খেলাধুলা

পাঁচটি ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে দল। লড়াই যা হয়েছে, তাও একটি-দুটি ম্যাচে। কিন্তু ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল রানের মধ্যেই রয়েছেন, পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১৮৭ রান। শেষ তিনটি ম্যাচে ৩২ (২১ বলে), ৩১ (৩১ বলে), ৩২ (৩২ বলে) রান করেছেন তিনি। একটি ম্যাচের পর তিনি নিজেই বলেছিলেন, টি২০ ম্যাচে ত্রিশের কাছাকাছি গিয়ে আউট হওয়াটা ‘পাপ’।

গতকাল এই পাপ শব্দটির আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক। জানিয়েছেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুশি তিনি। ‘দলে এখন পর্যন্ত আমার ভূমিকা যথেষ্ট নয়। এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং যতটুকু করেছি, আমার মনে হয়, আমি ভালো ব্যাটিংই করেছি। শেষ তিন ম্যাচে ত্রিশ ত্রিশ করে আউট হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। এই ইনিংসগুলো যদি ৫০-৬০ করতাম, কমপক্ষে তিনটির মধ্যে যদি একটিও করতাম, তাহলে হয়তো বা রেজাল্ট একটু অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু সর্বোপরি ব্যাটিং নিয়ে যদি বলি, যেভাবে আমি ব্যাটিং করতে চাই এবং ব্যাটিং করছি, সেটা ঠিকই আছে। আমি বলব না যে, খুব ভালো হয়েছে, তবে একেবারে মন্দ হয়নি।’

টুর্নামেন্টের প্লে-অফে যেতে হলে বরিশালকে হাতে থাকা তিনটি ম্যাচের সব ক’টি জেতাই জরুরি। তামিমের বিশ্বাস তার দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ‘আমরা কোনো সময়, হয়তোবা আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলি নাই এ টুর্নামেন্টে; কিন্তু নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতেই হবে। যখন সত্যি টিম খুব বেশি একটা ভালো খেলে না, তখন মোটিভেট করাটাও একটু কঠিন।’

ওপেনিংয়ে তামিম এখনও তার জুটি খুঁজে পাননি। কখনও মিরাজ, কখনও সাইফ, কখনও বা ইমনকে নামাতে হচ্ছে তামিমকে। কথা উঠেছে আফিফকে ওপেনিংয়ে পাঠানো নিয়েও। যদিও তামিম জানিয়েছেন, আফিফ নিজেই তিন নম্বরে নামতে চেয়েছেন। দলের বাকিদের ব্যাটিং প্রত্যাশার ধারেকাছেও যাচ্ছে না। তাই তার নিজের স্ট্রাইক রেট ওঠানামা করছে বলে জানান তামিম।

‘আমার সঙ্গে যারা খেলছে তারা কোন স্ট্রাইক রেটে খেলছে, এটাও খেয়াল রাখতে হবে। ৩০ বলে ৩০ রান করাতে আমি খারাপ কিছু দেখি না, যদি পরিস্থিতি ওরকম থাকে। স্ট্রাইক রেট বলুন, ৩০ রান বলুন- প্রশ্ন সবসময় থাকবে, আপনারা সবসময়ই প্রশ্ন তুলবেন। এতে কোনো অসুবিধাও নেই। দিনশেষে যদি আমি ৪০ বলে ৪০ করায় দল জেতে, এটা ভালো।’

খেলাধুলা

করোনার কারণে দীর্ঘ নয় মাস পর পেশাদার ক্রিকেট খেলতে নামার আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করা মোহাম্মদ আশরাফুল ‘ফেল’ মাঠের ক্রিকেটে।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে রাজশাহীর হয়ে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

ফ্রাঞ্চাইজি এ টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম ম্যাচে ৫ রানে আউট হওয়া আশরাফুল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ২৫ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।

এরপর তিন ম্যাচে আশরাফুল ফেরেন ৬, ২০ ও ১ রানে। পাঁচ ম্যাচে সবমিলিয়ে তার সংগ্রহ মাত্র ৫৭ রান।

ধারাবাহিক এমন ছন্দহীন পারফরম্যান্সের কারণেই রোববার খুলনার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ১৪তম ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি আশরাফুলের। তাকে সাইড বেঞ্চে রেখেই মিরপুর শেরেবাংলায় খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি।

