জাতীয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

এ উপলক্ষ্যে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। লটারি অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বর।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় আবেদন গ্রহণের এ সময় নির্ধারণ করা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। এরপর ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির লটারি।

এ প্রক্রিয়ায় ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শূন্য আসনের তথ্য চেয়েছে মাউশি। ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এসব তথ্য দিতে হবে। কোনো শ্রেণি শাখার জন্য শিক্ষার্থীর চাহিদাসংখ্যা কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি দেওয়া যাবে না। তথ্য ফরমে ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রতিষ্ঠান–সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে (পুলিশ স্টেশন) ‘ক্যাচমেন্ট’ এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করবেন।

প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।

এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল।

তবে নতুন সিদ্ধান্ত হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। না পাওয়া গেলে এই আসনে মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করতে হবে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কান্ট্রি অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ। এ নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে জেনেভা। সঙ্গে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তার বিশাল প্যাকেজ অফার করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, তামিল বিদ্রোহের ছুতোয় শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকারের কান্ট্রি অফিস খোলার প্রস্তাব ছিল জাতিসংঘের। এ নিয়ে ১০ বছর দেন-দরবার হয়েছে। কিন্তু কলম্বো কোনো চাপেই নতি স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কায় ব্যর্থ চেষ্টার পর ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে অফিস খোলার প্রস্তাব যায়। ট্র্যাক ওয়ান এবং ট্র্যাক টু- উভয় পন্থায় চলে দূতিয়ালি। কিন্তু না, কোনো দেশই অফিস খোলার স্থান দিতে রাজি হয়নি। তাই এবার টার্গেট বাংলাদেশ।

আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের ঢাকা সফর। হাই প্রোফাইল ওই সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য হতে যাচ্ছে ওএইচসিএইচআর’র ঢাকা অফিস খোলার বিষয়টি। ঢাকা ও জেনেভার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এখন বাংলাদেশের পথে। ফ্লাইট বিলম্ব বা অন্য কোনো জটিলতা না হলে ভোর হওয়ার আগেই তিনি ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন। বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় ৫০ ঘণ্টা কাটাবেন তিনি। ওই সময়ে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সব উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন স্তরে সিরিজ বৈঠক হবে তার। ভলকার তুর্ক গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য গঠিত ১০ কমিশন প্রধান এবং গুম কমিশনের সব সদস্যের সঙ্গে বসবেন একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গেও মতবিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে তার। জেনেভাস্থ অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন।

যেখানে তিনি সামপ্রতিক ছাত্র-আন্দোলনে সম্পৃক্ত প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ঢাকায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং কূটনৈতিক মিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সফরের সমাপনীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিবেন। সংবাদ সম্মেলনটি উন্মুক্ত নয় বরং প্রবেশাধিকার রয়েছে এমন মিডিয়ার প্রতিনিধিরাই তাতে ঢুকতে পারবেন।

মানবাধিকার অফিসের কাজ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ: ১৯৯৩ সালে জেনেভায় অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর)-এর কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭টি দেশে ওএইচসিএইচআর কান্ট্রি অফিস খুলতে পেরেছে। ব্যাংককসহ কিছু জায়গায় লিমিটেড স্কেলে তাদের রিজিওনাল অফিস রয়েছে। কান্ট্রি অফিস রয়েছে এমন দেশ হলো- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, গুয়েতেমালা, গায়েনা, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেঙিকো, নাইজার, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন। সেগুনবাগিচার পর্যালোচনায় ধরা পড়েছে কোনো না কোনো সংকটে রয়েছে এমন দেশেই ওএইচসিএইচআর কান্ট্রি অফিস খুলতে পেরেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার প্রস্তাব আসে। অবিশ্বাস্য দ্রততায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া পাঠায় জেনেভা। প্রস্তাবে বলা হয়, সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরে ভলকার তুর্কের সফরে খসড়া চুক্তিটি সই হতে পারে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস চালু হলে সেটি মানবাধিকার সমুন্নত ও বিকাশের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক যে সব সনদ অনুসমর্থন করেছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণে প্রস্তাবিত দপ্তর পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। আন্তঃসীমান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সুরাহার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবিত অফিসটি বলপূর্বক গুম বিষয়ক কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে কারিগরিসহ নানা রকম সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে যুক্ত করার ওপর জোর দেবে। নীতি প্রণয়নে সহায়তার জন্য ওএইচসিএইচআর-এর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট গবেষণা পরিচালিত হতে পারে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকায় প্রস্তাবিত ওএইচসিএইচআর অফিস পুলিশ এবং আইন সংস্কারে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও কারিগরি সহায়তাসহ সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অফিস খোলার চুক্তির খসড়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের অবাধে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোনো গ্রেপ্তার, আটক এবং জেরা করার প্রক্রিয়ায় ওএইচসিএইচআর প্রতিনিধিদের অবাধে প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

