আন্তর্জাতিক

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী ২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতি উন্নত হলে এবং দেশ থেকে হজে গমনের অনুমতি পাওয়া গেলে ইতোপূর্বে যারা প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তারা ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে গমন করতে পারবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্হিবিশ্ব থেকে কোন হজযাত্রী সৌদি আরবে গমনের সুযোগ পাননি। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকেও কোন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনের নিমিত্ত সৌদি আরবে গমন করেননি।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ হতে হজেগমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমা করা অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনের করে সে অর্থ উত্তোলন করেত পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন হজে গমণের জন্য ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪৫৭ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং ২ হাজার ৭০০ জন ব্যক্তি বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনাই ২০২০ সালে হজে গমনের জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ হাজার ৭১৯ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং এখন ৫৩ হাজার ৪২৩ জন ব্যক্তি নিবন্ধিত রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত  সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু ছিল। এরপর আর কোন নিবন্ধন করা হয়নি। তবে, হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪ জন  এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে ২০২২ সালে হজে গমনের ক্ষেত্রে তা নবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম ছাড়াও সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহনও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, পাসপোপোর্ট অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউডেশন, ব্যাংকসমূহ, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধিসহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় রক্তপাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যেখানে সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমে আসবে।

গত সোমবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সেনারা কাবুল ত্যাগ করেন। এর ২৪ ঘণ্টায় মাথায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন জো বাইডেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিবর্তনের এটাই সময়। এ সিদ্ধান্ত শুধু আফগানিস্তান নিয়েই নয়, এটা অন্য দেশ পুনর্গঠনে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর যুগেরও সমাপ্তি।

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মার্কিন বাহিনী উপস্থিত থেকে কিছুই অর্জন করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ট্র্যাজেডি এবং ক্ষতিতেই তাদের আফগান অভিযান শেষ হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পরদিনই তিনি এসব কথা বললেন। খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা বিষয়ক এক সেমিনারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের মূল্যবোধ অ-পশ্চিমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। মার্কিন সেনারা গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে ‘তাদের মূল্যবোধ’ আরোপের নিরর্থক চর্চা করেছে।

এর ফল কেবল এক ধরনের ট্র্যাজেডি এবং যারা এসব করেছে তাদের জীবন হারানো। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য; তারচেয়েও বেশি আফগান ভূখণ্ডে বসবাসকারীদের জন্য বেশি ক্ষতি হয়েছে। যার ফল শূন্য, যোগ করেন তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে পুতিন বলেছিলেন, আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করবে না রাশিয়া। কারণ, তারা দেশটির সোভিয়েত দখল থেকে শিক্ষা নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই আফগান নাগরিক।

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর ১৩ জন এবং তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন।

তবে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনীর ১৩ জনকে ছাড়াই নিহতের সংখ্যা ১৭০ জনের পৌঁছেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কাবুল বিমানবন্দরের একটি ফটকের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই হামলায় প্রথমে দুই দফা বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও শুক্রবার পেন্টাগন জানায়, বিস্ফোরণ দুটি নয় একটিই ঘটেছে এবং একজন হামলাকারীই সেখানে ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা (আইএসকেপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্ট পরিহিত ওই সন্ত্রাসী তালেবান নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, দোভাষী ও সহযোগীদের জটলার পাঁচ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা তাদের খুঁজে বের করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে।’ হামলার ঘটনায় বিভিন্ন দেশের নেতারাও নিন্দা জানিয়েছেন।

অপরদিকে, হামলায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে ১৫ সদস্যের এ পরিষদ এ কাজে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ হামলার পর শুক্রবার ওই বিমানবন্দর থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। ৩১ আগস্টের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শেষ করতে চায় পশ্চিমারা।

তবে হামলকারীরা সেখানে আবারও হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তালেবানের আগ্রাসনের মুখে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে পশ্চিমাসমর্থিত সরকারের পতন ঘটে। তারপর থেকেই কাবুল চালাচ্ছে তালেবান। যদিও তারা সবার জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে, তবে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তান ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ কাবুলে বিশেষ প্লেন পাঠিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

বুধবার ইস্তাম্বুলে ইসলামী করপোরেশন ইয়ুথ ফোরামের চতুর্থ সাধারণ সভায় ভিডিও বার্তায় এরদোগান এই আহ্বান জানান।

মুসলিমদের প্রতি কোনো অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে এরদোগান বলেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান থেকে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা আজ সঙ্ঘাত, দেশান্তর, দারিদ্র এবং রোগব্যাধির সম্মুখীন। নিজেদের শান্তি এবং কল্যাণের দায়দায়িত্ব মুসলিমদের নিজেদের নিতে হবে। বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা এবং মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব এখন মানব ইতিহাসের ইতিহাসের সব থেকে অস্থির সময় পার করছে। নিরাপত্তার সমস্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং করোনাভাইরাস মানুষের সুখ কেড়ে নিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে পশ্চিমা সমাজে ইসলাম ভীতি (ইসলাম ফোবিয়া), সাংস্কৃতিক বর্ণবাদ বাড়ছে উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, সুযোগ পেলেই তুরস্ক বিশ্বব্যাপী সংঘটিত অন্যায় তুলে ধরে। এ সময় তিনি যুবকদের রাজনীতি, শিক্ষা, খেলাধুলা, ব্যবসা এবং সামাজিক জীবনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

যুবকদের লক্ষ্য করে এরদোগান বলেন, আমি তোমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি- কেউ যেন জাতি, ধর্ম এবং সাংস্কৃতিকভাবে আমাদেরকে বিভক্ত করতে না পারে। ‘বিশ্ব পাঁচ রাষ্ট্রের থেকে বড়’ মন্তব্য করে তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য বডি সংস্কারের আহ্বান জানান।

