আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।এদিকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের উৎখাতের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কী ধরনের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করবে সে সম্পর্কেও আলোকপাত করতে পারেন। এ সময় বিদেশি কূটনীতিকদের প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।

অন্যদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের সুযোগে প্রধান উপদেষ্টা ওয়াশিংটন গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ফিউচার সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনেও অংশ নেবেন নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসাবে প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ দেবেন। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি আরও অনেক ইভেন্ট হবে। এসব ইভেন্টের অনেকগুলোতে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের বিষয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। তিনি জাতিসংঘ অধিবেশনের সুযোগে গণতন্ত্রায়নের পথে কী ধরনের সংস্কার করতে যাচ্ছেন সেটা তুলে ধরবেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আজ এক গুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বৈঠকে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশের জন্য মুসলিম চৌধুরী, আহসান এইচ মনসুর ও নজরুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল আহত আন্দোলনকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং তাদের চিকিৎসার খরচ সম্পূর্ণভাবে সরকার বহন করবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী সকল হাসপাতালকে নির্দেশ দেবে। সরকার নিহত আন্দোলনকারীদের পরিবারকেও সহায়তা করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে বাংলাদেশী ছাত্র এবং জনগণের সমর্থনে প্রতিবাদ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত এবং দন্ডিত ৫৭ বাংলাদেশীদের মুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করবে। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সংশ্লিষ্ট সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।

সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যদিও কিছু বিতর্কিত চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করা হবে, বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে।

সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

কোথাও কোথাও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের জঘন্য হামলা সমাধানের উপায় খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে প্রতিনিধি সংস্থা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে বসবে।

মেট্রোরেল ১৭ আগস্ট, ২০২৪ (শনিবার) থেকে চালু হবে। তবে মেরামত না হওয়া পর্যন্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনে রেল থামবে না।

আন্তর্জাতিক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেছিলেন। এ অবস্থায় তাদের অনেককে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। সেই সব প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে সে দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময়ের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী অন্দোলনের সমর্থনে বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। তার মধ্যে আরব আমিরাতে বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়, এমনকি জেলও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে দেখছি। তারা কিছুতেই যেন সাফার না করে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি আজ বা কালকের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা নিজে কথা বলবেন তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। যাতে তারা সহায়তা পেতে পারে। অন্তত কোনো শাস্তি ছাড়া যেন তাদের মুক্তি দেয়া হয়। তারপর বাকিটুকু না হয় আমরা সহায়তা করার চেষ্টা করলাম।
তিনি (ড. ইউনূস) নিজেই উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন, চেষ্টা করবেন তাদের যেন শাস্তির সম্মুখীন হতে না হয়।

তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা হয়তো স্থানীয় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। সে কারণে আমরা সেই দেশকে দোষারোপ করতে পারি না। তাদের যে আইন আছে সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তাদের (প্রবাসী) সেন্টিমেন্ট যেটার কারণে তারা এটার পক্ষে এসেছে তখন তারা হয়তো সেই আইন-কানুনও ভুলে গেছে অনেকে। আমরা চেষ্টা করব তাদের যেন মুক্ত করতে পারি।

এ সময় প্রবাসীদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিতের বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় গত ১৯ জুলাই জমায়েত করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ সময় দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় দেশটির আদালত।

এছাড়া অবৈধভাবে সেদেশে প্রবেশ এবং ‘সমাবেশে’ অংশ নেওয়ায় আদালত আরও ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। আদালত তাদের কারাবাসের মেয়াদ শেষে নির্বাসন এবং জব্দ করা সমস্ত ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেন।

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার জেরে ২০২১ সালে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিন বছর পর এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই সৌদিতে অস্ত্র পাঠানো শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যেই লক্ষ্যে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হঠাৎ সৌদির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণ, সৌদিকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ২০২২ সালের মার্চে সৌদি ও হুথিরা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গেছে। ইয়েমেনে আর কোনো হামলা চালায়নি তারা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রেক্ষিতেই এবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক

গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১শ জনের বেশি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সরকারী বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের হামলা চালিয়েছে।

এর আগে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, গাজা শহরের আল-সাহাবা এলাকায় আল-তাবাই’ইন স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় চল্লিশজন শহীদ এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।

এই হামলার আগে গাজায় আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়, যার মধ্যে খান ইউনিসের ১৯ জন রয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ৬০ থেকে ৭০ হাজার লোককে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে ইতিমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ আল-মাওয়াসি এলাকার দিকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে ফের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী এসব দেশ হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের ১৫ আগস্ট থেকে আবারও আলোচনা শুরুর জন্য চাপ দেয়।

আন্তর্জাতিক

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার রাতে সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

তিনি বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হবে। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাইকোর্ট বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উপদেষ্টা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে।

সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সরে যাওয়ার পর মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করার যে খবর চাউর হলে তা আন্দোলনকারীদের ‘প্রত্যাখ্যান’ করে। পরে জানা যায় ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের তথ্যটি ‘বিভ্রান্তিকর’।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে শিক্ষা চত্বরে কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত সময় দিলাম। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রিফাত আহমেদকে নিয়োগ না দিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব নুর এলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

উপপ্রেস সচিব জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন যে তিনি চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

