খেলাধুলা

বদলি গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে নামার ছয় মিনিটের মাথায় হজম করেন গোল। যার ফলে পিছিয়ে থাকা ভারত ফেরে সমতায়।

কিন্তু ৯০ মিনিট শেষে অবিচ্ছিন্নই থাকে দুই দল, খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। বাংলাদেশও তাই ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে পৌঁছে যায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে। শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন আসাদুল মোল্লা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে কোনাকুনি শটে ভারতের জালে বল ঢোকাতে চেয়েছিলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। তা অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক প্রিয়াংশ দুবে। কিন্তু ফিরতি শটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আসাদুল। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বল ঠেকাতে গিয়ে গগমসার গোয়ারির সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা নেওয়ার পর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামতে হয় আসিফকে। থিতু হওয়ার আগেই গোল হজম করে বসেন তিনি। ৭৫ মিনিটে নাওবা মেইতেই পাঙ্গামবামের কাটব্যাক থেকে ভারতকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক রিকি মিতেই হাওবাম।

শেষেও অবশ্য নাটক কম ছিল না। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ভারতীয় গোলরক্ষকের পথ আটকানোয় লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের কামাকাই মারমা। ৯০ মিনিট শেষে ব্যবধান ১-১ থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আসিফও পেয়ে যান শাপমোচনের সুযোগ। প্রথম পেনাল্টিতেই ভারতের থাংলালসুন গাংতের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি। পরের তিনটি শট অবশ্য আটকাতে ব্যর্থ হন এই গোলরক্ষক। তবে শেষ পেনাল্টি নিতে আসা আকাশ তিরকের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন তিনি। রুখে দেন ভারতের ফাইনালে যাওয়ার পথও।

বাংলাদেশ অবশ্য একটি শট কম নিয়েছে। তবে চারটি শটের প্রতিটিতেই গোল এনে দেন- পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম মইন, শাকিল আহাদ তপু ও আশরাফুল হক আসিফ। ফাইনালে আগামী ২৮ আগস্ট স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

টেস্টে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই জয়ও আবার এলো ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

ঐতিহাসিক এ জয়ের পর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলে বড় লাফ দিয়েছে টাইগাররা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়িনশিপের তালিকায় তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ছয়ে।

গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড (১টি) ও শ্রীলঙ্কার (২টি) বিপক্ষে হেরে নয় নম্বরে নেমে যায় তারা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জয়ের পর সেখান থেকে তিন ধাক উপরে উঠেছে বাংলাদেশ।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে ৫ ম্যাচের মধ্যে ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাতে তাদের পয়েন্ট এখন ২৪। সমান পয়েন্ট শ্রীলঙ্কারও, কিন্তু হেড টু হেডে টেবিলের ছয় নম্বরে টাইগাররা। আর শ্রীলঙ্কা আছে পাঁচে।

৯ ম্যাচে ৬ জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। পরের তিনটি স্থানে আছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড। তালিকার সাতে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আট ও নয়ে আছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শেষ দিনে অসাধারণ বোলিংয়ে অবিস্মরণীয় জয় বাংলাদেশের

খেলাধুলা

রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনেও চলল বাংলাদেশের রাজত্ব। এদিন মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের সঙ্গে লিটন-মিরাজের ফিফটিতে পাকিস্তানের রান টপকে ১১৭ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। সে লিডের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ১ উইকেটে তুলেছে ২৩। ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ দিন ব্যাট করতে নামবে তারা।

এর আগে মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুরন্ত। লিটন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৪ রান যোগ করতেই ধরেন সাজঘরের পথ। ৫৬ রানে তাকে সাজঘরের পথ চেনান নাসিম শাহ।

এরপরই সপ্তম উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফেরার আগ পর্যন্ত এই জুটিতে যোগ হয় ১৯৬ রান। এর সিংহভাগ রান আসে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা মুশফিকের ব্যাটে।

মিরাজও পিছিয়ে ছিলেন না। দলের নবম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরেন মিরাজ, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭৭ রান।

মুশফিক-মিরাজ-লিটন এবং তৃতীয় দিনে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ৪৪৮ রান টপকে বাংলাদেশ পৌঁছায় ৫৬৫ পর্যন্ত। লিড পায় ১১৭ রানের।

সে লিড টপকে যেতে নেমে শুরুতেই শরিফুল ইসলামের শিকার বনে যান পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব (১)। দিনশেষে ক্রিজে ছিলেন অন্য ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ (৯)।

খেলাধুলা

টিগ উইলির ফিফটির পাশাপাশি ব্যাক্সটার হল্টের দারুণ ইনিংসে লড়াকু লক্ষ্য পায় পার্থ স্কর্চার্চ। বোলিংয়েও শুরুটা ভালো করে তারা।