ইস্তানবুলে ইয়ুথফোরামের এই অনুষ্ঠানে ৫৬টি দেশের মুসলিম তরুণরা অংশ নেন। দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনে সহযোগিতা, যুব কৌশল, যুব উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা হবে। ২০০৪ সালে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অলাভজনক, নির্দলীয় এই সংস্থা গঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ একটি নয়, দুইটি হয়েছে। একটি হয়েছে বিমানবন্দরের এবে গেটে। অন্যটি হয়েছে ব্যারন হোটেলে বা এর পাশেই। গেট থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত এই হোটেল। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্টে এসব লিখেছেন তিনি। এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে তিনজন মার্কিন সেনা সদস্য ছিলেন।

কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে ঘটা বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে এখবর দিয়েছে তারা। তালেবানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের ফটকে হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। একথা জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

আন্তর্জাতিক

ইরান, চীন এবং রাশিয়া যৌথভাবে পারস্য উপসাগরে নৌ সামরিক মহড়া চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। চলতি ২০২১ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২২ সালের প্রথম দিকে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হতে পারে।

পারস্য উপসাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জলদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। তেহরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিভান ডি জাকারিয়ান সোমবার (২৪ আগস্ট) রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, যৌথ এই মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে চিরু (CHIRU)। মহড়ায় রাশিয়া ইরান এবং চীনের বেশকিছু যুদ্ধজাহাজ অংশ নেবে।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরানের চবাহার বন্দর এলাকায় ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক সামরিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এতে চীন, রাশিয়া ও ইরানের পাশাপাশি ভারত, সিরিয়া এবং ভেনিজুয়েলা অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নৌবাহিনীর ডুবুরি দল প্রতিযোগিতায় ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করবে। এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যান। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা চ্যানেল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু এখনও তালেবানের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনার কথা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভাবছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যানের বরাত দিয়ে খবরে আরও বলা হয়, যত মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের সবাইকে ৩১ আগস্টের মধ্যেই উদ্ধার করে আনা সম্ভব বলে তার বিশ্বাস। তবে জো বাইডেন প্রতিদিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহারের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেই সময়সীমার মধ্যেই তাদের উদ্ধার অভিযান শেষ করতে চায়। এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশ যে আহ্বান জানাচ্ছে, তাতে এখনো সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগের পরিকল্পনায় কোন রদবদলের সময় এখনো আসেনি। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) জি-সেভেন দেশগুলোর যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা সেখানে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি এই সময়সীমা বাড়িয়ে মার্কিন সৈন্যরা যেন আরও কিছুদিন কাবুল বিমানবন্দরে থাকে, সেজন্যে চাপ দেবে।

তবে তালেবান এরই মধ্যে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, বিদেশি সৈন্যদের অবস্থানের সময়সীমা বাড়ানো হলে সেটি হবে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, মার্কিন সৈন্যদের অবস্থানের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নেবেন।

তালেবানকে রাজি করানো কঠিন

এ বিষয়ে আফগানিস্তানে সেনা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বর্তমান ব্রিটিশ এমপি টম টুগেনহাট বলেছেন, ৩১শে অগাস্টের সময়সীমা বাড়াতে কেবল যুক্তরাষ্ট্র রাজি হলেই চলবে না, তালেবানকেও রাজি হতে হবে।

তিনি বলেন, সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা আছে, কিন্তু মনে রাখতে হবে এখানে তালেবানকেও রাজি করাতে হবে। এটা করা খুব কঠিন। কারণ তালেবানের ওপর বিশ্বাস রাখা কঠিন।

আন্তর্জাতিক

চলতি মাস শেষ হতে বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে এ সময়ের মধ্যেই সব বিদেশি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।

সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছেন তালেবানরা।

স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দোহায় তালেবানের মুখপাত্র ড. সুহাইল শাহিন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এর অন্যথা হলে তা দখলদারিত্ব প্রলম্বিত করার প্রয়াস বলে মনে করা হবে। এটা আমাদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি করবে। জবাব দেবে তালেবান।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সম্প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য সেনা প্রত্যাহারের জন্য অতিরিক্ত সময় চায়? আমাদের উত্তর হলো ‘না’। সেই সুযোগ নেই।

সেনা প্রত্যাহারে বিলম্ব হলে আমাদের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করবে। যদি তারা দখল অব্যাহত রাখতে চায় তবে, এটি একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে যোগ করেন তিনি।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জো বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান ত্যাগের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য। যাতে তালেবানের সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে আরও বেশি মানুষকে আফগানিস্তান ত্যাগের সুযোগ দেওয়া যায়।

এদিকে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হতাশাজনক দৃশ্য বাড়ছে। জঙ্গিগোষ্ঠীটির শাসন থেকে বাঁচার জন্য মানুষ সবকিছু ছেড়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে বন্যায় অন্তত ২২ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ জন। বন্যায় টেনেসির মধ্যাঞ্চলীয় হামফ্রিস কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে হামফ্রিস কাউন্টির ওয়েভারলি শহরের পুলিশ ও দমকল বাহিনীর প্রধান গ্রান্ট গিলেস্পি বলেছেন, গত কয়েকদিনে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ওয়েভারলিতে স্কুল, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনাসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।

হামফ্রিস কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার ওয়েভারলি শহরেই বন্যায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যত্র আরও দুই জন মারা গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে ৪৫ জন নিখোঁজ বলে জানানো হলেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে প্রায় ২০ জন বলে জানানো হয়।

ওয়েভারলিতে শত শত বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে টেনেসির স্থানীয় প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, হামফ্রিস কাউন্টির ম্যাকুয়েন শহরে শনিবার দিনব্যাপী ১৭ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে, এতে টেনেসি অঙ্গরাজ্যে সম্ভবত ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে।