অর্থনীতি

করোনা পরবর্তী সময়ে কয়েক মাস ধরেই বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম উঠানামা করছে। বর্তমানে বাজারে সবজি ও মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চাল, ভোজ্য তেল, আটা, এবং পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্য তেলের বাজারে এ অস্থিরতা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে সব ধরণের চালে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল ৩ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজকুনিপাড়া কাঁচা বাজার, কাওরানবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র জানা গেছে।

কাওরানবাজারের চালের আড়ৎদার ইসমাইল অ্যান্ড সন্স- এর মালিক জসিম উদ্দিন দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, দুই মাস ধরে চালের দাম উঠানামা করছে। কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। মাঝে চালের দাম স্থির থাকলেও এখন আবার চালের দাম বেড়ে গেছে। সব ধরণের চাল ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রকারভেদে আরও বেশিও বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর তেজকুনিপাড়া কাঁচা বাজারের মুদী ব্যবসায়ী মানিক মিয়া স্টোরের মালিক আরিফুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘তেলের দাম এখনো কমেনি বরং বেড়েছ। প্রতি লিটার রূপচাঁদা তেল এক মাস আগে ১০৭ টাকা দামে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন সেটা বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা, যেটির গায়ের রেট ১৪০ টাকায় খুচরা বিক্রি হবে। একইভাবে বাড়ছে খোলা সয়াবিন তেলও।

তিনি আরও বলেন, ২ কেজি আটা গত সপ্তাহ বিক্রি করেছি ৬৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত। চিনি দামও এক সপ্তাহে বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করেছি ৭০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত।

অর্থনীতি

ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া, প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কা মঙ্গলবার ( ১২ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে। কৃষি শ্রমিকেরা কৃষিকাজ থেকে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে চলে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিকের দাম অনেক বেশি ও কৃষক কৃষিকাজে লাভবান হচ্ছে না। সেজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০-৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি দেয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতির বাজার বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের যা বছরে ১০% হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারত বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান, মাহিন্দ্র সংযোজন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও যারা খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে তাদেরকেও যন্ত্রাংশ তৈরির দায়িত্ব প্রদান করবে। যাতে করে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয়। এছাড়া, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিনতে পারে না; এটি বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশের কৃষকদেরকে ঋণ দেয়ার চিন্তাভাবনাও করছে।

কৃষিমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আজকে যে সকল বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে পারলে যান্ত্রিকীকরণে সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা বিরাট ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএস’র সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ ফলোআপ হিসাবে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অর্থনীতি

ভারত থেকে টিকা আনা এবং দেশে টিকা দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য মঙ্গলবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের নামে ৫০০ কোটি ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করা হলো।

প্রথম চালানের টিকা বাংলাদেশে আসার পর সিরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ইত্তেফাককে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বেক্সিমকোর টাকা রেখে দেওয়া হয়েছে। টিকা আসলে তাদের টাকা পরিশোধ করা হবে।

করোনার টিকার প্রতিটি ডোজের দাম পাঁচ ডলার। সেখান থেকে বেক্সিমকো এক ডলার পাবে। ভ্যাট, ট্যাক্স ও ট্রান্সফার ফ্রি সব বেক্সিমকো বহন করবে। সম্প্রতি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই প্রথম করোনা ভাইরাসের কোনো টিকা বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পেল। এখন ভারত থেকে টিকার চালান পেলেই বড় আকারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে পারবে সরকার, যা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে নতুন আশার আলো জ্বালবে।

প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে করোনা ভাইরাসের যে টিকা তৈরি করেছে, তার উত্পাদন ও বিপণনের সঙ্গ যুক্ত রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বাংলাদেশে সিরাম ইনস্টিটিউটে উত্পাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ তারা।

অর্থনীতি

বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশান (বিওএমএ)- এর এক সাধারন সভা সংগঠনের স্হায়ী কার্যালয় ( রোড নং- ০৪ , বাড়ি নং -৭৭ , ব্লক- সি , বনানী , ঢাকা-১২১৩ ) অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন “বিওএমএ” -এর চতুর্থ মেয়াদের সফল সভাপতি, বিশিষ্ট মানবাদিকার ব্যাক্তিত্ব, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিঃ আইজিপি এবং bdnewsdesk – এর প্রতিষ্ঠাতা ও  প্রধান সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান, পিপিএম ।

সভায়  ggn24.com – সম্পাদক ও shonarbangla.tv -র ব‍্যবস্হাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশান (বিওএমএ) -এর নবনিযুক্ত সাধারন সম্পাদক ও চতুর্থ মেয়াদের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান- এর সন্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তিৃতা করেন রফিক আহমেদ মুফদি (মুফদি আহমেদ ) কাজী চপল , তাওহীদুল ইসলাম খান ,মুশফিকুর রহমান , সি.কে সরকার , রবিউল ইসলাম সোহেল , হুমায়ুুন মুজিব , মো: ইউসুফ আলী বাচ্চু প্রমুখ ।

সভায় ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান , পিপিএম -কে ৫ম মেয়াদে সভাপতি ও মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান- কে সাধারন সম্পাদক করে নিম্নলিখিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় ।

নবনিযুক্ত কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন যথাক্রমে ( নাম ও পদবী নিম্নরুপ ) :-

১) ড. মো: আব্দুর রহিম খান . পিপিএম (সাবেক আইজিপি )             সভাপতি

২) রফিক আহমেদ মুফদি (মুফদি আহমেদ )                                                সহ-সভাপতি

৩) মুশফিকুর রহমান                                                                               সহ-সভাপতি

৪) সি.কে সরকার                                                                                    সহ-সভাপতি

৫) রবিউল ইসলাম সোহেল                                                                        সহ-সভাপতি

৬) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান                                                       সাধারন সম্পাদক

৭) হুমায়ুুন মুজিব                                                                               যুগ্ন সাধারন সম্পাদক

৮) মো: ইউসুফ আলী বাচ্চু                                                                যুগ্ন সাধারন সম্পাদক

৯) তাওহীদুল ইসলাম খান                                                                       অর্থ সম্পাদক

১০) এ আল মামুন                                                                               সহ-অর্থ সম্পাদক

১১) কাজী চপল                                                                                 সাংগঠনিক সম্পাদক

১২) মনিরুল ইসলাম রিপন                                                              সহ সাংগঠনিক সম্পাদক

১৩) ইঞ্জিঃ রুবেল রানা                                                                          আইটি সম্পাদক

১৪) আসাদুজ্জামান আসাদ                                                                       দপ্তর সম্পাদক

১৫) তামান্না সুলতানা                                                                           মহিলা সম্পাদিকা

১৬) জেসমিন জাহান লোপা                                                                সহ মহিলা সম্পাদিকা

১৭) মো: আতিকুর রহমান                                                                      নির্বাহী সদস্য

১৮) আঃ রকিব সরদার বাবুল                                                                নির্বাহী সদস্য

১৯) ডাঃ লামিসা রহমান আহনা                                                              নির্বাহী সদস্য

২০) তৌহিদ আহমেদ                                                                             নির্বাহী সদস্য

২১) কানিজ ফাতেমা তৃনা                                                                      নির্বাহী সদস্য

 

অর্থনীতি

এমন বছর আর কাটায়নি তেলের বাজার; এমনিতেই মন্দা, তার ওপর অভূতপূর্ব মহামারীর আঘাতে তেলের ঐতিহাসিক দরপতন। বছর কাটলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি নেই; উদ্বেগ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বছরের পথচলা।

বছর শেষে তেলের দর দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১ ডলারে। এই দাম ২০১৫-১৭ মেয়াদের কাছাকাছি, থাকলেও বাজার পুরো বছরই ছিল টালমাটাল।

কোভিড-১৯ মহামারী এবং তেলকুবের সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে মূল্যযুদ্ধের প্রভাবে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দর পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে শূন্যের নিচে ও ব্রেন্টের দর ২০ ডলারের নিচে পড়ে যায়।

বিশ্বজুড়ে মহামারী তেলের চাহিদা ধসিয়ে দেওয়ার কারণে ওই পতন সামলে ওঠতেই ২০২০ সালের বাকি সময়টা কেটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তেলের আগাম দর ব্যারেলপ্রতি ঋণাত্মক (৪০) ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়ত ২০২১ সালে আর হবে না।

কিন্তু নতুন লকডাউন ও কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে আগামী বছর বা তার পরও তেলের চাহিদা সংকুচিত থাকবে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান থার্ড ব্রিজের বিশ্লেষক পিটার ম্যাকন্যালি বলেন, “আমরা আসলেই ৯/১১ এর পরে অর্থনৈতিক সংকটে এরকম কিছু দেখিনি। চাহিদায় প্রভাব ছিল অভাবীয় এবং দ্রুত।“

জলবায়ু পরিবর্তনের গতি শ্লথ করার লক্ষ্য থাকায় আগামী বছরগুলোতে এমনকি মহামারীর পরও জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা কমের দিকে থাকতে পারে বলে আভাস মিলছে।

