আন্তর্জাতিক

কৃষি আইন বাতিল ও কৃষকদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে গেছেন রাহুল গান্ধী। কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে সোমবার (২৬ জুলাই) ব্যতিক্রমধর্মী এ কর্মসূচি হাতে নেন তিনি।

তিনি বলেন, সংসদে আমি কৃষকদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের বার্তা পৌঁছে দিতে এসেছি। এ সময় হাফহাতা শার্ট, ট্রাউজার ও স্যান্ডেল পরে ট্রাক্টরের চালকের আসনে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। ট্রাক্টরের সামনে বড় ব্যানারে লেখা, কৃষির তিন কালো আইন বাতিল করুন।

এই কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইট বার্তায় রাহুল বলেন, আমি কৃষকদের উদ্দেশে বলতে চাই, পুরো দেশ আপনাদের পাশে আছে।

ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদের দিকে যাওয়ার সময় উপস্থিত কৃষক ও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ আমি সংসদে কৃষকদের বার্তা নিয়ে এসেছি। সরকার কৃষকদের কণ্ঠরোধ করছে এবং এ বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনাই হতে দিচ্ছে না। সারাদেশ জানে, এ আইনগুলো শুধু দুই-তিনজন বড় শিল্পপতির স্বার্থে আনা হয়েছে। তারা মনে করছে, এই আইনের ফলে কৃষকরা অনেক খুশি এবং যারা আন্দোলন করছেন তারা জঙ্গি। তবে, সত্যিকার অর্থে কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিজেপির দাবি, বিরোধীরা কৃষকদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আইনে কোনো বিষয় থাকলে এটি নিয়ে আবারো কাজ করা যাবে। আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বিজেপি।

ট্র্যাক্টর চালিয়ে রাহুল গান্ধীর সংসদে যাওয়ার পথে ‘কৃষকবিরোধী কালো আইন বাতিল করুন’, ‘কৃষি আইন বাতিল’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।

আন্তর্জাতিক

আমেরিকা ও ন্যাটো জোট রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করছে; কাজেই তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য মস্কো হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তিগুলো গত কয়েক দশকে ক্রমান্বয়ে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার দাবি রাশিয়ার

তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্রিটি বা এবিএম চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ওই চুক্তি সই করেছিল ওয়াশিংটন।

পেসকভ বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সুনির্দিষ্টভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছ। এসব ব্যবস্থা দিয়ে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পাশ্চাত্যের এসব পদক্ষেপের জবাব দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন ছিল মস্কো তা করেছে।

গত সোমবার (১৯ জুলাই) রাশিয়া তার হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘জিরকন’-এর সফল পরীক্ষা চালায়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোনো ব্যবস্থা পৃথিবীতে নেই।

শ্বেত সাগরে অবস্থিত রুশ যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল গোর্শকভ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় এবং এটি ব্যারেন্টস সাগর উপকূলে ৩৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে সাতগুণে বেশি গতিতে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। পার্সটুডে।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের সংঘবদ্ধ দুর্নীতির একটি তালিকা পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানগুলি (ডিআইএসসিওএস), জাতীয় ট্রান্সমিশন এবং প্রেরণ সংস্থা (এনটিডিসি) কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পগুলির ঠিকাদারি নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল তারা।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্সি (আইএনটি) দ্বারা প্রস্তুত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সংস্থাগুলি নিজেদেরকে “কার্টেল” হিসাবে সংগঠিত করেছিল। ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধি, নির্মাণকালীন সুদের রেয়াত প্রাপ্তির ব্যবস্থাকরণ ও নির্ধারিত সময়ের চাইতে অনেক বেশি সময় যাবৎ এই সুবিধা ভোগ ইত্যাদি নানা প্রকারের দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এই বাড়তি মুনাফা তারা হাতিয়ে নিয়েছে।

এছাড়াও চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে যে বিপুল ব্যয় সাপেক্ষ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি চীনা বেসরকারি কোম্পানির ব্যাপক অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখার জন্য সম্প্রতি সরকার নিয়োজিত একটি তদন্ত কমিটির ২৭৮ পৃষ্ঠাব্যাপী একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীনা বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় এক’শ বিলিয়ন রুপির দুর্নীতি করেছে।

এদিকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী শনিবার (৩ জুলাই) বলেছেন যে, জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীর সাথে সংশ্লিষ্ট জালিয়াতি মামলায় এযাবৎ ৩৩০০ কোটি রুপি উদ্ধার করেছে। তিনি আরো যোগ করেন যে, মামলায় প্রকৃত আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি।

সিন্ধু প্রাদেশিক সরকার এবং পিপিপি নেতৃত্বের প্রচ্ছন্ন সমালোচনা করে মন্ত্রী টুইট করেন যে, ‘ন্যাবের হাতে ৩৩০০ কোটি রুপি (প্রায় ২০ কোটি ডলারের সমান) উদ্ধারে যে কেউ কল্পনা করতে পারে যে, দেশে দুর্নীতির মাত্রা কতটা’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে, শাসকরা নির্মমভাবে সিন্ধু ও পাকিস্তানকে লুট করেছে’।

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মস্কোকে বাংলাদেশ, রাশিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর ঢাকা, বেইজিং ও নেপিডোর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা থেমে যায়।

শুক্রবার তাশখন্দে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাইডলাইনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ প্রস্তাব দেন।

ড. মোমেন আজ তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তার উজবেকিস্তান সফরের ফলাফল শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি তাকে (লাভরভ) বলেছি যে আপনি (রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে) ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ নিতে পারেন… তাদের সাথে (মিয়ানমার) আপনার সুসম্পর্ক রয়েছে … আপনি যদি বলেন, তারা শুনবে।’

মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার প্রস্তাবটি এ মুহূর্তে গ্রহণ না করলেও তিনি এ উদ্যোগ নিয়ে অন্যদের সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া সবসময় ঢাকাকে সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয়ভাবে কাজ করার থাকার পরামর্শ দেয়।

তবে ‘আমি তাকে বলেছি যে আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেছি এমনকি চীনকে সম্পৃক্ত করে ত্রিপক্ষীয়ভাবেও। কিন্তু গত চার বছরে একজনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা যায়নি।’

ড. মোমেন বলেন, মস্কো ও বেইজিং উভয়েরই নেপিডোর সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি জানিয়েছেন ঢাকা আশা করছে যে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে রাশিয়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করবে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মস্কো সফর করেছেন এবং দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মোমেন বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণকালে রাশিয়া ও চীন প্রথমবারের মত তাদের সমর্থন দিয়েছে।

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সর্বসমমতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হওয়াকে একটি একটি বড় মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি অর্জন, এটি একটি পরিবর্তন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের নতুন সামরিক সরকার অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চীনা পক্ষ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে এখনও মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

বৈঠককালে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো সদয় বার্তার জন্য তার রশ প্রতিতপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

মোমেন বলেছেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মস্কো যেমন সহায়তা করেছিল তেমনিভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে রাশিয়া সবময় প্রস্তুত রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই তাশখন্দে অনুষ্ঠিত ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: আঞ্চলিক যোগাযোগ, চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর আজ সকালে দেশে ফিরে আসেন।

আন্তর্জাতিক

ভ্যাকসিন নিয়ে সবাইকে বাহুবলী হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে তিনি এ কথা বলেন।

মোদী বলেন, হাতে অর্থাৎ বাহুতে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন। তাই যারা ভ্যাকসিন নেন তারা বাহুবলী হয়ে যান। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দেশের ৪০ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই বাহুবলী হয়ে গেছেন।

বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছে করোনা মহামারি। এটাই এখন সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ। তাই সংসদ অধিবেশন উপযোগী বিষয়েই আলোচনা হবে বলে আশা রাখছি।

এদিন টিকাকরণ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেন মোদী। তিনি বলেন, দেশের আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তবে শুধু ভ্যাকসিন নিলেই হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

