বিনোদন

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার (১০ নভেম্বর) শপথ নিয়েছেন তিনি।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিস করেন ফারুকী। এর মধ্যে এই নির্মাতাকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। যা নজর এড়ায়নি ফারুকীর। অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুুলে ধরা হলো-

প্রিয় ভাই-বোনেরা, ঘুণাক্ষরেও যা আগে ভাবি নাই, এখন আমাকে সেটাই করতে হচ্ছে। যাই হোক শুরু করি। আমি মাত্রই দুই দিন হলো কাজ করছি। এর মধ্যে আমার ধারণা আমার মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের মাঝে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে চাই যেটা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সংস্কৃতি কর্মীদের কাজে আসবে।

যাই হোক, যদিও আমি কোনও পদ চাই নাই, তবুও দায়িত্বটা নেওয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে এক অবিশ্বাস্য অভিযোগের- আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর! যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে গেলাম এটা জেনে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী?

আমি আমার চেয়ারের জন্য কোনো সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তু শিল্পী হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি বলেই কয়টা কথা বলছি।

শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয় আর সবার মত আমিও ভেবেছিলাম এটা নির্দলীয়। যে কারণে আমার সব পোস্টে এটাকে ঠেলে “রাষ্ট্র মেরামতে” এজেন্ডার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন বুঝে যাই, তখনই লিখি “কিন্তু এবং যদির খোঁজে”। যে কিন্তু এবং যদি শাহবাগ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে আজকের যে ফ্যাসিবাদের সূচনা করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে লিখি, “এই চেতনা লইয়া আমরা কি করিবো”। ২০১৪ সালে। এই দুইটা লেখার যে কোনো একটা লেখা ছাপা হওয়ার পর বিএনপির শিমুল বিশ্বাস সাহেব ফোন দিয়েছিলেন কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য! আমি কোনো দল করি না। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগ হলে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা আমার লেখায় কি খুঁজে পেলেন যে আমার সঙ্গে পরিচয় না থাকা স্বত্বেও আমার নম্বর জোগাড় করে ফোন দিলেন?

আমি ঘটনাচক্রে একজন পরিচিত মুখ, ভাই ও বোনেরা। একজন লেখক যতোটা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেন, ফ্যাসিবাদের কালে আমার সেই স্বাধীনতা পাওয়ার সুযোগ ছিল না। তার মধ্যেও যতোটুকু করেছি তার ফলও আমাকে ভোগ করতে হয়েছে। ২০১৫ সালে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন সেলের হেনস্তার শিকার হওয়ার মধ্যে যে দীর্ঘ অত্যাচারের শুরু। সেই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আমার সিমপ্যাথি পাওয়ার ইচ্ছা এবং প্রয়োজন নাই।

অনেকে বলছে, আমি ভারতীয় হেজেমনির অংশ। যে লোককে বাংলাদেশের কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট ঘৃণা করে আমি কলকাতা কেন্দ্রিক ভাষার হেজেমনি ভেঙ্গে দিয়েছি বলে, সেই কিনা এই হেজেমনির অংশ! আমি পৃথিবীর কোনো দেশেরই ঢালাও নিন্দা করি না। কারণ দেশে নানা চিন্তার মানুষ থাকে। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলতে চাই, কাজ করতে চাই। কিন্তু আমার দেশের ক্ষতি হলে, আমি তার বিরুদ্ধে বলতে কুন্ঠা করি না। ফেলানীর মৃত্যুর পর কি পোস্ট দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে সেটা দেখতে পারেন নিচে।

আমার অবস্থানের উপহার হিসাবে ভারতীয় হাই কমিশনে একসময় কর্মরত রঞ্জন মন্ডল নামের এক কর্মকর্তা তার ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট দিয়ে বহুবার কি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল সেটা খোঁজ করে দেখুন। আর সেই আমি পার্ট অব হেজেমনি? আমরা এক অনন্ত ভয়ের ঘরে বাস করে এসেছি। আমরা কথা বলতে ভয় পেতাম। এমন কি কথা বলার সময় ঘরে ফোন থাকলে সরিয়ে ফেলতাম। পাছে আড়ি পাতে। আমার মনে আছে ২০১২ সালে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য আমি আর ‘আরিফ আর হোসাইন’ লুকিয়ে আমেরিকান ক্লাবে গিয়ে বসে আলাপ করতাম কিভাবে এই জালিম সরকারকে হটানো যায়। বিএনপি এবং জামাত কিছু করতে পারবে? আর্মির মনোভাব কি? জোনায়েদ সাকির সঙ্গে বাটন ফোনে কথা বলে গোপনে দেখা করতাম আর পরামর্শ করতাম কি করা যায়। সেই আমি আওয়ামী ফ্যাসিজমের পার্ট?

আমি তো কোনো বিপ্লবী নই। ছিলাম না কোনো কালে। আমি ফিল্মমেকার। ঘটনাচক্রে এবং আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি আমার সেই পরিচয়েই গর্বিত। আমি মারা গেলে আমাকে ফিল্মমেকার হিসাবেই মনে রাখা হবে, মন্ত্রী হিসাবে না। ফলে মন্ত্রীত্ব আমার কাছে কোনো অর্জন না, পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র। আমি এটা ফাইনালি অ্যাকসেপ্ট করেছি নিজের ফিল্মের বাইরেও আমার দেশকে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে- এটা বিশ্বাস করেছি বলে। আমার মনে হয়েছে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের লাভ-ক্ষতি না ভেবে এই ক্ষমতা দেশের কাজে লাগাই।

সবশেষ এই নির্মাতা লেখেন, লাস্টলি, আই অ্যাম লাভিং মাই জব। বাট আই অ্যাম হেইটিং দ্য ফ্যাক্ট দ্যাট আই হ্যাড টু রাইট দিস!

রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলা দিত।

আর এখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা-টামলা দিচ্ছি না। সাধারণ লোকজন, ভুক্তভোগী লোকজন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তারা অন্যদের ব্যাপারে ঢালাও মামলা দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ঢালাও মামলার খুব মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কার, পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি। আমাদের প্রত্যাশা আইনিভাবে কীভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করা যায়।

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের আইন করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, নেক্সট উচ্চ আদালতে যে বিচারক নিয়োগ হবে, এটি আমরা একটি আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। আইনের মাধ্যমে করার দাবি সমাজে বহুদিন ধরে আছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে একটি আইন তৈরি হয়েছিল। সেটি পরে আইনে রূপান্তরিত হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসে সেটিকে আর আইনে রূপান্তরিত করেনি। আমরা ওই আইনটি আরও বেশি যুগোপযোগী করার জন্য তাদের সহায়তা চেয়েছি, যাতে পরবর্তী যে নিয়োগ হবে, তা যাতে আমরা আইনের ভিত্তিতে করতে পারি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে এ উপদেষ্টা বলেন, তারা যেভাবে কাজ আগাচ্ছেন, তাতে আমি খুবই আশাবাদী হয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা যেমন বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন বা স্বপ্ন দেখছেন, তা যদি সত্যিই করা যেত, তাহলে সম্ভবত আমাদের বিচারাঙ্গনে সমস্যা যা আছে, তা আর থাকত না কখনো।

অর্থনীতি

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরিপ্রত্যাশী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সব সনদ অনলাইনে সত্যায়ন নিশ্চিত করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইউজিসি অডিটরিয়ামে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রি নিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সনদ অনলাইনভিত্তিক অ্যাপোস্টিল প্ল্যাটফর্মে সত্যায়ন শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।

ইউজিসির ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মন্ত্রিসভায় অ্যাপোস্টিল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন সনদ, দলিল, হলফনামা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২৭টি দেশে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে বছরে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজারের অধিক সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন করা সম্ভব হবে এবং এতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া, অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট সত্যায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে এবং ভোগান্তি কমে আসবে বলে তারা জানান।

কর্মশালায় বক্তারা আরও জানান, অনলাইনে সত্যায়ন করা হলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সত্যায়নে নকল প্রবণতা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধ করা যাবে। অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে প্রতিদিন ১০ হাজারের অধিক সনদ সত্যায়ন করা যাবে।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘অ্যাপোস্টিলমাইগভ’ (apostille.mygov.bd) প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এটুআই এবং ইউজিসি উচ্চশিক্ষা স্তরের সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন বাস্তবায়ন করবে।

অনুষ্ঠানে ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আইটি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদারসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জাতীয়

বাংলাদেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান তা বিএনপি স্মরণ করতে চায়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।

জনগণের জন্য কাজ করতে বেশিদিন সময় প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় দরকার অন্তর্গত তাগিদ।

বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য সচিব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের সাথে ভালো ব্যবহার করেননি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহীদ হাসান, ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সায়েম আল ফাইজি, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. তাজুল ইসলাম, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সাইফুল আলম বাদশাসহ অন্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের আট বিভাগে একযোগে এই মেডিক্যাল চলছে।

