আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথের সম্মানসূচক‘হেড অব স্টেট’উপাধি বাতিল করার পর প্রথম রাষ্ট্রপতিসহ প্রজাতন্ত্রে রূপ নিল ক্যারিবীয় দ্বীপ দেশ বারবেডোজ।

এর মাধ্যমে একসময়কার ব্রিটিশ উপনিবেশটি অবশিষ্ট শেষ ঔপনিবেশিক বন্ধনটুকু ছিন্ন করে নতুন পথচলা শুরু করল। প্রায় ৪০০ বছর আগে দ্বীপটিতে ইংরেজদের প্রথম জাহাজ যাওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল মঙ্গলবার তার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটল।

মধ্যরাত পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন এই প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়। রাজধানী ব্রিজটাউনের চেম্বারলেইন ব্রিজে সারিবদ্ধ শত শত মানুষের হর্ষধ্বনি দিয়ে এ জন্মকে স্বাগত জানায়। হিরোজ স্কয়ারে জড়ো হওয়া জনতার সামনে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, এরপর ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রানির রাজকীয় পদবি বাতিল করে নতুন বারবেডোজের ঘোষণা দেওয়ার সময় ব্রিটিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস সেখানে নিস্তব্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বারবেডোজের প্রজাতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে দেশটির দায়িত্ব নেওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট সান্দ্রা ম্যাসন বলেন, “আমাদের দেশের ভবিষ্যত আমাদেরই গঠন করতে হবে। আমরা বারবেডোজের জনগণই আমাদের জাতির রক্ষক।”

বারবেডোজ রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে অপসারণ করলেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এখনও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জ্যামাইকাসহ আরও ১৫টি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদায় বহাল রয়েছেন।

এই প্রজাতন্ত্র একটি নতুন দিগন্তের সূচনা জানিয়ে প্রিন্স চার্লস বলেন, তার মা (রানি এলিজাবেথ) বারবেডোজ জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চার্লস বলেন, “এই প্রজাতন্ত্রের সৃষ্টি একটি নতুন শুরুর প্রতিশ্রুতি। আমাদের অতীতের অন্ধকারচ্ছন্ন দিনগুলি ও দাসত্বের নৃশংসতা যা আমাদের ইতিহাসে চিরকাল দাগ রেখে গেছে সেসবকে পেছনে ফেলে এই দ্বীপের জনগণ অসাধারণ মনোবলের সঙ্গে তাদের পথ তৈরি করেছেন।”

বারবেডোজের নাচ ও সংগীতের এক মনোজ্ঞ প্রদর্শনীর পর বক্তৃতার মাধ্যমে উপনিবেশবাদ অবসানের উদযাপন সম্পূর্ণ হয়। বারবেডোজের প্রজাতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি বারবাডীয় সংগীত শিল্পী রিয়ানাকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করেন।

নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার প্রায় ৫৫ বছর পর বারবেডোজ তার ঔপনিবেশিক বন্ধন পুরোপুরিভাবে ছিন্ন করে প্রজাতন্ত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করল।

আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে আফ্রিকার সাত দেশের নাগরিকদের ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। এসব দেশ থেকে কোনো ফ্লাইট সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার সৌদির কোনো ফ্লাইটও ওই সব দেশে যাত্রী নিয়ে যাবে না।

ওই সাত দেশ হচ্ছে— মালাউই, জাম্বিয়া, মাদাগাসকার, অ্যাঙ্গোলা, কমোরোস, মৌরিতানিয়া, সিচেলিস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার ১৪ দেশের ওপর সৌদির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলো।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে— তালিকাভুক্ত দেশগুলোর কোনো নাগরিক অন্য একটি দেশে ১৪ দিন না থেকে সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে যারা সৌদিতে যেতে চাইবেন, তাদের টিকা নেওয়া থাকতে হবে এবং ৫ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

১ নভেম্বরের পর যারা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সৌদিতে প্রবেশ করেছেন, তাদের পিসিআর টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রন সংক্রমিত রোগী পাওয়া যায়নি।

আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইলও। আর এ ধরন ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে নিউইয়র্কে।

আন্তর্জাতিক

ভারতের সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনীতি। কংগ্রেসকে দুর্বল করে এগিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের তকমা মুছে সর্বভারতীয় দল হিসেবে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিরোধী দলগুলো নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।

এদিকে বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এ বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার সকালে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতা হতে চাইছেন। সোনিয়ার দিন শেষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

এর আগে রোববার কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূলের নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, কোনো কোনো বিরোধী দল এমনও আছে, প্রকাশ্যে হয়তো তারা বিরোধী, কিন্তু আসলে তারা সরকারপক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হলে তারা সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস এমন করে না।

এর পরই নাম না করে অধীর তথা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন।

টুইটে ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, সংসদে বিরোধী ঐক্য থাকবে। সাধারণ বিষয়গুলো বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করবে।

