আন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে। ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই মোহাম্মদ মোখবারের নাম ঘোষণা করেছেন।

নিয়মানুসারে ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। মোখবারকে এখন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব সামলাবেন।

বর্তমান শাসকদের কাছে প্রাথমিকভাবে যে বিষয় গুরুত্ব পাবে তা হলো শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা। মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- তারা মানুষকে সেবা করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাবেন। কোনোরকম বিঘ্ন ছাড়াই সরকার কাজ করে যাবে বলে শপথ নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জার্মান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি টাইসের গবেষক হামিদরেজা আজিজি বলেছেন, ৬৯ বছর বয়সি মোখবার শিয়া ধর্মীয় নেতাদের আস্থাভাজন। তার সঙ্গে ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সম্পর্কও খুব ভালো। ফলে প্রশাসনে আইআরজিসি-র ভূমিকা আগের মতোই থাকবে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আইআরজিসির নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়তে পারে।

রোববার আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধন করে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তেহরান ফিরছিলেন, তখনই তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। কোন পরিস্থিতিতে এ দুর্ঘটনা হলো, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।

হামবুর্গের থিংক ট্যাংক জার্মান ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিসের ইরান বিশেষজ্ঞ সারা বাজোবান্দি বলেছেন, এখন এ নিয়ে নানান ধরনের অনুমান ও অসমর্থিত রিপোর্ট সামনে আসবে।

তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ যান্ত্রিক হতে পারে, অর্ন্তঘাতও হতে পারে, এমনকি রাইসির রাজনৈতিক বৃত্তে থাকা কারোর হাতও থাকতে পারে। কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইরানের মানুষ চাইবেন, এ দুর্ঘটনা নিয়ে আগামী দিনে আরও তথ্য সামনে আসুক।

কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশেষজ্ঞ করিম সাদজাদপোর বলেছেন, রাইসির মৃত্যুর ফলে ইরানে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের সংকট আসতে পারে। খুব কম মানুষই মনে করেন, স্বাভাবিক দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যু হয়েছে।

রাইসির মৃত্যুর পর আরেকটি বিষয় সামনে আসতে পারে, তা হলো খামেনির উত্তরাধিকারী কে হবেন?

ইরান বিশেষজ্ঞদের মতে, যে দুইজনের নাম নিয়ে আলোচনা হতো, তার মধ্যে একজন ছিলেন রাইসি এবং অন্যজন হলেন ৫৫ বছর বয়সি মোজতাবা, যিনি পর্দার পেছন থেকে এতদিন প্রভাব বিস্তার করেছেন।

অনেকে মনে করেন, মোজতাবা সর্বোচ্চ নেতা হলে ইরানের মানুষের একটা বড় অংশ খুশি হবেন না। সাজাদপোর লিখেছেন, মোজতাবা খামেনি সর্বোচ্চ নেতা হলে বিক্ষোভ হতে পারে। সেক্ষেত্রে মোজতাবা পুরোপুরি রেভলিউশনারি গার্ডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন।

কিন্তু বাজোবান্দি বলেন, নতুন করে ইরানে কোনো গণআন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর অত্যন্ত কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করা হয়েছে। বিরোধীরা পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের আমলেও কোনো দিশা পরিবর্তন হবে না। তিনিও খামেনির নির্দেশ মেনে চলবেন। পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।

‘নির্বাচনে চমক প্রত্যাশিত নয়’

ইরান বিশেষজ্ঞ সারা বাজোবান্দি বলেছেন, ৫০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এটা অনুমান করাই যায় যে, এর মধ্যে কোনো চমক থাকবে না। রাজনৈতিক ও আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। ফলে আগামী নির্বাচন নিয়ে মানুষের উৎসাহ কম হতে পারে।

তিনি বলেন, মানুষ এ শাসকদের বিশ্বাস করে না। আর শাসক পরিবর্তনের আশাও তাদের নেই। অনেক নাগরিক মনে করেন, ভোট হওয়ার আগেই তারা জানেন, কে জিতবে। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হতেই পারেন।

এখন ইরানে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৫০ শতাংশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, প্রচুর মানুষ আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। ২০২৩ সালে সরকার ৮৫৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে। ২০১৫ সালের পর এত বেশি মৃত্যুদণ্ড কখনো কার্যকর হয়নি।

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সকল মানবিক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে। খবর তাস’র।

কেবলমাত্র রাফাহ শহরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধানগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাই এবং ওই এলাকায় কর্মরত জাতিসংঘ স্টাফ এবং মানবিক কর্মীদের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা এবং বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা সকল মানবিক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্তের মহাসচিবের আহ্বানকে সমর্থন করি।’

ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এই ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো স্থিতিশীল চ্যানেল নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ এবং কেরেম শালোম চেকপয়েন্ট দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা ৩ হাজার ট্রাকের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আবারো ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের সাতটি গণকবর আবিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে এমন তদন্তের দাবি করেছিল।’

আন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে লেখা এক চিঠিতে শেখ হাসিনা এ শোক প্রকাশ করেছেন।

চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের এই সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি ইরানের সরকার ও ভ্রাতৃপ্রতীম দেশটির জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

‘প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি একজন জ্ঞানী ও নিঃস্বার্থ নেতা ছিলেন- যিনি তার দেশের সেবায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং ইরানের জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।’

আন্তর্জাতিক

ঘন কুয়াশার কারণে রোববার রাতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে গতি বাড়ে।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, প্রথমে তুরস্কের বায়রাকতার আকিঞ্জি ড্রোন অবস্থান সনাক্ত করে। সেখানকার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ইরানি কর্তৃপক্ষকে জানায় তারা। পরে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও অন্যদের ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

তাতে দেখা যায়, স্ট্রেচারে করে মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ি অসমতল পথে তাদেরকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডস এর ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, সবগুলো মরদেহই তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হবে। কাল শেষকৃত্যের আগ পর্যন্ত সেখানকার ফরেনসিক বিভাগেই থাকবে লাশ।প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং তার সহচরদের গন্তব্যই ছিল তাবরিজ শহর।

আরেকটিতে ভিডিওতে, হেলিকপ্টারের একটি দরজা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দরজায় লেখা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। সেখানে সমবেত হয়ে আছেন অনেকে। পোশাক দেখে যাদের সেনাসদস্য বলেই প্রতীয়মান হয়।

অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে জড়ো হয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।

আন্তর্জাতিক

ইরানের পূর্ব আজারাবাইজান প্রদেশে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার মাটিতে আছড়ে পড়েছে। দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

রোববারের এই দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

কেউ কেউ জানান, আছড়ে পড়া হেলিকপ্টারটিতে রাইসি ছিলেন না। আবার অনেকে দাবি করেন, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার থেকে হেডকোয়ার্টারে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে— সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়।

কিন্তু যেটি সত্য সেটি হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

হেলিকপ্টারটি পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের একটি ঘন বন ও পাহাড়ি এলাকায় আছড়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই জায়গাটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সেখানে উদ্ধারকারীদের পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ইরানেই ধোঁয়াশা চলছে। কেউ স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট রাইসি গতকাল শনিবার আজারবাইজানে গিয়েছিলেন। সেখানে আজারি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি ড্যাম উদ্বোধন করেন তিনি।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরে আসে।

যে হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়েছে সেটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এবং আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলি-হাসেম। তিনি ওই অঞ্চলে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রতিনিধি ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের আগে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যা বলেছেন রাইসি

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর রোববার হেলিকপ্টারে চড়ে ফিরছিলেন রাইসি। এ সময় বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। এখনো নিখোঁজ প্রেসিডেন্ট রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুর্ঘটনার আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে এক আলোচনায় রাইসি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন ও ইহুদিবাদী সরকারের প্রতি ঘৃণা নিয়ে ইরান ও আজারবাইজানীয় দেশগুলো সবসময় ঐক্যবদ্ধ।

আরাস নদীর তীরে নির্মিত যৌথ কিজ কালাসি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ফাঁকে দুই প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎ করেছেন। তখন এ কথা বলেছেন রাইসি।

প্রেসিডেন্ট রাইসি এই প্রকল্পকে উন্নয়নের প্রতীক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের দৃঢ় সংকল্পের নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন, আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ‘অটুট’।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে ‘সব ঠিক আছে’ এমন সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে ‘বিঘ্ন না ঘটানোর’ আহ্বান জানান খামেনি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান এবং জোলফা নামক জায়গার একটি ঘন বন জঙ্গল ও পাহাড়ি অঞ্চলে। ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।