রাজনীতি

ওলামাদের রুহানি ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (১১ নভেম্বর) পূর্ব লন্ডনের মায়েদা গ্রিল হলে অনুষ্ঠিত ব্রিটেনের সর্বদলীয় ওলামা সংগঠন ‘বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকে’ কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ওলামাদের রুহানি ঐক্য প্রয়োজন। রুহানি ঐক্য হলে আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত বারাকা লাভ করব। আমরা ঐক্য চাই। আবার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বসে থাকি। একজন শর্ত দিলে তো অন্যজনও শর্ত দেবেন। এভাবে শর্তের বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আলেম ওলামার মধ্যে ছোট-খাটো বিষয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। সবার চিন্তা ও কর্মপরিধি একই ধরনের নয়। কিন্তু যারা জীবনের পাথেয় হিসেবে কোরআনকে কবুল করেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বকে অকুণ্ঠচিত্তে গ্রহণ ও স্বীকৃতি দেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাস্তব মডেল মনে করেন, এই তিন জায়গা ঠিক থাকলে আমাদের মধ্যে ঐক্য হওয়া সম্ভব।

জামায়াতের আমির বলেন, দ্বীন সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বীনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কেউ আমাদের স্বীকৃতি বা মর্যাদা দিল কি না আমরা তার পরওয়া করব না। আমরা সবাইকে ভাই ও বন্ধু মনে করে সামনে আগানোর চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত ওলামা মাশায়েখদেরকে উদ্দেশে বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য যত ইসলামি সংগঠন ও মারকায রয়েছে, আপনারা আমাদের মধ্যে কোনো ভুল দেখলে আমাদেরকে সোজা করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বীনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি আলেমদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের ও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনকে বিশ্বের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি পরিবেশে আপনারা আছেন যেখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এখানে আপনাদের মেধার বিকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয় না, যেমনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়। এখানে মেধার চর্চা বেশি হওয়ার কারণে আপনাদের ওপর আমাদের হকও বেশি। আপনারা সে হক আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।

‘বাংলাদেশি উলামা-মাশায়েখ ইউকে’র সভাপতি মাওলানা এ কে মওদুদ হাসানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক ও মাওলানা এফ কে এম শাহজাহানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ‘কাউন্সিল ফর মস্ক’ ও ‘ইশায়াতুল ইসলাম’-এর চেয়ারম্যান মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি শাহ সদরদ্দীন, দাওয়াতুল ইসলাম ইউ কের আমীর শায়খ আব্দুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ডক্টর শুয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

মতিবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ ইসহাক আল মাদানী, অধ্যাপক মুফিজুর রহমান, মাজাহিরুল উলুম মাইল্ড এর প্রিন্সিপাল শেখ ইমদাদুর রহমান মাদানী, ড. আব্দুস সালাম আজাদী, বাংলাদেশি ওলামা-মাসায়েখের সাবেক সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইউ কের সহসভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ইউকে’র সহসভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, মসজিদে আয়েশা টটেনহামের খতীব মাওলানা খিজির হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইউকে’র সেক্রেটারি মুফতি সালেহ আহমদ, জমিয়তে উলামা ইসলাম ইউ কের সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, খেলাফত মজলিস ইউকে সাউথের সহসেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশি ওলামা মাশায়েখ ইউকে’র অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা রফিক আহমদ রফিক, বাংলাদেশি ওলামা মাশায়েখ ইউকে’র প্রচার সম্পাদক মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, খেলাফত মজলিস লন্ডন শাখার সহ সম্পাদক মাওলানা দিলাওয়ার হোসেন প্রমুখ।

জাতীয়

নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের সময় ছবি রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হলে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আজ বেলা ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি লিখেছেন, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি, এটা আমাদের জন্য লজ্জার।

আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, মানুষের জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার ছবি কোথাও দেখা যাবে না।

গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা দরবার হলে শপথ পাঠ করেন। এ সময় তাদের পেছনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করে পোস্ট করেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি লিখেন, ‘আমরা সারাদিন লীগ তাড়াবো আর বলবো, ‘মুজিববাদ, মুর্দাবাদ। ’ আর তারা মুজিবের ছবি পেছনে টানিয়ে করে শপথ পাঠ। ’ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে।