তবে মাহফুজুর রহমানের তাণ্ডবে জয় বাংলাদেশ বাংলাদেশ এইচপি। একই সঙ্গে তারা কোয়ালিফাই করে সেমিফাইনালেও।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে আজ ডারউইনে পার্থ স্কর্চার্চকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ এইচপি। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে স্কর্চার্চ। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এইচপি।

আগে ব্যাট করতে নামা স্কর্চার্চ শুরুতেই ওপেনার কোরি ওয়েসলিকে হারায়। তবে এই ধাক্কা সামলে ব্যাট চালাতে থাকেন উইলি ও হল্ট। দ্বাদশ ওভারে ২৬ বলে ৩৪ রান করা হল্টকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন রিপন মণ্ডল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্কর্চার্চ। যদিও অপর প্রান্তে লড়ে যাচ্ছিলেন উইলি। ৫৬ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে শেষ ওভারে তিনি শিকার হন আবু হায়দার রনির।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা দেখে খেলতে থাকেন জিসান আলম। তবে অপরপ্রান্তে উইকেটে হারাচ্ছিল বাংলাদেশ এইচপি। তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন ও আরিফুল ইসলাম দ্রুত ফিরে যান। এরপর থিতু হন আকবর আলি। দশম ওভারে ২৬ রানে জিসান বিদায় নিরে আকবরকে সঙ্গ দেন শামিম হোসাইন।

পঞ্চদশ ওভারে আকবরকে বিদায় করে ব্রেকথ্রু আনেন রিচার্ডসন। যাওয়ার আগে আকবর খেলেন ৩৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। এরপর দলকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন শামিম ও মাহফুজুর। তবে শেষদিকে শামিম বিদায় নিলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ এইচপি। যদিও আশা হারাতে দেননি মাহফুজুর। ১৩ বলে ২৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন তিনি। শামিম করেন ১৭ বলে ১৬ রান।

খেলাধুলা

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু সেখানে অদ্ভুত এক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। ইন্টারনেটের ধীরগতিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে সাকিব-শান্তদের।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, সরকারের কিছু নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ইন্টারনেটের গতি কমেছে। দেশটির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে, পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেটের গতি ৩০ থেকে ৪০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।

ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা কঠিন হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট হবে করাচিতে, ৩০ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে সেই ম্যাচ। দুই ম্যাচের এই সিরিজটি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

খেলাধুলা

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে রেখেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের হয়ে সাকিবের খেলা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সংসদ সদস্য পলাতক আছেন। সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার সময় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে কানাডায় ছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাকিব।

এরপরই সাকিবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতয়তার মুখে পড়ে। কিন্তু পাকিস্তান সিরিজে খেলার জন্য সাকিবের সম্মতি নিতে তার সাথে কথা বলে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল। এখন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সাথে থাকা সাকিব সরাসরি পাকিস্তানে দলের সাথে যুক্ত হবেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ৬৭ টেস্টের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাকিব। যেহেতু জাতীয় দলের ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবাল দূরে আছেন, তাই বিশেষ করে টেস্ট দলে সাকিবের অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দল নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘এই সংস্করণে সেরা খেলোয়াড় বাছাই করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি ভারসাম্যপূর্ণ দল। মুশফিকুর রহিম, মোমিনুল হক এবং সাকিব আল হাসানের মতো খেলোয়াড়রা মোট ২১৬টি ম্যাচ খেলেছেন এবং এমন অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্পিন বিভাগ সামলাচ্ছেন তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দু’জনে একত্রে ৩৫০টির বেশি উইকেট শিকার করেছেন। আমরা আশা করি নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস এবং অন্যান্য ব্যাটাররা ভালো করবে। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে হলে দলীয় পারফরমেন্সের প্রয়োজন।’

প্রত্যাশা অনুযায়ী দলে কোন চমক নেই। কারণ টেস্টের বিবেচনায় থাকা খেলোয়াড়দের উপরই আস্থা রেখেছে নির্বাচক প্যানেল।

দলে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়া পেসার তাসকিন আহমেদ। গত মার্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে খেলেননি তিনি। তবে প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন তাসকিন।

আশরাফ বলেন, ‘তাসকিনসহ আমরা পাঁচজন পেসার বেছে নিয়েছি। তবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন তাসকিন। গেল বছরের জুন থেকে টেস্টে বোলিং করছে না সে। এজন্য বড় ফরম্যাটে ছন্দ ফিরে পেতে তাকে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ওয়ানডে ম্যাচের জন্য ‘এ’ দলে কয়েকজন পেসার যোগ দিতে পারে এবং এজন্যই আমাদের ব্যাকআপের প্রয়োজন ছিল। আমাদের পেসাররা বৈচিত্র্যময় বোলিং, গতি এবং বল সুইং করতে পারে। বিশ্বমানের ব্যাটারদের বিপক্ষে তাদের পারফরমেন্স দেখার অপেক্ষায় আছি।’