বিপি পিএলসি ও টোটাল এসইর মতো বড় তেল কোম্পানিগুলো যে পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে, তাতে যেযব চিত্র ওঠে উঠেছে, তার মধ্যে বৈশ্বিক তেলের চাহিদা যে ২০১৯ সালে চূড়ায় ওঠেছিল সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) বলছে, বিশ্বের তেল ও তরল জ্বালানির উৎপাদন ২০১৯ সালে দৈনিক ১০ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল থেকে কমে ২০২০ সালে দৈনিক ৯ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজারে নেমেছে। আগামী বছর নাগাদ উৎপাদন আর কিছুটা বাড়লেও তা দৈনিক ৯ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলের বেশি হবে না।

ডালাস, টেক্সাস-ভিত্তিক তেল উৎপাদনকারী টিল ন্যাচারাল রিসোর্স এলএলসির প্রধান নির্বাহী জন রবি বলেন, কেটে যাওয়া কালকে সব সময় সবচেয়ে খারাপ মনে হয়। কিন্তু গত বছরটা আসলেই অনন্য ছিল।

ইআইএর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশে দেশে সরকার ‘লকডাউন’ আরোপ করে মানুষকে রাস্তা সরিয়ে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রাখে। এর ফলে সদ্য বিদায়ী বছরে বিশ্বের অপরিশোধিত ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কমে গড়ে দৈনিক ৯ কোটি ২৪ লাখ ব্যারেলে নামে, যা তার আগের বছরের দৈনিক ১০ কোটি ১২ লাখ ব্যারেলের চেয়ে ৯ শতাংশ কম।

মর্গান স্ট্যানলি বলছে, বদলে যাওয়া এই চিত্র তেল পরিশোধনাকারীদের সামনে হুমকি হিসেবে হাজির হয়েছে। দৈনিক প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেল পরিশোধন ক্ষমতা বাজার থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

গ্লোবালডেটার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে তেল পরিশোধন ক্ষমতা বাড়তে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে, কিন্তু গ্যাসোলিন, ডিজেল ও অন্যান্য জ্বালানির পতনোন্মুখ চাহিদা ও স্বল্প মুনাফা এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার তেল পরিশোধনকারীদের বাধ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় উপকূলজুড়ে কিছু স্থাপনা বন্ধসহ সার্বিক উৎপাদন বন্ধ রাখতে বা কমিয়ে দিতে।

সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত আউটলুকে বিপি বলেছে, অধিকতর উন্নত দেশগুলোতে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ থাকায় উচ্চ প্রতিযোগিতার পণ্য রপ্তানির বাজারের সামনে পরিশোধনকারীদের আরও ‘নাঙ্গা’ করে দিয়েছি।

বাজার সামনের আরও কয়েকটা মাস টালমাটালই থাকবে। কারণ নগন্য চাহিদার বিপরীতে তেল সরবরাহে ওপেক ও মিত্র শক্তিসহ উৎপাদকদের কাছ থেকে আরও একটি সম্ভাব্য উত্থানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

মিতসুবিশি ইউএফজে ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ১২ মাসে বাজারের আচরণ ছিল পাগলা ঘোড়ার মতো বিশৃঙ্খল, যার রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি। এমন একটি সময়ে ভাইরাস-উত্তর পথে স্বাভাবিকতার নতুন নকশা কষতে শুরু করেছি।

রেফিনিটিভ ইকনের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে সিবো ক্রুড অয়েল ইটিএফ ভোলাটাইলিটি ইনডেক্স বেড়ে রেকর্ড ৫১৭ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ওঠেছিল। ওই সূচক এর পরে প্রায় ৪০ পয়েন্টের মতো কমলেও একবছর আগের তুলনায় তা ৬০ শতাংশেরও বেশি।

অর্থনীতি

সরকারি উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তাদের উদ্যোমের ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম মাইলফলক হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়ার অর্থ হলো অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব।
ব্যাংকাররা বলছেন, সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান দৈনিক বলেন, বছরের শেষ ব্যাংকিং দিবসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেকের বেশি। চলতি বছরে বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এই তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।

অন্য সময় রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে রপ্তানি ভালো ভূমিকা পালন করলেও গত কয়েকমাস ধরে রপ্তানি বাণিজ্য অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে। করোনার আগে থেকেই রপ্তানি বাণিজ্যে মন্দা যাচ্ছিল। করোনা আসার পর তা খুবই খারাপ অবস্থায় গেছে। অবশ্য গত জুলাই থেকে আস্তে আস্তে রপ্তানি বাড়তে শুরু করেছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বেড়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ এক হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। রপ্তানির ইতিবাচক দিকও রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করেছে। আর রিজার্ভ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে প্রবাসী আয়। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে দেশে ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।

রিজার্ভ বৃদ্ধি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। যা আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম মাইলফলক। করোনা মহামারির মধ্যেও রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের আন্ত:প্রবাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

অর্থনীতি

করোনার কারণে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া না গেলেও ২০২১ সালের জুন নাগাদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং জুলাই-আগস্ট নাগাদ এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে জুন নাগাদ এসএসসি পরীক্ষা নিতে পারবো।

আর জুলাই-আগস্ট নাগাদ এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষা নেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে প্রত্যক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়নি। সিলেবাস কাস্টমাইজ করার কার্যক্রম চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জানাতে পারবো। পরের স্তরে যেতে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলোকে মাথায় রেখে সিলেবাস কাঁটছাট করে ছোট করা হবে, সেটি আমরা জানিয়ে দেবো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- এই সময়কালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পড়ানোর উদ্যোগ নেবো, সেই চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে ২০২১ সালের জুন নাগদ এই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবো। স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা করবো। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি যেন নতুন সিলেবাসে ক্লাসে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে পারে।

‘এইচএসসির ফলাফল তৈরি হয়ে আছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। অধ্যাদেশ হয়ে গেলে সাথে সাথে ফল প্রকাশ করা যাবে। ’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়তো ক্লাসরুমে নিয়ে ক্লাস করানো হবে। কাস্টমাইজ সিলেবাস ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দিতে পারবো। জুলাই-অগাস্ট নাগাদ এই পরীক্ষা গ্রহণের আশা প্রকাশ করছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন।

অর্থনীতি

ঋণ জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তার ভাই ও ভাতিজা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।  সাক্ষী দুজন  হলেন- বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা ও ভাতিজা শঙ্খজিৎ সিনহা।  তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী কারাগারে আছেন।  জামিন আছেন ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। এছাড়া ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগে গত বছরের ১০ জুলাই এ মামলাটি করা হয়।

মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৯ ডিসেম্বর দুদক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ব্যাংক থেকে ভুয়া ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা বের করে পরে ওই অপরাধলব্ধ আয় ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অস্বাভাবিকভাবে নগদে, চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।  আসামিরা ওই অর্থ নিজেদের ভোগদখল ও তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপনের মাধ্যমে পাচার বা পাচারের প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত হন।

অর্থনীতি

করোনা মোকাবিলা ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র অর্থনীতি চাঙা করতে ৫ কোটি ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন অনুমোদন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা।

করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারে এই ঋণ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের অন্যতম এই উন্নয়ন সংযোগী সংস্থা।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) নগরীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে এই ঋণ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।

চলতি ‘মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় বাড়তি অর্থায়ন করেছে এডিবি। প্রকল্পটি ২০১৮ সালে অনুমোদন করা হয়। একটি উন্নয়নমূলক উন্নয়ন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) ৫ কোটি ডলার দেবে এডিবি। চলমান প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ, তার অংশীদার সংগঠনের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৫৮০টি ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছে যা গ্রামাঞ্চলে ৯১ হাজার ৪৩০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এই অতিরিক্ত অর্থায়ন গ্রামীণ অর্থনীতি আরো চাঙা করবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে এবং তাদের কর্মীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
বিশেষত নারী মহাজন করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে মনমোহন প্রকাশ বলেন, প্রকল্পটি ক্ষুদ্র সংস্থাগুলির অর্থায়নের প্রবেশাধিকার বাড়াবে এবং দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বাড়াতে আরও অবদান রাখবে। নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে ৩০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উপকৃত হবে বলে আশা করে এডিবি।

এডিবির নতুন ঋণ পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে ৩০ হাজার অতিরিক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে সরবরাহ করা হবে যার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী নেতৃত্বাধীন। এটি পাইলট মোবাইলভিত্তিক মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং অ্যাপ্লিকেশনটির অতিরিক্ত ১০ হাজার ঋণগ্রহিতার কাজ প্রসারিত করবে, যা অ্যাপ্লিকেশন, বিতরণ এবং সংগ্রহকে সহায়তা করে। চূড়ান্ত দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্ত, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত পাঁচ কোটি ডলার ঋণ দিতে চুক্তি সই হয়েছে।

অর্থনীতি

বিশ্বের যেসব দেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তাদের কাছ থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফার করে বাংলাদেশে এনে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ওইসব দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা চলছে।

শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের এফএনএফ নামের একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ডিজি বলেন, আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা আছে। টেকনোলজি ট্রান্সফার করা হলেই দেশে উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। সরকারিভাবে আমদানি করা করোনা ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বলেন, দেশের ওষুধের গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। এজন্য ওষুধ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। সাব স্ট্যান্ডার্ড ওষুধ যেন কেউ উৎপাদন করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, আমাদের দেশে তৈরি ওষুধ বিশে^র ৯৭ দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে ঔষধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ড. রাহানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ড. গিয়াস উদ্দিন, উপ-সচিব সারোয়ার হোসেন, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকলেছুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।