অর্থনীতি

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না। এমন বাজেট হবে, যা আগামী অর্থবছরের জন্য বোঝা হবে না। আমরা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট করছি। এজন্যই আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার কমেছে।

রোববার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে এ বৈঠক এবং ব্রিফিং হয়। এতে নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অহেতুক ব্যয় কমানো হয়েছে। তবে আগামীতে আড়াই হাজার ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। সেজন্য তখন স্বাস্থ্য খাতে পরিচালন বরাদ্দও বাড়বে। শিক্ষকদের কল্যাণ ফান্ডসহ বিভিন্ন খাতে দেনা পরিশোধে বরাদ্দ থাকছে। আগামী বাজেট হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে সব ধরনের ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা, বাজেট বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং টেকসই অর্থনীতির বাজেট।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, আগামী অর্থবছরে এডিপি যাতে শুরু থেকেই বাস্তবায়ন করা যায়, সেটি নিয়ে এনইসিতে আলোচনা হয়েছে। সেই প্রচেষ্টা থাকবে।

বিনোদন

ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো নুসরাত ফারিয়াকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। শাহজালালের ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর এবার পর্দার শেখ হাসিনাও দেশ ছাড়ছিলেন। তবে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলেও নুসরাত ফারিয়ার গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড।

২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।

দুপুরে আটকের পর বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাসরিন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার মামলা রয়েছে ভাটারা থানায়। তাকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করেছে।

ফারিয়ার গ্রেফতারের খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের মন্তব্য, মামলা পরই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ফারিয়া।

২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও।

আন্তর্জাতিক

গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে তিনি সে দেশেই অবস্থান করছেন।

এই দীর্ঘ ৯ মাসে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি শেখ হাসিনার। জয় এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তিনি মার্কিন নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিগিগিরই শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের। আর সেই সাক্ষাৎ হবে অবশ্যই ভারতে। ভারত সফরে আসছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে কবে দেখা হতে পারে এ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।

জয়ের ভারত সফরের প্রেক্ষাপট এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিউজ এইটিন জানিয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর তিনি আমেরিকার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। জয় ভারতে এলে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এটিই হবে মা-ছেলের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ।

এদিকে জয়ের সম্ভাব্য ভারত সফর ও মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের খবরে আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একজন সাবেক মন্ত্রী নিউজ এইটিনকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জয় এবং নির্বাসিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সরকার যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এটি আগামী নির্বাচনে দলটিকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে নেওয়া কৌশলের অংশ। ’

উল্লেখ্য, আওয়ামী শাসন আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ‘চুপিসারে’ দেশত্যাগের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জোরদার হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের টানা আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সব অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিচার ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা, সেমিনার, গণমাধ্যমে প্রকাশনা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করা হয়েছে।

এতদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ড এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে জয়ের ভারত সফরের খবর উৎসাহ যোগ করেছে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন কিছু গড়ার সক্ষমতা রাখি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়।

সমাবর্তন ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাইলে আমাদের মতো করে এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’ তবে, তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকা দরকার- কেমন পরিবেশ ও সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেই সম্পর্কে।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি তা মানুষের জন্য নয়, বরং ব্যবসার জন্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসাকেন্দ্রিক এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি বিভাগে।

অনুষ্ঠানে, চবি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট সনদ তুলে দেন।

সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজসহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন।

চবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চবি আজ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করে, যেখানে ২২,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।

রাজনীতি

নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৪ মে) সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড, ধর্মান্ধ মৌলবাদীগোষ্ঠী নারীর প্রতি অবমাননার প্রতিবাদে সম-মর্যাদা ও সম-অধিকারের দাবিতে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। নেতারা নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা সফল করার আহ্বান জানান।

নেতারা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সব সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গণতন্ত্রমনা সবাইকে এই সমাবেশে অংশ নিয়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানান।

জাতীয়

জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রীক জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টিকে কেন ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সেই সাথে রুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জাতিসংঘের এই রিপোর্টকে কেন সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এসংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে এক রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

আদেশের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়েছে। তখনকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল-অর্থাৎ একটি যথাযথ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।

তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে তিনটি উদ্দেশ্যে এটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য, কী ঘটনা ঘটেছিল। এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য। যদিও ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল এটাকে নিয়েছে বলে জেনেছি। ভবিষ্যতে রিসার্চের উদ্দেশ্যে অন্য দেশে ব্যবহার করা। এ জন্য কোর্ট অব রেকর্ড হিসেবে হাইকোর্টে রিপোর্টসহ আবেদন দাখিল করেছি। আদালত রুল জারি করে আদেশ দিয়েছেন।

খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ কেটেছে মেহেদী হাসান মিরাজের। দুই টেস্টের সিরিজে দারুণ পারফর্ম্যান্সের ফলটা তিনি পেলেন এবার। আইসিসির চোখে এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার বনে গেছেন তিনি।

আইসিসির মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন, আগেই জেনেছিলেন মিরাজ। এক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স, যিনি গেল মাসে দুই ওয়ানডে খেলে তুলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। এছাড়াও এই তালিকায় ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি, যিনি প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে।

তবে তাদের পেছনে ফেলে মিরাজ বনে গেছেন মাসসেরা। তিনি গেল মাসে দুটো টেস্ট খেলেছেন। দুই ম্যাচেই গড়েছিলেন অবিশ্বাস্য সব কীর্তি। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচটি করে উইকেট। পরের টেস্টের শেষ ইনিংসে ফাইফার তুলে নিয়েছিলেন, তার আগে পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরির দেখাও। ব্যাটে বলে এমন পারফর্ম্যান্সই মিরাজকে এনে দিয়েছে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার।

মিরাজের ক্যারিয়ারে এটি প্রথম মাসসেরার পুরষ্কার। সব মিলিয়ে তিনি তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরষ্কার জিতলেন। তার আগে এই পুরষ্কার জিতেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গেল মাসে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। গড়ে ফেলেছিলেন একাধিক রেকর্ডও। সাকিব আল হাসান এই সিরিজের আগ পর্যন্ত ২০০০ রান আর ২০০ উইকেটের ডাবল ছোঁয়া একমাত্র বাংলাদেশি ছিলেন। এই সিরিজে ১১৬ রান আর ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি গড়েন। সাকিব এ কীর্তি গড়েছিলেন ৫৪ ম্যাচে, মিরাজ সেটা ৫৩ ম্যাচেই ছুঁয়ে ফেলেন। ফলে তিনি রেকর্ডটাও নিজের ঝুলিতে পুরে ফেলেন।

এর আগে সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে তৃতীয় বার ম্যাচে দশ উইকেটের কীর্তি গড়েন তিনি, যে কীর্তি নেই কোনো বাংলাদেশির। এরপরের টেস্টে সেঞ্চুরি তাকে এনে দেয় বিরল এক রেকর্ড। এক সিরিজের এক ম্যাচে ১০ উইকেট আর আরেক ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি তার আগ পর্যন্ত দেখেছিল ৬ বার, সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এ কীর্তি নিজের করে নেন মিরাজ।

এমন সব রেকর্ডের পর মাসসেরা না হলে মিরাজের প্রতি বুঝি অবিচারই হয়ে যেত। সেটা হয়নি শেষমেশ। মিরাজ যোগ্য হিসেবেই জিতে নিয়েছেন আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার।

রাজনীতি

ছাত্ররা যদি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ ব্যর্থ হবে, বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, এক সময় দেশ পরিচালনা করেছি। আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, দেশের জনগণ যাদের দায়িত্ব দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যারা নতুন প্রজন্ম, তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। গুরু দায়িত্ব পালনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, এই দেশ তোমাদের।

তিনি বলেন, জুলাই ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের পরিবর্তন এসেছে, সেই অর্জন তোমাদের। আমরা সেই কথা গর্বের সঙ্গে বলে থাকি। বিগত ১৫ বছর সংগ্রাম করে জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সেই গৌরব তোমাদের ধরে রাখতে হবে। এই সুযোগ যদি হেলায় হারাও, কোনো ভুল পথে গিয়ে সুনাম নষ্ট করো, তাহলে শুধু তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. ইউনুস তালুকদার রাজুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

