অর্থনীতি

লিড সার্টিফাইড সবুজ কারখানার তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব ১০০ কারখানার মধ্যে ৫০টিই এখন বাংলাদেশের। সোমবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন নতুন করে কেডিএস আইডিআর লিমিটেড নামে আরও একটা কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ স্বীকৃতি পেয়েছে। এটিসহ বিশ্বের সেরা পরিবেশবান্ধব ১০০ কারখানার তালিকায় অর্ধেকই এখন বাংলাদেশের। নতুন স্বীকৃতি পাওয়া কারখানাটি নিয়ে বাংলাদেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭টিতে।

নতুন স্বীকৃতি পাওয়া কেডিএস আইডিআর লিমিটেড চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকার মোহরায় অবস্থিত। কারখানাটি রেটিং পয়েন্ট ৮৪ নিয়ে প্ল্যাটিনাম ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি নিয়ে বর্তমানে যে সচেতনতা বা অর্জন, এই বীজ বপন করা হয়েছিল অনেক আগে। সেই প্রচেষ্টার ফল আমরা এখন পাচ্ছি। চলমান অর্থনৈতিক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে এটি অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। মেশিন সবার কাছে আছে, মানুষও সবার কাছে। কিন্তু কে কী ভ্যালু অ্যাড করল আগামী দিনে সেটিই আসলে সামনে ভূমিকা রাখবে।

বিজিএমইএর এই পরিচালক আরও বলেন, আপাতদৃষ্টিতে যদি মনে হয়েও থাকে আমরা এই খাতে বেশি বিনিয়োগ করছি, ভবিষ্যতে কিন্তু সেটি কমে আসবে। পরিবেশগতভাবেও আমরা উপকৃত হব। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যদি আমরা প্রতিযোগিতা করে চলতে চাই, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলে হলে আমাদের এ ধরনের ভ্যালু অ্যাড করেই চলতে হবে।

অর্থনীতি

২০১৯ সাল থেকে এ কোম্পানিতে কাজ করছেন তিনি।

ইউনিলিভার বাংলাদেশে নতুন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জিনিয়া হক।

এর মাধ্যমে তিনি ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে যোগ দিলেন এবং কোম্পানির প্রথম নারী ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হলেন বলে বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

এদিন থেকেই তার এ নিয়োগ কার্যকর হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তিনি জাহিদুল ইসলাম মালিতার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। মালিতা একই সময়ে সিঙ্গাপুরে প্রকিউরমেন্ট ফাইন্যান্স ডিরেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে ইউনিলিভারে যোগ দেওয়া জিনিয়ার করপোরেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা খাতের আর্থিক-বিষয়াদি, আঞ্চলিক কার্যক্রম এবং ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ে তার ২২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) কোম্পানিটিকে নির্বিঘ্নে ইউনিলিভারের প্রক্রিয়া এবং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখেন। এছাড়া দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বোচ্চ ট্রেড ভ্যালু।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘ডাইভারসিটি ও ইনক্লুসন’ নিশ্চিতেও জিনিয়ার অবদান রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

তার নতুন দায়িত্বে ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার বলেন, “নতুন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে যুক্ত হওয়ায় জিনিয়া হককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইউনিলিভারের সিস্টেমে জিএসকের একীভূতকরণ এবং দক্ষতার সাথে ব্যয় প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি আত্মবিশ্বাসী, জিনিয়া ইউবিএলের কর্মপরিধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।”

ইউনিলিভারে যোগদানের আগে জিনিয়া ২০১৪ সাল থেকে জিএসকেতে ফাইন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিএটি বাংলাদেশের করপোরেট ফাইন্যান্স এবং ইন্টারন্যাশনাল অডিট বিভাগে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্সে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হয়ে সিঙ্গাপুরে ‘রিজিওনাল ফাইন্যান্স প্রজেক্ট লিড’ হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী জিনিয়া, দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস (সিআইএমএ) ইউকের একজন ফেলো সার্টিফাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্ট (এফসিএমএ)। তিনি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটরস বাংলাদেশ এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশরও সদস্য।

অর্থনীতি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩০ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবার ১০০ কোটি টাকার মতো কেনাবেচা হয়েছে। যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

টিপু মুনশি বলেন, গতবার বাণিজ্য মেলার আয়োজন ভালো হয়েছে। এবারও আমরা বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করেছি। মেলায় প্রায় ৩০ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল। ১০০ কোটি টাকার মতো কেনাবেচা হয়েছে। যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।

মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া মেলার কারণে ৩০০ কোটি টাকার মত রফতানি অর্ডার এসেছে। ১৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান আমাদের মেলায় যুক্ত হয়েছেন। এই বছর ৬৭ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট টার্গেট করেছি। বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা চিন্তিত করেছে আমাদের। কিন্তু আমরা আশাবাদী, টার্গেট পূরণ করতে পারবো।

এ বিষয়ে আয়োজক সংস্থার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বলেন, এ বছর মেলায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আগমন হয়েছে দর্শনার্থীর। বিশেষ করে শেষ সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন।

তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীদের সময় বাড়ানোর আবেদন ছিল। যেহেতু নির্ধারিত সময়ে মেলা শুরু হয়েছে, তাই সময় বাড়ানো হয়নি।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে ১ জানুয়ারি এই মেলা শুরু হয়। এবারের মেলায় মোট ৩১১ স্টলের মধ্যে বিদেশি স্টল ছিল ১৭টি। মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। ছুটির দিনে খোলা ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত।

অর্থনীতি

মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে এলডিসি উত্তরণে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতেও বিশ্বব্যাংককে আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের কাছে। বৈঠকে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের অভীষ্ঠে পৌঁছাতে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবিলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করছে। বিশেষ করে করোনাকালীন বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবিলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন কেনায় অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান।

বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এমডি দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের খসড়া কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওর্য়াক (সিপিএফ) নিয়েও আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, সিপিএফে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ আগামীকাল (শনিবার) বাংলাদেশে তার প্রথম সফরে ঢাকায় আসছেন।

ভ্যান ট্রটসেনবাগ তার তিন দিনের সফরে আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জন বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের এমডি অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেছেন, ‘মানব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনে সফল উদ্ভাবনের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য কমাতে কী করা যেতে পারে তা বাংলাদেশ বিশ্বকে করে দেখিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে তার ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হওয়ার জন্য গর্বিত। আমি এ সফরকালে এসব অর্জন সরাসরি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’

ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করবেন।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার তার সঙ্গে থাকবেন।

অর্থনীতি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেনি।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এদিন আলোচিত ইভিএম প্রকল্প একনেক সভায় উঠেনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ইভিএম কেনার প্রকল্পটি আমাদের তালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে জানতেও চাননি। তবে ইভিএম প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ভোটগ্রহণ ইভিএভে হবে কিনা-জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ চিন্তা ভাবনা করবে।

মঙ্গলবার একনেক সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের জন্য অনুমোদন হয়। এটিসহ মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। ১১ প্রকল্পের ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি

শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের হাতের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের কারণে এখন প্রতিটি  গ্রামে গ্রামে মানুষ সহজে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে।

তাদের আর চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে যেতে হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এশিয়ার মধ্যে সেরা।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নরসিংদীর মনোহরদীতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার জনবল সংকটে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাকালে খুবই সাহসিকতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার অনেক খরচ করে জনগণের সেবার অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে। তাদের জন্য অনেক আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হচ্ছে। এসব জিনিসের প্রতি হাসপাতালের খেয়াল রাখতে হবে। যাতে অবহেলা ও অযত্নে এগুলো যেন নষ্ট  না হয়। হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মানুষের সেবার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূরুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশিষ রায়, মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার আনিসুর রহমান, মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইশরাত জাহান তামান্না।

মন্ত্রী ফিতা ও কেক কেটে ৫০ শয্যা মূল ভবনের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ তলা এ মূল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ জিডিপি অর্জনে সৌদি আরব-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস জানুয়ারি-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তারপরও ২০২২-২৩ সালের থেকে পরবর্তী বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কম দেখানো হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে- ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাপান ১, ইউরোপ শূন্য দশমিক শূন্য ১, চীন ৪ দশমিক ৪, ইন্দোনেশিয়া ৪ দশমিক ৮ ও থাইল্যান্ড ৩ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। সৌদি আরব ৩ দশমিক ৭, ইরান ২ দশমিক ২, মিসর ১ দশমিক ৯, পাকিস্তান ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে ভারত ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বৈশ্বিক সংকটের বড় ধাক্কা নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশ্বের জ্বালানি বাজারে অস্থিরতার কারণে দেশটিতে গৃহস্থালি কিংবা শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলছে ও তা আরও বাড়তে পারে। সরকার অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি উচ্চমূল্যের কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং দিচ্ছে, কারখানা খোলা রাখার সময় কমাচ্ছে, বিলাসপণ্য কেনা কঠিন করে তুলছে। এর সবকিছুই হচ্ছে ডলার সাশ্রয়ে।

তবে চলমান সংকট পেরিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের গতিতে ফিরবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে যাবে বলে আভাস দিচ্ছে সংস্থাটি। চলমান সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বের অনেক দেশই মন্দার কবলে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

