অর্থনীতি

তৈরি পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডিজাইন টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খন্দকার রফিকুল ইসলাম। জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হয়েছেন টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় সংগঠনটির এ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি হয়েছিলেন সেহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মান্নান। তিনি ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এস এম মান্নান সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার জরুরি সভা করে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এস এম মান্নানের পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়।

এরপর সভায় খন্দকার রফিকুল ইসলামকে বিজিএমইএর নতুন সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি সংগঠনের ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে ছিলেন।

বিজিএমইএর নতুন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি করা হয়েছে আবদুল্লাহ হিল রাকিবকে, তিনি এত দিন সহ-সভাপতি ছিলেন।

খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পর্ষদের সদস্যরা হলেন, প্রথম সহ-সভাপতি চট্টগ্রামের ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহ-সভাপতি তুসুকা ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল, সাদমা ফ্যাশনওয়্যারের এমডি মো. নাছির উদ্দিন, বিটপি গ্রুপের এমডি মিরান আলী, উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ ও এইচকেসি অ্যাপারেলসের এমডি রকিবুল আলম চৌধুরী।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পটভূমিতে সম্প্রতি বিজিএমইএর নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তোলে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ। তারা বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায়।

১৯ আগস্ট বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরাম সংগঠনটির পর্ষদ ভেঙে অন্তর্বর্তী পর্ষদ গঠন, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দেয়। এরই মধ্যে বিজিএমইএ এর সভাপতির পরিবর্তনের এমন ঘটনা ঘটল।

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ঠ বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে প্রবৃদ্ধির হার কমছে।\

প্রবৃদ্ধির হার কমার তালিকায় শুধু বাংলাদেশই নয়। মধ্য আয়ের প্রায় সব দেশেরই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমছে। এ হার বাড়াতে বাংলাদেশসহ এসব দেশকে মৌলিক তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আছে গুণগতমানের টেকসই বিনিয়োগ বাড়ানো, দক্ষতা অর্জন ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন জোগান নিশ্চিত করা। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে মনে করে। তবে জাতিসংঘের মানদণ্ডে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কথা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি হয়েছিল। করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে এ হার কমেছে। উন্নত দেশগুলো মন্দার কবল থেকে দ্রুত বের হয়ে এলেও বাংলাদেশ ততটা দ্রুত পারছে না। জিডিপির পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। বিদায়ি বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে রয়েছে। যদিও সরকার মনে করছে প্রবৃদ্ধি আরও বেশি।

এদিকে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় মুদ্রার মান কমায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে কমেছে। তবে বেড়েছে টাকার হিসাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায় বেড়েছে, মোবাইল আর্থিক লেনদেনে উলে­খযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ফলে গ্রামে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশসহ মধ্য আয়ের দেশগুলোকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত করতে হলে গুণগতমানের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য দক্ষতার উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে বর্তমানে এই তিনটিই বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিনিয়োগের খরচ কমাতে হবে। বিনিয়োগ থেকে রিটার্ন হওয়ার সময়ও কমাতে হবে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। তবে করোনার আগের অবস্থায় যেতে আরও সময় লাগবে। বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বাড়তে শুরু করেছে। আগামীতে এ হার আরও বাড়বে।

বৈশ্বিকভাবে পণ্যের সরবরাহে বাধার ক্ষেত্রে বড় ধরনের আশঙ্কা নেই। বৈদেশিক ঋণের সুদের হারও চলতি বছরের মধ্যেই কমতে শুরু করবে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার কমে আসায় তারা সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও সচল করছে।

এদিকে বাংলাদেশ এখনও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠেছে। আগে ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। তবে আগে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত তথ্য গোপন করে কম দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন তথ্য গোপন করবে না বলে জানিয়েছে। তারা প্রকৃত তথ্যই জনগণের উদ্দেশে প্রকাশ করবে।

মূল্যস্ফীতির হার কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদের হার সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে তিনটি ধাপে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকগুলোরও ঋণের সুদহার বাড়বে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ধার করার খরচ বেড়ে যাবে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে।

অর্থনীতি

ব্যাংকে এক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলন করা যাবে। রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টাকা উত্তোলনের এই সীমা বলবৎ থাকবে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তাতে এ কথা বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।

অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ নেওয়ার দিন ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে এক লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, নতুন সরকারের শপথের দিন বেশি বেশি টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত কর‌তে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে ১০ আগস্ট নগদ টাকা উত্তোলন সীমা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়। আজ আরও এক লাখ টাকা বাড়িয়ে তিন টাকা করা হয়েছে।

অর্থনীতি

ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশো দুর্বৃত্ত জোর করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপরে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ব্যাংকের চার কর্মকর্তা।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তারা।

গুলিবিদ্ধ চার কর্মকর্তা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহ। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় আকস্মিকভাবে এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তা প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় তিন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। ৪ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৩ জন গুরুতর। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন কায়সার আলী। তিনি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। বুধবার ব্যাংকের কর্মকর্তার সামনে সাদা কাগজে পদত্যাগ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জমা দেন কায়সার আলী।

অর্থনীতি

অর্থনীতিকে সচল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বন্দর পুরোদমে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার এক বৈঠকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এসব নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে।

এর আগে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কার করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হোক, এরপর সংস্কারের প্রসঙ্গ আসবে। এখনই সংস্কার শুরু হলে মূল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা চলে আসেন অফিসে। এ সময় অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ খায়েরুজ্জামান মজুমদার ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করেন। এরপর তিনি দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে টানা ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের সঙ্গে। ওই বৈঠকে অর্থ সচিবসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের খান, এনবিআরের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আগামী দিনগুলোতে অর্থনীতি সচল রাখতে স্বল্প মেয়াদের কাজের বিষয়গুলো উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবরা। বৈঠক শেষে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, অর্থনীতির গতি ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সচল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে কে আছেন বা চলে গেছেন সেটি আমাদের এখন বিবেচ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও নিয়মনীতি অনুযায়ী যারা আছেন তারা কাজ করবেন। মানুষের আস্থা ফেরাতে ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে বন্দর কার্যক্রম চালু থাকবে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতি সচল রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে কাজ করলে সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত কিছু বিগত সময় করে থাকলে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ল’ অ্যান্ড অর্ডারসহ অতিদ্রুত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু বিশেষ বিষয় আছে দীর্ঘ মেয়াদে করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদত্যাগ করবেন এমন শোনা যাচ্ছে- এ প্রসঙ্গে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, না এমন কিছু নয়।

রাজস্ব আদায়ে এনবিআরকে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সেটি আদায়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি তদারকি (চেয়ারম্যান) করবেন।

ব্যাংকপাড়ায় অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে- ব্যাংকের ডিজি ও এমডিদের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ হয়তো পদত্যাগ করছে। তবে যারা আছে তারা নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেই অফিসে আসবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে আসার জন্য কাউকে বলা হয়নি। তারা জীবনের নিরাপত্তা না পায় সে ঝুঁকি আপনি বা আমি কেউ নিতে পারব না।

পুলিশের অনুপস্থিতিকে অর্থনীতি সচলের বাধা কিনা প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, মূলত একটি পরিস্থিতিতে অনেকে চাকরি অব্যাহতি দিয়েছে, অনুপস্থিত আছে। তবে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এর আগে নিজ দপ্তরে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, দেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এ মুহূর্তে মূল কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা। আইনশৃঙ্খলা মানে শুধু রাস্তাঘাটের আইনশৃঙ্খলা নয়, বরং ব্যাংক পুরোপুরি চালু করা, বন্দরগুলো অনেকাংশে অচল সেগুলো চালু করা। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, যেমন মূল্যস্ফীতি, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে। অর্থনীতি মন্থর হতে পারে, কিন্তু থমকে গেলে পুনরায় চালু করতে অনেক সময় লেগে যায়। সুবিধা হলো বাংলাদেশের মানুষের অফুরন্ত কর্মস্পৃহা আছে। গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষই কাজে যোগ দেবেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সরকারের খুব বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নেই। ‘ভবিষ্যৎ সরকারের জন্য আমরা মসৃণ পথ তৈরি করে যেতে চাই। সেজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার। আমাদের কর্মোদ্যোগী মানুষ দরকার। শুধু নির্দেশনা পেলে কাজ হয়ে যাবে, এমন হলে চলবে না।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভুলত্রুটি হলে সমালোচনা করবেন, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা না করার আহ্বান জানান তিনি।

লাইনচ্যুত অর্থনীতিকে লাইনে আনতে কত সময় লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না মৌলিক কাজগুলো করতে বেশি সময় লাগবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম ছিল, একেবারে লাইনচ্যুত হয়ে যায়নি। বরং গতি হারিয়ে ফেলেছিল। আমরা গতি বৃদ্ধি করব।’

এখন বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি ছাড়াও উন্নয়ন কৌশলে ভুল ছিল। মানুষ সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের সুফল পায়নি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে, কিন্তু তার ফল কে পেয়েছে, কাদের কাছে টাকা গেছে, সেটাই মূল বিষয়। সরকার চায়, সমতাভিত্তিক ও ন্যায্য প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সব মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। সদ্য পদত্যাগী গভর্নরের আমলে দেশের অনেক ব্যাংকে কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে কি তিনি জবাবদিহির আওতা থেকে বেরিয়ে যাবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গভর্নরের পদ সংবেদনশীল। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, এ বিষয়ে আগামীকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন বা দেশের যে কোনো আইন যথেষ্ট আন্তর্জাতিকমানের। কিন্তু তা মানা হয় না। যাদের মানানোর কথা তারা সেটা করেননি। যাদের মানার কথা, তারাও মানেননি। অর্থ পাচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সবাই জানি, এ বিষয়ে তথ্য লাগবে। এর প্রক্রিয়া আছে, তা মেনেই এসব করতে হবে।’

অর্থনীতি

ক্ষমতার পালাবদলে বিচারালয়ের শীর্ষ পদে পরিবর্তনের পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করার খবর এলেও তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টের পাশে শিক্ষা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের সাত বিচারকের মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম পদত্যাগ করেননি। তাকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করা হচ্ছে বলে বিকালে খবর আসে।

সেই প্রসঙ্গ ধরে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দাবিতে প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। আমরা জেনেছি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মো. আশফাকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গত পনের বছর তিনি হাসিনাকে সার্ভ করেছেন। তাই আমরা এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করছি।

বিচারপতিদের পদত্যাগের কারণে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের শূন্যতা পূরণে হাইকোর্ট বিভাগের ৭ বিচারকে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব দেওয়ারও খবর এসেছে ইতোমধ্যে। সাতজনের ওই সম্ভাব্য তালিকাতেও বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান।

শিক্ষার্থীদের অবস্থানে তাদের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার রক্ত হয়ে কবরস্থানের মাধ্যমে আমরা খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি। এটি আমাদের প্রাথমিক বিজয়। খুনি হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তখন একটি গোষ্ঠী আবারও উঠে পড়ে লেগেছে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। সারা বিশ্বব্যাপী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশে বিদেশে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা ঘুরিয়ে দেব।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আজ যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। বিচার বিভাগীয় ক্যু করে, এ সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল খুনি হাসিনার নিয়োগকৃত বিচারপতি। আমরা খুনি হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি, কিন্তু যদি এই বিচার ব্যবস্থাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি, তাহলে আমাদের যেই ন্যায্যতার স্বপ্ন রয়েছে সেটি আমরা কখনোই প্রতিষ্ঠিত করতে পারব না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার তিন দফা দাবি ঘোষণা করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগ পুনর্গঠন করতে হবে। হাসিনার পুলিশ প্রশাসন আমরা চাই না, পুলিশকে পুনর্গঠন করতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে নিরস্ত্র করে পুনর্গঠন করতে হবে, যে পুলিশ হবে জনতার পুলিশ।

অর্থনীতি

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বন্ধ থাকা ফেসবুক এবং টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপস বিকেলের মধ্যেই চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পলক বলেন, আর কোনো বিধি নিষেধ নেই। আজ (বুধবার) বিকেলের মধ্যেই বন্ধ থাকা ফেসবুক-টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইটগুলো চালু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ স্পিড নিশ্চিত করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।

এর আগে, মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরের এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে (অনলাইন প্লাটফর্মে) এ বৈঠক করেন পলক। বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশন জনিত যে কোনো অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৮ জুলাই সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে দেশে-বিদেশে তাদের কাছেও আমরা সহযোগিতা চাই যে এই ঘটনার যথাযথ সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং যারা এতে দোষী তাদের সাজার ব্যবস্থা হোক।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কারণ, আমি জানি এতে আমার কোন ঘাটতি ছিলনা।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার তদন্তে আমরা ইতোমধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কারণ, দাবির অপেক্ষা আমি রাখিনি। তার আগেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে দিয়ে দিয়েছি ।

শেখ হাসিনা বলেন, আগে একজন বিচারপতি দিয়ে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম। এখন আরো দুইজন লোকবল বৃদ্ধি করে তাদের তদন্তের পরিধি আরো বাড়ানোর জন্য তাঁর নির্দেশ প্রদানের কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, সেইসঙ্গে আমরা জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে দেশে-বিদেশে তাদের কাছেও আমরা সহযোগিতা চাই যে এই ঘটনার যথাযথ সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং যারা এতে দোষী তাদের সাজার ব্যবস্থা হোক।

তিনি বলেন, কারণ আমি জানি এতে আমার কোন ঘাটতি ছিলনা।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা আলোচনায় বসেছিল (আন্দোলনকারি) তাদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করেছি এবং তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। দাবি মানবো কী যেটা আমিই বাতিল করে দিয়েছি। এটাতো আমারই (কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন) ইস্যু করা। আপিল করা হয় আপিল বিভাগে এবং সেখানে হাইকোর্টের রায় (কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বাতিল) স্থগিত করে দিয়ে আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। কাজেই কোটা না থাকায় আমার জারি করা প্রজ্ঞাপনটাই আবার কার্যকর হয়। পরে আপিল বিভাগে থেকে সেটার রায়ও দিয়ে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আন্দোলনের নামে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, ধবংসাত্মক কাজ করা হয়েছে তাতে অনেকগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেছে।

তিনি বলেন, জানি না অপরাধটা কী ছিল আমার? যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে দেশের অর্জনকে নষ্ট করা, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাতে কে কী অর্জন করলো সেটাই আমার প্রশ্ন?
সরকার প্রধান বলেন, তাঁর কাছে ক্ষমতা কোন ভোগের বস্তু নয়, তিনিতো আরাম আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় অসেন নি।

দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন দেশকে একটু উন্নত করতে। যেটা তিনি সফলভাবে করতে পেরেছিলেন।

‘আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদাকে কেন নষ্ট করা হলো?’ সে প্রশ্ন উত্থাপন করে এর বিচারের ভার তিনি দেশবাসীর কাছে দিয়ে দেন।

’৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর থেকে গুলি, বোমা পুঁতে রেখে গ্রেনেড হামলা করে তার ওপর বহুবার হত্যা প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমিতো জীবনের পরোয়া করিনি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। দেশকে দারিদ্র মুক্ত করার পাশাপাশি ভূমিহীন-গৃহহীনকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়া, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে মানুষের জীবন যাপনকে আরো সহজ করে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। কিন্ত যেসব জিনিষগুলো মানুষকে সেবা দেয় সেগুলোই হামলাকারিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো।

শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে দেশকে পিছনে টেনে নেওয়ার এই চক্রান্তে যারা জড়িত সেটা আপনাদের খুঁজে বের করা উচিত।’

তিনি বলেন, ঐ ’৭১ এ যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল তাদের চক্রান্ত বারবার আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে সব থেকে কষ্টের, সবচেয়ে দুঃখের।

জাতির পিতার কন্যা বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, আমি যেহেতু স্বজন হারিয়েছি। স্বজন হারাবার বেদনা আমি বুঝি। তাই যারা

আপনজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে। স্থাপনা যে ধ্বংস করেছে সেগুলোতো পুনর্গঠন করা যাবে কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল সেগুলোতো আমরা আর ফিরে পাব না।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৭টি ক্যাটাগরিতে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘জাতীয় মৎস পদক-২০২৪’ প্রদান করেন। পুরস্কার হিসেবে ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক, সম্মাননা স্মারক এবং পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জেলেদের মধ্যে স্মার্ট আইডি কার্ডও বিতরন করেন।

২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মৎস চাষে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
দেশের মৎস খাতের উন্নয়নের ওপর একটি প্রামান্য চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার স্বাগত বক্তৃতা করেন।

মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর পুরস্কার প্রদান পর্বটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময়ই জাতির পিতা এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যেমন কৃষি গবেষণা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, পাশাপাশি, জনগণের পুষ্টির অধিকারও নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

জাতির পিতার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছিলেন, ‘মাছ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারি সম্পদ।’
শেখ হাসিনা বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক এলাকার গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরণে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, গভীর সমুদ্রে মৎস ও সমুদ্র সম্পদ আহরণে যতরকম সুযোগ সুবিধা লাগে তার ব্যবস্থা সরকার করবে। কারণ, এটা আমাদের কাজে লাগবে।

পাশাপাশি, দেশিও প্রজাতির মাছ যাতে বৃদ্ধি পায় সে গবেষণার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশে^ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ স্থানে রয়েছে এবং সরকারের উদ্যোগ রয়েছে দেশের গ্রামাঞ্চলের পরিত্যক্ত জলাভূমিগুলোকে কাজে লাগিয়ে মৎস উৎপাদন বাড়ানোর। পাশাপাশি, বদ্ধ জলাশয়ে চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৫ বছর বিশে^ পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে।

তিনি সংশ্লিষ্ট মহলকে আরো উদ্যোগী হয়ে এই অবস্থানকে আরো এগিয়ে নিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বলেন, মাছ চাষীরা যাতে মাছের ন্যায্যমূল্য পেতে পারে সে পদক্ষেপও সরকার ইতোমধ্যে নিয়েছে।

তিনি মাছ ও মৎসজাত পণ্য রপ্তানিতে ভ্যালু এডেড করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করে মৎস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দেশে তিনটি টেস্টিং ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠাসহ মৎস খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, এগুলো শুধু আমাদের দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদাই পূরণ করবে না, জীবন-জীবিকার মানও উন্নত করবে এবং আমরা রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবো।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই বলবো, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে। সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।

অর্থনীতি

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে ১৪ দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।

ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ৬ সমন্বয়ককে ‘সাহস’ দিলেন সোহেল তাজ

বৈঠকে ১৪ দলের অংশীদার বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে তারা আর সংবাদ সম্মেলন কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারবে না।

এর আগে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত-শিবির-বিএনপির জঙ্গিরা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে। এখানে ঐ শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি এরা। এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না। একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।

অর্থনীতি

কারফিউ শিথিল থাকায় বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে খুচরা পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে দাম। ৩ দিন আগে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকায় নেমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। সবজির দামও কমছে। কমতির দিকে মাছের দামও। এদিকে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও এখনও সব ধরনের চাল, ডিম ও আলু বিক্রি হচ্ছে সেই বাড়তি দরেই।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, যা ৩ দিন আগেও ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৩ দিন আগেও ৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি শসা আগের মতো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কচুর মুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আগের মতোই প্রতি কেজি টমেটো ২০০-২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। যা ৩ দিন আগেও ১২০-১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল। বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ১৮০-২০০ টাকায়। যা বাজার ভেদে ৩ দিন আগে প্রতি কেজি ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতারা আরও জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ১৫৫-১৬০ টাকা বিক্রি হয়। আর ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চালের মধ্যে মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। মাঝারি আকারের চালের মধ্যে পাইজাম ও বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৬০ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। যা আগে ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হয়।

কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা আল আমিন বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক বেশি। দামও কমেছে। ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বাজারে সরবরাহ থাকলেও চাল, ডিম, আলু বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহ আলী মিয়া বলেন, কারফিউতে সবজির সরবরাহ কম ছিল। শিথিলের কারণে সরবরাহ বেড়েছে। তাছাড়া ট্রাকের ভাড়া বেড়েছিল। তা এখন কমছে। সব মিলে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।

কাওরান বাজারের আল­াহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির অজুহাতে মিলাররা সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে এখনও ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি। যে কারণে চালের দাম কমছে না।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। যা আগে ২০০-২১০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা; যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল। এ ছাড়া আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে ১ কেজি আকারের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই ৩৮০-৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৬০ টাকা, কাঁচকি ৫০০ টাকা, কই ২০০-২৪০ টাকায়, চিংড়ি ৭০০ টাকা, দেশি টেংরা ৮০০ টাকা এবং পাবদা ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।