আন্তর্জাতিক

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে প্রথম হানা দেয় করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯। এর মাঝেই ২০২০ ও ২০২১ সালকে বরণ করে নেয় বিশ্ব। আজ ২০২২ সালের প্রথম দিন। এখনও নির্মূল হয়নি ঘাতক করোনা।

এর মধ্যেই বাংলাদেশসহ অনেক দেশ নানা আয়োজনে বরণ করছে বছরের প্রথম দিন। অনেক দেশ আবার করোনার ভয়াবহতার কাছে হার মেনে সীমাবদ্ধ করেছে নিয়মিত আয়োজন।

গ্রিনিচ মান মন্দিরে সবার চেয়ে (১২+) এগিয়ে থাকার কারণে বর্ষবরণের উৎসব প্রথম শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। দেশটির অকল্যান্ড শহরে আয়োজন করা হয় বর্ণিল অনুষ্ঠান। তবে করোনার কারণে সেখানে এবারও ফোটেনি আতশবাজি।

তবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর তাদের পুরানো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ঘটা করে আতশবাজি ফুটিয়ে বিদায় জানিয়েছে ২০২১ সালকে। যা দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ।

করোনার ভয়াবহতা কমলেও সম্প্রতি ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডন, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিশ্বের অনেক জায়গাতে নতুন বছরকে বরণ করতে আতশবাজির আনন্দ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গোল্ডেন বল পতনের আয়োজন এবারও আছে। কিন্তু সেই আয়োজনের কাউন্টডাউনে উপস্থিত মানুষের সংখ্যা এবার অনেক কম থাকছে। শর্তসাপেক্ষে অল্পসংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন এই আয়োজনে। তবে হতে হবে ভ্যাকসিনেটেড। মাস্ক পরাও করা হয়েছে বাধ্যতামূলক।

বড়দিনের কারণে করোনার রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে ইংল্যান্ডে। তাই লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ওমিক্রন আতঙ্কে ফ্রান্স প্রশাসন বর্ষবরণে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। ইতালির কয়েকটি শহরেও আরোপিত হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাই ওমিক্রন নিয়ে হেলাফেলা করতে চায় না মোদি প্রশাসন। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। রাত্রিকালীন কারফিউও জারি রয়েছে। চীনেও কয়েকটি জায়গায়ও আছে কড়াকড়ি।

তবে ২০২১ সালের শেষদিকে সবচেয়ে বড় সুখবর পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওমিক্রনের ধাক্কা কমে আসায় দেশটিতে হঠাৎ করেই তুলে নেয়া হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। দেশটি জানিয়েছে, করোনার ভয়াবহতা তারা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।

এদিকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকাসহ সারা দেশে উদযাপন করা হয় ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহর। আতশবাজির সঙ্গে উড়ানো হয় ফানুস। ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদ ও বিভিন্ন ক্লাবে আয়োজন করা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

এদিকে নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয়েছে। সেখানে সপরিবারে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।

শিক্ষার্থীরা আতশবাজি এবং ফানুস উড়ান। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরাও উদযাপনে যোগ দেন।

আন্তর্জাতিক

পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঘুসাঘুসির ঘটনা ঘটেছে। স্পিকার এক সংসদ সদস্যকে (এমপি) পার্লামেন্ট কক্ষ ত্যাগ করতে বলার পর জর্ডানের পার্লামেন্টের সদস্যরা মারামারিতে লিপ্ত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

সংসদ অধিবেশনে এমপিদের মধ্যকার ওই হাতাহাতির ঘটনা লাইভে ধরা পড়েছে। ওই ফুটেজে দেখা গেছে, এক এমপি ঘুসি খেয়ে মেঝেতে পড়ে গেছেন। অন্যরা চিৎকার করেছেন। পার্লামেন্টের ওই বিশৃঙ্খল অবস্থা কয়েক মিনিট ধরে চলছিল।

সংবিধানের প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে অধিবেশন চলাকালে অযৌক্তিক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে এক এমপি অস্বীকৃতি জানানোর পর এই মারামারির ঘটনা শুরু হয়। এতে কেউ আহত হননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

খলিল আতিয়েহ নামে ওই সময় উপস্থিত এক এমপি জানান, প্রথমে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হওয়া এই ঘটনা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এই আচরণ আমাদের জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমাদের দেশের সুনামও এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

তাইওয়ান যদি স্বাধীনতার পথে হাঁটে তাহলে তার বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, তাইপে যদি রেড লাইন ক্রস করে তাহলে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র মা জিয়াওগুয়াং রাজধানী বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যদি স্বাধীনতার উসকানি সৃষ্টি করে, শক্তি দেখানোর চেষ্টা করে অথবা কোনভাবে রেড লাইন ক্রস করে তাহলে আমরা শক্ত ব্যবস্থা নেব।

