জাতীয়

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি পুলিশি কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের অফিসার ও ফোর্সের সাথে এক বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন।

সভায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী, পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এবং পঞ্চগড় জেলার পুলিশ অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য দেশ গড়ার এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি; নতুন সমাজ বিনির্মাণের সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশকেও গড়ে তুলতে চাই। আমরা নিজেরা অন্যায় করবো না; অন্যকেও অন্যায় করার সুযোগ দিবো না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি টিম। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, জনগণের সাথে পেশাদার আচরণ করতে হবে। তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

ফোর্সের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে আইজিপি বলেন, কল্যাণের পাশাপাশি ফোর্সের শৃঙ্খলা কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।

তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। আইজিপি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

পরে তিনি পঞ্চগড় সদর সার্কেলের নবনির্মিত অফিস ভবন উদ্বোধন করেন।

জাতীয়

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিওএ’র নির্বাচন কমিশনার এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, পদের বিপরীতে একাধিক মনোনয়ন পত্র না জমা হওয়ায় এবং একমাত্র মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

বিওএ’র সভাপতি পদে সেনাপ্রধান দায়িত্ব পালন করে আসছেন নির্বাচিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিওএ সভাপতি হয়েছেন।

সেনাপ্রধান হিসেবে অবসরের পর জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ অলিম্পিকের সভাপতি থেকে পদত্যাগ করেন। সেই শূন্য পদে নির্বাচনে উদ্যোগ নেয় বিওএ।

বিওএ সভাপতি নির্বাচনে খসড়া ভোটার তালিকায় ৭১ জন কাউন্সিলর ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, মন্ত্রণালয় অনেক ফেডারেশন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি প্রদান করায় শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২।

জাতীয়

এইসব প্রযুক্তি বড় পরিসরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।

বেশ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি সম্ভবত ভেবে বসে আছে, তারা বিভিন্ন নতুন টুল দিয়ে আবহাওয়া থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঠেকাতে পারবে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

তবে, বহুল প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, আমাদের গ্রহটি এরইমধ্যে উত্তপ্ত অবস্থায় আছে এবং একে দ্রুত শীতল করা গেলে তা গুরুতর ক্ষতি এড়াতে সহায়ক হবে। এই নতুন গবেষণাটি ওই ধারণায় স্রেফ পানি ঢেলে দিয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বেশিরভাগ ক্ষতি হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে, যা ঠেকানো সম্ভব নয়।

এর ফলে, বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানিগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন বন্ধ বা ধারণ করার চেয়েও জরুরী বিষয় হয়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।

“জলবায়ু পরিবর্তন এমন পরিণতি নিয়ে আসে, যা আর বদলানো সম্ভব নয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য,” গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পাওয়ার আগে সংবাদকর্মীদের বলেছেন এই গবেষণার প্রধান লেখক ও জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লায়েড সিস্টেমস অ্যানালাইসিস’-এর প্রধান কার্ল-ফ্রেডরিখ শ্লেউসনার।

বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানি এমন বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিকাশে কাজ করছে, যেগুলো বিভিন্ন শীর্ষ দূষণকারী ব্যবস্থা থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাতাস, সমুদ্র থেকে শুরু করে পাথর বা কংক্রিট থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিশোধন।

এইসব প্রযুক্তি বড় পরিসরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।

মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো টেক জায়ান্টরা কার্বন সরিয়ে ফেলার এইসব উদিয়মান কৌশলের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

এমনকি তারা ‘নেট জিরো’ বা ‘নেট নেগেটিভ’ কার্বন নির্গমনে পৌঁছানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকারও করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এআই ডেটা সেন্টার তৈরির কারণে কার্বন নির্গমন বেড়ে গেছে।

আর, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন না করেই এইসব কোম্পানির কার্যক্রম চালানোর মতো যথেষ্ট নবায়নযোগ্য শক্তির যোগান দেওয়া এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এদিকে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কার্বন সরিয়ে ফেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন চুক্তি করছে যাতে এর থেকে সৃষ্ট জলবায়ু দূষণের প্রভাব কমিয়ে ফেলা যায়।

রাজনীতি

গাজীপুর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগের (আওয়ামী লীগ) সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা ঘুষকে স্পিডমানি বলে চালিয়ে দিতেন। তারা ঘুষ নিতেন ঘোষণা দিয়ে।

