অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব মতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৩২৬ কোটি মার্কিন ডলার। রিজার্ভ থেকে গঠন করা বিভিন্ন তহবিলসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ  ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত রয়েছে বিপিএম-৬ ফর্মুলায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা। এটি জুলাই থেকে থেকে প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে গত জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করছে।

এরই মধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি বাংলাদেশ পেয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

এ সময়ে মধ্যে আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটানোর পর আইএমএফ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার কমে ২ হাজার ৩২৬ কোটি মার্কিন ডলারে নামে এবং রিজার্ভ থেকে গঠন করা বিভিন্ন তহবিলসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ নামে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (অরএনপিপি) ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ ফ্রেশ জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদনও সম্পন্ন হয়েছে৷

বুধবার (৯ আগস্ট) দুই পক্ষের প্রতিনিধির প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়৷ রোসাটমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

এতে বলা হয়, নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) রোসাটমের জ্বালানি কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এ জ্বালানি এক্সসেপটেন্স ইন্সপেকশন সম্পন্ন হয়েছে।

ইন্সপেকশনে অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, এনসিসিপি, টেভেল এবং এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) প্রতিনিধিরা। সফলভাবে ইন্সপেকশন সম্পন্ন হওয়ার পর এক্সসেপটেন্স প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর এবং এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্মাণ প্রকল্পের অপর প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরী।

প্রটোকল স্বাক্ষরের পর এ ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদনকারী কারখানা থেকে বাংলাদেশে শিপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেল। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই এ জ্বালানি বাংলাদেশ আসবে।

টেভেলের কোয়ালিটি ডিরেক্টর আলেক্সান্দার বুখালভ বলেন, সফলভাবে পরিচালিত আমাদের সব ভিভিইআর-১২০০ পাওয়ার ইউনিটগুলো থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে টেভেল ফুয়েল কোম্পানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উন্নত এবং কার্যকর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করেছি। প্রাক-উৎপাদন এবং উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে এমনকি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকের সব অগ্রাধিকারগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে আমাদের এ জ্বালানি আবার রুশ পারমাণবিক প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করবে।

রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরী জানান, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। রোসাটমের প্রকৌশল শাখা সব ক্ষেত্রেই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পূরণ করছে। প্রকল্প সাইটে জ্বালানি পৌঁছানোর পূর্বেই প্রথম ইউনিটটি জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এছাড়া রিয়্যাক্টরে জ্বালানি লোডিংয়ের আগ পর্যন্ত সব নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করেই এ জ্বালানি সংরক্ষণের সব ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশকে যে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তা বর্তমানে সক্রিয় ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো হলো- লেনিনগ্রাদ এনপিপি, নভোভারোনেঝ এনপিপি এবং বেলারুশ এনপিপি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটম কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।

অর্থনীতি

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আধিপত্য বাড়ছে। ২০২২ সালে তৈরি পোশাক মার্কেটের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে ছিল, আগের বছর যা ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এই সময়ে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক বিক্রি হয়েছে। বরাবরের মতো এই বিশাল মার্কেটের সিংহভাগ চীনের দখলে। আলোচ্য সময়ে চীন ১৮২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট বাজারের ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অবশ্য ২০২১ সালের তুলনায় চীনের মার্কেট শেয়ার কমেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ৮ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো হচ্ছে- চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থ স্থানে থাকা তুরস্ক ২০ বিলিয়ন ডলার, ভারত ১৭ বিলিয়ন ডলার, ইন্দোনেশিয়া ১০ বিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়া ৯ বিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকা ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, সরকারের নীতি সহায়তার কারণে গত এক দশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় রপ্তানিতে অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষত করোনাকালীন সরকারে নীতি সহায়তা ক্ষতি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। অবশ্য চলতি বছর আমেরিকা ও ইউরোপে পোশাক রপ্তানি আশঙ্কাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও গত কয়েক মাসে পোশাক রপ্তানিতে মন্দা চলছে।