চীনের এ কর্মকর্তা বলেন, আগামী মাসগুলোতে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা এবং বাইরের হস্তক্ষেপ বেড়ে যেতে পারে। আগামী বছর হরমুজ প্রণালীর পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।

মা জিয়াওগুয়াং বলেন, তাইওয়ানের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে পুনঃএকত্রীকরণের চেষ্টা করবে বেইজিং। কিন্তু তারা যদি স্বাধীনতা ঘোষণার মতো কোনো রেড লাইন ক্রস করে তাহলে প্রয়োজনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ‘নো-ফ্লাই’ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইল।

ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ১৩৪ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং আরও ৩০৭ জন করোনাভাইরাসের নতুন এ ভ্যারিয়েন্টটিতে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, গত মাসে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দ্রুত ভ্রমণ সীমিত করার মাধ্যমে ইসরাইল কিছুটা সময় পেয়েছে, কিন্তু তা কমে আসছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন রোগী বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।

এরপরই বেনেটের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, বেলজিয়াম, জার্মানি, হাঙ্গেরি, মরক্কো, পর্তুগাল, কানাডা, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ককে তাদের ‘নো-ফ্লাই’ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে ভোট দেয়।

সোমবার ঘোষিত এ আদেশ ইসরাইলের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

এই আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাইলে ইসরাইলিদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। ফলে যে ৫০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও তার অন্তর্ভুক্ত হল।

আন্তর্জাতিক

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কদুনা রাজ্যে রোববার পৃথক তিনটি হামলায় ৩৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গবাদিপশু চোরের দল এ হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দেশটির সংঘাতপূর্ণ এ অঞ্চলে এটি ছিল সর্বশেষ হামলার ঘটনা। খবর এএফপি’র।

এক বিবৃতিতে কনুদা রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক কমিশনার সামুয়েল আরুয়ান বলেন, মটরসাইকেলে করে আসা ডাকাতরা গিওয়া জেলার কৌরান ফওয়া, মর্কি ও রিহায়া গ্রামে হামলা চালায়।

আরুওয়ান বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ তিন গ্রামে পৃথক হামলায় ৩৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ সময় চোরেরা বিভিন্ন ঘরবাড়ি, ট্রাক, গাড়ি এবং কৃষি পণ্য উৎপাদনের খামার জ্বালিয়ে দেয়।’

রোববার সন্ধ্যায় দেয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এ ‘জঘণ্য হত্যাযজ্ঞের’ নিন্দা জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে কদুনা রাজ্যে কয়েকবার ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে তিনি হামলাকারীদের নির্মূলে যা করা প্রয়োজন তার সব কিছু করতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা প্রধানদের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন।

এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে ২৯ জনের পরিচয় জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক

মানুষের হাতে এখন যে কোভিড টিকাগুলো আছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ঠেকাতে সেগুলোর অধিকাংশই তেমন কোনো কাজে আসবে না বলে তথ্য আসছে সাম্প্রতিক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে।

এসব গবেষণার তথ্য তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ফাইজার এবং মডার্নার টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজেই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রাথমিক সফলতা দেখাতে পেরেছে। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এই টিকা পাওয়া যায় না।

অবশ্য সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে এখনকার টিকাগুলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কার্যকর বলে দেখা গেছে গবেষণায়।

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং চীন বা রাশিয়ায় তৈরি অন্য টিকাগুলো ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ কোনো কাজ করে না বলে প্রাথমিক গবেষণার ফলে দেখা গেছে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যেহেতু প্রচলিত এসব ডোজ দিয়েই তাদের টিকাদান কর্মসূচি চালিয়েছে, তাই মহামারীর সময়ে এর একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলেও গবেষকরা মনে করছেন।

অবশ্য এর বেশিরভাগ গবেষণাই হয়েছে পরীক্ষাগারে, যেখানে শরীরের পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিশ্বের জনসংখ্যার ওপর এর প্রভাব যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, এমআরএনএ প্রযুক্তির ফাইজার এবং মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের সব কটি ধরনের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করেছে। অন্যান্য টিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

সারা বিশ্বে সরবরাহ করা কোভিড টিকার অর্ধেকই চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের হলেও এসব টিকা ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে প্রায় কোনো সুরক্ষাই দেয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

চীনের বেশিরভাগ মানুষই নিজ দেশের এ দুই কোম্পানির টিকা নিয়েছেন। এছাড়া মেক্সিকো এবং ব্রাজিলের মত অন্যান্য নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশেও ব্যাপকভাবে এসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ঠেকাতে এর কোনো কার্যকারিতাই ছিল না।

