আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি কয়েকজন বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের নামে।

খবর আল জাজিরার।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সাত ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং অবৈধ তল্লাশি ফাঁড়ি স্থাপনকারী একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কট্টরপন্থী ওই গোষ্ঠীর নাম হিলটপ ইয়ুথ। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিয়ে অপরাধ করেছে গোষ্ঠীটি, বলেন ওং। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন বসতি স্থাপনকারীরা মারধর, যৌন হামলা এবং নির্যাতনের মতো অপরাধ ঘটিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে ওং বলেন, বসতি স্থাপনকারী সহিংস অপরাধীদের জবাবদিহি করতে এবং তাদের চলমান বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাই। এসব কর্মকাণ্ড উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনাকে আরও দুর্বল করে।

অস্ট্রেলীয় সরকারের পদক্ষেপ সাধারণত তার মিত্র যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপানের অনুরূপ পদক্ষেপ অনুসরণ করে থাকে।

গত ১১ জুন ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং উগ্র-ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী লেহাভার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আন্তর্জাতিক

ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুধু যুদ্ধাপরাধী নন, তিনি একই সঙ্গে মিথ্যাবাদীও। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর দেওয়া ভাষণের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বার্নি স্যান্ডার্স একথা বলেন। আনাদোলু এজেন্সি।

স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী। গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য আমাদের সবকিছু করতে হবে এবং সেখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে হবে।’

সামাজিক মাধ্যম এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে স্যান্ডার্স এসব কথা বলেন। মার্কিন এ সিনেটর আরও বলেছেন, ইসরাইলিরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। এজন্য আগাম নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে তার নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে এসেছেন।

ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে স্যান্ডার্স সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে সম্মান জানানোর এটিই প্রথম কোনো ঘটনা। এর আগেও স্পষ্টবাদী স্যান্ডার্স বহুবার ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দমন-পীড়নমূলক নীতি অনুসরণ করে আসছে তার প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর সমালোচনা করে থাকেন বার্নি স্যান্ডার্স।

মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাসও। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যায় পরিপূর্ণ এবং তিনি যুদ্ধবিরতি চান না বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চান না। এক সাক্ষাৎকারে আবু জহুরি আরও বলেছেন, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ ঢাকতে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে নিজেদের ব্যর্থতা ও পরাজয় ঢাকতে তিনি সফল হবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন ওই সিনিয়র কর্মকর্তা।

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। ভাষণে ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি নিরাপত্তা জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে আবু জহুরি বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো দলের জোট হবে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান এ হামলায় আহত হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

আন্তর্জাতিক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে চীন সফর শেষে বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. হাছান মাহমুদ বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগদান করে বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন। বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলি ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের পেশাওয়ার বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একটি বিমান অবতরণের সময় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিমানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার পেশাওয়ারের বাচা খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালেও এ ঘটনায় ২১ জন ক্রু ও ২৭৬ যাত্রীর সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

পাকিস্তানের সামা টিভির খবর অনুযায়ী, এসভি-৭৯২ বিমানটি সৌদি আরবের রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে পাকিস্তানের পেশাওয়ারে পৌঁছায়। বিমানটি অবতরণের সময়ই এর ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন ধরে যায়। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেন এবং বিমানের আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

এ সময় ইমার্জেন্সি স্লাইড ব্যবহার করে ধীরে ধীরে যাত্রীদের বিমান থেকে নামানো হয়। সৌভাগ্যক্রমে যাত্রী বা ক্রু সদস্যদের মধ্যে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান সিভিল আভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতি মতে, বিমান ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বিমানের বাম ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে ধোঁয়া ও আগুনের ঝলকানি দেখতে পান এবং পাইলটদের সতর্ক করেন। তারা বিমানবন্দরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসকেও খবর দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস দ্রুত পৌঁছায় এবং ল্যান্ডিং গিয়ারের আগুন দ্রুত নেভাতে সক্ষম। এর ২৭৬ জন যাত্রী এবং ২১ জন ক্রু সদস্যকে একটি স্ফিত স্লাইড দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরব ও বিমান কর্তৃপক্ষ উভয় তরফেই জানানো হয়েছে, বিমানে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বিমানটিতে যান্ত্রিক কাজ করা হচ্ছে। যাবতীয় ত্রুটি সারিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরিদর্শন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মেরামত করা হচ্ছে।

এদিকে পেশোয়ার বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি চালু রয়েছে এবং সব ফ্লাইটই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলবে।

আন্তর্জাতিক

অবশেষে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করেছে ব্রাজিল। ইসরাইলকে অগ্রাহ্য করে ফিলিস্তিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা ব্রাজিলের একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। এ চুক্তি ইসরাইলকে তিরস্কারের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দেশটির দৃঢ় সমর্থনের প্রকাশ।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সোমবার ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বাস্তব অবদান। যাতে দেশটি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে।

