বিনোদন

তিন বছর বিরতি দিয়ে চলতি বছর ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের আয়োজনে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবেন আনিকা আলম।

প্রতিযোগিতা নয়, আনিকাকে সিলেকশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্ট কর্তৃপক্ষ।

ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম জানান, আনিকা আলম শুধু একজন আন্তর্জাতিক মেকাপ আর্টিস্ট নন, তিনি নারীর ক্ষমতায়নে এক দৃঢ় কণ্ঠস্বর, একজন নিবেদিত মা। তিনি লয়োলা মেরিমাইন্ড ইনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে কাজ করেছেন লস আঞ্জেলেসের মেয়রের অফিসে।

বর্তমানে জাতিসংঘরের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে জিরো হাঙ্গার নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

‘মিসেস’ হয়ে কীভাবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিচ্ছেন জানতে চাইলে আয়োজনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত প্রায় ৭০ বছর যাবত অবিবাহিতরা অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে থেকে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম করেছে যে, বিবাহিতরাও অংশ নিতে পারবেন। আগে বয়সসীমা ২৮ ছিল, এখন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আনিকা আলম বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীদের প্রতিভা ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাবো। সবার সাপোর্ট পেলে বিশ্বমঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন বিশ্বমঞ্চে আমি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও জানতাম না এই আয়োজনে অংশ নেব। যেহেতু অংশ নিচ্ছি নিশ্চয়ই ভালো কিছু নিয়ে ফিরবো। এখানে থেকে ফিরে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করবো। এর বাইরে অভিনয় করবো কিনা সেসব নিয়ে ভাবিনি।

মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এর আসর বসতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। সেখানে অংশ নিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকা ছাড়বেন আনিকা। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নভেম্বরের ১৫ অথবা ১৮ তারিখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মিস ইনিভার্সের ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। বন্যা ও জুলাই আন্দোলনে আহতদের সহায়তায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ৫ লাখ টাকা দানের ঘোষণা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে।

নেপাল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানো হবে। অগ্রগতির দিক থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এ শীর্ষ নেতা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার পশ্চিমবাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে, এখানকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজেপি সরকার তার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ হয় পেট্রাপোল দিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম স্থলবন্দর, যা ভারতের বাণিজ্য ও চলাচল বাড়ায়। পেট্রাপোলে সমন্বিত চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল বিল্ডিং ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন প্রতিটি সেক্টরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

অমিত আরও বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে, মোদীজি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা, এবং খেলাধুলার মতো ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে আমাদের একটি যৌক্তিক উপসংহারে নিয়ে গেছেন। আজ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের আদান-প্রদানের সুবিধা দিচ্ছে।

মৈত্রী দ্বার প্রতিদিন অন্তত ৭০০ ট্রাকের বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসহ পরিবহণ পরিষেবা মসৃণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব ও এলপিএআইয়ের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল, আগরতলা, শ্রীমানপুর সুতারকান্দি, সাব্রুমসহ ১২টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে ভালোবাসার ছলনা সমস্ত সময় আপনাকে আবদ্ধ করে রাখবে। শুধুমাত্র সুখ অনুভব করুন। শরীর রিচার্জ করতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে শক্রুও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিবাহ-ইচ্ছুক তরুণ তরুণীদের বৈবাহিক শুভ ফল পাওয়ার সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষদিকে অনেক সমস্যার মুখোমুখিতে আতঙ্কিত বোধ করতে পারেন। তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় যাপন অত্যন্ত আমোদজনক ও আনন্দময় হবে। প্রেম ইন্দ্রিয়ের সীমা অতিক্রম করে যায় তবে আপনার ইন্দ্রিয় ভালোবাসার উচ্ছাসের অভিজ্ঞতা লাভ করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে অসাবধানতা আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। শরীরে শক্তি ফেরাতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে, অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেম, চুম্বন, আলিঙ্গন এবং মজা – এই সময় সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্স করার সঠিক সময়। নতুন কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য ভালো সময়।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসায়ের কোনো ভ্রমণ ফলপ্রসু হতে পারে। চিন্তাভাবনা করে অগ্রসর হন। ঘরে উচিত হবে অন্যদের অসন্তুষ্ট না করা। আর পারিবারিক প্রয়োজনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। সপ্তাহের মাঝদিকে টিভিতে সিনেমা দেখা ও কাছের প্রিয়জনদের সাথে গল্প করার চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। সপ্তাহের শেষ দিকে ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক সুখ নষ্ট করতে পারে। এই চাপ সমামলাতে আকর্ষণীয় কিছু করার মাধ্যমে মানসিক ব্যয়ামে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক দিক থেকে শুভ হওয়ার কারণে সঞ্চয় যোগ প্রবল। কোনো ব্যবসায়িক / আইনি কাগজপত্র ভালোভাবে না পড়ে সই করবেন না। যোগাযোগ দক্ষতা হৃদয়গ্রাহী হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে বাড়ির সমস্যায় তাৎক্ষণিক মনযোগ দেওয়া দরকার। পরিবারের জন্য মহান ও উপযুক্ত ‍ঝুঁকি নিন। সপ্তাহের শেষদিকে ভালোবাসার সঙ্গীর সাথে প্রেমের সমুদ্র মন্থন করবেন আর প্রেমের উচ্চতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে মনের শক্তি ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির অনকূলে হতে পারে। নিষ্ঠা ও কঠোর শ্রম দৃষ্টিগোচর হবে আর আর্থিক পুরস্কার নিয়ে আসতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে নিকটজনের কোনো শুভ খবর বিশেষভাবে আনন্দিত হতে পারেন। এমন জায়গায় সময় কাটাতে পারেন যেখানে দুর্দান্ত লোকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ যথেষ্ট। সপ্তাহের শেষদিকে বন্ধুরা এখন খুব সহায়ক, তবে এরজন্য দ্রুত প্রতিদান দিতে হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটাবেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ব্যয় বাহুল্যের ফলে সাংসারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে। অতীত উদ্যোগুলো থেকে আসা সাফল্য আপনার প্রত্যয় বাড়িয়ে তুলবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির অবসান। সপ্তাহের মাঝদিকে অভিভাবকের সম্প্রসারিত সহায়তার সাথে সাথে আর্থিক ঝঞ্ঝাট পার হয়ে যেতে পারে। রক্ষণশীল বিনিয়োগ করে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন। সাংবাদিকদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। যদি ভ্রমণ করেন তাহলে জরুরি কাগজপত্র নিয়েছেন কিনা লক্ষ রাখুন। ভ্রমণেই প্রেমের যোগাযোগ আসতে পারে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে ফেলে রাখা কাজের পরও প্রেম ও সামাজিকতা মনে প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থ তখনই কাজে আসে যখন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে দায়িত্ববান স্বাবলম্বী ও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে সম্ভবত অনেক বিনিয়োগ করে মুনাফা এনে দিতে পারে। আর্থিক বিনিয়োগের সময় কোনো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন না।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে আইটি পেশাদাররা তাদের সাহস প্রমাণ করার জন্য সুযোগ পাবেন। সামাজিক ও ভালোবাসা-ময় জীবনে অনেক উৎসাহ পাবেন। রাজনীতিবিদরা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সবার নজরে পড়তে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সমস্যা চিন্তা সামর্থ্যকে বিনষ্ট করতে পারে। সতর্ক থাকুন। কেউ আপনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতে পরে। সপ্তাহের শেষদিকে জীবনকে উপভোগ করার চাহিদা কতটা দেখে নিন। আর কঠোরভাবে সেই চেষ্টা করুন। নিশ্চিতভাবেই আপনি সৌভাগ্যবান, কারণ সময়টি আপনার জন্য অনুকূল।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে বিদেশি আমদানী রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত যারা অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়। কর্মকর্তারা কর্মক্ষেত্রে মেধার পুরো ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আশা আকঙ্ক্ষা একটি সুন্দর কোমল সুগন্ধি ও উজ্জ্বল ফুলের মতো প্রস্ফূটিত হবে। রসিক স্বভাব সামাজিক অনুষ্ঠানে আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। সপ্তাহের শেষদিকে অর্থের অভাব পরিবারে মতবিরোধের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে সাবধানে থাকুন, শক্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ চূড়ান্ত আকারে দেবেন। সফর করা আনন্দদায়ক হবে আর অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে কাজ করার পেশাদাররা কোনো সুখবর পাবেন। কারও জন্য পদোন্নতির সুযোগ অত্যন্ত সম্ভাব্য। আনন্দ দ্বিগুন করার জন্য আপনার খুশি সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। ধ্যান ও আধ্যাত্মিকতা যোগব্যায়াম মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করবে।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে শারীরিক অন্তরঙ্গতা সঙ্গীর সঙ্গে শ্রেষ্ঠ সময়ে পৌঁছাবে। বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বিষয়গুলোকে সত্যিই অবিশ্বাস্য দেখাবে। মানসিক স্বচ্ছতা ব্যবসায়ে অন্য প্রতিযোগীদের থেকে আপনাকে একক প্রাধান্য প্রদান করবে। তুচ্ছ বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক বা ভুল ধারণা থাকতে পারে তবে সহজেই এড়ানোর চেষ্টা করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো বিদেশি আত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আপনাকে খুশি করে তুলবে। ভ্রমণ বিনোদন আনন্দদাক হবে ও কর্মসূচীতে থাকবে। সপ্তাহের শেষদিকে পেশার ক্ষেত্রে পছন্দসই ফলাফল পেতে প্রচেষ্টায় মনোযোগ দিতে হবে। সাফল্য ও স্বীকৃতি আসবে যদি নিজেকে কাজেই কেন্দ্রীভূত থাকেন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে কিছু অনিবার্য পরিস্থিতি আপনাকে কিছুটা অস্বস্তি দিতে পারে। শুধুমাত্র একটু প্রচেষ্টার সঙ্গে সময়টি বিবাহতি জীবনে সেরা সময় হতে পারে। ব্যবসায়ে এটি একটি অনুকূল সময় হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। রুক্ষ্ম মেজাজ কিছুটা ঝামেলায় ফেলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনায় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। বিদেশে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বা অর্থনীতি-বিষয়ক শিক্ষার ব্যাপারে অনুকূল অবস্থা পেতে পারে। গবেষণাকারীরা গবেষণায় সাফল্য পেতে পারেন।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে এক হাজার ২৪৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৭৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৯৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে ৫২ হাজার ৫৬০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৭৭ জন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