বিরোধীদের নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা এ বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ওরা ঠিক করুক, কে কার সঙ্গে থাকবে না থাকবে। বিরোধীদের বৈঠক নাটক। বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিজেপির কোনো মাথা ব্যথা নেই। কে বৈঠক ডাকবে, কংগ্রেস না তৃণমূল, কোনটা মূল কোনটা নয়, ওরাই ঠিক করুক। এ সব করতে করতেই এই মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে দিলীপের মন্তব্য তৃণমূল ও কংগ্রেসের নেতাদের ভালো লাগেনি।

তৃণমূলের প্রবীণ সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেন, আমাদের দলের একটা বৈঠক আছে। যেখানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। তা ছাড়া দিলীপ কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বাংলায় ভোটে হারার পর ওরা নিজেদের দলের ব্যর্থতা নিয়ে বরং ভাবুক।

কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, উনি সংসদের ইতিহাসটাই জানেন না। বিজেপি যখন বিরোধী আসনে ছিল, তখন তারাও বৈঠক ডাকত। এখন কংগ্রেস ডেকেছে। এটাই সংসদীয় রাজনীতির রীতি।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের গণতন্ত্র স্বচ্ছ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটা গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো। আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্যা কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা কেন দুশ্চিন্তায় প্রশ্ন রাখেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এত দুশ্চিন্তা কেন? একজন আমাকে উপদেশ দিবে সে অনুযায়ী আমি গণতন্ত্র হব, নো। আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর।অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সেটা যেন আরও উন্নত হয় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি, আরও করে যাব। অনুষ্ঠানে গিয়ে বকবক করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ওই সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সম্মানীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। সেমিনারে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের পরিচিতি তুলে ধরেন ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ।

আন্তর্জাতিক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু এ তথ্য জানান। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজের।

আমিরাতের যুবরাজ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের মধ্যে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।

এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

মেভলুত চাভুসগ্লু জানান, তিনি আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি সফর করবেন।

দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আঙ্কারা সফরের সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এলো।

এর আগে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড) তুরস্কে আসেন। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম সরকারি সফরে তুরস্ক এলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ। যাকে আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক মনে করা হয়।

আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশ দুটি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পর এটিই প্রথম আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার আঙ্কারা সফর।

এর আগে যুবরাজের ভাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আগস্টে তুরস্কে সফর করেন। সেটি ছিল সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে প্রথম কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

এদিকে আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আল সুওয়াইদির স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৮৫ হাজার ৮৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা) তহবিল বরাদ্দ করেছে।

এদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা এমবিজেডের সফরকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

লিবিয়ায় আঙ্কারার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে তুরস্ক। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ছাড়া সিরিয়া ও কাতার নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবুধাবি সফরে এসব মতপার্থক্য দূর করার বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

চারদিনের সফরে এখন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে দিল্লিতে পৌঁছান তিনি।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে কী কথা হয়- সেদিকেই নজর ছিল গোটা ভারতের।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা ভালো হয়েছে। যা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী সব মন দিয়ে শুনেছেন। প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গে পর পর হয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া পাওনা অর্থ নিয়ে কথা হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব প্রকল্প অনুযায়ী রাজ্য সরকার টাকা পায় সেই বাকেয়া টাকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এরপর তিনি বলেন, বিএসএফের সীমানা বাড়ানো নিয়ে আমি আমার স্পষ্ট মত দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে বলেছি, ভারতের রাজ্যগুলি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই পশ্চিমবঙ্গকে এর গুরত্ব দিতেই হবে। বিএসএকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া মানে বাংলার পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া এবং হচ্ছেও তাই। সে কারণে বিএসএফ গরীব লোকজনকে গুলি করছে। সম্প্রতি কোচবিহারে ৩ জন বিএসএফর গুলিতে মারা গিয়েছে। তবে শুধু কোচবিহার নয়, এর আগে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর, উত্তর ২৪পরগণায় একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। বলেছি বিএসএফের এই পরিধি বাড়ানো অন্তত বাংলা থেকে তুলে নেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, তবে আমি সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করছি না, তাদের সম্মান করি। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, বাংলার সীমান্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইলে আমি নিশ্চই করব। কিন্তু ওই নিয়ম বাংলা থেকে তুলে নেওয়া হোক।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের বকেয়া ভ্যাকসিন নিয়েও কথা হয়েছে। যেহেতু রাজ্যে স্কুল খুলেছে। তাই ১২ থেকে ১৮ বয়সীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ভ্যাকসিন নিয়ে আসেছে তা যেন আগে বাংলা পায়, সে অনুরোধ করেছি। এছাড়া ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পাট বাংলাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকোরের নীতির কারণে সেই পাট চাষীরা বাজারে বিক্রি করতে পারছে না। তাও জানিয়েছি।

সবশেষে মমতা বলেন, বাংলায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে’ এ আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ২১ বা ২২ এপ্রিল তিনি বাংলায় আসবেন। এছাড়া ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। গাড়ি থেকে নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘মমতার পাশেই আছি। আলাদাভাবে দল বদল করার কোনো প্রয়োজন নেই। ’

