতিহাসিকভাবে উইসকনসিন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অণুঘটক অঙ্গরাজ্য, যেটি গত দুই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। বাইডেন ২০২০ সালে মাত্র ২১,০০০ ভোটে এই রাজ্যে জয় পান। অবশ্য তৃতীয় পক্ষের প্রার্থীরা এখানে ডেমোক্রেটদের ভোট ভাগ করতে পারে। কারণ রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন এবং গ্রীন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের অন্তর্ভুক্তি ডেমোক্রেটদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

পরিশেষে বলা যায় যে, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কৌশলের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। যেখানে এই সাতটি অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্র: এনডিটিভি