জাতীয়

অনলাইনে পোস্ট করা বিষয়গুলোর পেছনের উদ্দেশ্য মূল্যায়ন করে আসল মতলব বোঝা সম্ভব হয়।

গবেষণা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘লাফবরাহ ইউনিভার্সিটি’র দুই গবেষক অ্যান্ড্রু চ্যাডউইক এবং ক্রিস্টিয়ান স্টেট দেখতে পান- বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত ভুল ও অসত্য তথ্যের শিকার হন।

এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে গেলে জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। তবে এটা ঠিক যে, সত্য সংবাদের উৎস হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভর করা যায় না। তাই ‘অসত্য খবর’ চিহ্নিত করার পন্থাগুলো জানা থাকা প্রয়োজন।

সাধারণত দুই ধরনের অসত্য খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

এই দুই গবেষক ব্যাখ্যা করেন, “একটা হলে ‘মিসইনফরমেইশন’ বা ভুল তথ্য অন্যটি হল ‘ডিসইনফরমেইশন’ বা রটনা বা গুজব।”

কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নির্দিষ্ট কোনো পেইজ থেকে ‘মিসইনফরমেইশন’ বা ভুল তথ্য প্রকাশ করার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য থাকে। সাধারণত প্রতারণা ষড়যন্ত্র মূলক তথ্য, বানোয়াট প্রতিবেদন বা ব্যাঙ্গাত্মত তথ্য দিয়ে এটা করা হয়।

সাধারণত কোনো জনমত গড়ার উদ্দেশ্যে এই ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে ‘ডিসইনফরমেইশন’ বা গুজব ছড়ানোর প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে ঠকানো। আর সাধারণত ভুল তথ্য ছড়ানোর কৌশলগুলোই এই ক্ষেত্রে ফলানো হয়।

যে কোনো ধরনের অসত্য খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা মানে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। কারণ অনেক মানুষই তথ্য যাচাই বাছাই না করে ‘শেয়ার’ করা শুরু করেন।

তাই এই গবেষকদ্বয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য যাচাই করার ক্ষেত্রে কয়েকটি নজর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট

যদি ‘ফলো’ করা কোনো ব্যক্তির দেওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ জাগে তবে তাকে প্রশ্ন করা এবং সেই হিসেবে যাচাই করা যেতেই পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাধারণত মানুষের ব্যবহারের পরিধির ওপর নির্ভর করে চলে, এখানে ভুল তথ্য বা গুজব গননা করা সম্ভব নয়। তাই অসত্য খবর চিহ্নিত করতে কিছু প্রশ্ন সাহায্য করতে পারে।

যিনি তথ্যটি ‘শেয়ার’ করছেন সেটা কি ব্যক্তিগত আবেগ নাকি পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে করছেন?

‘কনটেন্ট’টি কোনো বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে।

তথ্যগুলো কি যুক্তিসঙ্গত?