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সান দিয়েগো শহরের একটি সড়কে বইছে ডলারের বন্যা। রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে গেছে ডলার আর ডলার। সেখানকার একটি সড়কে ঢেকে যাওয়া কিছু ডলারের নোট উড়ে বেড়াচ্ছে।

ছড়িয়ে থাকা ডলারগুলো কুড়াতে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। এমনই এক দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর অর্থ সংগ্রহের এমন সুযোগ হাতছাড়া না করে যে যেভাবে পারছেন পকেট ভর্তি করছেন।

শুক্রবার একটি ব্যাংকের ডলার বহনকারী ট্রাকের দরজা হঠাৎ করে খুলে গেলে সড়কে নোটগুলো ছড়িয়ে পড়ে। সান দিয়েগো কাউন্টির ইন্টারস্টেট-ফাইভের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তো রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। ভিডিওটিতে দেখা গেছে— মানুষ সড়কের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, বেসামাল হয়ে ডলার কুড়াচ্ছে। কাউকে কাউকে দেখা গেছে আকাশের দিকে নোট ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করতে।

এ ব্যাপারে ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে টহল পুলিশ সার্জেন্ট কার্টিস মার্টিন জানান, ট্রাকের একটি দরজা খোলা থাকায় নোটের কয়েকটি ব্যাগ রাস্তায় পড়ে যায়। সেই ব্যাগগুলো ফেটে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে নোট। তবে এ ঘটনার পর রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অবশ্য এ টাকা নিজেদের কাছে রাখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। যারা টাকা কুড়িয়েছেন তাদের ফেরত দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ফেরত না দিলে অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মার্টিন জানান, এখন পর্যন্ত অনেক মানুষ ডলার ফেরত দিয়েছেন। এদিকে সব টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার পর স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ওই রাস্তায় ফের যান চলাচল শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, আল্লাহর রহমতে ও জাতির সমর্থনে আমরা অর্থনৈতিক যুদ্ধে বিজয়ী হব, যেভাবে দেশকে সব ধরনের ফাঁদ ও দুর্যোগ থেকে মুক্ত করেছি।

সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজের।

এরদোগান বলেন, উচ্চ সুদ এবং নিম্ন বিনিময় হারের ‘দুষ্ট চক্র’-এর পরিবর্তে সরকার বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানিমুখী অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে সঠিক কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে আবিষ্কৃত গ্যাস রিজার্ভ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই দূর হবে। যে খাতে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়।

সম্প্রতি ১৩৫ বিলিয়ন ঘনমিটারের একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের পর বর্তমানে তুরস্কের গ্যাসের রিজার্ভ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪০ বিলিয়ন ঘনমিটার। গত বছর তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফাতিহ কৃষ্ণসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে ৪০৫ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার করেছিল। এটি ছিল তুরস্কের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।

এদিকে তুরস্কের দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ইজমির প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান এরদোগান।

তুরস্কের ইজমির প্রদেশে গত বছরের নভেম্বরে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। এতে আহত হয়েছিলেন ১ হাজারের বেশি মানুষ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা অন্যান্য দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মতো ইজমিরেও ঘর তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে ৭৪১টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৬টি ঘর ও ১৪৫টি দোকান। বাকিগুলো দ্রুত তৈরি করার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে সৌদি আরব।

সৌদি গেজেট রোববার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ৩৯৯ জনকে আটক করেছে৷

আটকদের মধ্যে সাত হাজার ২৯২ জনকে আবাসন আইন লঙ্ঘন, ছয় হাজার ৩৭৩ জনকে সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘন এবং এক হাজার ৭৩৪ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ১৭ জনকে আটক করা হয়। সৌদি সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আরও ২৭৮ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সৌদি আরবে আইনভঙ্গের অভিযোগে ৮৮ হাজার ২৯ জন অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮৮ জনকে নিজ নিজ দেশের দূতাবাস থেকে বৈধ ভ্রমণ নথি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আর ১০ হাজার ১৭ জনকে সৌদি আরব ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের জন্য জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। তবে ইসরাইল ওই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছে, জেরুজালেম নয়, দখলীকৃত পশ্চিম তীরে মার্কিন কনস্যুলেট স্থাপন করা উচিত। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনএনের তরফ থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কাছে জেরুজালেমে কনস্যুলেট খোলার মার্কিন পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আমার এবং আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ার জন্য জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট স্থাপনের জন্য কোনো জায়গা হবে না বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় না নিয়ে জোরারো এবং স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি।

বেনেটের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ। তিনি জেরুজালেমের বদলে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে রামাল্লায় কনস্যুলেট খুলতে পারে। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।

এদিকে ইয়াইর লাপিদের রামাল্লায় মার্কিন কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমরা শুধু জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট খোলার ব্যাপারে সম্মত হবো। কারণ জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৯ সালে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পাশাপাশি দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ফের খোলার পরিকল্পনা করছে, যা ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

এ কনস্যুলেট জেরুজালেমে বসবাস করা ফিলিস্তিনি শুধু নয়, পশ্চিমতীর ও গাজার হাজার হাজার বাসিন্দাকেও সেবা দিত।