আন্তর্জাতিক

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে সৌদি আরব।

সৌদি গেজেট রোববার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ৩৯৯ জনকে আটক করেছে৷

আটকদের মধ্যে সাত হাজার ২৯২ জনকে আবাসন আইন লঙ্ঘন, ছয় হাজার ৩৭৩ জনকে সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘন এবং এক হাজার ৭৩৪ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ১৭ জনকে আটক করা হয়। সৌদি সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আরও ২৭৮ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সৌদি আরবে আইনভঙ্গের অভিযোগে ৮৮ হাজার ২৯ জন অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮৮ জনকে নিজ নিজ দেশের দূতাবাস থেকে বৈধ ভ্রমণ নথি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আর ১০ হাজার ১৭ জনকে সৌদি আরব ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের জন্য জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। তবে ইসরাইল ওই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছে, জেরুজালেম নয়, দখলীকৃত পশ্চিম তীরে মার্কিন কনস্যুলেট স্থাপন করা উচিত। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনএনের তরফ থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কাছে জেরুজালেমে কনস্যুলেট খোলার মার্কিন পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আমার এবং আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ার জন্য জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট স্থাপনের জন্য কোনো জায়গা হবে না বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় না নিয়ে জোরারো এবং স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি।

বেনেটের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ। তিনি জেরুজালেমের বদলে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে রামাল্লায় কনস্যুলেট খুলতে পারে। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।

এদিকে ইয়াইর লাপিদের রামাল্লায় মার্কিন কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমরা শুধু জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট খোলার ব্যাপারে সম্মত হবো। কারণ জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৯ সালে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পাশাপাশি দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ফের খোলার পরিকল্পনা করছে, যা ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

এ কনস্যুলেট জেরুজালেমে বসবাস করা ফিলিস্তিনি শুধু নয়, পশ্চিমতীর ও গাজার হাজার হাজার বাসিন্দাকেও সেবা দিত।

আন্তর্জাতিক

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি নির্মাণাধীন অভিজাত বহুতল ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একশর মতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসে সোমবার নির্মাণাধীন বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে নির্মাণশ্রমিকরা আটকে পড়েছেন।

সোমবার রাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকর্মীরা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, এখন পর্যন্ত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নির্মাণশ্রমিকদের বরাতে রয়টার্স বলছে, ধারণা করা হচ্ছে ভবনটি ধসে পড়ার সময় একশর মতো শ্রমিক কাজ করছিলেন।

লাগোস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ওই ভবনটির ২২টি ফ্লোর ছিল। কর্তৃপক্ষ আশপাশের কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা দেখছে।

নাইজেরিয়ায় প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। আফ্রিকার অন্যতম জনবহুল এ দেশে নিয়মনীতি খুব দুর্বলভাবে প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীও অত্যন্ত নিম্নমানের।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য থেকে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দুটি বাংলাদেশে তৈরি হবে আর তিনটি যুক্তরাজ্যে।

শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মোনা তাসনিম।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে নেভাল ফোর্সের কিছু জাহাজ পাঠাতে চায়। এটার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে হবে। কিন্তু মোটামুটি আমরা নীতিগতভাবে সম্মত যে পাঁচটি জাহাজ নেব। এরমধ্যে তিনটি তারা তৈরি করবে এবং দুটি আমরা করব। আমাদের জাহাজ বানানোর ডকে উন্নয়নের কাজ তারা করবে।’

ড. মোমেন এ সময় আরও বলেন, আগামী বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরপূর্তি হবে। দুই দেশ যৌথভাবে এটি উদযাপন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাজ্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ঠেকাতে ৫ সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেন ওয়াই ফ্যানের প্লেনারি-২-তে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) অধীনে কনফারেন্স অব দি পার্টিস (কোপ২৬) সম্মেলনের ২৬তম অধিবেশনে এ সুপারিশ করেছেন তিনি।

৫ সুপারিশ হলো-

প্রথম সুপারিশে শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান অর্জনে জ্ঞান, গবেষণা, সক্ষমতা তৈরি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

দ্বিতীয় সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সবাকে সম্মিলিত অবস্থান নিতে বলেন। এক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত অবস্থান জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তৃতীয় সুপারিশে জলবায়ু অভিবাসী ইস্যুতে কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, নদী ভাঙন, বন্যা এবং খরার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে জলবায়ু অভিবাসীরা তাদের পৈত্রিক ভিটে-মাটি, ঐতিহ্যগত পেশা হারাচ্ছে। এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনে বৈশ্বিক দায়িত্ব রয়েছে।’

 জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলাচতুর্থ সুপারিশে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সবার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রধান গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোকে তাদের উচ্চাভিলাসী এবং অ্যাগ্রেসিভ এনডিসি’স ঘোষণা করাতে একটি চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।

পঞ্চম সুপারিশে শেখ হাসিনা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহনীয় খরচে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন টেকনোলজি হস্তান্তর করার কথা বলেন।

১ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত কোপ২৬ আয়োজন করছে যুক্তরাজ্য। রাষ্ট্রপ্রধান, প্রতিনিধি এবং প্রচারকর্মী জলবায়ু জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০ দেশের সংগঠন জি২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ভূপৃষ্ঠকে আরো বেশি উত্তপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ‘কার্যকর ও অর্থবহ পদক্ষেপ’ নিতে সম্মত হয়েছেন এসব দেশের নেতারা। তবে রোমে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক থেকে সার্বিক একটি ঘোষণা ছাড়া এসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইতালি আশা করেছিল, এসব নেতা গ্ল্যাসগো’র জলবায়ু পরিবর্তন রোধ বিষয়ক সম্মেলনের আগ মুহূর্তে আরো সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবেন। গ্ল্যাসগো সম্মেলনের আয়োজন দেশের নেতা হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রোম শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন, বিশ্বের কিছু দেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলোর অকার্যকারিতা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব নেতা যেসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সেগুলো বিশাল মহাসাগরে কয়েক ফোঁটা পানি নিক্ষেপের চেয়ে বেশি কিছু নয়।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রোম সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে কয়েকটি ইতিবাচক বৈঠক করেছেন এবং গ্ল্যাসগোতে এ ব্যাপারে আরো বৈঠক হবে বলে তিনি আশা করছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বের ১৯টি শিল্পোন্নত দেশকে নিয়ে জি২০ গ্রুপ গঠিত হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী পরিবেশ দূষণের শতকরা ৮০ ভাগের জন্য জি২০ গ্রুপ দায়ী। পার্সটুডে।

আন্তর্জাতিক

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ ঘটবে, তার চেয়ে সেখানকার সিমেন্টসহ অন্য কারখানাগুলো থেকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কয়েক গুণ বেশি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘সেখানে যে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে, বিস্কুট ফ্যাক্টরি আছে, সেগুলো যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে, তা রামপালের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি করে। সুতরাং রামপাল নিয়ে হইচই বেশি হয়। আসলে এটা নিয়ে অত দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’

অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা এই প্রকল্পে (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) কার্বন নিঃসরণ অনেক কম। প্রকল্পটি নিয়ে অত দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করে ড. মোমেন।

শনিবা মন্ত্রী তার নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে ঢাকা ছাড়ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ১ ও ২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো এবং ৩ থেকে ৮ তারিখ লন্ডন সফর করবেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এরপর নভেম্বরের ৯ থেকে ১৩ তারিখ প্যারিস সফর করবেন।

সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদের তীর ঘেঁষে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। শুরু থেকেই এটি নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন পরিবেশবাদীরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার কথা ছিল। আমরা সেগুলো বাতিল করেছি। পৃথিবীর এটা দেখা উচিত। এতে আমাদের ১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নষ্ট হলো। আরও ছয়টি কেন্দ্র যেগুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল, সেগুলোও নাকচ করে দিয়েছি। পৃথিবীকে বাঁচাতে আমরা এ রকম বড় উদ্যোগ নিয়েছি। অন্যদেরও এটি দেখা উচিত। আমরা চাই অন্যান্য দেশও আমাদের অনুসরণ করবে।

তাহলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল হলো না কেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি অত্যন্ত অত্যাধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর যে ধোঁয়া, এটি ২০০ ফুট ওপরে যায়। পয়েন্ট জিরো টু পারসেন্ট, যেটি অত্যন্ত কম কার্বন নিঃসরণ করবে। ভয়টা হচ্ছে যখন কয়লাটা আনবে, সেটা যদি কোনোভাবে নদীতে পড়ে যায়, তখন দূষণ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এটিই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

শনিবার ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতির ১৫ ডিসেম্বর তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ভারতে এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে- দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর ঘিরে প্রস্তুতি চলছে। এ সপ্তাহে এ নিয়ে দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে দিল্লিতে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তার ঢাকা সফরের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নিকট প্রতিবেশী ভারত। দিনটিকে স্মরণীয় করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন।

৬ ডিসেম্বর দিনটিতে ভারত আয়োজিত মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে অতিথি হিসেবে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

যুবলীগ গ্রিস শাখার উদ্যোগে আগামী ৩১ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (গ্রিক ভার্সন) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান এথেন্সের ত্রিয়ানোন হলে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি থাকবেন- যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

বিশেষ অতিথি থাকবেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, সাংগঠনিক সদস্য মো. রেজাউল কবির, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, কার্যনির্বাহী সদস্য- মো. মোক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করবে বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এখনো আমন্ত্রণ গ্রহণের ব্যাপারে জবাব দেয়নি নয়াদিল্লি। সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারতের সঙ্গে ঢাকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মাঝেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

ঢাকা বিশ্বাস করে, ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যাবে। এর আগে গত মার্চে ঢাকা সফর করে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সেখানেই জনাব রামনাথ কোভিন্দের সফর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, ভারত এখনো সফর নিশ্চিত করেনি। তবে শিগগিরই সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।