আন্তর্জাতিক

একের পর এক মার্কিন শুল্কের প্রতিবাদে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিল ভারত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে তারা।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রজনাথ সিং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াশিংটনে গিয়ে অস্ত্র ও বিমান কেনার বিষয়টি ঘোষণা করার কথা ছিল, কিন্তু সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।

সর্বশেষ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ‘জরিমানা’ হিসেবে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ভারতীয় পণ্যে শুল্কের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ।

ভারত জানিয়েছে, শুল্ক নিয়ে পরিষ্কার কোনো সুরাহা না হলে নতুন অস্ত্র ও বিমান কেনা হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬টি বোয়িং পি৮আই বিমান, স্ট্রাইকার যুদ্ধযান, জাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র কেনার কথা ছিল ভারতের।

জাতীয়

কলকাতার লাগোয়া এক উপনগরীর ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় যেখানে প্রতিদিন লাখো মানুষের আনাগোনা ও শত শত কমপ্লেক্স দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে কিছু নতুন মুখ, যারা আগে এ এলাকায় আসতেন না।

স্থানীয়দের অনেকেই তাদের চেনেন না, চেনার কথাও নয়।

অথচ মাত্র এক বছর আগেও তারা ছিলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ ও মধ্যম পর্যায়ের নেতা। এই কমপ্লেক্সেই সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় দপ্তর স্থাপন করেছে।

কলকাতায় আওয়ামী লীগের ‘পার্টি অফিস’ স্থাপনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা, হাস্যরস। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বলছেন, আওয়ামী লীগ কি পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করবে কি না।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পরে তার দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও দেশটিতে গাঢাকা দেন। প্রথম কয়েক মাসে ওই নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দপ্তর-সংক্রান্ত কাজ চালাতেন সুবিধামতো অবস্থানস্থলে। বড় বৈঠকের জন্য ভাড়া নিতে হত কোনো রেস্তোরাঁ বা ব্যাংকোয়েট হল।

এ কারণে একটি স্থায়ী ‘পার্টি অফিস’-এর প্রয়োজন বোধ করছিলেন তারা। এখন সেই অফিসটি পাওয়া গেছে উপনগরীর এক বাণিজ্যিক ভবনের পেছনের দিকে। লিফটে উঠে আট তলায় বাঁ দিকে গেলে সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দপ্তর চোখে পড়ে।

করিডরের দুপাশে হালকা বাদামি রঙের দরজার সারি, যার একটি দরজার আড়ালেই আওয়ামী লীগের নতুন ‘পার্টি অফিস’। ঘরটি প্রায় ৫০০-৬০০ বর্গফুটের। তবে বাইরে থেকে যেমন-তেমন, ভেতরে উঁকি দিলেও বোঝা যাবে না এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। কোথাও নেই সাইনবোর্ড, নেই শেখ হাসিনা কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতনভাবে। আমরা চাইনি যে এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় দপ্তরে যেসব ফাইল থাকে, সেগুলোও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটি বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।

তিনিই জানান, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দপ্তরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাংকোয়েট হল বা কোনো রেস্তোরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেওয়া হয়।

কারা যাতায়াত করেন পার্টি অফিসে?

গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কলকাতা ও আশপাশে ভাড়া বাসায় থাকছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, অন্তত ৭০ জন এমপি, জেলা সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ প্রায় ২০০ শীর্ষ নেতা এখানে অবস্থান করছেন। কেউ সপরিবারে, কেউ বা কয়েকজন মিলে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন, আবার কারও কারও পরিবার সময়-সময় বাংলাদেশ থেকে এসে কিছুদিন কাটিয়ে যান।

এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এখন যে সংখ্যাটা খুব বেশি বেড়েছে তা নয়। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের ৮০ জনের মতো এমপি এবং তারও আগে এমপি ছিলেন, এমন ১০-১২ জন নেতা আছেন এখানে। আবার এমনও কয়েকজন এসেছেন, যারা কলকাতায় এসে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে চলে গেছেন। সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারাও থাকেন কলকাতার আশেপাশেই। কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই পার্টি অফিসে যাতায়াত করে থাকেন।

ওই নেতা বলেন, অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার রোজই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস।

আওয়ামী লীগের এই নতুন দপ্তরের বিষয়ে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ যে কিছু জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই দপ্তরের বিষয়ে কতটা জানেন, সেটা জানা যায়নি।

কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ভারতীয় গোয়েন্দারা এই দপ্তরের বিষয়ে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।

যেভাবে দল চলছে এক বছর ধরে

গত এক বছরের কিছুটা কম সময় ধরে ভারত থেকেই আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির কাছাকাছি কোথাও থাকেন, আর বড় অংশ থাকেন কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে।

যদিও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই ধারণাটা ঠিক নয় যে ভারত থেকে দল চলছে। মূল দল বা সহযোগী সংগঠনগুলোর কতজন নেতা-ই বা ভারত অথবা অন্যান্য দেশে রয়েছেন? বেশিরভাগ তো এখনও বাংলাদেশেই আছেন।  কিন্তু দলের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ ভারতে আছেন বলে সেখান থেকেই যে রাজনৈতিক দিশা-নির্দেশ দেওয়া বা দলীয় অবস্থান চূড়ান্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবুও দু সপ্তাহ আগে পর্যন্তও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয়নি দল-নেত্রীর।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভারতে অবস্থান করছেন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।

অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে?

ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে দলীয় প্রচার প্রচারণার জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না ঠিকই, কিন্তু খরচ তো আছে। আবার যে নেতাকর্মীরা ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ব্যক্তিগত খরচও চালাতে হয়। কীভাবে সেসবের জন্য অর্থের সংস্থান হচ্ছে?

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, দেশে, বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাদের খরচ চালাচ্ছেন।

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে আগস্টের পরে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই অন্ধকার অতিক্রম করা কঠিন কাজ। যে নেতা-কর্মীরা দেশে বা বিদেশে আছেন, তারাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন। ’

কতদিন থাকবেন তারা দেশ ছেড়ে? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দিনক্ষণ ঠিক করে ওভাবে তো রাজনৈতিক লড়াই হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই। ’

জাতীয়

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর বলেছেন, ‘দ্বীপটির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প আয়ের উপায় নির্ধারণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, দ্বীপটির প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য (দ্বীপের প্রকৃতির ক্ষতি কমিয়ে আবার সুস্থ ও জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে) সেখানে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে। দূষণ কমাতে সারা দেশের শপিংমলগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। পলিথিন উৎপাদন কারখানা, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য স্থানে এর ব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলছে। পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াকে ‘দূষিত বায়ুমণ্ডল’ এলাকা হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের যুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুরের গাছা খাল দূষণকারী নয়টি কারখানার সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং সব পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য নতুন কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে এবং এর নিজস্ব ৩৭টি অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পাহাড় সংরক্ষণের জন্য ১৬টি জেলার তালিকাভুক্ত পাহাড়ের তথ্য অনলাইন ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নিয়মিত নজরদারি চলছে।জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কক্সবাজার ও সোনাদিয়ায় বিভিন্ন কাজে বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ৩২২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত এক বছরে বেদখল হওয়া ৫ হাজার ৯৩ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে আবার বনায়ন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাতির চলাচলের পথ তৈরি এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ানোর জন্য চুনতি ও শেরপুরের বন পুনরুদ্ধারের কাজও চলছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানব-হাতি সংঘাত কমাতে ১৫৯টি ‘এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)’ গঠন করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় ময়ূর ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিপন্ন প্রজাতিগুলোকে সুরক্ষিত করা হচ্ছে, জলাভূমিগুলোকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ও ২৯৩টি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন অভিযানে ৫ হাজার ৬৮৪টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাতীয় উদ্যান ও ইকোপার্কগুলোতে প্লাস্টিক ব্যবহার ও পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন আধুনিকীকরণ এবং নতুন আইন, বিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজও চলছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের এসব উদ্যোগ দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এগুলো একটি জলবায়ু প্রতিরোধী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

রাজনীতি

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, শনিবারের জাতীয় পার্টি সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পার্টির মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিভেদ রয়েছে, সে বিভেদ শেষ করে দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টির নবযাত্রা শুরু হবে। এই কাউন্সিলে, সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন।

রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, ‘অনেকে বলছেন, এই পার্টি আলাদা হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আগামীকাল সম্মেলন হবে, পল্লীবন্ধু এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল। যার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নাম্বার ১২। আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিলর পরে, আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোন একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শনিবার ৯ আগস্ট গুলশান ১ এর ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতের এই আদেশের ফলে, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম এক অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে—দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সময়সীমার বিধিবিধান এবং জাতীয় পার্টির মতো একটি বৃহৎ ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বশূন্য বা স্থবির থাকা কোনোভাবেই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পক্ষে সহায়ক নয়—এই বিবেচনায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০(২)(খ) ধারা অনুযায়ী যথাযথ সাংগঠনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই ধারার ক্ষমতাবলে, ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো—চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম—প্রেসিডিয়াম সভা আয়োজিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র, গঠনতন্ত্র এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অতিদ্রুত জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। উপরন্তু, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আশাবাদ, উদ্দীপনা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে—তাকে বাস্তবায়নে এটি সময়োচিত ও আবশ্যক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আবারও প্রমাণ করেছে। এই দল কেবল ব্যক্তি—কেন্দ্রিক নয়; এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, একটি আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের জানাতে চাই, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সীমা ছিল ৩০ জুন। আমরা সেই নির্দেশনার আলোকে ২৮ জুন কাউন্সিল অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম, কিন্তু উপযুক্ত ভেন্যু না পাওয়ায় তা স্থগিত করতে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—পার্টির কো-সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট জিয়া উল হক মৃধা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, খান মো. ইসরাফিল খোকন, ইয়াকুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন আজাদ,শফিকুল ইসলাম শফিক, জামাল রানা, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