ব্রাসিলিয়ায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল জেবেন ব্রাজিলের সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী, সমর্থনমূলক এবং সময়োপযোগী’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনে শান্তি সমর্থনের কার্যকর উপায়।

রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি আশা করছেন মেরকোসুরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বছরে তা মাত্র ৩২ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।

ব্রাজিল ২০১০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশটির রাজধানীতে একটি ফিলিস্তিনি দূতাবাস স্থাপনের অনুমতিও দিয়েছে। শুক্রবার লাতিন আমেরিকার মেরকোসুর বাণিজ্য ব্লক ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।

অন্য মেরকোসুর সদস্যরা একই পদক্ষেপ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার ডানপন্থি সরকার এটি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।

৭ অক্টোবর থেকে অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, বাহামাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোস ও আর্মেনিয়া।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে এও বলা হয়েছে, টিউলিপের নিয়োগের ব্যাপারে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহের নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি লেবার পার্টির এমপি হিসেবে ছায়া মন্ত্রী হয়ে কাজ করছিলেন। এবার তাকে নগর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দল।

৪১ বছর বয়সী টিউলিপ ২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অব ফিন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টে কাজ করেছেন।

চলতি বছরের মে মাসে টিউলিপ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ‍ব্রিটেনের শ্রম বাজারকে প্রতিযোগিতামূলকতা ও এর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তিনি আরও বেশি কাজ করবেন।

নগরমন্ত্রী হিসেবে টিউলিম স্থলাভিষিক্ত হবেন বিম আফোলামিরের। বিম একজন সাবেক এইচএসবিসি ব্যাঙ্কার। তিনি এর আগের রক্ষণশীল সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

টিউলি এবারের নির্বাচনে মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এবছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৫ সালে প্রথম হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন টিউলিপ। তখনই প্রথম হাউস অব কমন্সে তার প্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই আসন থেকে জয় পান তিনি। ওই বছর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১ হাজার রাজনীতিবিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। আজ ওয়াশিংটনে শুরু হবে এ সম্মেলন। তিন দিনের এ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৩২ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এএফপি।

ন্যাটোকে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী জোট হিসাবে দেখানোই এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। তবে এমন সময় জোটের নেতারা ওয়াশিংটনে জড়ো হচ্ছেন যখন ইউক্রেন যুদ্ধে একেবারে বিধ্বস্ত এবং আটলান্টিকের উভয় পাশে মধ্যপন্থি ও উগ্র ডানপন্থিদের মধ্যে চলছে নির্বাচনি ঝড়।

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে বিপর্যয়কর ফলের পর নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ন্যাটো জোটের প্রতি ট্রাম্পের অঙ্গীকার নিয়ে মিত্রদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আপাতত বাইডেন নির্বাচনি প্রচার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা নেতাদের স্বাগত জানাবেন।

উদীয়মান চীনের প্রভাব ঠেকাতে এশিয়ায় ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান ভূমিকার গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। তবে সম্মেলনে নজর থাকবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর। তিনি জোটের পক্ষ থেকে দৃঢ় সমর্থনের অপেক্ষায় আছেন। যদিও এবারও ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সামষ্টিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসাবে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ন্যাটো সামরিক জোটের।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর কিয়েভের পক্ষে দাঁড়ায় ন্যাটোর মিত্ররা। এর মাধ্যমে ন্যাটো মূলত জোটটির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যেই ফিরে গেছে। রাশিয়ার ত্বরিত বিজয় ঠেকিয়ে দিয়ে পশ্চিমাদের মন জয় করে নিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। তবে রুশ সেনারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বাঞ্চলে তারা অগ্রসর হচ্ছেন তারা।

ন্যাটো সম্মেলনের আগে একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, সম্মুখযুদ্ধে ইউক্রেন একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আটকে পড়ায় এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যেই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক পরিকল্পনার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, ইউরোপের নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া এখন পুরোপুরি একটি স্বস্তিকর অবস্থায় আছে। তারা মনে করছে, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোয় গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি এ সফরে গেলেন। তাছাড়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সেদেশে পা রাখলেন মোদি।

সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠক করার কথা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের মুখে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করে রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের চেষ্টার মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, তিনি মস্কোর সঙ্গে নিজের কূটনৈতিক পথে অটল রয়েছেন।

রাশিয়ায় রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণে ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি রাশিয়া সফর করছেন।

গত ১০ বছরে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে আমি বিভিন্ন আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব। তাছাড়াও সফরকালে আমি রাশিয়ার বসবাস করা ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।