বিরোধী নেতাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল সন্ধ্যায় যদি আপনারা আমায় একটু সময় দেন, তাহলে মহামারির বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আপনাদের তীক্ষ্ণ এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলি সংসদে আলোচনার জন্য পেশ করুন। তবে সরকারকেও তার জবাব দেওয়ার জন্য সময় দিন।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের ফোনে গোপনে নজরদারি করতে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ সরকারগুলোর কাছে একটি ফোন স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে ভারতে প্রায় ৩০০ জনের ফোনে আড়িপাতার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। আড়িপাতা থেকে রক্ষা পাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। খবর বিবিসি ও ডয়চেভেলের

ইসরাইলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের এই স্পাইওয়্যার কিনেছে যেসব ক্রেতা তারা ৫০ হাজার ফোনের ওপর গোপনে নজরদারি চালিয়েছে। এই তালিকা এবং এর ওপর তদন্ত প্রতিবেদনটি বিশ্বের কিছু প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পেগাসাস নামে এই স্পাইওয়্যারটি সম্পর্কে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিডান, ল্য মোঁদ এবং আরো ১৪টি সংবাদমাধ্যমে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। তবে মোট কয়টি দেশে কতগুলো ফোন হ্যাক করা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ম্যালওয়্যারটি বিক্রি করেছে যে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান সেটি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, মানবাধিকার রেকর্ড ভালো এমন দেশের সামরিক বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা বিভাগের কাছে তারা এই সফটওয়্যার বিক্রি করেছে।

ভারতে তোলপাড়

ভারতের নিউজ পোর্টাল দ্য ওয়্যার এই হ্যাকিংয়ের তালিকায় সে দেশের অন্তত ৩০০ রাজনীতিক, সাংবাদিক, অধিকার কর্মী, বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে। তালিকায় এই পোর্টালের দুজন প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিকের নামও রয়েছে। কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রী, রাহুল গান্ধীসহ তিন জন প্রধান বিরোধী নেতা-নেত্রী, একজন সাংবাধানিক পদাধিকারী, ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, বহু ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নিরাপত্তা সংস্থার বর্তমান ও সাবেক প্রধান, সমাজকর্মী, আমলা, আইনজীবীর ফোন পেগাসাস দিয়ে আড়িপাতা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ১৭টি দেশের সংবাদমাধ্যম মিলে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত করছিল। এই রিপোর্টের কথা সামনে আসার পরই হইচই শুরু হয়েছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কারণ, ইসরাইলি সংস্থা জানিয়েছে, তারা পেগাসাস সফটওয়ার কেবলমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছেই বিক্রি করেছে। কিন্তু মোদি সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফোনে আড়িপাতা নিয়ে দেশে আইন আছে, নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মেনে জাতীয় স্বার্থে কিছু ফোনে আড়িপাতা হয়। তবে তার জন্য আগে থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়। সরকার দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।

কাদের লক্ষ্য করে এই হ্যাকিং

পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিশ্বের ৫০টি দেশে অন্তত ১ হাজার জনের নাম তারা জানতে পেরেছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, অধিকার কর্মী এবং আরব দেশের বেশ রাজপরিবারের কয়েক জন সদস্য। সিএনএন, আলজাজিরা এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ ১৮০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের নাম এই তালিকায় রয়েছে। এই অবৈধ নজরদারির ঘটনা বেশির ভাগ ঘটেছে মূলত ১০টি দেশে : ভারত, আজারবাইজান, বাহরাইন, হাঙ্গেরি, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে তালিকায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও আছেন।

পেগাসাস স্পাইওয়্যার কী

ইসরাইলের সংস্থা এনএসও এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে, যা দিয়ে মোবাইলে আড়িপাতা যায়। ফোনের কথাবার্তা, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট, ছবি, কী তথ্য আছে সবই জানা যায়। মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি কিছুই জানতে পারেন না। সাধারণত ফোনে একটি ওয়েবসাইটের লিংক পাঠানো হয়। সেই লিংকে ক্লিক করলেই পেগাসাস ডাউনলোড হয়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস বা ভিডিও কল করেও পেগাসাস যে কোনো ফোনে ইনস্টল করা যায়। এই স্পাইওয়্যারটি আপনার অগোচরে ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করতে পারে, এমনকি ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে গোপনে আপনার ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। আপনি কোথায় আছেন, কোথায় গিয়েছিলেন, অথবা কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন, পেগাসাস সে সম্পর্কেও জানতে পারে বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক

পবিত্র মক্কা নগরীর অদূরে আরাফাতের উন্মুক্ত প্রান্তরে অবস্থান করে অশ্রুভেজা নয়নে মহান আল্লাহর কাছে গোটা জীবনের পাপমুক্তির প্রার্থনা, মহামারি তুলে নেওয়ার আকুতি ও আত্মশুদ্ধির অঙ্গীকারের মাধ্যমে সোমবার (১৯ জুলাই) কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজ পালন করেছেন ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

মসজিদে নামিরা ও আরাফাতের পাহাড় ঘেরা জাবালে রহমতের পাদদেশ ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত হয়েছে আবেগাপ্লুত সম্মিলিত কণ্ঠের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকালাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নে’মাতা লাকা ওয়াল মুলক লাশারিকা লাক’-তালবিয়ায়। এক অপার্থিব আবহ রচিত হয় পুরো প্রান্তরজুড়ে। সবার পরনে কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দুই খণ্ড বস্ত্র। সবারই দীন-হীন বেশ।

দুপুরে সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া শুরু করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। পবিত্র হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন খতিব। দীর্ঘ লিখিত খুতবায় তিনি সঠিক ইসলামের পথে মুসলিমদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়াও করেছেন।

গতকাল সূর্যাস্ত অবধি তারা আরাফাতের সীমানায় অবস্থান করেন। দুপুরে জোহর ও আসর নামাজ এক আজান ও দুই ইকামাতে কসর করে আদায় করা হয়। হজ খুতবায় শায়খ বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা মহামারি সম্পর্কে মহানবি (সা.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করার জন্য সমবেতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নবি করিম (সা.) লোকদের এমন একটি জায়গায় না যাওয়ার জন্য বলেছিলেন যেখানে মহামারি রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় দফা হজে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে শায়খ বান্দার বালিলা বলেন, ‘মহানবি (সা.) বলেছেন, মহামারি যে অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে সেখানকার লোকদের বাইরে যাওয়া উচিত নয় এবং অন্যান্য অঞ্চলের লোকদের উপদ্রুত এলাকায় না যাওয়া উচিত।’ খুতবায় শায়খ বান্দার মুসলমানদেরকে সমতা প্রতিষ্ঠা, একে অপরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করার আহ্বান জানান। তিনি আল্লাহর দোহাই দিয়ে সবাইকে একে অপরকে ক্ষমা করতে বলেছেন। তিনি বলেন যে, হজ হলো ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ এবং যারা হজে আসতে সক্ষম তাদের এটি সম্পন্ন করার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তাআলা আহ্বান জানিয়েছেন।

মসজিদে নামিরা থেকে বাংলাদেশ সময় ৩টা ৩০ মিনিটে খুতবা শুরু করেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা মূল খুতবা আরবিতে দেওয়া হয়, তবে আরো ৯ ভাষায় (সংক্ষিপ্ত পরিসরে) অনুবাদ করা হয় তা, এর মধ্যে ছিল বাংলাও। খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে।

শুধু সৌদি নাগরিক ও সৌদিতে বসবাসরত ১৫০টি দেশের ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সি মাত্র ৬০ হাজার ধর্মপ্রান মানুষ, যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন না, তাদের এ বছর হজের জন্য নির্বাচিত করা হয়। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে ২৫ লক্ষাধিক মুসলিম হজযাত্রী উষ্ণ শহর মক্কার অদূরে আরাফাতের তাঁবুতে প্রচণ্ড উত্তাপের মধ্যে একে অপরের কাছাকাছি বসে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সাদা-সবুজ ছাতা মাথায় দিয়ে হজ পালন করতেন।