আমরা এক বিচিত্র সংসদ ও সরকার পেয়েছিলাম। সেই সংসদ ও সরকার জনগণের জন্য ছিল না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তেলিপাড়া এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সংসদে ব্যক্তি বন্দনায় নেচে গেয়ে জনগণের টাকা নষ্ট করা হতো। এক ব্যক্তির ইশারায় সব কিছু উঠতো এবং বসতো। সু-বিচার যেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করার কোনো সুযোগ নেই। সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হলে ঘুষের রমরমা ব্যবসা চলবে না।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রধান স্লোগান ছিলে আমরা সুবিচার চাই। যে সমাজে সু-বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সমাজে ডাকাত ও চোরের কোনো জায়গা নাই।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, তারুণ্য নির্ভর একটি সমাজ দেখতে চায় জামায়াত। যুবক সমাজকে সম্মান করতে হবে। তাদের যোগ্যতার ভিক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দিতে চাই।

গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – গাজীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ সফি উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাকিম মাওলানা সেফাউল হক, মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রাজনীতি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ মোট চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকা। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি অর্থবছরে (অর্থবছর-২৫) একনেকের দ্বিতীয় সভায় ও অন্তর্বর্তী সরকারের ১ম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সার্বিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬৩.৮২ কোটি টাকা আসবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে, প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে ১০০.১৬ কোটি টাকা এবং বাকি ১৫৮.১৬ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে।

দু’টি নতুন অনুমোদিত প্রকল্প হল- ৫৮৮.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধানী কূপ (সুন্দলপুর দক্ষিণ-১ ও জামালুর-১)’ এবং ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ে টেকসই সামাজিক পরিষেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ ।

এছাড়া আরও দুটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ৭০.৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন, প্রথম সংশোধিত’ এবং ১৬৩.১১ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘তথ্য আপা: আইসিটি টুওয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, (দ্বিতীয় পর্যায় ও দ্বিতীয় সংশোধিত)’। এ প্রকল্পের সময়সীমা এক বছরে কমিয়ে আনা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া তথ্য আপা প্রকল্পের শিরোনাম পরিবর্তন করা হবে।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২ জুলাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিকল্পনা কমিশনে সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়

‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ থেকে ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহিদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

বুধবার ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এদিকে আগেই সিদ্ধান্ত আছে, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে।

এর আগে মঙ্গলবার ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’এ ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক

ভারতজুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একই সঙ্গে করানোর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ। এর ফলে সংসদের অধিবেশনে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্র বিল পাশে সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা ও অর্থ অপচয় ঠেকাতে লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও পৌরসভা-পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট একই সঙ্গে করা উচিত। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই ভোট হয়ে গেলে ভারতের মতো গণতন্ত্রের দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হবে না।

‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকরের বিষয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব ক’টি বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্টটি জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ কমিটির অন্য সদস্যেরা।

রিপোর্টে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী, নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি চালু করতে গেলে আগে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। সে জন্য দরকার বিলের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশের সমর্থন। সেই সমর্থন বিজেপি ও তার সহযোগীদের নেই। সংবিধানের সংশোধন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত বিধানসভাতে পাস করানোও বাধ্যতামূলক।

অর্থনীতি

গ্যাসের দুটিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এ সময় একটি প্রকল্পের শুধুমাত্র মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১০০ কোটি ১৬ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

পরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হারিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্প। এছাড়া দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন। তথ্য আপ: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন-দ্বিতীয় পর্যায় (দ্বিতীয় সংশোধিত) এবং সর্বশেষটি হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় সংশোধিত)।

এদিকে ব্যয় না বাড়িয়ে শুধু মেয়াদ বাড়ানোর জন্য উপস্থাপন হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত)।

তবে একনেকে উপস্থাপনের জন্য মোট ৬টি প্রকল্প উপস্থাপনের কথা থাকলেও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দুটি প্রকল্প ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয়

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯(২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবি মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ এর ধারা ১০(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ আবদুল্লাহকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজনীতি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাডাম খালেদা জিয়া সব কিছু টেলিভিশনে দেখছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন, এই দিনটা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলেছিলেন, নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হোন। আন্দোলনে যে ছেলেটির হাত চলে গেছে, পা-চোখ চলে গেছে, উনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য দল যাতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার তো সরকারের মতো করবেই। এজন্য খালেদা জিয়া মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।