প্রস্তাবে সায় নয় যে কারণে: সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ওএইচসিএইচআর-এর প্রস্তাবটি আত্মঘাতী। এটি গ্রহণ করলে এবং তাদের অফিস খোলার চুক্তি সই করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে। প্রথমত: এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই ওএইচসিএইচআর-এর অফিস খোলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে ৩৬ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে স্বার্থান্বেষী নানা গোষ্ঠী সক্রিয়। ওএইচসিএইচআর-এর প্রস্তাব এসেছে ৫ই আগস্টের এক মাসের মাথায় এবং তা পারসু হচ্ছে নানাদিক থেকে। বাংলাদেশে জাতিগত কোনো সংঘাত হয়নি যে, এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলতে হবে- এমন মন্তব্য করে এক কর্মকর্তা বলেন, সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতে ওএইচসিএইচআর-এর অফিস রয়েছে। তাছাড়া ওই অফিসের বিরুদ্ধে দুনিয়ার দেশে দেশে সমকামিতার মতো সংবেদনশীল বিষয় প্রমোট করার অভিযোগ রয়েছে। সমকামিতা সব ধর্মে নিষিদ্ধ। অফিস খুলে এটি প্রমোশনের সুযোগ দিলে সরকার বাংলাদেশের সর্ব ধর্মের ধর্মভীরু মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়বে। ফলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির এমন আশঙ্কাকে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখাটা সমীচীন বলে মনে করছে সেগুনবাগিচা। বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর সব সময় দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়। দাতা সংস্থাগুলো ওএইচসিএইচআরকে যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়নে প্রভাব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে একটি দেশের কোনো নীতি যখন দাতা দেশগুলোর বিপক্ষে যায়, তখন তারা মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওএইচসিএইচআর এর মাধ্যমে। জাতিসংঘে কাজ করছেন এমন একাধিক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস কখনো কখনো এমন এজেন্ডার বিকাশে কাজ করে থাকে যেগুলো সর্বজনীন নয়।  যেমন তারা সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সমন্বিত যৌন শিক্ষার বিকাশে কাজ করে যা অনেক দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার পরিপন্থি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, কিছু স্পর্শকাতর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস কাজ করে। অথচ চুক্তি করা বা অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো দেশই ব্যবস্থা নিতে পারে না। এটি করলে উভয় সংকট তৈরি হয়।

খেলাধুলা

‘ভালো মারতে পারিসনি’, সাদমান ইসলাম সুইপ শট খেলার পর আরেকপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বললেন লিটন দাস। তাদের দুজনেরই এখন রানের খোঁজ, বাংলাদেশ দলও অবধারিতভাবেই খুঁজছে রান।

বিচ্ছিন্নভাবে রান এসেছে বটে, কিন্তু দল হিসেবে তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো সংগ্রহ গড়তে পারেনি খুব একটা।

ব্যাটারদের ব্যর্থতা যে দলকে ভোগাচ্ছে, তার প্রমাণ শেষ তিন টেস্টেই বাংলাদেশের জন্য লড়াইহীন হার। এমনকি ঘরের মাঠ মিরপুরে হওয়া টেস্টেও সুবিধা করতে পারেনি তারা। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেই সিরিজ বাঁচানোর লড়াই দলের সামনে।