অর্থনীতি

চলতি জুলাই মাসের ২৮ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭৪ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।

রোববার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রতি দিন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ছয় কোটি ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৪২৮ মার্কিন ডলার। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন সাত কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। পুরো জুন মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। আর আগের বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। জুলাই মাসে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন ছয় কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৩ মার্কিন ডলার।

এ হিসাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সূচনা তুলনামূলক কম আয় দিয়েছে প্রবাসীরা।

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশে পাঠানো এই প্রবাসী আয়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ‍১৪৭ কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর দেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, জাহাজ পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। আমরা এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করব।

আজ শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘৫ম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো এন্ড ডায়ালগ-২০২৩’-এর জাহাজ নির্মাণ, শিপব্রেকিং এবং গ্রিণ শিপ রিসাইক্লিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এক্সপোনেট এক্সিবিশনের উদ্যোগে ও নৌপরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী (২৭-২৯ জুলাই) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মমিনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন আরো বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও) প্রবর্তিত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদন করেছে। এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং সমুদ্র ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও টেকসই বিনিয়োগ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে ‘জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামতশিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং এইচকেসি কনভেনশন বা ইইউ শিপিং শিল্প কীভাবে বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধার সুবিধা নিতে পারে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে পারে সে বিষযয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেভাল আর্কিটেক্ট কবির গ্রুপের গ্রিণ প্লান্টের প্রধান কর্মকর্তা মো. আল-আমিন। সবুজ জাহাজ নির্মাণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনন্দ গ্রুপের নেভাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড মেরিন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. তরিকুল ইসলাম।

অর্থনীতি

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে লুটপাটের কারণে বেড়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ এখনো প্রধান সমস্যা। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে ব্যাংকটির নীতিনির্ধারকরা। ২০১০-২০১৪ সাল পর্যন্ত সংঘটিত অনিয়মের ফলে খেলাপি ঋণের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬৮ শতাংশ।

অস্বাভাবিক খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় তিনটি খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। বিশেষ করে ব্যাংকের প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতির অঙ্কও বেড়ে যায়। এর প্রভাবে মুনাফা অর্জনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) এসব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, এই ব্যাংককে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে আগের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সূত্র জানায়, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ এবং আদায়ে বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কঠোর অভিযান শুরু করেছে।

বিশেষ করে যারা স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি হয়েছে তারা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে এজন্য ইমিগ্রেশনে তাদের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বেসিক ব্যাংক তার শাখাগুলোকে নির্দেশ দেয়।

এরই আলোকে সংশ্লিষ্ট শাখা আদালতের অনুমতি নিয়ে কয়েকজন ঋণখেলাপির পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে জমা দিয়েছে। অন্য খেলাপিদের পাসপোর্টও পর্যায়ক্রমে জমা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. আনিসুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার আলোকে খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় এবং ঋণের হার কমানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ঋণ অবলোপন খাত থেকেও অর্থ আদায় করা হবে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো প্রতি অর্থবছরের কর্মকাণ্ডের একটি পরিকল্পনা বা রূপরেখা নিয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করে থাকে। সেখানে প্রধান সমস্যাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি খেলাপি এবং অবলোপন ঋণ থেকে কত টাকা আদায় করবে, মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক, লোকসানি শাখা কমিয়ে আনাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়। সম্প্রতি চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের এপিএ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত মার্চ পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বর্তমানে শুধু বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক (মার্চ-২০২৩ পর্যন্ত) ৭ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

এপিএ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে খেলাপিদের কাছ থেকে ১৬০ কোটি টাকা আদায় করা হবে। আগের বছরে আদায় করা হয়েছিল ১৫৪ কোটি টাকা। যে কারণে ২০২২ সালে এই ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ৫৬ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল। তবে ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশে আনা হবে।

বেসিক ব্যাংকের এপিএ প্রতিবেদনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলা হয়, বিদ্যমান ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করে আগামীতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া এই ব্যাংকের অবলোপন ঋণ থেকে চলতি অর্থবছরে ৩৫ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের অবলোপন ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ২২৯ কোটি টাকা।

এপিএ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসএমই, কৃষি ও ক্ষুদ্রশিল্প খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখা হবে। সে লক্ষ্যে শিল্প খাতে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি এ খাত থেকে ৭০০ কোটি টাকা আদায় করা হবে।

এছাড়া প্রভিশন সংরক্ষণ শতভাগ উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি আমানতের পরিমাণ ৩০ শতাংশে আনা, লোকসানি শাখা কমিয়ে ২০টি, এসএমই খাতে ১৫০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ এবং ১৩০০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনার কথা বলা হয়।

অনেক খেলাপি মামলা করে বেসিক ব্যাংকের বড় অঙ্কের টাকা আটকে রেখেছে। সেখানে ৫০টি অর্থঋণ মামলা এবং ১৫টি বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে টাকা আদায় করা হবে। বেসিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের কারণে ২০১৪ সালে খেলাপি ঋণের হার ৬৭ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল।

২০২২ সালে সেটি নেমে ৫৬ দশমিক ৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি যাতে বিদেশে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা পালিয়ে যেতে না পারে। এজন্য সব শাখায় তালিকা তৈরি করে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া হবে।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে উল ও কটন খাতে বাণিজ্য বাড়াতে দেশটির আগ্রহের কথা জানান বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্যেই সুখবরের প্রতিশ্রুতি পেলেন; উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক মন্ত্রী।

দেশটির বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সেনেটর টিম আয়ার্স এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শুক্রবার সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে সহকারী মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহও প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বাসস।

এ বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিটেন্স, ক্ষুদ্র অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে গত দশকে বাংলাদেশের ‘অভূতপূর্ব’ উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রশংসা করেন।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, ফিনটেক, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এ খাতের সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক সংখ্যক সবুজ কারখানা স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএর ইএসজি (এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল, গর্ভনমেন্ট) অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়গুলো সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

সরকারি তথ্য বিবরণীর বরাতে বাসস জানায়, টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও সরকারের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা ও বাংলাদেশের উৎপাদকদের দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক এ শিল্পকে বহুমূখীকরণে সহায়তা করছে।

২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টকে (টিফা) পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বিজিএমইএর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। মেলবোর্নে গত ১৮ জুলাই সংগঠনটি হাইকমিশনের সহযোগিতায় তৈরি পোশাক শিল্প বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করে। শুক্রবার সিডনিতে হাইকমিশন ও কনস্যুলট জেনারেল যৌথভাবে এক সভাও করে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরা হয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্র্যান্ড ও শিল্পপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি

রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে রয়েছে ৩০ দেশ। এর মধ্যে সৌদি আরব এক নম্বরে। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই শীর্ষে ছিল দেশটি। মাঝে কয়েক মাস সৌদি আরবকে টপকে শীর্ষস্থানে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ দু’মাস (মে-জুন) সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। ফলে আবারও শীর্ষ স্থানে চলে এসেছে সৌদি আরব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৩৫২ কোটি ডলার। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ২৪ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

গত এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার দিক থেকে শীর্ষ দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বা ৫৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেষ দুই মাসে সৌদি আরব থেকে এভাবে না বাড়লে এবার যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে থাকত।

বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত অর্থবছরে দেশটি থেকে এসেছে ৩০৩ কোটি ডলার। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখান থেকে এসেছ ২০৮ কোটি ডলার। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কুয়েত থেকে ১৫৬ কোটি ডলার এসেছে। এছাড়া কাতার থেকে ১৪৫, ইটালি থেকে ১১৯, মালয়েশিয়া থেকে ১১৩, ওমান থেকে ৭৯ এবং বাহরাইন থেকে ৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে ৪২ কোটি ডলার, ফ্রান্স থেকে ২৯ কোটি ডলার, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২৪ কোটি ডলার, কানাডা থেকে প্রায় ১৪ কোটি ডলার, গ্রিস থেকে ১৩ কোটি ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৩ কোটি ডলার, জর্ডান থেকে প্রায় ১৩ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রায় ১২ কোটি ডলার, জাপান থেকে ১১ কোটি ডলার, জার্মানি থেকে ১১ কোটি ডলার, মরিশাস থেকে প্রায় ১১ কোটি ডলার, স্পেন থেকে আট কোটি ডলার, ব্রুনাই থেকে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার, লেবানন থেকে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার, পর্তুগাল থেকে প্রায় চার কোটি ডলার, ইরাক থেকে প্রায় চার কোটি ডলার, সুইডেন থেকে তিন কোটি ডলার, মালদ্বীপ থেকে প্রায় তিন কোটি ডলার, সাইপ্রাস থেকে প্রায় তিন কোটি ডলার এবং আয়ারল্যান্ড থেকে দুই কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি শিল্পোদ্যোক্তা সজল ডি. ক্রুজ বলেন, বিদায়ি অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছি। তার আগের অর্থবছরে পাঠিয়েছি চার কোটি টাকার মতো। স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে এ টাকা পাঠাই। ছুটিতে অন্য কোথাও যাই না। বাংলাদেশে গিয়ে ঘোরাঘুরি করি। দেশের প্রতি প্রাণের টান আছে। যে টান কখনো ভুলে থাকতে পারি না। ২০০৪ সালে জাপানে আসি লেখাপড়া করতে। লেখাপড়া শেষ করে কিছু দিন চাকরি করি। স্বপ্ন দেখি উদ্যোক্তা হওয়ার। এরপর গঠন করি কোম্পানি। এভাবেই আজকে একটি অবস্থানে এসেছি। রেমিট্যান্সে প্রণোদনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। তবে দেশের ভেতর এবং বাইরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরও বেশি সম্মানিত করলে খুশি হতাম।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আসে ২১০৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে বিদায়ি অর্থবছর রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৫৮ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ মাস জুনে এসেছে ২২০ কোটি ডলার। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে মহামারি করোনার মধ্যে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভরা করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে বেশির ভাগ মানুষের আয় কমলেও তখন হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামে। যে কারণে বৈধ চ্যানেল ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প ছিল না। ফলে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে তখন।

অর্থনীতি

বিশ্ব বাণিজ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্য কমছে। বৈশ্বিক রিজার্ভের মধ্যে ডলারের অংশও কমে যাচ্ছে। ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশেরই আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক দায় বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক দেশ এখন বৈদেশিক বাণিজ্যে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশও বৈশ্বিক লেনদেনের কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।

এর মধ্যে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে সে দেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। চীনা মুদ্রা ইউয়ানে এলসি খুলে সে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার বিষয়ে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত ওই মুদ্রায় কোনো এলসি খোলা হয়নি।

সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেশের মুদ্রাকে স্থিতিশীল মুদ্রা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে-মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড, ইউরোপীয় অঞ্চলের মুদ্রা ইউরো, জাপানি মুদ্রা ইয়েন ও চীনা মুদ্রা ইউয়ান। এর মধ্যে মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড, ইউরোপীয় অঞ্চলের মুদ্রা ইউরোই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশি সচল। চীনা ও জাপানি মুদ্রা ওই দেশ ছাড়া অন্যত্র চলে না। যে কারণে এ দুটি মুদ্রা আইএমএফের স্বীকৃতির পর বৈশ্বিক বাণিজ্যে সচল হতে পারেনি।

২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চীনা মুদ্রায় এলসি খোলার অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত এ মুদ্রায় কোনো এলসি খোলা হয়নি। কারণ ইউয়ান চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশে চলে না। ফলে চীনে ইউয়ানে রপ্তানি করে ওই মুদ্রা চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশে ব্যবহারের সুযোগ নেই। যে কারণে রপ্তানিকারকরা চীনা মুদ্রায় এলসি খুলছেন না। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বিশাল অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে চীন থেকে ১৪ হাজার কোটি ইউয়ান পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এর বিপরীতে রপ্তানি করা হয়েছে ৪০৬ কোটি ইউয়ান। ফলে চীন থেকে ওই মুদ্রায় আমদানি করার মতো যথেষ্ট ইউয়ান বাংলাদেশের হাতে নেই। তারপরও ইউয়ানে বাণিজ্য করতে হলে ডলার দিয়ে ইউয়ান কিনতে হবে। যা বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।

একই অবস্থা হবে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতেও। বাংলাদেশ ভারত থেকে বছরে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি রুপির পণ্য আমদানি করে। এর বিপরীতে ভারতে রপ্তানি করে ১২ হাজার কোটি রুপি। ফলে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে পাহাড়সম ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এত বিপুল অঙ্কের আমদানির দায় মেটানোর মতো রুপি বাংলাদেশের হাতে নেই। এ কারণে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত ভারতে যে পরিমাণ রপ্তানি হচ্ছে তা হবে রুপিতে। ওই রুপি দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হবে। এ হিসাবে দুই দেশের মধ্যে ১২ হাজার কোটি রুপির বাণিজ্য স্থানীয় মুদ্রায় হবে। এতেও সমস্যা হবে বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটক বা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন, তাদের অনেকে রুপি নিয়ে যান। তখন তারা রুপির সংকটে পড়বেন। বাধ্য হয়ে তারা ডলার নেবেন। এতে ডলারের ওপর চাপ বাড়বে।

এছাড়া যেসব রপ্তানিকারক ভারতে রপ্তানি করেন তারা রুপিতে মূল্য আনলে সেগুলো ভারতেই খরচ করতে হবে। অন্য কোথাও করা যাবে না। কিন্তু একজন রপ্তানিকারকের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে লেনদেন করতে হয়। রপ্তানির কাঁচামাল অনেক সময় ভারত থেকে না এনে অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা হয়। এক্ষেত্রেও রপ্তানিকারক সমস্যায় পড়বেন। অন্য দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে তাকে ডলারে এলসি খুলতে হবে। তখন রুপি বিক্রি করে ডলার কিনতে হবে। এতে খরচ বাড়বে। এ কারণে রপ্তানিকারকরা রুপিতে পণ্যের মূল্য নিতে আগ্রহী হবেন না।

২০২০ সালে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে সেদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার বিষয়টি সমীক্ষা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এটি এখনো শেষ হয়নি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে রাশিয়া এখন ডলারে লেনদেন করতে পারছে না। চীনা মুদ্রায় বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ চীনা মুদ্রায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন করতে গিয়েও সফল হয়নি। কারণ যথেষ্ট মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নেই।

এদিকে শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা জানান, বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় আমদানিতে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহার করলে সুবিধা পাওয়া যাবে। খরচ কমবে। বাংলাদেশ মোট আমদানির ৪০ শতাংশই করে ভারত ও চীন থেকে। কিন্তু রপ্তানি করে কম। এছাড়া গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে এ দুই মুদ্রার মানও টাকার চেয়ে বেশি কমেছে। টাকার মান কমেছে ২৬ শতাংশ, ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান কমেছে ৩২ শতাংশ, চীনা মুদ্রার মান কমেছে ২৮ শতাংশ। এসব কারণে দেশের রপ্তানিকারকরা ডলারের বাইরে স্থানীয় মুদ্রায় এলসি খুলতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রায় পণ্য আমদানি করলে ব্যয় কম হবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে সাশ্রয় হবে। এ কারণে ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রায় লেনদেনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু ডলারের বিকল্প এখন কোনো মুদ্রা দাঁড়াতে পারেনি বলে সেটি সফলও হয়নি।