অর্থনীতি

জাতীয় পেনশন স্কিমে চাঁদাদাতা ব্যক্তি পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর চাইলে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন উত্তোলনের সুযোগ পাবেন।

বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। সভায় পেনশন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং স্কিমগুলোকে আরও সহজ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রবাস এবং প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী অনেকের মাসিক আয় তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এই দুটি স্কিমে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার দুই হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে প্রগতি স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের মাসিক আয় বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের গড় মাসিক আয়ের চেয়ে বেশি, তাদের সুবিধার্থে মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের একটি ইসলামিক ভার্সন চালু করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিনোদন

ছবি দেখে কে বলবে, ঢালিউডের এই অভিনেত্রী বয়স ৭০-এর ঘরে! মনে হচ্ছে নিজের রূপ-লাবণ্যে দিনকে দিন মোহনীয় হয়ে উঠছেন তিনি। বয়সকে আড়াল করে রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।

বলা হচ্ছে আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনার কথা। সামাজিকমাধ্যমে যিনি বেশ সরব। নিত্য নতুন ছবি শেয়ার করে যিনি ভক্তদের প্রশংসায় ভাসেন।

বুধবার (১৪ মে) নিজের ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন রোজিনা। যেখানে সাগর পাড়ে তিনি মেরুন রঙের গাউনে হাজির হয়েছেন। সঙ্গে পরেছেন সাদা পুতির চোকার ও ম্যাচিং পুতির কানের দুল। ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক আর চোখে মাসকারা দিয়ে সেজেছেন। চুলগুলো মাথার মাঝে ফুলিয়ে পেছনের দিকে টেনে বাধা।

ছবির সঙ্গে কোনো ক্যাপশন জুড়ে না দেননি রোজিনা। তবে এতেই তার অনুরাগীরা তার রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কেউ আবার কমেন্ট বক্সে জানিয়েছেন শুভ কামনাও।

১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রের সহনায়িকা হিসেবে সিনেমায় নাম লেখান রোজিনা। তবে এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর রোজিনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শাবানা, ববিতা, সুচরিতার পাশাপাশি তিনিও হয়ে ওঠেন একজন সুপারহিট তারকা।

রোজিনা অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘সুলতানা ডাকু’, ‘মানসী’, ‘দোলনা’, ‘দিনকাল’, ‘রসের বাইদানী’, ‘জীবনধারা’, ‘রূপবান’, ‘আলোমতি প্রেমকুমার’, ‘হামসে হায় জামানা’সহ প্রায় তিনশত সিনেমা।

চিত্রনায়িকা হিসেবে রোজিনা দেশ-বিদেশে সমাদৃত হন। ১৯৮০ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কসাই’ সিনেমায় পতিতা আঙুরীর চরিত্রে অভিনয় করে পান বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে মতিন রহমান পরিচালিত ‘জীবন ধারা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন রোজিনা।

এ ছাড়া ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে ‘হাম দো হায়’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের ‘নিগার এ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে ভারতীয় উপ-মহাদেশে চমক সৃষ্টি করেন এবং বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসেন। রোজিনা তৎকালীন ভারতের জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাতবহু অভিনেতার বিপরীতে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছেন।

অভিনয়ের জন্য চিত্রনায়িকা রোজিনা ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ হতে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি অন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করে নজির সৃষ্টি করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫৫টি। ১৯৯০ সালের পর তিনি কলকাতায় পাড়ি জমান এবং সেখানে প্রায় ২০টি সফল সিনেমায় নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে ‘রাক্ষুসী’ সিনেমার পর আর সিনেমায় কাজ করেননি।

তবে বিরতি ভেঙে ২০২৩ সালে নিজের পরিচালিত সিনেমা ‘ফিরে দেখা’তে হাজির হন রোজিনা। সরকারি অনুদানের সিনেমাটিতে জুটি বাঁধেন এই সময়ের নায়ক নিরব ও নায়িকা স্পর্শিয়া। এছাড়াও ইলিয়াস কাঞ্চনকেও সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায়।