ওই টেস্টের আগে দল যে খুব একটা স্বস্তিতে নেই, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। কোচ বা অধিনায়কের আসার রীতি থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাইজুল ইসলাম। তার ভাষায়ই ‘টিম ম্যানেজম্যান্ট’ অর্থাৎ দলের পরিকল্পনা যারা করেন; তাদের অংশ নন তিনি। মানেটাও পরিষ্কার, পরিকল্পনাকারীরা আপাতত এড়িয়ে চলতে চান মিডিয়া।

অধিনায়ক তাহলে কোথায়? চট্টগ্রাম টেস্টের আগে তিনি ব্যস্ত ছিলেন লম্বা ব্যাটিং সেশনে। কিন্তু তার প্রায় পুরোটাই একটা নেটে, অনেকটাই নিভৃতে। শুরুতে তাকে বল থ্রো করেন সহকারী কোচ নিক পোথাস। ওই যাত্রায় তাদের সঙ্গী ছিলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ইতি; এমন আলাপ এখন প্রবল। এই সময়ে নিজেকে অনেকটা আড়ালে রেখে মাঝে হেড কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গেও আলাপ সেরেছেন তিনি। ঘরের মাঠের শেষ টেস্টেই কি অধিনায়ক শান্তর ইতি?

প্রশ্নের জবাবটা দিতে পারেননি দলের প্রতিনিধি হিসেবে আসা তাইজুল ইসলাম। তার দাবি, ‘এই বিষয়ে কিছুই জানি না। ’ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়েই চোখ রাখছেন অধিনায়কত্বে দৌড়া ‘পুরো তৈরি’ বলে ঘোষণা দেওয়া এই স্পিনার।

তাইজুল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তো একটাই থাকবে। আমরা জেতার জন্যই খেলবো। তারপরও পরিস্থিতি কী আসবে ম্যাচ যখন পুরোটা হবে তখন বোঝা যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে দল হয়ে খেলার জন্য। সেটা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, যে পার্টটাই বলেন না কেন। আমরা চেষ্টা করবো জেতার জন্য। ’

জয়ের পথে বাংলাদেশের জন্য অবশ্য চিন্তার জায়গা ব্যাটিং। সবশেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও তারা অলআউট হয় স্রেফ ১০৬ রানে। এরপর আর ওই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা।

চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই ব্যাটারদের জন্য সহায়ক হয়। এখানেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের বড় সুযোগ ঘুরে দাঁড়ানোর। তাইজুলও বলেছেন প্রায় এমনই, ‘প্রতিটি ম্যাচ আসা মানেই একটা সুযোগ। সেদিক থেকে আমার মনে হয় যে আবার আরেকটা সুযোগ ব্যাটারদের কাছে আছে। ’

বাংলাদেশ দল যতই ‍ভালো করুক, চট্টগ্রামের ব্যস্ত জীবনে খুব বেশি প্রভাব থাকবে বলে আপাতত মনে হচ্ছে না। শহরের অনেক বাইরে স্টেডিয়াম হওয়ায় এমনিতেও বেশির ভাগ সময় গ্যালারি থাকে ফাঁকা। এবার গরম ও ছুটির দিন না থাকায় তেমন দর্শক হওয়ার কথা নয়। ম্যাচের আগের দিন টিকিট কাউন্টারগুলোও ছিল খালি।

দর্শক থাকুক অথবা না থাকুক, প্রতিপক্ষ শিবিরে যাই ঘটুক- দক্ষিণ আফ্রিকার সব মনোযোগ নিজেদের দিকেই। ১০ বছর উপমহাদেশে জিততে না পারার দাগ নিয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছিল তারা- মিরপুরেই ওই দাগ মুছে গেছে। এখন তাদের চোখ সিরিজ জেতায়।

প্রায় সাত মাস পর চট্টগ্রামে টেস্ট হচ্ছে; এ ম্যাচে যারাই চোখ রাখবেন। তারা নিশ্চিতভাবেই চাইবেন মাঠের বাইরের সব আলোচনা থমকে গিয়ে মাঠের লড়াই যেন রোমাঞ্চ ছড়ায়- এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে দুই দলের ক্রিকেটারদেরই। বাংলাদেশের হয়তো একটু বেশিই।

কেন? প্রোটিয়া অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলন চলার মাঝপথেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় আলো। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার মুচকি হাসেন মার্করাম। তিনি কি বাংলাদেশ দলের অবস্থাটাও দেখেছেন কি না- কে জানে!