ওদিকে ক্রেমলিন বলেছে, মোদির এই রাশিয়া সফরকে ভাল চোখে দেখছে না পশ্চিমারা। পশ্চিমা দেশগুলো মোদির রাশিয়া সফরকে কিভাবে দেখছে সে প্রশ্নের জবাবে এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ঈর্ষায় জ্বলছে। তারা নিবিড় ভাবে সফরের দিকে নজর রাখছে। তাদের এই নজরদারিই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে তো বটেই, সমসাময়িক নানা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হবে।

এনডিটিভি জানায়, মোদি সর্বশেষ রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে। এবার দু’দিনের সফর শেষে রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়ায় যাবেন তিনি। এর একদিন পর ফিরবেন ভারতে।

আন্তর্জাতিক

আইন মোতাবেক জেলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি ইমরান খান। সেইসঙ্গে যথাযথ জেল সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার ইমরান তার আইনজীবী আজহার সিদ্দিকীর লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।

দেশটির জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজম প্যানেলের প্রধান আজহার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, চিঠিতে পিটিআই প্রধানকে আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে না এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

চিঠিতে এই বলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে লোকজনের দেখা করায় বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? সেইসঙ্গে কারাগারে তাকে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যদি এই শর্তগুলো পূরণ না করা হয়, তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উচ্চ আদালতে নিয়ে যাবেন বলেও জানান এই আইনজীবী।

শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় ইমরান খান দেশটির প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ইসার প্রতি তার আস্থার অভাব প্রকাশ করেন। এ সময় ইমরান খান অনশনে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে অনশনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করব।’

একই দিনে কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ঘোষণা করেন যে, তার দল শেহবাজ শরীফ সরকারের সর্বদলীয় সভায় অংশ নেবে।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, ‘আমার দল সর্বদলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে এবং সরকার কী বলে তা শুনবে’।

পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ দেশকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার নতুন যে সামরিক অভিযানের কথা বলছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আযম-ই-ইসতেহকাম’। উর্দুভাষায় এই শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে স্থিতিশীলতা৷ আলোচিত এই সামরিক অভিযান কতদিন ধরে চলবে তা নিশ্চিত করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সামরিক অভিযান শুরুর আগেই এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন জেলবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত সপ্তাহে ইমরান জানিয়েছেন যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযানের বিপক্ষে তিনি৷ এরপরও এই অভিযান সম্পর্কে শেহবাজ শরীফ সরকারের সর্বদলীয় সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইমরান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। এর পরপরই তিনি ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন। খবর বিবিসি, ডেইলি মেইল, আলজাজিরার।

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, স্টারমার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, শুক্রবারই মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল নাগাদ ডাউনিং স্ট্রিটে একে একে ডাক পান লেবার পার্টির অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ সংসদ-সদস্যরা। স্টারমার ২০ মন্ত্রী বেছে নিয়ে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। এই মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর অব একচেকার) পদসহ রেকর্ড ১১টি পদে নারীদের বেছে নিয়েছেন স্টারমার।

যুক্তরাজ্যের নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সি অ্যাঞ্জেলা রেইনাহ। অন্যদিকে দেশের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র‌্যাচেল রিভস। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে ৪৫ বছর বয়সি রিভসই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হলেন। সাবেক শিশু দাবা চ্যাম্পিয়ন ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অর্থনীতিবিদ রিভস দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় অর্থ বিভাগের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালনকারী ইয়েভেত্তে কুপার। ৫১ বছর বয়সি প্রখ্যাত আইনজীবী ডেভিড ল্যামিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ব্রিটেনে সর্বকনিষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত ল্যামি এর আগে টনি ব্লেয়ার এবং গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায়ও দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ওয়েস স্ট্রিটিংকে।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ব্রিজেট ফিলিপসন। তিনি স্টারমারের খুবই ঘনিষ্ঠ। জ্বালানিমন্ত্রী করা হয়েছে এড মিলিব্যান্ডকে। এছাড়া বিচারমন্ত্রী করা হয়েছে শাবানা মাহমুদকে। তুখোড় আইনজীবী শাবানা অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। সাবেক কনজারভেটিভ নেত্রী লিজ ট্রাসের পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসাবে এই দায়িত্ব পেলেন।

জোনাথন রেনল্ড দায়িত্ব পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জন হিলি। লুইস হেইঘ হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী। অপরদিকে লিসা ন্যান্ডিকে সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী করা হয়েছে।

এছাড়া হাউজ অব কমন্স নেতা করা হয়েছে লুসি পাওয়েলকে। লর্ডসের নেতা হয়েছেন ব্যারোনেস স্মিথ। পার্লামেন্টে লেবার পার্টির চিফ হুইপ করা হয়েছে অ্যালান ক্যাম্বলকে।

অর্থমন্ত্রী রেইচেল রিজের সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড্যারেন জোনস। ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর হয়েছেন প্যাট ম্যাকফ্যাডেন। যুক্তরাজ্যের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ দেওয়া হয়েছে রিচার্ড হারমারকে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কনজারভেটিভ পার্টিকে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে।