জাতীয়

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশনায় বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে।

শনিবার দু’টি পৃথক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব আব্দুল মজিদ এবং ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার না করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছরে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে।

গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের উদ্যোগ কার্যকরের ফলে দেশীয় টেলিভিশন শিল্পের আর্থিক সংকট অনেকটা কমবে। তারা আরও বলেন, চ্যানেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, এটা পরিবেশক বা ক্যাবল অপারেটরদের। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সম্প্রচার শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ধন্যবাদ জানান।

পাশাপাশি সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্যে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, সম্প্রচার শিল্প বিকাশের স্বার্থেই সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন ও চাকরি সুরক্ষার জন্যে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩১০ জন। এর আগে সোমবার ২৫ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২১২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৮৬টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জনের।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯৮৭, ময়মনসিংহে ৩২, চট্টগ্রামে ১৩৪, রাজশাহীতে ৪৪, রংপুরে ১৯, খুলনায় ৭০, বরিশালে ১৮, সিলেটে ২৬ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এদেরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ৫, বরিশালে ২, সিলেটে ০, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৮, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের একজন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫০ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৩ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জরুরি চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং থেকে সোমবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

প্রফেসর মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটি বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণের জন্য একটি গাইডলাইন ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করা হয়েছে।

এছাড়া মনিটরিং চেকলিস্টের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেগুলো হল-

১. সব শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খোঁজ-খবর নেবেন।

২. শিক্ষার্থীর পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত বা করোনার কোনো লক্ষণ (জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি) আছে কিনা তার খোঁজ নেবেন।

৩. কোনো শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ করোনা বা করোনার লক্ষণাক্রান্ত হয়ে থাকলে দ্রুত সেই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান ওই শ্রেণি কক্ষের শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা নেবেন।

এমতাবস্থায় অধিদপ্তরের সব পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিতকরণ, বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪১৪ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জনে।

আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জাতীয়

দশ দফা দাবিতে সারাদেশে বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরি, প্রাইম মুভার মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয় পরিষদ আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলাম। রবিবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তারা এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণানালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলামসহ ৩০ নেতা।

দাবিগুলো হচ্ছে- ট্রাক লিটন ও আবু তালেব প্রামানিকসহ সব পরিবহন শ্রমিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, তদন্ত না করে এই ধারায় মামলা করা যাবে না; জটিলতা নিরসন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; পণ্য পরিবহনের সময় মালামাল চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও রয়েছে, সড়কে-মহাসড়কে কাগজপত্র চেকের নামে পুলিশ হয়রানি চাঁদাবাজি ও মাসিক মাসোহারা বন্ধ করতে হবে; মালিক-শ্রমিক পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা ব্যয় ও বাস সার্ভিস চার্জ আদায় করার সুযোগ দিতে হবে; বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করার উদ্যোগ বাতিল করতে হবে; সড়ক-মহাসড়কের পাস এবং প্রত্যেক জেলায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে হবে।

স্থানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টার্মিনাল ব্যতিরেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ চাঁদা ও টোল আদায় বন্ধ করতে হবে; দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো শুধুমাত্র হাইওয়ে পুলিশের অধীনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১০ দফা দাবিতে আজ ও আগামীকাল ( ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ) পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ছিল।

জাতীয়

ইউনাইটেড নেশনস মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশনে (এমআইএনইউএসএমএ) কর্মরত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ১৪০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) মালির রাজধানী বামাকোতে এমআইএনইউএসএমএ মিশনের সদর দপ্তরে এ পদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় অসামান্য অবদান রাখায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তারা।

এমআইএনইউএসএমএ পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা পেট্রিসিয়া বুগানি বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।

কমান্ডার (পুলিশ সুপার) বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’

বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীদের পদক প্রদানে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

জাতীয়

করোনা সংক্রমণ হার কমে যাওয়ার কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সশরীরে উপস্থিত থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্ততে এক ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসি বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্তের তথ্য জানানো হয়।

কমিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় টিকা সংক্রান্ত শর্ত মেনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্যাম্পাস খুলতে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়।

ইউজিসি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষাসহ অন্যান্য শিক্ষা কাযক্রম চালু রাখতে পারবে।

জাতীয়

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ১০ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। বরিশাল বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।

জাতীয়

সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা।

বুধবার বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাত সাড়ে ৮ পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও পরে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ২জন পুলিশসহ ২০জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত ৯টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

এর আগে সকালে তাদেরকে বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা বলেছিল মালিক পক্ষ। পরে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে বেতন না পেয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। এসময় শিল্প পুলিশের সাথে প্রথমে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে নিতে বললে শ্রমিকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও পরে প্রায় ৫০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে। অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিক রায়হান, আমীর, নোমান জানায়, লকডাউন শুরুর থেকেই বেতন বকেয়া রয়েছে। সকালে মালিকপক্ষ থেকে তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলেছিল। তাই সকাল থেকে আমরা বকেয়া বেতনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বিকেল পর্যন্ত মালিক পক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি। এছাড়া অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা সিলেট, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এ ছাড়া ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের চারপাশে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।

এদিকে অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন এবং তারা শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। অবরোধ তুলে নিতে বার বার অনুরোধ করে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। শ্রমিকদের দাবি, তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলে তাদের সকাল থেকে অপেক্ষা করিয়ে এখনো বেতন দেওয়া হয়নি।

সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম জানান, মারমুখি শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে শ্রমিকদের দাবি পুলিশের গুলিতে ২০ জনেরও বেশী শ্রমিক আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ জনই গুলি বিদ্ধ। তবে শ্রমিকরা আহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার হওয়ার যান চলাচল শুরু হয়েছে।

জাতীয়

প্রার্থীরা ইমোশন (আবেগী) হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। নির্বাচনের দিন দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বাকি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেও দাবি তার।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক যে, মহেষখালী ও কুতুবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন করে দুইজন লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আমাদের কাছে যে তথ্য তাতে এসব ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবো। সামনে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকবো।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে প্রায় ৫০ শতাংশ, পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ও ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

নির্বাচনে সহিংসতার কারণ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যান। মহেষখালীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। কুতুবদিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার সময়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা গুলি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ডোর টু ডোর নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ার পরও নির্বাচনে সহিংসতা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ইউপি নির্বাচন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকা এলাকা দ্বন্দ্ব থাকে, প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকেরা ইমোশনাল হয়ে যান। তখনই এ দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। তিনি বলেন, অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছেন।

ভোটের আগের রাতে একজন নারী মারা যাওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৭০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে আমাদের জানাতে বলেছি। সহিংসতার বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ বিষয়ে তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় যে ৭ নম্বর কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রার্থীদের পক্ষে একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফায়ার ওপেন করেছে। অর্থাৎ এ বিষয়ে সর্বোচ্চভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি হয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে তা কোনোভাবেই বলবো না। কারণ তিনটি। প্রথমত: একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, দ্বিতীয়ত: যারা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা যদি নিয়ম-নীতি না মানেন তাহলে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হবে খুবই স্বাভাবিক, তৃতীয়ত: যোগ্য প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না- তাহলে তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হবেন।