জাতীয়

প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফেসবুকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড পেজেও এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কারিগরি ত্র“টি সমাধানের পর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মেট্রোরেল চলাচলে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

এর আগে বুধবার সকালে হঠাৎ মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৪৩০ নম্বর পিলারের হেড ও ভায়াডাক্টের মাঝখানের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ায় চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

বিয়ারিং প্যাড ভূমিকম্প, ট্রেন চলাচলের কম্পন ও তাপে সম্প্রারিত পাতের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে বলে জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। বিকালে তিনি জানান, মেট্রোরেল চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরপরই কারণ অনুসন্ধান করে মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি কাজ শেষ করে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে চলাচল শুরু হয়েছে।

দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার দিনভর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করেছে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল না যাওয়ায় যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। অনেককে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। কাউকে আবার বাসে ওঠার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কেউবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও রিকশায়, ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে গেছেন। মেট্রোরেলের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ভোগের পাশাপাশি যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনে যার যার গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সকালে জানায়, অনিবার্য কারণবশত সকাল ৯টা ৪০ মিনিট হতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশের ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে পুনরায় বার্তা দিয়ে জানানো হবে।

জাতীয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ জ্যাকসন হাইটস ইউনিট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের পর তার সেই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুর রহমানের একটি লিখিত আদেশে মো. তানভীর কায়সারকে বহিষ্কার করা হয়। উক্ত বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয় বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তানভীর কায়সার দলের নীতি, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় তাকে দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রফিকুর রহমান জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের পর তানভীর কায়সার সেই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করেছেন। একজন দলীয় কর্মী হয়ে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির দলে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাই গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে তানভীরের ফেসবুক আইডি বন্ধ রয়েছে। ফোনালাপে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই নেতাদের সঙ্গে তিনি আন্দোলন করবেন। কিন্তু তিনি নিজেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের হাতে ‘নির্যাতিত’ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তানভীর কায়সার ২০১৯ সালের ৪ জুন লস অ্যাঞ্জেলেস হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকেন। তার ভিসাটি ছিল ভ্রমণ ভিসা। পরে ২০২০ সালের ৭ মে দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।

তবে কোন সূত্রে শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, সেটি এখনো জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে অনেকেরই কথা বলার অডিও ফাঁস হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ বিষয়টিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও মন্তব্য করছেন। তবে এসব কল রেকর্ড কীভাবে ফাঁস হচ্ছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তানভীরের ফোনালাপ কীভাবে ফাঁস হলো এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রবাসীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

খেলাধুলা

রাত পোহালেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এই টেস্টে কেমন হবে বাংলাদেশ একাদশ, এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে ভারত সফরের টেস্ট দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। তাই একাদশেও খুব বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই।

পেস বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন তাসকিন আহমেদ। তার সঙ্গে আছেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। পাকিস্তান সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছেন তারা। প্রথম টেস্টের একাদশে এই তিন পেসারকেই দেখা যেতে পারে।

তবে উইকেট যদি স্পিনবান্ধব হয়, সেক্ষেত্রে একাদশে দেখা যেতে পারে তাইজুল ইসলামকে। তখন একাদশে জায়গা হারাতে পারেন রানা।

এছাড়া বাংলাদেশের একাদশে খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পাকিস্তান সিরিজের শেষ টেস্টের একাদশে যারা ছিলেন তাদের থাকারই সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা।

আন্তর্জাতিক

নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

আখিম ট্রোস্টার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬শ’ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধা। কারণ কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি যারা এই সহায়তা পেয়েছে।

বিনোদন

২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় কারিনা কাপুরের। দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে জনপ্রিয় হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী বছর বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ইতোমধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন কারিনা।

এই ছবিতে কারিনার চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম। এর আগে এ ধরনের চরিত্রে তাকে কেউ ভাবতেও পারেননি। এই চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন কারিনা।

সম্প্রতি প্রযোজক হিসেবে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেছেন কারিনা। পাশাপাশি কোনো থ্রিলার ছবিতে গোয়েন্দার চরিত্রেও প্রথমবার পর্দায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’। এ সিনেমায় একাধারে তিনি একজন মা আবার একজন গোয়েন্দা।

বাকিংহামের এক মৃত্যুর রহস্য সমাধান করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সন্তান হারানোর পর কিভাবে কারিনা সত্য সন্ধানে পুলিশের সঙ্গে কাজ শুরু করেন তারই ঝলক তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।

খেলাধুলা

টেস্টে বাংলাদেশের ওপর বরাবরই দাপট দেখিয়ে এসেছে ভারত। ১৩ ম্যাচের সবকটিতেই অপরাজিত তারা।

সামনেই অপেক্ষা করছে আরও একটি সিরিজে। তবে এই সিরিজে আগের চেয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে এমনটাই জানিয়ে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা। তাই সেই সিরিজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করে দেখানোর আশ্বাস দিয়েছেন শান্ত।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা একটা চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে একটা ভালো সিরিজ পার হওয়ার পর দলের মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস আছে, এমনকি পুরো দেশের মানুষের মধ্যেই আছে। প্রতিটি সিরিজ একটা সুযোগ, আমরা দুটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ…আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাজটা আমরা ঠিকঠাক করতে পারছি কি না। আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব, তবে চ্যালেঞ্জিং। ’