খবরে বিশ্বাসযোগ্য কোনো উৎসের কথা বলা আছে কি-না?

যে অ্যাকাউন্ট থেকে ‘শেয়ার’ করা হচ্ছে, তার জন্য সেটা কতটা গুরু্ত্বপূর্ণ?

ব্যবসায়িক বা পেশাদার অ্যাকাউন্টস

বর্তমানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সফল করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। আর এটা প্রচরণার একটা কৌশল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে অনেকে সময় সর্বসাধারণকে অনেক সময় নির্দিষ্ট ক্রেতা শ্রেণিকে চিহ্নিত করে তথ্য প্রচার করা হয়।

তাই কোনো বিষয়ে প্রচারণামূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করলে জানার চেষ্টা করতে হবে, সেটা আপনার প্রয়োজন? বাজারে কি এরকম পণ্য আরও আছে? সেগুলোর সাথে এগুলোর কার্যকারিতায় পার্থক্য কোথায়? সেবা বা পণ্য প্রদান করতে গিয়ে, ক্রেতার ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া হচ্ছে কি-না?

এক্ষেত্রে জনস হপকিন্স ইনফরমেইশন সোসাইটি ইন্সটিটিউট’য়ের নিরাপত্তা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী জোয়ি ক্যারিগান বলেন, “বিশ্বস্ত ও আস্থাযোগ্য মিডিয়ার উৎসের তালিকা করে রাখা উচিত।”

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “খবর-প্রতিবেদন এবং ব্যক্তিগত অভিমতের পার্থক্য করতে হবে। সংবাদপত্রগুলো অনেক সময় নানান মানুষের মতামত প্রকাশ করে। যে কোনো পেশাদান উন্নতমানের সংবাদ সংস্থা তাদের প্রতিবেদন ও অন্যদের মতামত আলাদাভাবে প্রকাশ করে। এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।”

‘ফ্যাক্ট চেকিং টুলস’ ব্যবহার করেও তথ্য যাচাই করা সম্ভব। যেমন- Snopes, PolitiFact, factcheck.org এবং Leadstories.com

ক্যারগান বলেন, “এই ধরনের ‘টুলস’গুলো মিথ্য খবর চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। তবে মনে রাখতে হবে- এই সময়ে চোখের দেখা মানেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

‘এআই’ নির্ভর ছবি, ‘ডিপ ফেইক’ করা ভিডিও ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচার করা এই সময়ে সহজ বিষয় হয়ে গেছে।

তাই ক্যারিগান বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাই আসুক সবই তীক্ষ্ণ নজরে সন্দেহ নিয়েই দেখতে হবে। যে কোনো খবর দেখেই ঝাপায় পড়ে বিশ্বাস করা যাবে না। আবার এটাও মনে রাখতে হবে- জনজীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা যখন অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সরাসরি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার বা শেয়ার করা শুরু করে সেগুলোর ক্ষেত্রে তথ্য ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে।”

রাজনীতি

নরসিংদীর-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেছেন, গণতন্ত্রের আশায় মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, শেখ হাসিনা সে গণতন্ত্রকে বহু দূরে ঠেলে দিয়েছিল। ৫ আগস্ট সে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে মনোহরদী পৌর এলাকার ডাকবাংলো রোডে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। বিএনপির একটি কর্মী বেঁচে থাকতেও আমরা সে সুযোগ দেব না। বর্তমান সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে, বিলম্ব না করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। আমরা আর কোনো বিপ্লব, আর কোনো রক্তক্ষয় দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার ও জুলুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রয়েছে।

মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মনোহরদী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হান্নান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবদুছ ছামাদ আকন্দ বকুল, সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদল নেতা মনিরুজ্জামান ছোটন ও ইমরানসহ আরও অনেকে।

পরে ১৮ বছর পর মনোহরদী পৌর এলাকার ডাকবাংলো রোডে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল।

অর্থনীতি

চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।তার পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কো‌টি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসে দেশে।দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

বিনোদন

ভারতীয় জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘বড়ে ভালো লাগতে হের’ সাক্ষী তান্বর এবং রাম কাপুরেরসহ অভিনেত্রী চাহাত খান্না। সম্প্রতি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ আলোচনা থেকে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অনেকগুলো ওঠাপড়ায় পরিপূর্ণ। চাহাতের দুটি বিয়ে ভেঙে গেছে এবং তিনি এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন।