খেলাধুলা

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে প্রতিপক্ষের জালে সমান ৪টি করে গোল দিয়েছেন আফঈদারা।

ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা।

২০ মিনিটে দলকে প্রথম এগিয়ে দেন শিখা সিনহা। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ফাঁকায় হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শান্তি মার্ডি। তার বাঁ পায়ের কর্নার বাঁক খেয়ে দূরের পোস্টের মাঝে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।

মিনিট তিনেক পর শান্তি মার্ডির নেওয়া কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান নবীরন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাগরিকার পাস ধরে দৃষ্টিনন্দন প্লেসিং শটে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান তৃষ্ণা।

চার গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধেও খেলেছে দুরন্ত ফুটবল। এই অর্ধের শুরুর দিকে গোলমুখের জটলার ভেতর থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান তৃষ্ণা।

৭২ মিনিটে সাগরিকার পা থেকে আসে দলের ষষ্ঠ গোল। এর মিনিট দশেক পর নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। তার হ্যাটট্রিক গোলের নেপথ্যে ছিলেন সেই সাগরিকা। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা পথ দৌড়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন তিনি। বল পেয়ে অনায়াসে তা জালে জড়িয়ে তৃষ্ণা।

যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ অষ্টম ও শেষ গোলের দেখা পায়। মুনকি আক্তার জটলা থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান।

আগামী রোববার (১০ আগস্ট) গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।

আন্তর্জাতিক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপি’র মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজনীতি

ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আজ উপদেষ্টা পরিষদের ৩৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে এ বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪১টি উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ১৯৪টির সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈঠকসমূহে গৃহীত ৩১৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪৭টি। বাস্তবায়ন হার ৭৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে ‘গ’ শ্রেণির পরিবর্তে ‘খ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কেও উপদেষ্টা পরিষদে পর্যালোচনা হয়।

বিনোদন

লড়াই করতে করতে খসে পড়ছে পোশাকের আস্তরণ। লড়াইয়ের মাঝেই ঠোঁট রাঙিয়ে দিচ্ছে পুরুষ যোদ্ধা। আবার কখনো কাজল পরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু সবটাই জোর করে।— এমনই একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। তার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস।

‘বাহুবলী’ সিনেমাতে বাহুবলী ও অবন্তিকার যুদ্ধের দৃশ্য এমনভাবেই নির্মাণ করা হয়েছিল। এ দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল তুঙ্গে। দৃশ্যকে ধর্ষণের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে কথা বললেন তামান্না ভাটিয়া।

সম্মতি ছাড়া মিলনকে সাধারণত যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণই বলা হয়। এ দৃশ্যেও দেখা যায়, যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছাই নেই। বরং সহযোদ্ধার পোশাক খুলতেই উদ্যত বাহুবলী।—এমন দৃশ্যের সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। প্রতিবেদনটির নাম ছিল ‘অবন্তিকার ধর্ষণ’। কিন্তু এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানতে নারাজ তামান্না ভাটিয়া। তিনি বলেন, এক পুরুষের সাহায্যে অবন্তিকা নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন।

তামান্না বলেন, কেউ যদি মনে করে যৌনতা ও শরীর এগুলো খারাপ বিষয়, তাহলে বলতে হয়— এটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। পরিচালক খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। যা আপনাদের চোখে ধরা পড়ল অন্যকিছুতেই। তিনি বলেন, এটি মানুষের ভাবনাচিন্তা। তার দায় তো আমি নেব না। একজন সৃজনশীল মানুষ হিসাবে আমি এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানি না।

এক পুরুষের মধ্যে সে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সিনেমার পরিচালক ছিলেন এসএস রাজামৌলি। তামান্না বলেন, রাজামৌলি স্যার আমাকে দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অবন্তিকা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন— অবন্তিকা ভীষণভাবে নারীসুলভ। কিন্তু সে আহত। সে সুন্দরী। সে প্রেম চায়। কিন্তু জীবনে প্রবল কষ্ট পেয়েছে, তাই সব কিছু সে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। নিজের গণ্ডির মধ্যে কাউকে সে আসতে দিতে দ্বিধাবোধ করে। পরে কেউ তাকে ব্যবহার করে। কিন্তু এ পুরুষটি অবন্তিকাকে ফের বোঝাতে সক্ষম হয়, সে কতটা সুন্দর।— এমন দৃশ্য নিয়ে ওঠা বিতর্কে তাই কান দিতে নারাজ তামান্না।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রীকে আগামী দিনে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে একটি ছবিতে দেখা যাবে।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসেব করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমান ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জাতীয়

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মসজিদ মার্কেটে প্রকাশ্যে মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে মো. আসাদুজ্জামান তুহিন নিজ ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। গাজীপুর চৌরাস্তা’। এরপর এরপরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া এলাকার হাসান জামালের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন আসাদুজ্জামান তুহিন। রাতে তিনি মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যু হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কার কি কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।