এ রিপোর্ট লেখা অবস্থায় রাজশাহীর সংগ্রহ ১৫ ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান। ৫৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ ও ১ রানে ব্যাট করছেন নুরুল হাসান সোহান ও জাকির আলী।

খেলাধুলা

কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করবে। সেই দেশের মাটিতে খোদ কাতারের বিপক্ষেই শুক্রবার ( ৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের ফুটবল লড়াই। রাত ১০টায় শুরু হবে কাতার বাংলাদেশ ম্যাচ। বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই ফিরতি ম্যাচও এটি। দুই দেশের ফুটবল পার্থক্য কতো বেশি। যদি ফিফার র‌্যাংকিং ধরা হয় তাহলে কাতার আছে ৬৯ এবং বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে।

দুই দেশের পার্থক্যে বাংলাদেশ ১১৫ ধাপ পিছিয়ে। এক সময় কাতারের সঙ্গে ফুটবল লড়াই হয়েছে। কিন্তু সেই সময় এখন নেই। ধনী দেশ ফুটবলে এগিয়েছে অনেক। আর বাংলাদেশ এগুতে পারেনি। তাদের ফুটবল সুযোগ সুবিধা অনেক। বাংলাদেশের সেটি নেই। তারপরও দেখা যায় ৭৯ সালে এএফসির এশিয়ান কাপ ফুটবলে গোল শূন্য ড্র হয়েছিল।

জাকার্তা এশিয়ান গেমস ফুটবলে (অনূর্ধ্ব-২৩) কাতারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব ফুটবলের বড় মঞ্চে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো তুলনা হয় না। তারা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন দল। আগামী বিশ্বকাপে আয়োজক হিসাবে সরাসরি খেলবে। তারপরও এখনকার ফুটবলে কাতারের মতো শক্তির বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তির তুলনা হয় না। যোজন যোজন দূরত্ব। কালকের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছে নেপালের মতো দলের সাথে খেলে। আর কাতার খেলেছে কোষ্টারিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। কাতারের খেলোয়াড় অনেকই অন্যান্য দেশ থেকে সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়ে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।

ঢাকায় কাতার ২-০ গোলে জিতলেও সেই ম্যাচে জামাল ভুঁইয়ার দল বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল। কাতার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বৃষ্টি ভেজা কাদা মাঠে লড়াই করতে গিয়ে মসৃণ মাঠ পায়নি। কালকে কাতার নিজেদের কার্পেটিং মাঠে সেরাটা দেখাতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লা একশ ভাগের একভাগ। কতোটা কম ব্যবধানে হারবে সেটাই বড় কথা। বাংলাদেশের টার্গেট ম্যাচ জেতা নয়। আগে ঘর সামাল দাও পরে আক্রমণে যাও। ১৯ নভেম্বর কাতার গিয়ে বাংলার ফুটবলাররা এটাই অনুশীলন করেছে। মুল টার্গেটই হচ্ছে গোল খাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের রক্ষণভাগে চীনের প্রাচীর তুলবে রহমত, রিয়াদুল, তপু, ইয়াসিন, বিশ্বনাথরা।

এতে কোনো সন্দেহ নেই কালকের ম্যাচে লড়াইটা হবে কাতারের আক্রমণভাগ এবং বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ডিফেন্ডার তপু বর্মনও মনে করছে কাতারের বিপক্ষে আমাদের উপর চাপ তৈরি হবে। কিন্তু চাপ সামাল দেয়ার মতো মানসিক শক্তি রাখতে হবে। দুর্বল হলে হবে না। আমরা লড়াই করতে প্রস্তুতি রয়েছি।’ কাতারের পুরো দলটাই বাংলাদেশের বাংলাদেশকে খেলতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে। ৯০ মিনিটের খেলা। পুরো সময়টাকে ভাগ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। গোল খেও না। প্রথমার্ধ পর্যন্ত ঠেকাও। দ্বিতীয়ার্ধ হতে প্রতি ১০ মিনিট ধাপে ধাপে ঠেকাতে হবে।

সুবিধা হচ্ছে দোহার আল দুহালি ক্লাবের আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে কাতারের দর্শক খুব বেশি থাকবে না। ১২ হাজার আসনের মাত্র ২০ ভাগ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮০০ দর্শক ঢুকতে পারবেন।