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, হাসান মুরাদ।

বিনোদন

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফুচকা, পিৎজা, ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খেয়েও ওজন বাড়েনি বলিউড কুইন আনুশকা শর্মার। অভিনেত্রী নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি খেতে খুব ভালোবাসেন। যখন যা মন চায়, আশ মিটিয়ে খেয়ে নেন। তবে তারপরেও ওজন বাড়ে না তার।

নিয়ম করে শরীরচর্চা, যোগাসন করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি, প্রতিদিন সকালে এমন একটি বিশেষ খাবার খান তিনি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আনুশকা জানিয়েছেন, পেট ভালো থাকলেই তার ছাপ পড়বে চোখে-মুখে। শরীর চনমনে থাকবে, দেখতেও তরতাজা লাগবে। কিন্তু পেটের সমস্যা শুরু হলেই তখন ক্লান্তির ছাপ পড়বে মুখে। হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো না হলে ওজনও বাড়তে থাকবে। ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁকও বাড়বে।

তাই প্রতিদিন এমন কিছু খেতে হবে, যাতে ভরপুর ভিটামিন, প্রোটিন ও ফাইবার আছে। এই তিন উপাদান থাকলে তা যেমন হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে, তেমনই দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে যখন-তখন খেতে ইচ্ছে করবে না।

সকালে কী খান আনুশকা?

তাজা ফল, বাদাম, চিয়া বীজ, দুধ আর ওট্স— প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খান আনুশকা। কখনও সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান, আবার কখনও পরিজ তৈরি করে নেন।

আনুশকা জানিয়েছেন, শুটিংয়ে গেলে সেখানেও এই খাবার নিয়ে যান তিনি। পরিজ বানিয়ে একটি কাচের জারে ভরে নিজের সঙ্গে রাখেন। খিদে পেলেই সেটি খান। এই খাবার শরীর ডিটক্স করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। পাশাপাশি ভিটামিন সি, ডি, বি১২ এবং খনিজ উপাদান, যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদাও পূরণ করে।

কীভাবে বানাবেন?

উপকরণ

২-৩ কাপ ওট্স, ২ চা চামচ চিয়া বীজ, ১ কাপ ডবল টোন্ড দুধ, ২ চা চামচ মধু, শুকনো ফল।

প্রণালি

দুধ ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ওট্স ও বাকি উপকরণ মিশিয়ে পরিজ বানিয়ে নিতে হবে। এবার একটি বায়ু নিরোধক কাচের জারে ভরে তা সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। সকালে এর সঙ্গে শুকনো ফল ও মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর ওট্সের পরি । আনুশকা আবার মাঝেমধ্যে মধুর বদলে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্টও মিশিয়ে দেন। তাতে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।

অর্থনীতি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মতো মোবাইল ডাটার দামও কমিয়ে আনা প্রয়োজন এবং ব্রডব্যান্ডের মতো আনলিমিটেড মাসিক মোবাইল ডাটার মূল্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে আনা উচিত বলে টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত একটি গোলটেবিল আলোচনায় অভিমত এসেছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিটিআরসি ভবনে গোলটেবিল বৈঠকে দেশের ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবাদানে সুলভে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত, সময়োপযোগী পলিসি প্রণয়ন, নিরবচ্ছিন্ন ও সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ, প্রান্তিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্মার্টফোনের পেনিট্রেশন বৃদ্ধি, টেলিযোগাযোগ আইনের সময়োপযোগী সংস্কার এবং ডিজিটাল লিটারেসি ও ডিজিটাল সেবার বহুমাত্রিক ব্যবহারের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল-বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরীসহ টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আলিম।

তিনি বলেন, ভারতে ই-কমার্স বাজার ৭৫ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ ১.৩ বিলিয়ন এবং ইন্দোনেশিয়ার ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে ৬০ লাখ অনলাইন গ্রাহক রয়েছে, ভারতের ১৫ কোটি আর ইন্দোনেশিয়ার ৪ কোটি অনলাইন কাস্টমার রয়েছে।

বিডিজবস ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, ব্রডব্যান্ডের মতো মোবাইল ডাটার দামও কমিয়ে আনা প্রয়োজন এবং ব্রডব্যান্ডের মতো আনলিমিটেড মাসিক মোবাইল ডাটা মূল্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে আনা উচিত। মোবাইল অপারেটর কর্তৃক কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার সুযোগ দিলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়বে বলেও জানান তিনি।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, গ্রাহককে এসএসএম প্রদানের ক্ষেত্রে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরগুলো একবছর মেয়াদি চুক্তিবদ্ধ হয়ে কম খরচে সাবস্ক্রিপশন সুবিধা দিতে পারে। যারা বেশি এসএমএস ব্যবহার করে তাদের জন্য ছাড় বেশি দেওয়া যেতে পারে।

রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ‘পাঠাও’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য ডাটা লোকালাইজেশন ও ডাটা প্রটেকশন আইন জরুরি।

দেশের ৬০ ভাগ ডিজিটাল কমার্স ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেসবুকে প্রায় ৩ লাখের বেশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ নারী। তাই একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে যাতে গ্রাহকের ডাটার সাথে কানেক্ট করা যায় সে ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, যদি শতকরা ১০ ভাগ ইন্টরনেট ব্যবহার বাড়ে তাহলে তা জিডিপিতে ১.৮ শতাংশ ভূমিকা রাখে।

ভয়েস সেবা থেকে আয় কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদেরও ডিজিটাল সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য ভার্টিকেল ইন্ট্রেগরেশন অব পলিসি করার ওপর তাগিদ দেন তিনি।

বিটিআরসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ওয়াহিদুজ্জামান টেলিযোগাযোগ আইন সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের বাজার এ মুহূর্তে এআই বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিতে সক্ষম নয়। ডাটা শেয়ার করার জন্য একটি ইউনিক প্ল্যাটফর্ম তৈরির তাগিদ দেন তিনি।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে বিটিআরসি কাজ করছে। এনইআইআর সিস্টেম চালু করতে কয়েকমাস সময় লাগবে।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে অপারেটরদেরকে বিদম্যান স্পেকট্রাম যথাযথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, দেশে ডিজিটাল ডিভাইড কমে আসছে ধীরে ধীরে। টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য সরকার-একাডেমিয়া ও খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটা সহযোগিতা প্রয়োজন। আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল-বারী বলেন, বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনে মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বানুমোদন নিতে হয় বিধায় লাইসেন্স দিতে বিলম্ব হয়। সেক্ষেত্রে লাইসেন্স অথরিটি থাকা দরকার বিটিআরসির কাছে। পলিসি তৈরি করবে মন্ত্রণালয় এবং আইন তৈরি করবে সংসদ।

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিউ) নিয়মানুযায়ী কোনো গ্রাহক তিনমাসে এক বার ডাটা ব্যবহার করলে তাকে ব্যবহারকারী ধরা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রাহকের ডাটা প্রটেকশন গুরুত্বপূর্ণ এজন্য একটা চলনসই আইন প্রয়োজন হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান, কমিশনার, মহাপরিচালক এবং ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত দেন।

রাজনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আপনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করেছেন, সেখানে অনেকের বিচার হবে। কিন্তু আমরা যদি কাজের বদলে অ-কাজে বেশি লিপ্ত হয়ে পড়ি, রাজনৈতিক শূন্যতা সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করি, তাহলে তো জনগণ কথা বলা শুরু করবে।

তিনি বলেন, ‘শুধু জটিলতার পর জটিলতা তৈরি করছেন কেন আপনারা? শেখ হাসিনার দোসর তো আরও অনেকেই আছে আপনাদের মধ্যে কই, তাদের বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলছেন না। শুধু রাষ্ট্রপতিকে নিয়েই আপনারা এত ব্যস্ত আছেন কেন।’

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর এতিমখানা সড়ক, গোর এ শহীদ মাজার এতিমখানার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসাবিষয়ক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আলী ইমাম মজুমদার যিনি ১/১১ এর সময়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, শেখ হাসিনার আমলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন— তাকে আপনারা উপদেষ্টা বানিয়েছেন। এরকম তো অনেকেই রয়েছেন, এসব বিষয়ে আপনারা তো কিছু বলেন না। শেখ হাসিনার রক্তাক্ত দুঃশাসনকে যারা প্রলম্বিত করেছে, টু শব্দ যারা করেনি, যারা নিঃস্বার্থভাবে শেখ হাসিনার তাবেদারি করেছে, তারা তো এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রপতি থাকলো কী থাকলো না, এইটা নিয়ে আমরা দেশে কেন জটিলতা তৈরি করছি? কেন আমরা দেশে সংকট ডেকে নিয়ে আসবো। এটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি, তার দোসরদেরও আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব।’

‘যেসব গণমাধ্যম নির্লজ্জের মতো শেখ হাসিনার পদতলে বসে চামচামি করেছে, শেখ হাসিনার প্রতিটি অপকর্মকে যারা বৈধতা দান করেছে, কই তাদের বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলে না। ৭১ টেলিভিশনসহ আরও বিভিন্ন টেলিভিশনে আমরা যেভাবে শেখ হাসিনার সুনাম করতে দেখেছি, সেখানে বড় বড় সাংবাদিকরা ছিলেন, মিডিয়ার অনেক নামকরা লোক ছিলেন, কই তাদের বিষয়ে তো কিছু বলছেন না? শুধু রাষ্ট্রপতিকে নিয়েই আপনারা ব্যস্ত আছেন।’

রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের যাত্রাপথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান এদেশের মানুষ ইতিহাসে লিখবে। একটা সোনালী অধ্যায় রচিত হবে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে আমাদের এমন কিছু করা যাবে না— যাতে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল সংবিধান বহির্ভূত কোনও কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে একইসাথে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এখন আমরা এমন একটি সময় পার করছি, যখন সৌদি আরব আমাদেরকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘অনন্য’ ও ‘আলাদা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তহবিল জমা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ তারল্য সহায়তা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া এটি ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি চমৎকার অঙ্গীকার’ বলেও উল্লেখ করেন।

সৌদি আরবকে সহজ শর্তে জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করলে ঢাকা থেকে সৌদি আরবে আরো বেশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।

রাষ্ট্রদূত আল দুহাইলান সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে তারা আরো বেশি বেতন পাবেন এবং দেশে অনেক বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে সক্ষম হবেন।

বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন এবং প্রতি বছর তারা বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে থাকেন।

জাতীয়

এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ওই প্রশ্নের উত্তরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো নিয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোনো আপডেট নেই। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের উপদেষ্টারা বলেছেন, সরকার যথোপযুক্ত সময়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

রাষ্ট্রপতি বিষয়ে সরকারের সর্বশেষ অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর কেউ কেউ কথা বলছেন। আমাদের আগের একটি অবস্থান আছে। উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি কনসালটেশন হবে। এই কনসালটেশনে কি সিদ্ধান্ত হয়, সেটা আপনারা (সাংবাদিক) পরবর্তীতে জানবেন। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে৷ এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা চলছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা শেখ হাসিনার অডিও রেকর্ড ফাঁসের বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিবকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অডিও রেকর্ডের ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন না দেখে আমরা বলতে পারবো না। অনেক সময় হয় যে হুবহু কণ্ঠ নকল করা যায়। সেই জায়গায় এটা যে একটি অথেনটিক অডিও সেটি বোঝা কঠিন। সেটা না হলে আমরা এই বিষয়ে বলতে পারছি না।

এর আগে উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেছেন। এটা প্রধান উপদেষ্টার প্রথম গণভবন পরিদর্শন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কীভাবে গণভবনকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড বা বিপ্লব বা তার পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের স্মৃতি হিসেবে জাদুঘরে পরিণত করা যায় এবং কত দ্রুত কাজটি শেষ করা যায়।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আর্কিটেক্ট বা প্রকৌশলীদের কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আয়না ঘরের একটি রেপ্লিকা যাতে সেখানে রাখা হয়- সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আয়না ঘরে বন্দীদের কি ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে সেটি মানুষ গণভবন পরিদর্শন করলে জানতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টা দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছেন। একজন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের স্কিল কীভাবে উন্নত করা যায় এবং এই স্কিল উন্নত করার ফলে দুই দেশই উপকৃত হবে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া সৌদি আরবের বাদশা ও প্রিন্সের দুটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রধান উপদেষ্টাও সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, এটাই ‘আসল’ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার উপযুক্ত সময়।