আন্তর্জাতিক

চলতি বছরও পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করা হবে।

দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম কর্তৃক গৃহীত হারামাইন শরীফাইন ও আরাফার খুতবার তাৎক্ষনিক অনুবাদ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাসহ অন্য যে ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা তা হলো- ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা।

হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারও ‘সীমিত আকারে’ হজ্ব পালনের পরিকল্পনা করেছে সৌদি আরব।

এবছর হজের খুতবার বাংলা অনুবাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মাওলানা আ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান। তিনি বর্তমানে মক্কা ইসলামী সেন্টারে দাঈ হিসেবে কাজ করছেন।

মাওলানা আ.ফ. ম ওয়াহীদুর রহমান প্রথমে হজের খুতবা সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা অনুবাদক হিসেবে ২০২০ সালে মনোনীত হোন। সে বছর তিনি বেশ সুনামের সঙ্গে অনুবাদ করে সাড়া ফেলেছেন।

এরপর চলতি বছর সৌদি সরকার ‘আরাফা ও হারামাইন-শরীফাইন খুতবা অনুবাদ প্রকল্প’কে স্থায়ী প্রকল্প হিসেবে অনুমোদন দেয়।

মাওলানা আ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমানের জন্ম কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া পূর্ব‌ বোমাঙখিল গ্রামে। তার পিতা মরহুম মাওলানা ইসমাইল। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবে মক্কা ‘উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে’ পিএইচডি গবেষণায় রত আছেন।

আন্তর্জাতিক

স্মার্টফোনে আড়িপাতার জন্য ইসরায়েলি একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের দেশে দেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ভিত্তিক এনএসও গ্রুপের তৈরি করা স্পাইওয়্যার পেগাসাস সফটওয়ার ব্যবহার করে এই আড়িপাতার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বের বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিক্ত্ব যেমন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের স্মার্টফোনেও আড়িপাতা হয়েছে। মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়িপাতার কাজে এই স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করেছে।

পেগাসাস মূলত একটি ম্যালওয়্যার। এর ব্যবহারে আইনফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ইমেইল, কল রেকর্ড বের করা সম্ভব। এই ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়। যার কারণে স্মার্টফোন ব্যবহার না করলেও এটি আশপাশ থেকে শব্দ গ্রহণ করতে থাকে।

জানা যায়, যারা এই ম্যালওয়্যার নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন তারা এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি ফোন নম্বর উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসও–এর গ্রাহকরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে।

প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম ফাঁস হওয়া এই তালিকা হাতে পায়। পরে তা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করে।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাসখন্দে ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া ঃ আঞ্চলিক সংযোগ, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সময় উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাহভকত মিরজাইয়েভের সাথে বৈঠক করেছেন।

গতকাল অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ড. মোমেন উজবেক প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভকামনা  ও শুভেচ্ছা জানান।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক,  আঞ্চলিক বিষয়, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণ এবং সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা হয়।এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার  নতুন নতুন ক্ষেত্র, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো গভীরতর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উজবেক প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের যুব সমাজের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে রুবাদের কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী ও গণতন্ত্র বিরোধী করমকান্ডের বিরুদ্ধে সংহত হতে বলা হয়েছে। বর্তমান দেশের অর্থনেতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে যুবসমাজ বড় ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন।

ড. মোমেন এ বছরের ডিসেম্বরে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের আমন্ত্রণ পত্র উজবেক প্রেসিডেন্টকে হস্তান্তর করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট আনন্দের সাথে এ পত্র গ্রহণ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরে তার কর্মসূচি দেখে যত শিগগির সম্ভব  বাংলাদেশ সফরের চেষ্টা করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান চলাচল ঢাকা-তাসখন্দের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান চলাচলের বিষয়টি  তারা পরীক্ষা করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ড. মোমেন ঢাকায় সে দেশেরদূতাবাস চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে উপস্থিত উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক সংযোগ শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়ায় উজবেক প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন। উজবেক প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে অংশ নেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং  বলেন, তার এ প্রশংসা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।