খেলাধুলা

দিন যত যাচ্ছে, সাকিব আল হাসানের রেকর্ডের খাতাটা ততোই সমৃদ্ধ হচ্ছে। এবার আরও একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর মাত্র চারটি মেডেন ওভার করতে পারলেই বনে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মেডেনধারী বোলার।

টি-টোয়েন্টি, এই ফরম্যাটের খেলা মানেই চার-ছক্কার বন্যা। সংক্ষিপ্ত ওভারের এই ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা সব সময় সুযোগ খোঁজেন কিভাবে রানের সংখ্যা বাড়ানো যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ফরম্যাটে বোলাররা বেশ চাপে থাকেন। সেখানে মেডেন নেয়া কতটা কঠিন সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই। যদিও কঠিন এই কাজটি প্রায়ই করে দেখান কয়েকজন খেলোয়াড়। সাকিব তাদের মধ্যে অন্যতম।

ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৪ মেডেন আছে ক্যারিবিয়ান বোলার সুনিল নারিনের। তার পরের স্থানেই যৌথভাবে আছেন সাকিব এবং স্যামুয়েল বাদ্রি। এই দুইজনের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ২১টি করে মেডেন ওভার।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গতকাল (৩০ নভেম্বর) বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা। এদিন অসাধারণ বোলিং করেন সাকিব। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই মেইডেন দেন। তুলে নেন ১ উইকেট। এর বিপরীতে খরচ করেন মাত্র ৮ রান।

খেলাধুলা

কিংবদন্তি ফুটবল তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী কিনা সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আর্জেন্টিনার পুলিশ। এই তদন্তের অংশ হিসেবে তার চিকিৎসকের বাড়ি এবং কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার বুয়েন্স আয়ার্সে ওই চিকিৎসকের বাড়ি ও কার্যালয়ে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

গত বুধবার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনা।

পুলিশ জানিয়েছে, ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোলোডো লুকিউর বাড়ি এবং কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ম্যারাডোনার চিকিৎসকায় অবহেলা ছিল কিনা- সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনাকে কী ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়েছেন তার মেয়ে। এতেই বোঝা যায়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে তার পরিবার আরও খোঁজখবর চাইছে। এমন পরিস্থিতিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ম্যারাডোনা। পরিবার থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মস্তিস্কে। একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফেরেন ম্যারাডোনা। পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মনোমুগ্ধ করেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।

১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন।

খেলাধুলা

বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা।  তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষের আক্ষেপ থাকবে চিরদিন।

ম্যারাডোনার ফেসবুক টাইমলাইনে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চের একটি পোস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করা বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ম্যারাডোনা।  তখন তিনি ছিলেন আবুধাবির আল ফুজাইরা ক্লাবের কোচ।

২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় স্পেশাল অলিম্পিক। এ উপলক্ষে ২০১৮ সালে ৩০টি দেশ নিয়ে এক মিনি ফুটবল আসরের আয়োজন করা হয়।  সেখানে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ম্যারাডোনার সাক্ষাৎ পাওয়া বাংলাদেশ দল।

তখন ফুজাইরা ক্লাবের মাঠেই অনুশীলন করেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বাংলাদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে দশ মিনিটের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলে ছিলেন অনেক ছবিও।

সেদিনের ছবি পোস্ট করে ম্যারাডোনা লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বন্ধুদের সঙ্গে। যারা ২০১৯ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবেন।  তাদের আল ফুজাইরা ক্লাবে আমাদের সঙ্গে অনুশীলনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। খেলাধুলা একটি বিস্ময়কর বিষয়। কারণ সবকিছু অতিক্রম করে এটি আমাদের আরও কাছাকাছি এবং একসঙ্গে নিয়ে আসে। সবার জন্য চুম্বন। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিন তাঁদের নিজেদের সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করেন।’

ম্যারাডোনাকে কাছে পাওয়ার সে স্মৃতি এখনো মলিন ইউনিফাইড দলের কোচ আবদুর রাজ্জাকের কাছে। টুর্নামেন্টে এতগুলো দেশ থাকলেও ম্যারাডোনা নাকি শুধু এসেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গেই দেখা করতে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে ম্যারাডোনা খুশি হবেন, বিদায় নেওয়ার সময় জানিয়ে গিয়েছিলেন তা–ও।