ভারতের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘কোভিশিল্ড’ নামে এই টিকা নিয়েছেন। এছাড়া আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের ৪৪ দেশে এই টিকার ছয় কোটি ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করেছে বিশ্বব্যাপী টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।

গবেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুৎনিক’ টিকার ডোজ ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে একই ধরনের হতাশাব্যঞ্জক ফল দিতে পারে। আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার দেশুগুলোতেও এই টিকা দেওয়া হয়েছে।

টিকা দেওয়ার সরঞ্জাম কম থাকায় আফ্রিকার দেশগুলোতে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকার চাহিদা বাড়লেও এই টিকার ক্ষেত্রেও ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে খুব সামান্যই প্রতিরোধ দেখা গেছে।

কোভিড টিকা নেওয়ার ফলে শরীরে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ‘অ্যান্টিবডি’ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথমে বাধা তৈরি করে এবং ভাইরাসকে শনাক্ত করতে সক্ষম ‘টি সেল’ তৈরি করে।

শরীরের ‘টি সেল’ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’কে শনাক্ত করতে পারছে যা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করার কথা জানান। গবেষকরা করোনাভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করছেন বি.১.১.৫২৯ নামে।

তবে আলোচনার সুবিধার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’। জাতিসংঘের এই সংস্থা ওমিক্রনকে তালিকাভুক্ত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে।

নিউ ইয়র্কের শিক্ষা ও চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েইল কর্নেল মেডিসিন’ এর ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জন মুর প্রচলিত টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেন, “আপনি যা হারিয়েছেন সেটা হল, উপসর্গহীন সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। কিন্তু আপনার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু রয়েছে, সেটা হলো গুরুতর অসুস্থতা এব মৃত্যুর হাত থেকে সুরক্ষা।”

তবে এই প্রতিরোধ সারা বিশ্বে ‘ওমিক্রন’ এর বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন গ্লোবাল হেলথ পলিসি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর পরিচালক জে. স্টিফেন মরিসন।

তিনি জানান, এমআরএনএ ভিত্তিক টিকা ছাড়া অন্যান্য টিকা ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে বিশেষ কোনো সুরক্ষা না দেওয়ার খবরে বিশ্বের যে সব দেশ মানুষের মাঝে টিকার চাহিদা তৈরি করতে চাচ্ছে তাদের গুরুত্ব আরও কমে যাবে।

মরিসন বলেন, “এটা টিকার গুরত্বকেই চ্যালঞ্জের মুখে ফেলেছে। এটা টিকাবিরোধী আবেগকে উস্কে দেবে এবং মনোবলকেও দুর্বল করে ফেলবে।”

‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে উপসংহার টানতে আরও তথ্য প্রয়োজন এবং টিকাদান কর্মসূচির গতি অব্যাহত রাখা উচিত বলে মনে করেন টিকার বৈশ্বিক জোট ‘গাভি’ এর সিইও ড. সেথ বার্কলে।

এই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জানান, দেশগুলো যদি টিকাদান কর্মসূচি শিথিল করে এবং যদি মনে করে কেবল এমআরএনএ টিকার ডোজ সরবরাহ করা উচিত, তবে সেটা হবে গুরুতর একটি ভুল সিদ্ধান্ত ।

আন্তর্জাতিক

বহু ইতিহাসের সাক্ষী রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ; অংশ নিলেন আরাধনায়।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসা কোবিন্দ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছান। সেখানে তাদের স্বাগত জানান ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরের শেষ দিন রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান কালী মন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের ফলক উন্মোচন করেন এবং পরে স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পূজা দেন দেবী প্রতিমার সামনে।
মূল মন্দিরে ঢোকার সময় শাঁখ বাজিয়ে সনাতনী রীতিতে অভিবাদন জানানো হয় ভারতের রাষ্ট্রপ্রতিকে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরের শেষ দিন রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। তিন দিনের সফর শেষে দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।প্রার্থনা শেষে মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত মন্দির কমিটির সদস্য এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন কোবিন্দ।

সব মিলয়ে ১৫ মিনিটের মত রমনা কালী মন্দিরে ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে ফিরে যান হোটেলে।

বাংলাপিডিয়া বলছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শণার্থী সম্প্রদায় ঢাকার রমনায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় পাঁচশ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া গড়েন। তখন এ আখড়া কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সে জায়গাতেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন, যা তখন পরিচিতি পায় কালিবাড়ী নামে।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে ধ্বংস হয় প্রাচীন এ মন্দির। মন্দির ও আশ্রমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মন্দিরের সেবায়তসহ প্রায় একশ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সাধারণ মানুষ নিহত হন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ শুক্রবার ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন।পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ধ্বংস করা অংশটি ভারত সরকারের সাত কোটি টাকা অনুদানে সংস্কার করা হয়েছে। ভক্তনিবাস ও মূল মন্দিরও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। শুক্রবার সেই অংশেরই উদ্বোধন করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ।

বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড ময়দানে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন তিনি। বিকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সফর শেষ করে শুক্রবার দুপুরেই দিল্লির উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশে তিন দিনের ব্যস্ততম রাষ্ট্রীয় সফর গুটিয়ে আজ দুপুরে নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন দুপুর পৌনে একটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার কোবিন্দ তিন দিনের সফরে ঢাকা আসেন।
আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে সাদা ও বাদামি রঙের ডোরাকাটা কয়েদির পোশাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।

‘গণ অসন্তোষে উসকানি’ এবং ‘কোভিডবিধি ভাঙার’ অভিযোগে রুদ্ধদ্বার বিচারে এ মাসেই সু চি কে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল জান্তা সরকার।

পরে সেই সাজা কমিয়ে দুই বছর করা হয় এবং সঙ্গে এও জানানো হয়েছিল, বর্তমানে অজ্ঞাত যে স্থানে সু চিকে আটকে রাখা হয়েছে, সেখানেই তিনি সাজা খাটবেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হবে না।

কিন্তু শুক্রবার সু চিকে প্রথমবারের মতো তার চিরাচরিত পোশাক নয়, বরং মিয়ানমারের কয়েদির পোশাক- সাদা ব্লাউজ আর বাদামি লুঙ্গি- পরে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে।

সু চি সাধারনত মার্জিত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন এবং কখনও কখনও চুলে ফুল গুঁজে রাখেন।

কিন্তু এদিন তাকে কয়েদির পোশাকের ওপর ঠাণ্ডার কারণে একটি ওভারকোট পরতে দেখা গেছে। যদিও তার হাতে কোনও হাতকড়া লাগানো ছিল না। তবে সু চি সাধারনত কানে যে দুল এবং ঘড়ি পরেন তাও তাকে পরতে দেখা যায়নি।

বিষয়টি মিয়ানমারে বিচারাধীন নেত্রী সু চি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জান্তা সরকারের আচরণে বড় ধরনের কোনও পরিবর্তনের ইঙ্গিত কি-না তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না।

সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে বিক্ষোভ-আন্দোলনে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটিতে রাজনৈতিক সংস্কারের পথ রুদ্ধ হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেদিনই সু চি ও তার দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সু চিকে তখন থেকেই বন্দি করে রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুরু থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আসছে। গত ৬ ডিসেম্বরে সু চির জেলের রায় হওয়ার পর এর সমালোচনা করেন মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনারের আঞ্চলিক উপ পরিচালক মিং উ হাহ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিরোধীদের নির্মূল করে মিয়ানমারের কণ্ঠরোধ করার জন্য সামরিক বাহিনী কী করতে পারে, ভুয়া অভিযোগে সু চিকে এরকম শাস্তি দেওয়া হল তার সর্বশেষ নমুনা।”

মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোর সাবেক মেয়র মায়ো অং এরও বিচার চলছে। তাকেও শুক্রবার কয়েদির পোশাকে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদালত সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা। কয়েদির পোশাক কারা কর্তৃপক্ষ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ‘বিদ্রোহী’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশংসা করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলায় বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’

সামরিক সরকারের যাঁতাকল আর বার বার হত্যাচেষ্টার পরও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন রামনাথ।তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ এর মতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার কয়েক চরণ আবৃত্তি করেন।

‘মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না

অত্যাচারীর খড়্‌গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত!’

আন্তর্জাতিক

বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ কুচকাওয়াজ চলছে।  সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হয়েছেন।  বিশেষ কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনের পর রাষ্ট্রীয় সালামের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ শুরু হয়।  এতে ছয়টি দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।  চার দেশের সদস্যরা কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন। আর দুটি দেশের সদস্যরা পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার কিছু সময় আগে সেখানে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।

সাড়ে ১০ টার দিকে প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও তিন বাহিনী প্রধান তাকে অভ্যর্থনা জানান।

প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেই অভিবাদন মঞ্চে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।  আর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিভিআইপি গ্যালারিতে নিজেদের আসন গ্রহণ করেন।  এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।  জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

এরপর খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  পরে তিনি পুনরায় অভিবাদন মঞ্চে অবস্থান করলে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ।

এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শতিদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।  বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।