জাতীয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া নতুন তিনজনের মধ্যে দুইজনকে দপ্তর বণ্টন এবং বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে সাতজনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। তবে শপথ নেওয়া নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া এক প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সালেহ উদ্দিন আহমেদ অর্থ মন্ত্রণালয়; ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; আলী ইমাম মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন।

রাজনীতি

আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজ  সোমবার দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ  বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।’ প্রেস সচিব জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে-সেসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে।

জাতীয়

নরওয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চালু করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নরওয়েতে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে একটি বিশেষ নৌ-চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোববার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন সাক্ষাৎ করতে এলে নৌ উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সোনালি প্রবেশদ্বার। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সফলভাবে নৌ-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আরএমজি পণ্য ইতোমধ্যে নরওয়ের বাজারে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে কার্গো পৌঁছাতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগে। যেখানে নরওয়েতে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ থেকে ২৩ দিন কম সময় লাগবে এবং মালামাল বহন খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভূ-কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও আমাদের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দুটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। মোংলা বন্দরকে একটি গ্রিনপোর্ট হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ দুটি বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণে নরওয়ে কারিগরি ও আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। উপদেষ্টা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট যাচ্ছিল মন্দ সময়ের মধ্যে দিয়ে। সেখানে খানিকটা হলেও সুবাতাস বইয়ে আনবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ রানের জয়। এ জয়ে সিরিজ যেমন বেঁচেছে; তেমনটি এখন স্বপ্ন দেখা যাচ্ছে সিরিজ জয়েরও। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠেও সন্তুষ্টির ছাপ। আগামীতেও যেকোনো পরিস্থিতি থেকে জিতব, এই বিশ্বাস রাখতে চান তিনি।

সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর পর এখন কি ভাবছে বাংলাদেশ। তা জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘বেশ কিছু জায়গায় চিন্তা করতে হবে। আজকে যেভাবে সবাই কাজে লাগিয়েছে প্ল্যান, তবে আমি মনে করি আমরা এর থেকেও ভালো দল। স্বস্তির জায়গা অবশ্যই, সিরিজ শেষ হয়নি। পরের ম্যাচে আবার কীভাবে প্ল্যান করে আসতে পারি এটা জরুরি ব্যাপার।’

কঠিন সময়ে এমন জয়ে খুশি শান্ত। তবে উন্নতির জায়গা দেখছেন আরও। শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। ক্রিকেট খেলাটা মোমেন্টামের ব্যাপার। মোমেন্টামের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা বলব না, কষ্ট করছিলাম আসলে যেন আমরা মোমেন্টামটা পাই। আলহামদুলিল্লাহ আগের দিন আমরা যেরকম প্ল্যানটা করেছি সবাই সেটা মাঠে কাজে লাগিয়েছে। ১০০% দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানে আরও উন্নতির জায়গা আছে। যে প্ল্যান ছিল তার খুব কাছাকাছি সফল হতে পেরেছি।’

ভারতের মাঠে টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হার। সময়টাকে কীভাবে দেখছেন শান্ত, ‘কঠিন ছিল আসলে গত কয়েক ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলছিলাম সব মিলে খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিলাম না। যেভাবে আজকে সবাই কামব্যাক করেছে। বিশ্বাস রেখেছে যে আমরা ভালো করতে পারি। সবাই সবার প্রসেস ঠিক রেখেছে।’

শান্ত আরও বলেন, ‘কঠিন ছিল তবে সবার বিশ্বাস ছিল যে আমরা ম্যাচটা ভালো ভাবে শেষ করতে পারি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে আগের দিন যে প্ল্যানটা করেছি সবাই সেখানে ছিল। খুবই খুশি যে সবাই প্রসেসটা ফলো করেছে।’

নিয়মিত ম্যাচ জিততে কি করতে হবে সেটাও জানিয়েছেন শান্ত। বলেন, ‘আমরা যেরকম দল, সেরকম ভালো করছি না হয়ত। তবে আমাদের সামর্থ্য রয়েছে। আমাদের বোলিং বিভাগ আছে, আমরা যদি তাদের কম রানে আটকে দেই তাহলে চেইজ করার সেই সামর্থ্য রয়েছে। শুধু সেই আত্মবিশ্বাসটা দরকার, নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসটা দরকার যে যেকোনো অবস্থা থেকে আমরা জিতব।’

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামীকাল বিকেল ৪ টায়। যেখানে জয়ী দলের হাতে উঠবে সিরিজ জয়ের ট্রফি। আর সেই ট্রফিটা নিয়েই দেশে ফিরতে চায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।