চাহাত প্রথমে ২০০৬ সালে ভারত নরসিংহানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কটি কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে লেখক শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিবাহিত হন, যার ফলে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তবে ২০১৮ সালে যৌন ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী।

চাহাত জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী ফারহান মির্জা তাকে ধর্মান্তরিত করার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করেছিলেন, তবে তিনি এখন তার শিকড়ে (সনাতন ধর্মে) ফিরে আসতে পেরে ‘কৃতজ্ঞ’।

টেলিটক ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আধ্যাত্মিক পরিবারে বেড়ে ওঠার কথা জানান চাহান। চিত্রনাট্যকার শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন চাহাত। তবে টেকেনি সেই বিয়ে। ডিভোর্সের পর বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এখন নিজের শিকড়ে ফিরতে পেরে তিনি ‘কৃতজ্ঞ’। ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য তার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে চাহাত বলেন, ‘হ্যাঁ, এক প্রকারে আমার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। তবে আমি জানি না সেটা তাদের ভালোর জন্য বা আমার ভালোর জন্য, কিন্তু সে কারণেই আমি বলেছি, সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে এসেছি’।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চাহাত বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য কোনো অনুশোচনা অনুভব করছি না। তবে সনাতন ধর্মে ফিরে এসে আমি অনেক খুশি। তিনি যোগ করেন, আমি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক এবং সকল ধর্মে বিশ্বাসী। আমি কখনোই ধর্মান্ধ নই।

চাহাত বলেন, বিবাহিত জীবনের শুরুতে আমি ইসলামের অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি এবং এটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

মানসিক চাপের অভিজ্ঞতা: চাহাত খান্না যখন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন, তখন তাকে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান, তার স্বামী ফারহান তাকে কিছু কঠোর বিধি অনুসরণ করতে বাধ্য করতেন।

‘তিনি আমাকে বলতেন, ‘তোমার ঈশ্বরকে পূজা করো না,’ যা আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর ছিল,’ চাহাত বলেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না, কিন্তু মনে হয় আমি ব্রেনওয়াশ হয়েছিলাম।’ ধর্ম পরিবর্তনের এই চাপের ফলে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এটি তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।

২০০২ সালে ১৬ বছর বয়সে একটি চকোলেটের বিজ্ঞাপন দিয়ে শোবিজ দুনিয়ার পা দেন চাহাত খান্না। একই বছর, তিনি টিভি শো ‘সাচি বাত সবহি জাগ জানে’র মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি থ্যাঙ্ক ইউ এবং প্রস্থানমের মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এ. রায়বকভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে। রাশিয়ার মস্কোতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পরিপক্ক’ সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ব্রিকস সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র সচিব উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং ব্রিকস প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিকস প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার নতুন অঙ্গীকারে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশ্বাস দেন যে রাশিয়া সরকার ভবিষ্যতে ব্রিকসের সম্প্রকারণের সময় বৃহত্তর ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।

বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে একটি টেকসই ও নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার জন্য বহুপাক্ষিকতা ও বহুমেরু বিশ্বে দৃঢ় বিশ্বাস এবং বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে রায়বকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্সির অধীনে ব্রিকস ঘোষণা (কাজান ঘোষণা) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাস্তব ও ফলাফল-ভিত্তিক সহযোগিতার ওপর মনোনিবেশ করবে।

তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন এবং অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভায় মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ জনাব ফয়সাল আহমেদ এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ১৯ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

একই তথ্য নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে,  স্থল হামলায় অংশ নিতে দক্ষিণ লেবাননে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই হয় ইসরায়েলি সেনাদের। এতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৯ জন আহত হন।

হতাহতরা সবাই ৮নং আর্মড ব্রিগেডের ৮৯তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সেনা ছিলেন। এরমধ্যে মাওরি নামের এক সেনা ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সেনা নিহতের তথ্য স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

তারা জানিয়েছে, নিহত সেনারা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রকেট ছোড়েন। ওই সময় সেনাদের কাছে রসদ/অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিল হামলায় হতাহত সেনারা।

প্রসঙ্গত, গাজা আগ্রাসনে দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে এক বছর আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হিজবুল্লাহ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটি তীব্র হয়েছে। ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং বেকা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করেছে, হিজবুল্লাহর অনেক শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে এবং সীমান্তের ওপারে স্থল সেনা পাঠাচ্ছে। হিজবুল্লাহ তার অংশের জন্য ইসরায়েলের গভীরে রকেট নিক্ষেপ করেছে।