সে মুহূর্তটি সম্পর্কে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে প্রায় ১৫–২০ মিনিটের মতো ছিলেন। তিনি এলেন আর আমাদের জয় করে চলে গেলেন।’ যাওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘তোমরা চ্যাম্পিয়ন হলে আমি খুশি হব।’ ম্যারাডোনার কথায় সেদিন জিতেছিল লাল সবুজের দল। আরব আমিরাতকে হারিয়ে সেদিন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। মঙ্গলবার দুপুরে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

দিনের শুরুতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত দর্শকহীন এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতেছেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। টস জিতে তিনি ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে।

শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দশ ওভার শেষে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর সংগ্রহ পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান।

৫ দল নিয়ে আজ থেকে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেণ্টের আজকের খেলা দুইটি। প্রথমটি ঢাকা বনাম রাজশাহী। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনার বিরুদ্ধে খেলবে ফরচুন বরিশাল। সাকিবের ফেরার অপেক্ষা ফুরাবে এই ম্যাচে। খুলনার হয়ে খেলবেন তিনি। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ম্যাচ দুইটি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।

খেলাধুলা

সাব্বির রহমান আর নেতিবাচক খবরের এগিয়ে চলা যেন হাত ধরাধরি করে। ক্যারিয়ারে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে যতটা, তার চেয়ে বেশি খবরে এসেছেন তিনি বাজে ফর্ম আর মাঠের ভেতরে-বাইরের নানা বিতর্ক দিয়ে। তবে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যানের দাবি, এখন তিনি বেশ পরিণত।

নানা সময়ে অনেক বিতর্কে জড়ালেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য ও সম্ভাব্য ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ বিবেচনায় জাতীয় দলে অনেক দিন ছিলেন সাব্বির। তবে তার সম্ভাবনা বা তাকে নিয়ে প্রত্যাশা বাস্তব রূপ পেয়েছে সামান্যই। বিতর্কের সঙ্গে তার বসবাসও বন্ধ হয়নি কখনও। সব মিলিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আছেন তিনি জাতীয় দলের বাইরে।

এই পথচলায় মেঘে মেঘে বেলা কম হয়নি। তার ২৯ বছর বয়স পূর্ণ হলো রোববার। কিন্তু ব্যাট হাতে ২২ গজে কিংবা মাঠের বাইরে নানা জায়গায়, পরিণত আচরণ খুব কমই দেখা গেছে তার মধ্যে।

ভুল থেকে শিখেছেন, এই দাবি তিনি বেশকবারই করেছেন। কার্যক্ষেত্রে প্রমাণ খুব একটা দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আগে রোববার তার দল বেক্সিমকো ঢাকার অনুশীলনের ফাঁকে পুরনো সেই কথা আবার শোনা গেল সাব্বিরের কণ্ঠে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দাবি করলেন, এখন তিনি বুঝতে পারছেন।

“আমি এখনও তরুণ। এখন পরিণত। গত ৩-৪ বছর যেটা ছিল না, এখন হয়তো সেটা বুঝতে পারছি। ভালো পরিণত মনে হচ্ছে (নিজেকে) এবং মনে হচ্ছে যে কিছুটা শান্তশিষ্ট ও পরিণত হিসেবে কাজ করা উচিত। সবকিছু মিলিয়ে ভালোমতো খেলার চেষ্টা করব।”

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর গত বিপিএল কিংবা কদিন আগে প্রেসিডেন্ট’স কাপ, কোথাও পারফর্ম করতে পারেননি সাব্বির। নিজের দিনে ম্যাচ জেতাতে পারেন বলেই তবু দল পেতে সমস্যা হয়নি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে।

তার নিজের জন্য, জাতীয় দলের বাইরে থাকা অনেকের জন্য এই টুর্নামেন্টকে সুযোগ বলে মনে করছেন তিনি।

“এই টুর্নামেন্টের জন্য আমরা সবাই, সব খেলোয়াড় অপেক্ষা করছিলাম। যারা বিপিএল বা প্রিমিয়ার লিগ খেলি, যারা ফার্স্ট ক্লাস টুর্নামেন্ট খেলি, এ ধরনের টুর্নামেন্ট সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যারা জাতীয় দলে নাই, ওদের জন্য ফেরার বড় সুযোগ এই টুর্নামেন্ট।”

“আমি চেষ্টা করব ভালো খেলার জন্য, সবসময় বলে আসছি। কষ্ট করছি, কঠোর পরিশ্রম করছি। দেখা যাক, কতটা পারফর্ম করতে পারি।”

এই টুর্নামেন্টের জন্য তার প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে বলেও জানালেন সাব্বির।

“পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। সারাদিন ব্যাটিং (অনুশীলন) করে আমি রান করতে পারব (ম্যাচে), তার কোনো বিকল্প নেই বা কোনো উত্তর নেই (নিশ্চয়তা নেই)। কিন্তু আমি চেষ্টা করছি।”

“রাজশাহীতে যতদিন ছিলাম, ২০ দিন বা ২৫ দিন, ভালো প্র্যাকটিস করেছি। সেন্টার উইকেটে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছি। যেটা ব্যাটিংয়ে দরকার, যেটাতে আমার ব্যাটিং করার সুযোগ হয়েছে, ব্যাটিং করতে চেষ্টা করেছি। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে প্র্যাকটিস করেছি। ভালো কিছু করার জন্য প্র্যাকটিস করেছি।”

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেটে, তাকে নিয়ে দলের প্রত্যাশা মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক। তিনি নিজেও বলছেন, খেলায় উন্নতি করতে হবে অনেক।

“অবশ্যই এখান থেকে আরেক লেভেল ভালো খেলতে হবে আমাকে। ঘরোয়াতে যখন আমি ৩০-৪০ বা ৬০-৭০ রানে আউট হয়ে যাই, সেখানে সেঞ্চুরি করতে পারলে আমার লেভেলটা হয়তো বাড়বে। সেক্ষেত্রে একটা লেভেল ওপরে খেললে আমি পরবর্তীতে আরও ভালো খেলতে পারব।”

মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে প্রথম ম্যাচে সাব্বিরদের প্রতিপক্ষ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

খেলাধুলা

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই খেলতে কাতার যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের ফের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়েছে।

৪ ডিসেম্বর কাতারের মাঠে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে কাতারের বিমানবন্দরেই খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়া হয়।

সেসময় টিম ম্যানেজার আমের খান ও ফিজিওথেরাপিস্ট ফুয়াদ হাসান হাওলাদারের করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার দ্বিতীয় দফায় আবারও সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

ডিফেন্ডার তপু বর্মন এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমরা নিজেদের রুমে বসেই অনুশীলন করেছি। আজকে (গতকাল) সকালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা দিয়েছি। সকালে তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অনুশীলন করেছি। আশা রাখি, সবার দোয়ায় আমাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে এবং কাল মাঠে গিয়ে অনুশীলন করব।’ প্রথম পর্বের ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। বাছাইয়ের আগের চার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এক পয়েন্ট; কলকাতার সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে ড্র করে পয়েন্টটি পেয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা।

খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ তিন টেস্টে খেলতে পারবেন না ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এই সিরিজের অংশ হতে পারছেন না তিনি। যে তিন ম্যাচে কোহলি খেলতে পারবেন না, সেটা বরং ক্ষতিকর না হয়ে ভারতের জন্য ভালোই হলো বলে মন্তব্য করলেন সাবেক অধিনায়ক এবং কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনিল গাভাস্কার।

তিনি বলেন, অধিনায়ক কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারত কখনো খারাপ খেলে না। যখনই তিনি খেলেন না, তখনই ভাল পারফর্ম করে দলের অন্য তারকারা। আমার বিশ্বাস, কোহলির অনুপস্থিতে রাহানে (আজিঙ্কা) দলের অধিনায়কত্ব করবেন। আর টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে রাহানের রেকর্ড মোটেই খারাপ নয়।

এই সিরিজ চলার সময়েই বাবা হতে চলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাই স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকার জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি চেয়েছেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের সিরিজের তিনটি ম্যাচেই খেলছেন না তিনি।

বিরাটের এই অনুপস্থিতি নিয়ে এরই মধ্যে নানা কথা হচ্ছে। নানা গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ কোহলির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। কেউ আবার বিরাটের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।

গাভাস্কার বলছেন, ‘নিঃসন্দেহে কোহলির অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা; কিন্তু যদি ভালো করে ভাবা হয়, তাহলে দেখা যাবে, যখনই কোহলি খেলেনি তখনই ভারত জিতেছে। ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেছে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেছে, নিদাহাস ট্রফি, এশিয়া কাপ সবই জিতেছে তাকে ছাড়া। আসলে কোহলি না থাকলে বেশি ভাল খেলেন ভারতের অন্য তারকারা। তারা অধিনায়কের অভাব পূরণ করার চেষ্টা করেন।