এ পর্যন্ত পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া ১৩ টেস্টের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ড্র হওয়া ম্যাচটি এখন পর্যন্ত টাইগারদের সেরা সাফল্য। পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের শেষ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিলো বাংলাদেশ।

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলতে আগামীকাল পাকিস্তানের উদ্দ্যেশে রওনা দিবে বাংলাদেশ দল।

২১ আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট এবং ৩০ আগস্ট থেকে করাচিতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। প্রথম টেস্ট খেলতে ১৭ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডি রওনা হবার আগে ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে পুরো দল।

বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

খেলাধুলা

আগামী অক্টোবর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যার ফলে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়।

এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবা শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ হয়। আন্দোলন চলাকালে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা জোর গলায় বলেছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা (নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিসির আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার সঙ্গে আছেন। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

এদিকে বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে সহায়তা চেয়ে এরই মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

খেলাধুলা

সবশেষ টেস্টে পাকিস্তান শাহিনসকে হারানোর পর এবার ওয়ানডেতে নর্দান টেরিটরির বিপক্ষে ১১২ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এইচপি দল। যার ফলে বাংলাদেশ এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু হলো জয় দিয়ে।

এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৫০ রান জমা করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪২ ওভার ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৩৮ রান যোগ করে থামে নর্দান টেরিটরির ইনিংস। বাংলাদেশ এইচপি দল ম্যাচ জেতে ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন তানজিদ তামিম। দলের আরেক ওপেনার পারভেজ ইমন করেন ৪৭ রান। তামিম-ইমনের ওপেনিং জুটিতেই ১০০ রান তোলে বাংলাদেশ।

মাঝের ব্যাটাররা অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শেষদিকে ব্যাট হাতে হাল ধরে দলকে লড়াকু পুঁজি পাইয়ে দেন আবু হায়দার রনি। ৪১ বলে ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর তাতে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৫০ রানে।

জবাবে নর্দানের ওপেনার জ্যাকব ডিকম্যান ছাড়া আর কেউই বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ৮৭ বল খরচ করে ৫১ রান করেন তিনি। তাকে ফেরান মাহফুজুর রাব্বি। এরপর একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে ৪২ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হয় নর্দান টেরিটরির ইনিংস। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ১১২ রানের বড় ব্যবধানে।

খেলাধুলা

পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে ঘোষিত বাংলাদেশ ‘এ’ দলে তারকা ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। দলে আছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকের মতো জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা।

পাকিস্তান সফরের দুটি চার দিনের ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে ‘এ’ দল। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দুটি চার দিনের ম্যাচের জন্য আলাদা দল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচের দলে আছেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসানদের মতো টেস্ট দলের সদস্যেরা।

জাতীয় দল পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলবে। আগামী মাসের ২১ তারিখে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজের আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবেন মুশফিক-মুমিনুলরা। এরপর তারা যোগ দেবেন জাতীয় দলের সঙ্গে। অর্থাৎ দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে তারা খেলবেন না।

ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছে একটি। যে দলে আছেন সৌম্য সরকার, এনামুল হক, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো ক্রিকেটাররা।

আগামী ৬ আগস্ট দেশ ছাড়বে ‘এ’ দল। ১০ আগস্ট শুরু হবে প্রথম চার দিনের ম্যাচ, দ্বিতীয়টি আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হবে। এরপর ২৩, ২৫ ও ২৭ আগস্ট মাঠে গড়াবে তিন ওয়ানডে।

খেলাধুলা

এশিয়া কাপের পরবর্তী দুই আসরের আয়োজক দেশের নাম জানিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

ছেলেদের এশিয়া কাপের পরের দুই আসরের আয়োজক ভারত ও বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্ট হবে ভারতে। দুই বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে পঞ্চাশ ওভারের টুর্নামেন্টের স্বাগতিক থাকবে বাংলাদেশ।

২০২৪ থেকে ২০২৭ চক্রে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) স্পন্সরশিপের আগ্রহপত্র আহ্বানের বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে এই খবর। এই চক্রে ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় দল, বয়সভিত্তিক ও ইমার্জিং দল মিলিয়ে মোট ১৩টি টুর্নামেন্ট হবে।

এর মধ্যে শুধু ২০২৫ ও ২০২৭ সালের ছেলেদের দুটি টুর্নামেন্টের স্বাগতিক খোলাসা করেছে এসিসি। বাকি টুর্নামেন্টগুলোর আয়োজক দেশের নাম যথাসময়ে জানানো হবে।

২০১৬ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয় এশিয়া কাপ। এরপর থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয়ে আসছে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।

এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, সেই দেশেই হবে বিশ ওভারের এশিয়া কাপ। তবে সম্ভাব্য সময়সূচি জানা যায়নি। আর ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। গত বছর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হাইব্রিড মডেলে হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।