১৯৭৫ সালের বিয়োগান্ত অধ্যায়ের পর শেখ হাসিনা প্রবাসে দীর্ঘদিন কাটাতে বাধ্য হন। পরে আওয়ামী লীগ তাঁকে সভাপতি নির্বাচন করলে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল ৯ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগ ছাড়াও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া-মিলাদ, গরিব-অসহায় এবং পথচারি-এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ।

শেখ হাসিনা’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ্ আমানত (রহ)-এর মাজার সংলগ্ন এতিমখানা ও গরীব উল্লাহ শাহ (রহ)-এর মাজার সংলগ্ন এতিমখানায় খাবার সামগ্রী বিতরণ করে উপকমিটি।

এদিকে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান।

পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

আন্তর্জাতিক

কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করছে রাশিয়া এবং চীন। সম্পর্কের নতুন দ্বার উন্মোচনসহ এক ‘নতুন যুগে’ প্রবেশে অঙ্গীকারবদ্ধ দুই দেশ। বেইজিং-মস্কোর সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের মধ্যেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্টরা। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের চীন সফরে যেন চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের এমন বন্ধুত্বে উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের মন্তব্যে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘ক্ষতি করার’ পরিকল্পনা করতে এক হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন অভিযোগ করেন তিনি। বিবিসি, দ্যা হিল।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি, আমি তাকে ভালোভাবে চিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, তাকেও আমি ভালোভাবে চিনি। তারা এখন একসঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। যেখানেই তারা একত্রিত হন সেখানেই তারা ক্ষতি করেন।

কেননা, তারা এমনটাই ভাবেন, ক্ষতি করার কথা।’ ট্রাম্প ছাড়াও বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে মস্কো-বেইজিংয়ের চুক্তিসহ চলমান ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রতিরক্ষা শিল্পে দুই বন্ধু দেশের অংশীদারত্বের বিরুদ্ধে প্রয়োজন পড়লে ‘ব্যবস্থা’ নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে মার্কিন প্রশাসন।

পুতিনের সফরের প্রথম দিনই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান উন্নতিসহ ‘সম্পর্কের নতুন যুগে’ প্রবেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন নেতারা। বিশ্বে ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে মস্কো-বেইজিং একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দুই ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট।

এদিন বাণিজ্যিক, প্রতিরক্ষাসহ তাইওয়ান নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা রয়েছে- এমন একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন ও শি। সফরের শেষ দিন চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে উঠেছে বেইজিং। ইউক্রেনে রুশ অভিযানের নিন্দা জানাতে বেইজিং শুধু অস্বীকৃতিই জানায়নি, বরং পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা মস্কোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পুতিনের চীন সফরের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

আন্তর্জাতিক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বুধবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দেশটির সরকারের দপ্তর এমনটি জানিয়েছে।

খবর রয়টার্সের।
হ্যান্ডলোভা শহরে সরকারি এক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হলে ৫৯ বছর বয়সী ফিকোকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে জরুরি চিকিৎসায় হেলিকপ্টারে করে বানস্কা বাইস্ট্রিকা শহরে নেওয়া হয়।

রাজধানী ব্রাতিস্লাভার উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভায় বৈঠক শেষে রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সেখানে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি জানান, পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একজনকে গাড়িতে নিয়ে চলে গেছেন।

দেশটির সরকারের দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হ্যান্ডলোভায় আজ প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

ইমার্জেন্সি সার্ভিস বলেছে, আড়াইটার পর তারা এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পায়। তারা ৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির জন্য হেলিকপ্টার পাঠায়।

টিভি চ্যানেলে টিএ৩ খবরে জানায়, চারটি গুলি করা হয়। বামপন্থী ওই প্রধানমন্ত্রীর পেটে গুলি লেগেছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দেশটির মিত্ররাও এ ঘটনায় হতবাক।

ভন ডার লিয়েন বলেন, আমাদের সমাজে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ধরনের সহিংসতা গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই কূটনীতিক তাদের ব্যস্ততার মধ্যেও বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নেন।

ডোনাল্ড লু ও পিটার হাস প্রথমে ব্যাটিং করেন। পরে পিটার হাস বোলিংও করেছেন। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা মূলত বোলিং ও ফিল্ডিং করেছেন। প্রীতি ম্যাচটিতে আম্পায়ার ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি।

মার্কিন কূটনীতিকদের ক্রিকেট খেলার সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গতকাল ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।