‘আমরা সকলকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রো রেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে তারা টার্গেট করে হামলা করেছে। জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং জীবনহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত সম্পদ ধ্বংস বা গোটা বিষয়ের যেন বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, সে বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তিনি দুদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন। তার কর্মক্ষেত্রের কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ খাত উল্লেখ করে তিনি আইনি অভিবাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বিক্ষোভ বা কোনো ক্র্যাকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ইতালিয়ান পুলিশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইতালির পুলিশ ধাপে ধাপে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই বিষয়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলে হস্তক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার দলীয় এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ ঘোষণা দেন। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা বলার সময় ইসরাইলে হস্তক্ষেপ করার সুস্পষ্ট হুমকি দেন তিনি।

এরদোগান বলেন, আমরা যেভাবে কারাবাখে প্রবেশ করেছি, ঠিক যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি, ইসরাইলের সঙ্গেও তাই করতে পারি। এমন কিছু নেই যা আমরা করতে পারি না। আমাদের কেবল শক্তিশালী হতে হবে।

এ সময় আন্তর্জাতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফক্স নিউজসহ কয়েকটি ইসরাইলি গণমাধ্যম এরদোগানের সাম্প্রতিক এ মন্তব্যকে ইসরাইলে আগ্রাসনের হুমকি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।

তবে আসলেই কী এরদোগান এমন কোনো হুমকি দিয়েছেন? এরদোগানের এই মন্তব্যকে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

প্রথমত, ইসারাইলকে থামাতে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সবাইকে একতার সবক দিয়েছেন। এরদোগান চান কূটনৈতিক উপায়ে ইসরাইলকে থামাতে। যাদের হাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। কয়েক দশক ধরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা সংঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান চেয়ে আসছেন এরদোগান। মূলত, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং স্থায়ীভাবে পক্ষগুলোকে আলোচনার টেবিলে আনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, এরদোগানের এ ঘোষণাকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যে, হস্তক্ষেপ বোঝানো একটি নিছক বাক্য ইসরাইলকে ক্ষুব্ধ করার জন্য ব্যবহার করেছেন তিনি। এরদোগান দৃশ্যত ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের প্রতি পশ্চিমাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের মুখে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তুরস্কের দৃঢ় সংকল্প তুলে ধরতে চান এবং নেতানিয়াহুর গণহত্যাকারী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তুরস্কের চারপাশের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। প্রকৃতপক্ষে, এরদোগান একই ভাষণে বলেছিলেন যে তুরস্ককে শক্তিশালী হতে হবে যাতে ইসরাইল ফিলিস্তিনে ইতিমধ্যে যা করেছে তা আবার করার সাহস না করে। মনে রাখতে হবে, এরদোগানই এ অঞ্চলের একমাত্র নেতা যিনি ২০০৯ সালে দাভোসে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের সঙ্গে তার বিখ্যাত ‘এক মিনিট’ সংঘর্ষের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করেছিলেন।

ফক্স নিউজ তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুরস্ককে দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। তবে তুরস্ক কখনোই ‘দখলদার’ ছিল না। এরদোগানের নেতৃত্বে এটি কূটনীতির অক্লান্ত প্রবক্তা ছিল। এটি গ্রীসের মতো একসময় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল এমন দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করেছিল এবং এমনকি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মিশর ও সিরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে, এটি কেবল আত্মরক্ষার জন্য করে, যেমন সিরিয়া ও ইরাকে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান, যা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য তাত্ক্ষণিক হুমকি।

আন্তর্জাতিক

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার নিয়ে  কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায়  রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাদের ব্রিফিং করা হয়।

কূটনীতিকদের সামনে চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের আমরা লেটেস্ট তথ্য ও ভিডিও দেখিয়েছি। আমরা জানিয়েছি, হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাব গুলি করেনি। এছাড়া আন্দোলনের সময় বিজিবি ও পুলিশের ভূমিকা কী ছিল,  সেটাও তুলে ধরেছি। আমরা তাদের কাছে ভিডিও সরবরাহ করেছি।

তিনি বলেন, আন্দোলন নিয়ে দেশে বিদেশে গুজব ক্যাম্পেইন চলছে। তাই তাদের (কূটনীতিকদের) সঠিক তথ্য দিয়েছি।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, কূটনীতিকদের সামনে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত  কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। কমিশন সুষ্ঠুভাবে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, বিদেশিদের এখানে বিনিয়োগ আছে। ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এসব নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের জানিয়েছি, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

এক প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখনো পর্যন্ত  প্রায় ১৫০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ২৫ জন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের  বলেন, আমরা প্রতিটি জিনিস নিয়েই কথা বলতে প্রস্তুত।  কূটনীতিকদের সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করেছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এটা শেয়ার করব। কোটা আন্দোলন নিয়ে কোনো দেশের সঙ্গেই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র,  চীন, জাপান,  সুইডেন, কাতার, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া,  ফ্রান্স, মরক্কো, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ ২২টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২১ জুলাই কোটা সংস্কার ঘিরে পরিস্থিতি তুলে ধরতে কূটনৈতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আন্তর্জাতিক

শোকাবহ আগস্ট শুরু বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট)। এ মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু, প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বাংলাদের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত পরাধীন বাঙালির স্বাধীনতার মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
স্বাধীনতাবিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের শৃঙ্খল মুক্তির দিশারি, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়।

সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে শিকার হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

আবার এই শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শোকের এই মাস আগস্টকে যথাযথ মর্যাদায় ও শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে মাসব্যাপী আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।