আয়না ঘর ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বিষয়ে এক প্রশ্নের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, আমাদের রাষ্ট্রের অনেক নাগরিককে গোপন বন্দীশালায় রাখা হয়েছিল এবং নির্যাতন করা হয়েছিল। এই নির্যাতনের সঙ্গে অনেকে জড়িত। কারা এর সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে জড়িত সেটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন আছে। সেই কমিশন এটি তদন্ত করে দেখবে। এখানে কোনো বাহিনীকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়নি এবং এককভাবে দায়ী করা হয়নি। এর জন্য কেউ ব্যক্তিগত বা সামষ্ঠিকভাবে দায়ী হলে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে, এই অঙ্গীকার অনেক আগেই বর্তমান সরকার জানিয়েছে। সেই আঙ্গিকেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর অনেকে আয়না ঘর থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তারপরও অনেকে এখনও গুম আছে, অনেকের খোঁজ এখন পরিবার পায়নি। তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে কি না? জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা পুরোদমে কাজ করছে৷ সারাদিন এমনকি বন্ধের দিনেও তারা কাজ করছেন। যে লোকগুলো নিখোঁজ হয়েছে বলে এতদিন আমরা জানতাম, এখন তার থেকে বেশি মানুষ নিখোঁজের তথ্য জানা যাচ্ছে। কমিশন এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখছে। দেশে কতগুলো আয়না ঘর ছিল, এটা নিয়েও কাজ করছে। প্যানেল যখন পুরো প্রতিবেদন দেবে, আপনারা জানতে পারবেন।

আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আয়না ঘরের বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। তারা তাদের কাজ শেষ সুপারিশ দেবে৷ তখন সরকার সেই সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেবে।

জনপ্রশাসন সচিবের অনিয়মের বিষয়ে যে তদন্ত চলছে সেটার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, এটার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমরা এখনো পাইনি। এখানে কিছু ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন আছে। যে সমস্ত প্রমাণের কথা আসছে, সেগুলো সত্য কিনা সেটি যাটাই করার বিষয় আছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানাবো।

জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সব ধরনের সেবা পেতে এখন থেকে নির্বাচন কমিশনের হটলাইন নম্বর ১০৫-এ টোল ফ্রি কথা বলা যাবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরীফুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ সেবা মিলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন ভোটার নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন, ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনসহ নাগরিক সেবায় জেলা, উপজেলা ও থানা অফিসে যোগাযোগ করা যাবে।

সেই সঙ্গে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন হটলাইন ১০৫-এ টোল ফ্রি সেবা নেয়ার অনুরোধ জানায় ইসি।

রাজনীতি

১৫ বছরে গড়া দেশকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট করেছে দলটি।

ডিজিটাল পাঠকের জন্য পোস্ট হুবহু তুলে দেওয়া হলো- ‘১৫ বছরে গড়া দেশ খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছেন
সংস্কার করবেন?
আগে নিজেদের সংস্কার করুন।
এই দেশ #আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এগিয়ে গেছে
#আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আবার এগিয়ে যাবে!’

এদিকে গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুকে আওয়ামী লীগ একটি জরুরি ঘোষণা দিয়েছিল।

সেটিও ডিজিটাল পাঠকের জন্য ঘোষণাটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‌‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলমান। অফিশিয়াল পেজে কোনো ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিরর খবর অবশ্যই গুজব। দলীয়ভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত জানানো হবে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ কোনো প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। অনলাইনে প্রতিবাদ করুন সকল অন্যায়ের।’

এদিকে গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য এবং নির্বাচনে নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন আর ২০২৪ সালে নিজেদের ভেতরে পাতানো নির্বাচন হয়েছিল, যেখানে প্রায় সব সংসদ সদস্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার পছন্দের বা তার আজ্ঞাবহ লোক ছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে পতিত সরকারের গত ১৫ বছরে হওয়া নির্বাচনসহ সব অপকর্ম সংঘটনকারী ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।