অর্থনীতি

বিশ্ব মন্দা ও ডলারের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবিলায় বাজেটে থোক বরাদ্দসহ ৯ খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে অর্থ বিভাগ। বরাদ্দের বেশি বা বিধিনিষেধ এড়িয়ে ব্যয় বন্ধ করতে এসব খাতে মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।

পাশাপাশি আগামী জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যয়ের পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছে। পুরো প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে অর্থ বিভাগ ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে। এর আগে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচির আওতায় বিদেশ ভ্রমণসহ ছয়টি খাতের ব্যয় স্থগিত এবং পাঁচ খাতের ব্যয় হ্রাস করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হবে।

সূত্র জানায়, ব্যয়ে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে চলতি বাজেট থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা ব্যয় কমানোর চিন্তা রয়েছে অর্থ বিভাগের। এ ব্যয় হ্রাসের পর সংশোধিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি থেকে কমে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ব্যয় করতে হলে আয় থাকতে হয়। এ বছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হচ্ছে না। অপরদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়েছে। ফলে ব্যয় ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে কয়েকটি খাতের বরাদ্দ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সাবেক অর্থসচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ব্যয় কমাতে সরকার কৃচ্ছ সাধনের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, যে অনুপাতে রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা, সেটি হচ্ছে না। এজন্য ব্যয়ে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

সূত্রমতে, কঠোর নজরদারির আওতায় আনা খাতগুলো হচ্ছে-বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা পরিশোধ খাত। এছাড়া বাজেটে থোক বরাদ্দ, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা, পিআরএল ও শ্রান্তি বিনোদনসংক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেছনে ব্যয়। পাশাপাশি সরকারের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন খাতের বিল পরিশোধ, ভূমি উন্নয়ন কর, জ্বালানি খাতে ব্যয় খাতও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে মার্কিন ডলার সংকট সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এক ডলারের মূল্য ৮৮ টাকা থেকে ১১৯ টাকা পর্যন্ত ওঠে। যদিও সরকারিভাবে এটি এখন আমদানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১০৪.৬৮ টাকা ধরা আছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক ডলারের পেছনে টাকার মান কমেছে প্রায় ১৭ টাকা। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে।

সূত্রমতে, মন্ত্রণালয়গুলোকে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এই তিনটি খাতে চলতি বাজেটের শুরুতে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বাজেট প্রণয়নের সময় (এপ্রিল-জুন) প্রতি ডলারের মূল্য ৮৬ টাকা ধরে সব ধরনের হিসাবনিকাশ করা হয়। এখন ডলারের মূল্য ১০৪ টাকা। আর বৈদেশিক ঋণ, ঋণের সুদ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে ডলার কিনতে হবে সরকারকে। এতে ব্যয়বৃদ্ধির কারণে মন্ত্রণালয়গুলোর টাকা বেশি দরকার হবে।

সূত্র আরও জানায়, এ বছর বাজেটের থোক বরাদ্দের টাকা ব্যয় করতে নিরুৎসাহিত করছে অর্থ বিভাগ। এ খাতে ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা সংরক্ষণ রাখা আছে। থোক বরাদ্দের টাকা ব্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাদা কোড আছে। ওই কোড থেকে থোক বরাদ্দের টাকা সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচির আওতায় থোক বরাদ্দের অর্থ ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই-এটি সংসদে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নগদ মজুরি ও বেতন খাতে আর বাড়ছে না। এ বছর ৩৯ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা বেতন খাতে বরাদ্দ আছে। অর্থ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, যেহেতু বেতন খাতে বরাদ্দ বাড়বে না, তাই বিষয়টি প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।

এদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার জ্বালানি খাতের ২০ শতাংশ ব্যয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আগেই দিয়েছে অর্থ বিভাগ। আগামী জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছে পেট্রোল, ডিজেল ও সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যার তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের যানবাহনগুলোয় একই সময়ে পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতার তথ্য ও কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন খাতের ব্যয়ের ওপর নজর রাখছে অর্থ বিভাগ। এসব খাতে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বিপরীতে কত টাকা ব্যয় হয়, এর বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। একইভাবে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে অর্থব্যয়ের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

অর্থনীতি

এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে ইতিহাস গড়ল। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশেও বাড়ানো হয়েছে। এতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।

সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এই মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে এখন ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা।

শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, আগামীকাল (রোববার) থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

বাজুসের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে খরচ পড়বে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা।এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা।

নতুন দাম অনুসারে, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি পড়বে ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার ৮৭৭ টাকা।

তবে রুপার দাম আগের মতো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।