তবে ভূরাজনৈতিক কারণে এখন অনেক দেশই ডলারের বিকল্প মুদ্রা খুঁজছে। এক্ষেত্রে চীন অনেক দূর এগিয়েছে। তারা রাশিয়া, ইরান, ভারতের সঙ্গে বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন করছে। নিজস্ব আমদানি-রপ্তানির বাইরে চীনা মুদ্রায় লেনদেন নিষ্পত্তি করছে।

ভারতের বৈদেশিক লেনদেনের প্রধান মুদ্রা ডলার। কিন্তু দেশটি জাপানের সঙ্গে দুই দেশের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন সম্পন্ন করছে। এতে বছর শেষে যে লেনদেন বকেয়া থাকছে, পরের বছর তা সমন্বয় করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়াও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করছে। এর মাধ্যমে ডলারের উত্তাপ থেকে তাদের অর্থনীতিকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে ব্রিকস ব্যাংক নিজস্ব মুদ্রা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বর্তমানে ৮টি দেশ রয়েছে। আরও ১৯টি দেশ এতে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।

বিশ্বে রিজার্ভ মুদ্রাব্যবস্থায় ২০০১ সালে যেখানে ডলারের অংশ ছিল ৭৩ শতাংশ, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এই হার আরও কমে হয়েছে ৫৮ শতাংশ।

অর্থনীতি

বৈদেশিক মুদ্রার এতদিনের (গ্রস) হিসাবের পাশাপাশি নিট হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এ নিট তথ্য প্রকাশ শুরু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৩৫৬ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার)। আগের (গ্রস) হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৯৯৭ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রার তথ্য প্রকাশ আসছে। এ হিসাবের মধ্যে থাকতো রিজার্ভ থেকে গঠন করা ইডিএফ’র মতো বেশ কয়েকটি তহবিলের অর্থ। যার পরিমাণ ৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার (৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার)।

রিজার্ভের অর্থে গঠন করা তহবিলগুলো হলো রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল ( ইডিএফ); যা রপ্তানিমুখি শিল্পের জন্য। এবং লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) নামে দুটি তহবিল থেকে বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচির জন্য।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ঋণ নেওয়ার সময় শর্ত ছিল চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রচলিত পদ্ধতির হিসাবায়নের পাশাপাশি নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বাড়ছে

আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন ডলারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর একই পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আগে এ দুই দরের মধ্যে বেশ ব্যবধান থাকত।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে আন্তঃব্যাংকের গড় দামে ডলার বিক্রি করত। এখন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম একই হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও ডলারের দাম বাড়াতে হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৯ টাকার বেশি হতে পারবে না।

সোমবার ও বুধবার আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর একই ছিল। অর্থাৎ ১০৯ টাকা দরে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। এর আগে ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দরের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকত। সর্বনিম্ন দর ১০৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সার মধ্যে থাকত। সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকার মধ্যেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বাফেদার বাধার কারণে এর বেশি বাড়তে পারছে না।

বাফেদার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমদানিতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা। আন্তঃব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১০৯ টাকা করে ডলার কিনে তা আমদানির দায় মেটাতে ১০৯ টাকা করে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করলে ব্যাংকের ক্ষতি হবে। কারণ এ খাতে ব্যাংকের সেবা দেওয়ার বিপরীতে যে খরচ হচ্ছে তা উঠছে না।

বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী যে দামে ব্যাংক ডলার কিনছে তার চেয়ে এক টাকা বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। তবে কোনোক্রমেই তা ১০৯ টাকার বেশি হবে না। ফলে আন্তঃব্যাংক থেকে ১০৯ টাকা করে ডলার কিনে তা একই দরে আমদানির বিল পরিশোধে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা বেশি দিন সম্ভব হবে না।

আন্তঃব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে আমদানিতেও এর দাম বাড়বে। নগদ ডলারের দামও বেড়েছে। এখন সর্বোচ্চ ১১২ টাকা করে কোনো কোনো ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করছে। তবে বেশির ভাগই ব্যাংকই বিক্রি করছে ১১০ থেকে ১১১ টাকার মধ্যে।