‘র‌্যাঙ্কিংয়েও যদি দেখেন, ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে সম্প্রতি আমরা ভালো একটা সিরিজ পার করে এসেছি। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পাঁচ দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ফলটা শেষ সেশনে গিয়েই হয়। পাঁচ দিন ভালো খেললে শেষ সেশনে সুযোগ থাকে কোন দল জিতবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো পাঁচটা দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটার জন্য কী পরিকল্পনা করা দরকার, সেটা। ’

পাকিস্তান সিরিজে বোলিং অ্যাটাকের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। সেটা পেস হোক কিংবা স্পিন। ভারত সিরিজের প্রথম টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ে। যেখানে সাধারণত স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন।

শান্ত বলেন, ‘শুধু স্পিনারদের যে দায়িত্ব, তা নয়। ব্যবধান তখনই গড়া সম্ভব হবে, যখন দল হিসেবে খেলব। ব্যাটসম্যান ও পেস বোলারদেরও সমান দায়িত্ব আছে। পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ, দল হিসেবে খেলতে পারলেই ভালো ক্রিকেট খেলব। ’

‘প্রতিপক্ষ দল কী চিন্তা করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমাদের স্পিন ও পেস বিভাগ ভালো একটা অবস্থানে আছে। তবে ওই দলের সঙ্গে তুলনা করলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা কিছুটা পিছিয়ে। ’

অভিজ্ঞতায় ভারতকে এগিয়ে রাখলেও শান্ত এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। বরং ইতিহাস গড়ারই সুযোগ দেখছেন তিনি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘স্কিলের দিক থেকে হয়তো কাছাকাছি আছি, তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলটাকে এগিয়েই রাখব। (আমাদের) স্পিনারদের ভালো অভিজ্ঞতা, যেকোনো কন্ডিশনে বোলিং করার সামর্থ্য আছে। এতটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনাররা যারাই খেলবে, প্রত্যেক খেলোয়াড় শতভাগ দেবে। আমি বিশ্বাস করি পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে। ’

‘এটা একটা সুযোগ। প্রত্যেকে ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। সুযোগ থাকবে জেতার। কিন্তু যেটা বললাম, আগে এত লম্বা চিন্তা না করে শক্তি অনুযায়ী যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি পাঁচ দিন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। ’

জাতীয়

আজ সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল সরকারি ছুটি।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ।

তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।

মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন।

পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিস্তারিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেইটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন।

অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮ টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

রাজনীতি

প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথমবারের মতো সেনাসদরে আগমন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র‍্যাব এর মহাপরিচালকরা ও সেনাসদরের কর্মকর্তারা।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক

সৌদি গোয়েন্দা পরিষেবার সাবেক প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফয়সাল লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে এক বক্তৃতায় গাজা যুদ্ধের বছর পেরোনোর আগে শান্তি প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন এবং জানান এই যুদ্ধের আগে শুরু হওয়ার আলোচনা (সৌদি- ইসরায়েল সম্পর্ক বিষয়ে) ইতিবাচকই ছিল।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী, কিন্তু রিয়াদের অবস্থান হল, যদি এমন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় যার অস্তিত্ব ইসরায়েল স্বীকার করে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে কথা শুরু করতে পারবো। খবর আরব নিউজ

এই সময় আল-ফয়সাল বলেন ১৯৮১ সালের কিং ফাহদ শান্তি পরিকল্পনা এবং বাদশাহ আবদুল্লাহ কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০০২ আরব শান্তি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সৌদি আরব সবসময় এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে এসেছে। সৌদি আরব চায় ১৯৬৭ সালে সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম যুক্তকরে একট স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র।

বক্তব্যে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে চাপ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি লবিস্ট গ্রুপের উপর থেকে কর রেয়াতের সুবিধা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে সমর্থন করবে না আমিরাত

ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের প্রভাবে দিনদিনই জনমত হারাচ্ছে ইসরাইল। শুরুর দিকে ইসরাইলকে সমর্থন দিলেও এখনও অনেকেই আর সমর্থন দিতে পারছেন না এই যুদ্ধে। ইসরাইলের নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি। গাজায় বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে গণবিক্ষোভ করছে দেশটির নাগরিকরা। এই অবস্থায় ইসরাইলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় ইসরাইলের পরিকল্পনায় সমর্থন করবে না। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’

এর আগে, গত মে মাসে, ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। যেখানে তার দাবি, এটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে। এই পরিকল্পনায় বন্দর, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই পরিকল্পনা যুদ্ধে বিজয়ের পর আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হতো।

যেই রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে পরিকল্পনাটি চালাবে। যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কোসহ আরব রাষ্ট্রগুলির একটি জোট তত্ত্বাবধান করবে।

যার প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুকে নিন্দা করেছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ। তার মতে, ‘এই পদক্ষেপটিতে বাস্তবায়ন বা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার বৈধ কর্তৃত্বের অভাব ছিল। কেননা, গাজা পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি উপস্থিতি কভার প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনও পরিকল্পনায় জড়িত হতে অস্বীকার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যা ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সততা, যোগ্যতা এবং স্বাধীনতার দ্বারা আলাদা হবে। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই সরকারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকবে।’

রাজনীতি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন বলে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী বা সমর্থক বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটি বহু বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিএনপির দীর্ঘদিনের নিরবিচ্ছিন্ন পরিক্রমা। এখানে বিএনপির আবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যাথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার, আর কারাগারে বন্দি ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। তাদের সবার ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্রু দিয়ে, প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে; চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বস্তুত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহিদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ। এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়, বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।

এ সময় আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।